
গাজীপুরের শ্রীপুরে
তালাবদ্ধ ঘর থেকে মা ও ছেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাশেই পড়ে ছিল কয়েকটি বিরিয়ানির
প্যাকেট। শনিবার বিকালে শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তা এলাকার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামের
এসিআই গেটের পেছনে নিজ বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন-
শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তা এলাকার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামের সিরাজ মিয়ার মেয়ে
রুবিনা (২২) ও তার শিশুসন্তান জিহাদ (৪)।
এ ঘটনায় রুবিনার
স্বামী ঝুমন মিয়াকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঝুমন স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে কাজ করেন।তার
বাড়ি মুন্সীগঞ্জে।
নিহত রুবিনার
বাবা সিরাজ মিয়া বলেন, প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর আগে ঝুমন ও রুবিনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে
তারা আমার দেওয়া বাড়িতে বসবাস করে আসছিল।
চারদিন আগে হঠাৎ
রুবিনা ও তার ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। স্বজনরা তাদের খোঁজ করলে বাড়ির মূল ফটক
ও বসতঘরে তালা দেখতে পান। অন্যত্র বেড়াতে যেতে পারে- এমন ধারণায় তারা ঘরের তালা ভাঙেননি।
সম্ভাব্য সব জায়গায়
খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে বোন সেলিনা আক্তার শনিবার বিকালে রুবিনার বাড়ির মূল ফটক ও
বসতঘরের তালা ভেঙে মা ও ছেলের লাশ দেখতে পান। এসময় তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন
ছুটে এসে পুলিশকে খবর দেন।
সেলিনা জানান,
পারিবারিক কলহের কারণে রুবিনার স্বামী বেশ কয়েকদিন ধরে বাড়ির বাইরে থাকতো। ৫/৬ দিন
আগে তার ভগিনীপতি বাড়িতে আসেন। তার ধারণা, ঝগড়ার জেরেই রুবিনা ও তার সন্তানকে হত্যা
করেছে ঝুমন।
শ্রীপুর থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘মরদেহের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো
হয়েছে। এটি হত্যা বা আত্মহত্যা হতে পারে। মরদেহের পাশে খালি ও ইনটেক কয়েকটি বিরিয়ানির
প্যাকেট ছিল। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে রহস্য উদঘাটন করা হবে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি
পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।’
গাজীপুর
জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়াকৈর সার্কেল) মো. আজমির হোসেন বলেন, ‘নিহতের স্বামী ঝুমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে
নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার কারণ এখনো অস্পষ্ট। জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য মা ও শিশুর মরদেহ
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।