গর্ভাবস্থায়
আরও বেশি সতর্ক থাকতে হয়। কারণ তখন নিজের সঙ্গে সঙ্গে আরও একজনের দায়িত্ব নিতে হয়।
একটি প্রাণ নিজের ভেতরে বড় করে পৃথিবীতে নিয়ে আসা কোনো সহজ কথা নয়। সেজন্য একজন হবু
মাকে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হয়।
কোন খাবারটি খেলে উপকার হবে, কোনটি ক্ষতিকর তা জেনে
তারপর খেতে হয়। যে কারণে গর্ভাবস্থায় খাবারের তালিকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান অনেকে।
এক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে নিতে পারলে সবচেয়ে ভালো। গর্ভাবস্থায় একটি
ফল আপনার জন্য উপকারী হতে পারে। সেটি হলো কলা। চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় কলা
খাওয়া কেন জরুরি-
১. মর্নিং সিকনেস
দূর করে : মাথাব্যথা, অ্যাসিডিটি ইত্যাদি নিয়ে ঘুম থেকে ওঠা নিশ্চয়ই কষ্টকর। তাই সতেজ
এবং সুস্থ বোধ করার জন্য অবশ্যই এসব লক্ষণ কমানোর উপায় সন্ধান করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের
মতে, কলা বি ভিটামিনে পূর্ণ যা গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিকভাবে বমি রোধ করতে
কাজ করে। গর্ভবস্থায় খাদ্যতালিকায় কলা যোগ করলে তা মর্নিং সিকনেস কমাতে সাহায্য করে।
২. রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণ করে : কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে, যা স্বাস্থ্যকর রক্তচাপের মাত্রা
বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় প্রায়ই রক্তচাপের ওঠানামা হয় যা নিয়মিত
কলা খাওয়ার মাধ্যমে এড়ানো যায়। তাই এদিকে খেয়াল রাখুন। উপকারী ফল কলা এসময় আপনার
খাবারের অংশ করে নিন।
৩. হিমোগ্লোবিনের
মাত্রা উন্নত করুন : আয়রনের মাত্রা কম থাকা গর্ভবতী নারীদের জন্য একটি প্রধান সমস্যা।
সেখানেই কলা কাজে আসে। কলায় প্রচুর আয়রন থাকায় তা শক্তির মাত্রা বাড়াতে সাহায্য
করে। এটি খাদ্যে প্রাকৃতিক আয়রন সম্পূরক হিসেবে কাজ করে। তাই কলা খাবেন প্রতিদিন।
৪. শিশুর মস্তিষ্কের
বিকাশে সাহায্য করে : ভিটামিন বি ৬, আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিড মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের
বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। উপকারী ফল কলায় এর সবগুলোই পাওয়া যায়।
তাই এই ফল আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করুন এবং সন্তানের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে
সহায়তা করুন।
৫. বুকজ্বালা
কমায় : গর্ভবস্থায় অনেকের বুকজ্বালার সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদিও এ ধরনের উপসর্গ
সম্পূর্ণরূপে এড়ানো যায় না, তবে কলা খেলে তা খাদ্যনালী এবং পাকস্থলীতে অম্লতার মাত্রা
কমিয়ে রাখে। এটি আপনাকে কিছুটা স্বস্তি দেবে। তাই গর্ভাবস্থায় এ ধরনের সমস্যা কমাতে
চাইলে নিয়মিত কলা খাওয়ার অভ্যাস করুন।