দীর্ঘ ৭ বছর পর
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। জেলা স্টেডিয়ামে
অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান
অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন। সম্মেলন উপলক্ষে স্মরণকালের সবচেয়ে বিশাল জন সমাগমের প্রস্তুতি
নিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
সম্মেলনকে ঘিরে
পদ-প্রত্যাশিদের ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে সড়ক-মহাসড়ক, শহরের অলি-গলি, গুরুত্বপূর্ণ
মোড় ও সম্মেলন স্থানের আশপাশ।নেতা-কর্মীদের উৎসাহ উদ্দীপনায় শহরের দোকান থেকে চা-স্টল
পর্যন্ত সর্বত্রই সম্মেলন ঘিরে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। কারা পাচ্ছেন জেলার নতুন
নেতৃত্ব- সেই প্রশ্ন সবার মুখে মুখে।
টাঙ্গাইল জেলা
আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একুশে পদকপ্রাপ্ত
বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক রয়েছেন অগ্রভাগে। তিনি জেলার রাজনীতিতে অভিভাবকের
ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। সভাপতি পদে ফারুক ছাড়া উল্লেখ্যযোগ্যভাবে অন্য প্রার্থীর নাম
শোনা যাচ্ছে না।
সম্মেলনকে ঘিরে
পুরো জেলায় সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়ক, টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ
আঞ্চলিক মহাসড়ক ও টাঙ্গাইল শহরের সব সড়কে শতাধিক তোরণ তৈরির কাজ চলছে। বিভিন্নস্থানে
কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত জানিয়ে তোরণ ও বিলবোর্ড লাগানো হচ্ছে।
এদিকে, জেলার
১২টি উপজেলা ও ইউনিয়ন-পৌরসভার সম্মেলন শেষ করা হলেও অধিকাংশ ইউনিটেরই পূর্ণাঙ্গ কমিটি
গঠন করা হয়নি। উপজেলা ও ইউনিয়ন-পৌরসভার সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ ৩-৪টি পদের বিপরীতে নেতাদের
নাম ঘোষণা দিয়ে সম্মেলন শেষ করা হয়েছে। অধিকাংশ উপজেলা সম্মেলনে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন
না করায় স্থানীয় নেতাদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
দলীয় সূত্রে জানা
গেছে, সম্মেলন উদ্বোধন করবেন, কৃষিমন্ত্রী আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী
ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে থাকবেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর
সদস্য শাজাহান খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবউল-আলম-হানিফ
ও ডা. দীপু মনি।
প্রধান বক্তা
থাকবেন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন,
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডক্টর আবদুস সালাম গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন,
শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক
হাবিবুর রহমান সিরাজ, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট
সানজিদা খানম, সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, ইকবাল হোসেন অপু ও আলহাজ সাঈদ খোকন।
সম্মেলনে জেলা
আওয়ামীলীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক সভাপতিত্ব করবেন। সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট
জোয়াহেরুল ইসলামের (ভিপি জোয়াহের) সঞ্চালনায় সম্মেলনে জেলা-উপজেলার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য
রাখবেন। সম্মেলন শেষে জাতীয় ও স্থানীয় শিল্পীদের সমন্বয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের
আয়োজন করা হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান স্মৃতি জানান, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে
আমার সঙ্গে জেলার প্রত্যকটি নেতাকর্মীর যোগাযোগ ও ভালো সম্পর্ক রয়েছে। গত সম্মেলনেও
আমি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলাম। এবারও প্রার্থী হয়েছি। আশা করছি দল আমার মূল্যায়ন
করবে।
জেলা আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম বলেন, স্মরণকালের সবচেয়ে সফল সম্মেলন অনুষ্ঠিত
হবে। এ সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগ আরো ঐক্যবদ্ধ হবে। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে
এতোদিন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রেখে দলের জন্য কাজ করছি। আমার বিশ্বাস দল বিচার বিশ্লেষণ করে
আবারো আমাকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেবে।