চীন ও তাইওয়ানের মাঝে চলমান উত্তেজনার
মাঝেই আবারও আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। তাইপে দাবি করেছে, স্ব-শাসিত দ্বীপপুঞ্জটির
আকাশসীমা ঘিরে বিচরণ করছে ১৮টি চীনা বোমারু বিমান। যা রীতিমতো চাপ বাড়াচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি,
সোমবার সকাল থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সময়ে তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিম আকাশ প্রতিরক্ষা
শনাক্তকরণ অঞ্চলে ২১টি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে চীন। যারমধ্যে পারমাণবিক সক্ষমতাসম্পন্ন
১৮টি এইচ-৬ বোমারু বিমানও ছিল।
এদিকে, যুদ্ধবিমানের বিচরণের ঘটনায় আকাশসীমা
ঘিরে কড়া নিরাপত্তা জোরদার করেছে তাইওয়ান। দ্বিপটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,
প্রায় প্রতিদিনই চীনের যুদ্ধবিমান আকাশসীমা লঙ্ঘন করে। তবে একসঙ্গে এত এইচ-৬ বোমারু
বিমানের অনুপ্রবেশের ঘটনা এবারই প্রথম।
এ ঘটনার পর তারা প্রতিনিয়ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে
করছেন। সেই সঙ্গে চীনা বিমানগুলো ট্র্যাক করতে নিজেদের ফাইটার জেটগুলোর পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র
ব্যবস্থাও জোরদার করেছে তাইওয়ান।
জাপানের রিউকিউ দ্বীপপুঞ্জের ঠিক পশ্চিমেই
রয়েছে তাইওয়ান দ্বীপ। প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণ চীন সাগর ও লুজন খাড়ি ছাড়াও তাইওয়ান
খাড়ি ও পূর্ব চীন সাগর বেষ্টিত দীপটিকে চীন নিজেদের দেশের একটি অংশ মনে করে। দেশটির
মতে- তাইওয়ান চীন থেকে বেরিয়ে যাওয়া একটি প্রদেশ। যা ভবিষ্যতে কোনো এক সময়ে আবারও
চীনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
সম্প্রতি এই দীপকে ঘিরে বাণিজ্য সম্প্রসারণে
তাইওয়ানের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক বিষয়ক নতুন পদক্ষেপ হিসেবে ইন্দো-প্যাসিফিক
ইকোনোমিক ফ্রেমওয়ার্ক (আইপিইএফ) ঘোষণা করেছে মার্কিন সরকার। যেটির কঠোর বিরোধিতা করে
চীনা সরকার। পরে বিষয়টি নিয়ে শক্তিশালী দুটি দেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ফলশ্রুতিতে
সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে হলেও তাইওয়ান দখলের হুমকিও দিয়েছে চীন।