আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

তালেবানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি কত দূর?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

২০২১ সালের ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করে তালেবান। মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ত্যাগ সম্পন্ন করার আগেই আফগানের কর্তৃত্ব নেয় দুই দশকের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ করে আসা সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। ক্ষমতায় আসার পর নানা কথা দিয়েছিল তালেবান। আন্তর্জাতিক সমর্থনেরও প্রত্যাশা ছিল তাদের। তবে সেসবের এখনো তেমন কিছুই দেখা মেলেনি। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলবে কি তালেবানের? ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট পশ্চিমাদের ভাবনার চেয়েও দ্রুতগতিতে কাবুলের দখল নেয় তালেবান। যুক্তরাষ্ট্র তড়িঘড়ি করে বাকি থাকা সেনা সরিয়ে নেয়। আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। ক্ষমতা গ্রহণের পর তালেবান বলেছিল, তারা আগের মতো হবে না। নারীর অধিকার থাকবে। কট্টরপন্থ নয় নমনীয়তা গ্রহণ করবে তারা। এছাড়া বিদেশি সেনা চলে যাওয়ায় যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করে সশস্ত্র গোষ্ঠিটি। সেসময় যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তালেবান, সেগুলো হলো- ২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতায় এসে তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ শরিয়তি বিধান মেনে নারীর অধিকার রক্ষার কথা বলেছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতির পূর্ণতা আসেনি।

মুজাহিদের দাবি ছিল, কোনো প্রতিশোধ নয়। ২০ বছর ধরে যুদ্ধ করা হাজারো সেনাকে ক্ষমা করা হয়েছে। কিন্তু জাতিসংঘ বলছে, ২০২১ সালের ১৫ অগাস্ট থেকে ২০২২ সালের ১৫ জুনের মধ্যে তালেবান কর্তৃপক্ষ ১৬০টি বিচারবহির্ভূত হত্যা, ১৭৮টি নির্বিচারে গ্রেপ্তার, ২৩টি আচমকা গ্রেপ্তার এবং সাবেক সরকার ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নির্যাতনের ৫৬টি ঘটনা ঘটিয়েছে। তালেবানের সাংস্কৃতিক কাঠামোতে হস্তক্ষেপ না করলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বজায় থাকবে বলে জানিয়েছিলেন মুজাহিদ। তবে বাস্তব পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের প্রতিবেদন বলছে, ২০২১ সালের জুলাই মাসে আফগানিস্তানে নিউজরুমে ১০ হাজার জন কাজ করতেন। ডিসেম্বরে কাজ করেছেন চার হাজার ৩৬০ জন। তালেবান শাসনের প্রথম তিন মাসে ৫৪৩টির মধ্যে ২৩১টি সংবাদমাধ্যম আচমকা উধাও হয়ে গিয়েছে। ক্ষমতায় এসে তালেবান মুখপাত্র মাদক উৎপাদন না করার অঙ্গীকার করেছিলেন। এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে তালেবানকে উদ্যোগী দেখা যাচ্ছে। গত এপ্রিলে আফিম চাষ ও ফসল কাটা নিষিদ্ধ করে তারা। তবে বাস্তবে এর প্রতিফলন খুব বেশি পড়েনি।

বিশ্বের সবচেয়ে বাজে মানবিক সংকট: কয়েক দশকের সংঘাত, বিপর্যয় এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশটির লাখ লাখ মানুষকে এমন অবস্থার মুখোমুখি হয়েছে। তাদেরকে অভাব ও সংকট নিজের বাড়ি ছেড়ে আসতে বাধ্য করেছে। আফগানিস্তানে যুদ্ধের সমাপ্তির পর আকস্মিক অর্থনৈতিক পতনের ফলে তরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তালেবান সরকার আসার পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে সৃষ্ট সংকটের চরম মূল্য দিতে হচ্ছে সাধারণ আফগানদের। গত বছরের আগস্টে মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ছাড়ার পর ক্ষমতা দখল করে তালেবান। এরপর দেশটির অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের টিকে থাকার প্রধান পথ বিদেশি সাহায্য বন্ধ হয়ে যায়। তালেবান সরকারকে সমর্থন না দেয়ার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দেশটিতে অর্থনৈতিক সাহায্য বন্ধ ঘোষণা করে।

গত এক বছরে দেশের আর্থিক ব্যবস্থার উপর আরোপিত উন্নয়ন সহায়তা এবং সীমাবদ্ধতা প্রত্যাহার করার জন্য কঠোর পদক্ষেপের কারণে লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারল্য সংকট, নগদ অর্থের ঘাটতি, ব্যাংকিং ব্যবস্থার পতন এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা- আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষকে চরম সীমায় ঠেলে দিয়েছে। দারিদ্রের চরম মাত্রায় পৌঁছেছেন তারা। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। দেশটির অর্থনীতি জটিল আকার ধারণ করেছে। অনেক আফগান তাদের সঞ্চয় বা বেতনও ব্যবহার করতে পারছেন না। এছাড়া কোনো কাজ না পাওয়ায় ও জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ায় বেশিরভাগ পরিবার ঋণের জালে আবদ্ধ হয়ে পড়ছে।

বেশিরভাগ লোকের খরচ করার মতো কিছুই বেঁচে নেই এবং অনেকে মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য ছোট ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন। ইউক্রেন যুদ্ধের ছায়ায়, খাদ্য ও প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশচুম্বী হয়েছে, যা নিঃস্ব সম্প্রদায়কে আরও বেশি কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি করেছে। আফগানিস্তানের বস্তিতে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ বাস করে। তাদের জন্য এবং সারাদেশে আরও অনেকের জন্য বেঁচে থাকাটাই সবচেয়ে বড় সংগ্রামে পরিণত হয়েছে।

আসবে কি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি? একটি দেশও এখন পর্যন্ত তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। নিকট প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান, মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরব, তুরস্ক কেউ না। স্বীকৃতি না মেলায় তালেবান প্রশাসন বহির্বিশ্বে দূতাবাস স্থাপন, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা, ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু, কিছুই করতে পারছে না। তালেবান স্বীকৃতি দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি বারবার আহ্বান জানাচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে, কথা নয়, কাজ দিয়ে তালেবানকে প্রমাণ করতে হবে যে তারা বদলেছে। বিশ্বে তুরস্ক একমাত্র দেশ যারা তালেবানের ভাবমূর্তি উন্নয়নে কাজ করছে। এরই মধ্যে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু তালেবানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে দুবার বৈঠক করেছেন।

তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর বেশির ভাগ দেশ যখন কাবুলে কূটনৈতিক মিশন বন্ধ করে দেয়, তখনো তুরস্কের দূতাবাস সেখানে চালু ছিল। এর দুই মাস পরে তুরস্ক মাজার-ই-শরিফেও কনসুলার সার্ভিস চালু করে। বর্তমানে তুরস্কের এক ডজনেরও বেশি এনজিও আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তায় কাজ করছে। ৩৪ প্রদেশের মধ্যে অন্তত ১৩টিতে তারা পৌঁছে গেছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নেও তারা কাজ করছে। অন্তত ৩৪টি দেশ তালেবান প্রশাসনের সঙ্গে একটা পর্যায় পর্যন্ত কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোও মানবিক সহায়তা ও কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে। এসব অগ্রগতি এটা দেখায় যে কিছু দেশ তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়ার খুব কাছাকাছি আছে। তবে তা ঠিক কবে হতে পারে তা এখনো অনিশ্চিত।

নিউজ ট্যাগ: তালেবান

আরও খবর



মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের জেরে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৬টার দিকে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট থেকে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শরীফুল ইসলাম বলেন, আজ ভোরে বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর উপলক্ষে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট কাছে বিজিবির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। পরে কোস্টগার্ডদের একটি জাহাজ মিয়ানমারের জাহাজ চিন ডুইনের উদ্দেশে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট ত্যাগ করে। ফেরত পাঠানোদের মধ্যে রয়েছে বিজিপি সদস্য, চারজন সেনা সদস্য, ইমিগ্রেশন সদস্য রয়েছেন।

এর আগে মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্যান্য সদস্যদের দ্রুত শনাক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন সম্পন্ন করে। সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাহাজে করে আগত বিজিপি সদস্যদের কাছে আশ্রয় প্রাপ্তদের হস্তান্তর করা হয়।


আরও খবর



উদ্ধার হয়েছে লাইনচ্যুত যমুনা এক্সপ্রেস

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনগামী যমুনা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুতের ঘটনায় ৩ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনটির উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সকাল ৮টা ৫ মিনিটে ঢাকার কারওয়ান বাজারে লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি। ফলে ঢাকার কমলাপুরের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল আপাতত এক লাইনে সামলাতে হচ্ছিল।

মাসুদ সারওয়ার বলেন, লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনটির উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: যমুনা এক্সপ্রেস

আরও খবর



৪০ বছরের খরা কাটিয়ে শিরোপা জিতল বিলবাও

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শিরোপা জয়ের স্বাদ প্রায় ভুলতে বসা আথলেতিক বিলবাও অবশেষে ৪০ বছরের খরা কাটাল। কোপা দেল রের ফাইনালে রিয়াল মায়োর্কাকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে বহু কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের দেখা পেল দলটি।

শনিবার সেভিয়ায় ম্যাচের নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচটি শেষ হয় ১-১ সমতায়। এর আগে সবশেষ ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে কোপা দেল রে ও লা লিগার শিরোপা জিতেছিল বিলবাও।

কোপা দেল রের সফলতম দল বার্সেলোনার ট্রফি ৩১টি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ হলো বিলবাওয়ের। রিয়াল মাদ্রিদের ২০টি।

বিলবাওয়ের এ দিন ম্যাচের শুরু থেকে দাপটছিল। তবে এগিয়ে যায় মায়োর্কা। ২১তম মিনিটে কর্নার থেকে ফিরতি বল ধরে জালে পাঠান দানি রদ্রিগেস। প্রথমার্ধে পিছিয়ে থেকেই শেষ করে বিলবাও। দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে তাদেরকে সমতায় ফেরান ওইয়ান সানসেট।

টাইব্রেকারে অবশ্য বিলবাও ছিল নিখুঁত। চার শটের সবকটিই জালে পাঠায় তারা। মায়োর্কার মানু মোরলেন্সের শট ঠেকিয়ে দেন বিলবাওয়ের গোলকিপার, আরেকটি শটে গোল করতে পারেননি নেমানিয়া রাদোনিচ। খরা ঘুচে যায় বিলবাওয়ের।


আরও খবর
বৃষ্টিতে বন্ধ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪




মার্চে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৬৫, আহত ১২২৮

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত মার্চে ৫৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬৫ জন নিহত ও ১২২৮ জন আহত হয়েছেন। এ সময়ে ১৮১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৩ জন নিহত ও ১৬৬ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩২.৭৮ শতাংশ, নিহতের ৩৫.৯২ শতাংশ ও আহতের ১৩.৫১ শতাংশ।

একই সময়ে রেলপথে ৩৮টি দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৮৬ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে সাতটি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৯৭টি দুর্ঘটনায় ৬১২ জন নিহত ও ১৩৩১ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি।

মার্চ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৬২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ৩০৬ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে বরিশাল বিভাগে। সেখানে ২৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত ও ৯২ জন আহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, প্রকাশিত এই তথ্য দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত চিত্র নয়। এটি কেবল গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য। দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার একটি বড় অংশ প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত গণমাধ্যমে স্থান পায় না। তাই এসব তথ্য আমাদের প্রতিবেদনে তুলে ধরা সম্ভব হয় না। দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রাথমিক উৎসস্থল দেশের হাসপাতালগুলোতে দেখলে এমন ভয়াবহ তথ্য মেলে।

ঢাকা জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতালে) মার্চ মাসে ১৩৬৯ জন সড়ক দুঘর্টনায় গুরুতর আহত পঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। বিজ্ঞান বলে একটি দুঘর্টনায় ১০ জন আহত হলে তার মধ্যে কেবল একজন গুরুতর আহত বা পঙ্গু হন। বাংলাদেশে ১০ হাজার সরকারি ও ছয় হাজার বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। এসব হাসপাতালে প্রতিবছর সড়ক দুঘর্টনায় আহত প্রায় তিন লাখের বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে। অথচ গণমাধ্যমে তার ১০ ভাগের এক শতাংশ তথ্যও প্রকাশিত হয় না বলে আমরা ঘটনার ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরতে পারি না।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে মার্চ মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হচ্ছে— ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনিয়ম দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সড়ক মহাসড়কে অবাধে চলাচল, সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা, রাতের বেলায় ফগ লাইটের অবাধ ব্যবহার, সড়ক-মহাসড়কে নির্মাণ ক্রটি, ফিটনেস যানবাহন ও অদক্ষ চালকের হার ব্যাপক বৃদ্ধি, ফুটপাত বেদখল, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা, উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশগুলো হচ্ছে— রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে প্রাথমিক উৎস থেকে সড়ক দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ডাটা ব্যাংক চালু করা, স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান, রাতের বেলায় বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকদের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা, সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা, রাতের বেলায় চলাচলের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা, ব্লাক স্পট নিরসন করা, সড়ক নিরাপত্তা অডিট করা, স্টার মানের সড়ক করিডোর গড়ে তোলা এবং দেশে সড়কে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ’র চলমান গতানুগতিক কার্যক্রম অডিট করে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা চিহ্নিত করা, প্রাতিষ্ঠানিক অকার্যকারিতা জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা।


আরও খবর



আমি প্রেসিডেন্ট থাকলে ইসরায়েলে এই হামলা হতো না: ট্রাম্প

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। বহুদিনের বৈরিতা থাকলেও এই প্রথমবারের সরাসরি ইসরায়েলে হামলা চালালো ইরান। শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে দুই শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইরান এই হামলা চালায়।

এমন অবস্থায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকলে ইসরায়েলে ইরানের এই হামলা হতো না। সবাই এটি জানে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

রোববার পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গভীর রাতে ইসরায়েলে ইরানের নজিরবিহীন হামলার খবর পাওয়ার পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় শনিবার তার সোশ্যাল-মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ নিজের প্রতিক্রিয়া জানান।

সেখানে ট্রাম্প বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট থাকলে ইসরায়েলের ওপর এই হামলা হতো না। তার ভাষায়, ইসরায়েল আক্রমণের মুখে! এটি কখনোই হতে দেওয়া উচিত ছিল না - আমি প্রেসিডেন্ট থাকলে এটি কখনও ঘটতো না আপনি এটি জানেন, তারাও এটি জানেন, সবাই-ই জানে। আমেরিকা ইসরায়েলের জন্য প্রার্থনা করছে, ক্ষতির সম্মুখীন সবাইকে আমরা আমাদের নিরঙ্কুশ সমর্থন জানাচ্ছি।

স্নেকসভিলে একটি রাজনৈতিক সমাবেশের কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রুথ সোশ্যাল-এ এই প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।

এর আগে ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। বহুদিনের বৈরিতা থাকলেও এই প্রথমবারের সরাসরি ইসরায়েলে হামলা চালালো দেশটি। দুই শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।

ইরানের রেভলিউশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে তারা দখলীকৃত ভূমিতে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করে ওই হামলা চালিয়েছে

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীও ইরানের হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

তবে ইসরায়েল ও অন্য কয়েকটি দেশ কিছু ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের গতিরোধ করেছে, যার বেশিরভাগ হয়েছে ইসরায়েলের আকাশসীমার বাইরে। মূলত বহু বছর ধরে ছায়া যুদ্ধে লিপ্ত থাকার পর এই প্রথম দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ প্রথমবারের মতো সরাসরি সংঘাতে লিপ্ত হলো।

পুরো ইসরায়েল জুড়ে সাইরেনের শব্দের পাশাপাশি জেরুসালেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। একই সাথে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিছু বস্তুকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ইসরায়েল, লেবানন ও ইরাক তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে এবং সিরিয়া ও জর্ডান আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সতর্কাবস্থায় রেখেছে।

ইরানের হামলা শুরুর পরপরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী তার যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার বৈঠক ডেকেছেন। এছাড়া জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, যে কোন পরিস্থিতির জন্য দেশটির সামরিক বাহিনী প্রস্তুত আছে।


আরও খবর