আজঃ রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

‘টাকা নয় মানুষের জীবনের কথা ভেবেছেন প্রধানমন্ত্রী’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টাকার চিন্তা করেননি, তিনি মানুষের জীবনের কথা চিন্তা করে কাজ করেছেন। কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশের বিশ্বের রোল মডেল হওয়াটা কোন ম্যাজিকের মাধ্যমে হয়নি, এই মোকাবিলা হয়েছে বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা, উদ্যোগ ও পরিশ্রমের মাধ্যমে। এই মহামারি মোকাবিলা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার ফসল।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে কোভিড মহামারি নিয়ন্ত্রণে সফলতা অর্জন ও ভ্যাকসিন সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যসোসিয়েশন কর্তৃক স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি মুবিন খান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড মোকাবিলায় সাফল্য লাভ গোটা জাতির জন্যই একটি বিশেষ অর্জন ও সফলতা। এই সফলতায় সব থেকে বেশি অবদান রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি সময়োপযোগী দিকনির্দেশনা ও কর্ম পরিকল্পনা। তিনি নিজে সার্বিক দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে এই মহামারিতে সম্মুখে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, আমরা কেবল তার নির্দেশনা মেনে কাজগুলো করে গেছি।

জাহিদ মালেক বলেন, আমরা স্বাস্থ্যখাতের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যখন যা কিছু চেয়েছি তিনি আমাদের সেগুলো দিতে এক মুহূর্তও বিলম্ব করেননি। করোনা মোকাবিলায় আমরা আজ বিশ্বের ৫ম স্থান পেয়েছি, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এই কৃতিত্ব আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ঠিকভাবে কাজ করায় আমরা আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছি। আজ আমাকে যেভাবে সংবর্ধনা দেয়া হলো এটি আমি (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) গোটা চিকিৎসক, নার্স ও চিকিৎসা খাতের সাথে সংশ্লিষ্টদের পক্ষে গ্রহণ করে সম্মানিত বোধ করছি। 

তিনি আরও বলেন, করোনার সময় দেশে বিদেশে সব মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত ছিল। শুরুতে মানুষ কোন এলাকায় হাসপাতাল করতে দিত না। মানুষ করোনার ভয়ে সে সময় করোনা হাসপাতাল করার বিপক্ষে আন্দোলন পর্যন্ত করেছে। সে সময় দেশের প্রাইভেট মেডিকেল হাসপাতালগুলো সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছিল। আমরা প্রাইভেট খাতকে বলেছিলাম করোনার জন্য হাসপাতাল ডেডিকেটেড করতে তারা সেটি মেনে নিয়েছে, বেড বাড়াতে বললে তারা বৃদ্ধি করেছে। তাদের যখন যা বলেছি তারা তাই করেছে।

বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম এম মুবিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ আরও অনেকে।


আরও খবর



গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়াল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি দখলদারদের অভিযানে নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এ ছাড়া এখনও নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। গতকাল সোমবার (২৭ নভেম্বর) গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ১৫ হাজার নিহত ছাড়াও গাজায় এখনও নিখোঁজ রয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। নিহতদের মধ্যে ৬ হাজার ১৫০ শিশু এবং ৪ হাজার নারী রয়েছেন। এ ছাড়াও এখনও অগণিত মরদেহ গাজার রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।

বিবৃতিতে জানানো হয়, গাজায় এখনও অন্তত ৭ হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ৪ হাজার ৭শ জনের বেশি। এ ছাড়াও আহত হয়েছেন ৩৬ হাজারেরও বেশি মানুষ, যার মধ্যে ৭৫ শতাংশই নারী ও শিশু। 

আরও পড়ুন>> মধ্যপ্রাচ্যে বিষাক্ত গ্যাসের ঝুঁকিতে লাখ লাখ মানুষ

মিডিয়া অফিস আরও জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ২০৭ চিকিৎসাকর্মী, ৭০ সাংবাদিক ও ২৬ বেসামরিক প্রতিরক্ষা উদ্ধারকারী দলের সদস্য রয়েছেন।

এ ছাড়াও এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারেরও বেশি বাড়িঘর পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। আর নষ্ট হয়ে গেছে ২ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি অবকাঠামো। আর এ পর্যন্ত ৮৮টি মসজিদ পুরাপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, আর আংশিক ধ্বংস হয়েছে ১৭৪টি মসজিদ। অন্যদিকে তিনটি গির্জায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।

এদিকে গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরাইলে ১২শ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারি কর্মকর্তারা। ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলা চালায়। জবাবে ওই দিনই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর মধ্যে জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের কয়েকটি জায়গায় আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।

কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর ৪৮ দিন পর গত শুক্রবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির এ চারদিনে হামাস ৫০ জন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে; বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের কারাগারে বন্দি ১৫০ ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেবে এবং গাজায় ত্রাণবাহী ২শ ট্রাকের পাশাপাশি ১ লাখ ৪০ হাজার লিটার জ্বালানি ও গ্যাসভর্তি অন্তত চারটি লরি প্রবেশের অনুমোদন দেবে।

সোমবার ছিল চার দিনের এ যুদ্ধবিরতির শেষ দিন। এদিন হামাস ও ইসরায়েল সরকারের সম্মতিতে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও দুদিন বাড়ানো হয়েছে।


আরও খবর
যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করল ইরাক

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




দ্বাদশ নির্বাচন: প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা জানাল ইসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের যোগ্যতা ও অযোগ্যতার বিধান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বিধিমালায় বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বা থাকার যোগ্যতা-অযোগ্যতা সংক্রান্ত সংবিধানের ৬৬(১)(২) অনুচ্ছেদে ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ১২(১) অনুচ্ছেদে বিধান রয়েছে। তা ছাড়া সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদের প্রজাতন্ত্রের কর্মসংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ-এর ব্যাখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে। অনুচ্ছেদ ১২-এর উপধারা (ড) অনুযায়ী কোম্পানির পরিচালক বা ফার্মের অংশীদার কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহীত কোনো ঋণ বা তার কোনো কিস্তি মনোনয়নপত্র দাখিলের দিনের আগে পরিশোধে ব্যর্থ হলে নির্বাচনে প্রার্থী হতে অযোগ্য হবেন।

আরও যে কারণে অযোগ্য হবেন প্রার্থীরা, কৃষি কাজের জন্য গৃহীত ক্ষুদ্র কৃষিঋণ ব্যতীত, মনোনয়নপত্র দাখিলের দিনের আগে ব্যাংক থেকে গৃহীত কোনো ঋণ বা তার কোনো কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে নির্বাচনে প্রার্থী হতে অযোগ্য হবেন। সেই সাথে উপদফা (ঢ) অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের দিনের আগে প্রদেয় সরকারি টেলিফোন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি বা অন্য কোনো সেবা প্রদানকারী সংস্থার বিল পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে নির্বাচনে প্রার্থী হতে অযোগ্য হবেন।

প্রার্থী হওয়ার জন্য যেসব দায়িত্ব ছাড়তে হবে

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের মেয়র ও চেয়ারম্যানদের প্রার্থী হওয়া: উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সিটি করপোরেশন, পৌরসভার মেয়রের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/ আধা-স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত অফিস/প্রতিষ্ঠানের বা করপোরেশন অথবা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, কর্তৃপক্ষ এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনসমূহে চুক্তিভিক্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য পদ্ধতিগতভাবে পদত্যাগ করতে হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তফসিল বুধবার (১৫ নভেম্বর) ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির ঘোষণা অনুযায়ী ভোট অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়ারি।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর।

রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।


আরও খবর
ফার্মগেটে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ২

শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3




স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চাইলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আগেই

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো একই আসনে একাধিক প্রার্থী দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিন বা তার আগে একজন প্রার্থীকে চূড়ান্ত করতে পারে। এক্ষেত্রে দলীয় মনোনয়ন পেয়েও যারা বাদ পড়বেন তারা দলের বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে থাকতে পারবেন না।

প্রার্থী নির্বাচনে দলের বিদ্রোহ ঠেকাতেই ১০ বছর আগে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়। বিদ্যমান এই আইনের কারণে এবারের নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ছাড় দেওয়ার সুযোগ কম। এ ছাড়া কারা দলের চূড়ান্ত প্রার্থী হচ্ছেন, তা জানতে ১৮ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, আরপিওর ১৬(২) অনুচ্ছেদে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের প্রার্থী নির্বাচনে যে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তাতে দলের নেতারা দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ হারিয়েছেন। বলতে গেলে দলে থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগটাই কমে গেছে। এ বিধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের প্রার্থী নির্বাচনে একচ্ছত্র ক্ষমতা দিলেও দলের অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক চর্চার পথে অন্তরায় সৃষ্টি করেছে।

সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে অগাধ ক্ষমতা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দলগুলো একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন দিতে পারবে। প্রত্যাহারের আগে একজনকে চূড়ান্ত করে চিঠি দিলে অন্যদের মনোনয়ন বাতিল বলে গণ্য হবে। এর আগে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ক্ষমতা প্রার্থী বা তার এজেন্টের হাতেই ছিল। দল বা জোট কাউকে চূড়ান্ত মনোনয়ন না দিলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারতেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করে ১২ ধারা ৩এ(বি) এবং ১৬ ধারা (২)-তে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

আরপিওর ১৩(৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে, কোনো নিবন্ধিত দলের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া যাবে এবং তা ১৬ (২) ধারা অনুযায়ী কার্যকর হবে। ১৬ (২) অনুচ্ছেদে বলা আছে, যদি কোনো আসনে একের অধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়, তার মধ্যে থেকে একজনকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন বা তার আগে চূড়ান্ত করতে হবে। তা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের কেউ লিখিতভাবে রিটার্নিং অফিসারকে জানাবেন। দলের অন্য মনোনীত প্রার্থীদের প্রার্থিতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।

এ বিধানের ফলে নিজ দলের প্রার্থীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়ে জোটের কোনো প্রার্থীকে নির্বাচনে জিতিয়ে আনার সুযোগ সৃষ্টি হয়। আগের দুটি নির্বাচনে এ ধরনের ঘটনার নজির রয়েছে।

তবে নবম সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর এই ক্ষমতা ছিল না। ১২ ৩এ(বি) অনুচ্ছেদে আগে ছিল, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের পক্ষে সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী স্বাক্ষরিত এই মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হবে যে, প্রার্থীকে দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন প্রদান করা হয়েছে। কোনো নিবন্ধিত দলের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রদান করা যাবে। একের অধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন করা হলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের আগেই চূড়ান্তভাবে একজন মনোনীত প্রার্থীর নাম রিটার্নিং অফিসারকে লিখিতভাবে জানাতে হবে।

কিন্তু ২০১৩ সালে তৎকালীন নির্বাচন কমিশনের সুপারিশে এই ধারায় সংশোধনী এনে প্রার্থী চূড়ান্ত করার সময় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

অনিবন্ধিত দলও দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে : আইনগত দুর্বলতার কারণে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিবন্ধিত বা নিবন্ধন অবৈধ ঘোষিত হয়েছে এমন দলের নেতাদেরও জোটভুক্ত হয়ে নিবিন্ধত কোনো দলের প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে জোটের যে দলের প্রতীকে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সে দলের প্রার্থী হিসেবেই গণ্য হবেন তারা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থীরা এ বিধানের কারণেই বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হন।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই বিধান যোগ করা হয় যে, কোনো অনিবন্ধিত দলের সঙ্গে জোট করা যাবে না এবং জোটের প্রার্থীরা যে দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন তারা সেই দলের প্রার্থী হিসেবে গণ্য হবেন। কিন্তু প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধিতার কারণে ওই বছর দ্বিতীয় অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিধানটি (৯০-খ-৩ অনুচ্ছেদ) বাদ দেওয়া হয়। তবে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে পুরোনো দলগুলোর ক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্নভাবে তিন বছরের বেশি সময় দলের সদস্য থাকার বাধ্যবাধকতা বহাল থাকে। কিন্তু ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২ (১) ঞ অনুচ্ছেদের ওই বিধান বাদ দেওয়া হয়। নির্বাচন কর্মকর্তাদের মতে, এর ফলে বর্তমানে নিবন্ধন নেই এমন দলগুলোর নেতারা কোনো নিবিন্ধত দলের সঙ্গে জোটভুক্ত হয়ে দলীয় প্রতীকে অংশ নিতে পারবেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর নেওয়ার চেয়ে এটি সহজ হবে।


আরও খবর
আচরণবিধি লঙ্ঘনে শামীম ওসমানকে শোকজ

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




তফসিলকে স্বাগত জানালেন রওশন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘোষিত তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ।

তিনি বুধবার (১৫ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেন, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সুসম্পন্ন করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।

বিবৃতিতে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন।

এর আগে সন্ধ্যা ৭টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখ রোজ রোববার ৩০০ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার এবং ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে।

ভাষণে তফসিল বিষয়ে সিইসি বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই হবে আগামী ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং অফিসাররা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর।

সিইসি আরও বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে আগামী ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।


আরও খবর
আচরণবিধি লঙ্ঘনে শামীম ওসমানকে শোকজ

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




টানা তিন দিন বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

টানা তিন দিন ধরেই বায়ুদূষণের শীর্ষে রয়েছে ঢাকা। আজ ছুটির দিনেও ঢাকার বায়ু মানের উন্নতি ঘটেনি। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবারও ২৮৫ স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে ছিল ঢাকা। বুধবার শীর্ষে থাকা ঢাকার বায়ু ছিল দুর্যোগপূর্ণ।

এদিকে আজও ঢাকার বায়ুর মানের স্কোর হচ্ছে ৩০২ অর্থাৎ এখানকার বায়ু দুর্যোগপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা। শহরটির স্কোর হচ্ছে ২৮৫ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মান খুবই অস্বাস্থ্যকর।

আরও পড়ুন>> ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখল বিশ্ব

সূচকের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর এবং শহরটির স্কোর হচ্ছে ২৪৩। এর অর্থ দাঁড়ায় সেখানকার বায়ুর মান খুবই অস্বাস্থ্যকর।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

এদিকে দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণ দিনদিন আরও ভয়ংকর হয়ে উঠছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কোটি কোটি মানুষের জীবন। গবেষণা বলছে, বৈশ্বিক বায়ুদূষণের হটস্পট হয়ে উঠেছে দক্ষিণ এশিয়া। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত চারটি দেশ এবং দূষণের শীর্ষে থাকা ১০ শহরের মধ্যে নয়টির অবস্থানই এ অঞ্চলে।


আরও খবর