চট্টগ্রামের জহুর
আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বিপিএলের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে
৪ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১৩০ রানে অলআউট হয়ে যায়
খুলনা। লো-স্কোরিং ম্যাচের ফলাফল নির্ধারিত হয় শেষ ওভারে। জেতার জন্য রংপুর রাইডার্সের
দরকার ছিল ৬ বলে ৭ রান। ওয়াহাব রিয়াজের করা প্রথম ৩ বলেই সেটি তুলে নেন আজমাতউল্লাহ
ওমরাজাই। এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে হারল ইয়াসির আলীর খুলনা।
টসে হেরে ব্যাট
করতে নেমে তামিম ইকবাল-শারজিল খানদের বিদায়ে শুরুতেই থাক্কা খায় খুলনা টাইগার্স। আজমতউল্লাহ
ওমরজাইয়ের লেংথ ডেলিভারিতে লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে বোলারের হাতে ক্যাচ দেন তামিম। ওমরজাই
সহজ ক্যাচ লুফে নিলে ১ রানে ফিরে যেতে হয় তাকে।
তিনে নেমে টিকতে
পারেননি শারজিল খানও। ওমরজাইয়ের ওভারে চার-ছক্কা মারার পর অফ স্টাম্পের বাইরের পড়ে
ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে বোল্ড হন ১২ রান করা শারজিল। আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন হাবিবুর
রহমান সোহান। রকিবুল হাসানের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৪ রান করা এই ব্যাটার।
টপ অর্ডারদের
ব্যর্থতায় পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৪ রান তোলে খুলনা। এরপর অবশ্য
জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন ইয়াসির আলী রাব্বি এবং আজম খান। তাদের দুইজনের জুটি ভাঙেন
পেসার রবিউল হক। ডানহাতি এই পেসারের বলে লং অন দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে নাইম শেখের হাতে
ক্যাচ দিয়ে ফেরেন খুলনার অধিনায়ক। রাব্বির ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ২৫ রান।
পরের ওভারে আউট
হন আজম। রকিবুলের বলে ওমরজাইয়ের হাতে ক্যাচ দেন ডানহাতি এই ব্যাটার। আগের ম্যাচে চট্টগ্রাম
চ্যালেঞ্জার্সের সঙ্গে সেঞ্চুরি করা আজম এদিন আউট হয়েছেন ২৩ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে।
শেষদিকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ২২ রান কেবল খুলনার পুঁজি বাড়িয়েছে। রংপুরের হয়ে চারটি
উইকেট নিয়েছেন রবিউল।
অল্প রান তাড়া
করতে নেমে মাত্র এক রানে রনি তালুকদারের উইকেট হারায় রংপুর। ৭ বল খেলে সাইফউদ্দিনের
বলে বোল্ড হন তিনি। ওয়ানডাউনে নামা মেহেদী হাসান ১৪ রান করে ওয়াহাব রিয়াজের শিকার হন।
একই ওভারে রিয়াজ তুলে নেন স্বদেশী সাইম আয়ুবের উইকেট। শোয়েব মালিককে সঙ্গে নিয়ে নাঈম
শেখ অনেকক্ষণ দলকে টানেন। ২২ বলে ২১ রানের মাথায় নাসুম আহমেদের বলে সীমানাদড়ির কাছে
ধরা পড়েন তিনি। ধীরগতিতে খেললেও শোয়েব তখনও হাল ধরে রেখেছিলেন।
শোয়েবকে
বলার মতো সঙ্গ দিতে পারেননি অধিনায়ক সোহান। ১৮ বলে ১০ রান করে নাসুমের শিকার হয়ে মাঠ
ছাড়েন তিনি। তখনও জয়ের জন্য ৪১ রান দরকার ছিল রংপুরের। সেই কাজটি পুরোপুরি শেষ করে
আসতে না পারলেও রংপুরকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান শোয়েব। দলীয় ১২৩ রানে প্যাভিলিয়নে
ফিরতে হয় তাকে। শেষ দিকে শামিম হোসেন ও আজমতউল্লাহ মিলে রংপুরের জয় নিশ্চিত করেন। শামিম
১০ বলে ১৬ ও আজমতউল্লাহ ৪ বলে ৮ রান করেন।