টাঙ্গাইলে কুষ্টিয়া
থেকে ছেড়ে আসা ঈগল এক্সপ্রেসের বাসে ডাকাতি ও এক নারী যাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় আরও
দুজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শুক্রবার (৫ আগস্ট)
বেলা ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে দুজনকে গ্রেফতারের তথ্য জানান টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার
(এসপি) সরকার মোহাম্মদ কায়সার। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন
হয়।
গ্রেফতার দুজন
হলেন আবদুল আউয়াল (৩০) ও নুরুন্নবী (২৬)। গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা থেকে এই দুজনকে
গ্রেফতার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে
পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দুজন ঘটনার
সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পাশাপাশি ভুক্তভোগী
নারী ও বাসযাত্রীদের সামনে এই দুজনকে হাজির করা হবে। তাঁরা শনাক্ত করবেন।
এই দুজনসহ এ ঘটনায়
মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করা হলো।
এর আগে এ ঘটনায়
জড়িত রাজা মিয়াকে (৩২) বৃহস্পতিবার ভোরে টাঙ্গাইল শহরের দেওলা এলাকা থেকে গ্রেফতার
করা হয়।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায়
কুষ্টিয়ার বরাই গ্রাম থেকে ২৪ জন যাত্রী নিয়ে ঈগল পরিবহণের বাসটির যাত্রা শুরু করে।
রাত সাড়ে ১১ টার পর সিরাজগঞ্জে রাতের খাবার খাওয়ার পর কড্ডার মোড় এলাকা থেকে তিন ধাপে
১০ জন যাত্রী বেসে ডাকাতরা ওই বাসে উঠে। চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসা বাসটি রাত সাড়ে
১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়। অনেক যাত্রী তখন ঘুমাচ্ছিলেন। এরপরই শুরু হয় ডাকাতদের
তৎপরতা।
যাত্রীবেশী ডাকাতরা
শুরুতেই অস্ত্রের মুখে ঘুমন্ত যাত্রীদের হাত, মুখ, চোখ বেঁধে ফেলে। এরপর তাদের কাছ
থেকে মোবাইল ফোন, টাকা, স্বর্ণালংকার লুটে নেয়। পরে ডাকাত দলের সদস্যরা গাড়িতে থাকা
নারীদের নির্যাতন করে। এক নারীকে ছয় জন ডাকাত বাসের মধ্যে গণধর্ষণ করে। টানা তিন ঘণ্টা
যাত্রীদের ওপর চালানো নির্যাতনের পর রাত ৩টা ২৫ মিনিটে মধুপুরের রক্তিপাড়া নামক স্থানে
এসে বাসটির গতি কমিয়ে ডাকাত দল নেমে যায়। যাত্রীদের নিয়ে বাসটি রাস্তার পাশের বালুর
স্তূপে ধাক্কা খেয়ে কাত হয়ে পড়ে। শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে যাত্রীদের উদ্ধার
করেন।