আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে তিন ব্যাংক কর্মকর্তার সাক্ষ্য

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে তিন ব্যাংক কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হলেন- এস এম মুসা করিম, ওবায়দুর রশিদ খান ও ইমরান আহমেদ। তারা সবাই এবি ব্যাংকের কর্মকর্তা।

সোমবার (২৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। এদিন তারা আদালতে সাক্ষ্য দেন। তাদের সাক্ষ্য শেষে আদালত আগামীকাল মঙ্গলবার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নতুন দিন ধার্য করেছেন।

মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বিষয়টি জানিয়েছেন।

এর আগে গত ২১ মে মামলার বাদী দুদকের উপ পরিচালক জহিরুল হুদার সাক্ষ্যের মাধ্যমে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এর আগে গত ১৩ এপ্রিল একই আদালত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। এ মামলায় তাদেরকে পলাতক দেখানো হয়েছে। গত বছরের ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক ও জোবায়দার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

গত বছরের ২৬ জুন হাইকোর্ট তারেক ও জোবায়দাকে পলাতক ঘোষণা করে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার দুর্নীতি মামলা দায়ের ও তার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে করা পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে দেন। রিট খারিজ করে দেওয়া রায়ে হাইকোর্ট একইসঙ্গে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দায়ের করা এ মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়ে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে যত দ্রুত সম্ভব বিচার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেন।

এছাড়া ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে এ রায় পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে মামলার রেকর্ড ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠাতে বলা হয়।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। তারেক রহমানের শাশুড়ি মারা যাওয়ায় এই মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।


আরও খবর



এশিয়া কাপ

ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের একাদশ ঘোষণা

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চলমান এশিয়া কাপে একমাত্র দল হিসেবে ম্যাচের আগের দিনই একাদশ ঘোষণা করছে বাবর আজমের পাকিস্তান। গ্রুপপর্বের পর এবার সুপার ফোরের ম্যাচেও তারা একই পথে হাঁটছে। ভারতের বিপক্ষে আগামীকালের (রোববার) ম্যাচের জন্য আজই একাদশ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

আগের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে যে একাদশ খেলেছিল, একই দল নিয়ে এবার তারা ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে। টাইগারদের বিপক্ষে একাদশ থেকে বাদ পড়েছিলেন স্পিন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নাওয়াজ। তার পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পাওয়া ফাহিম আশরাফ আগের ম্যাচে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন।

এদিকে, পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত বোলিং করছেন পাকিস্তানি পেসাররা। ফাহিমকে দলে নিয়ে তারা পেসের শক্তি আরও বাড়িয়েছে। তিন বিশেষজ্ঞ পেসার শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফ ও নাসিম শাহর পেস বোলিং অলরাউন্ডার ফাহিম বাংলাদেশি ব্যাটারদের ভালোই পরীক্ষা নিয়েছিলেন। এর আগে ভারতের বিপক্ষে গ্রুপপর্বের ম্যাচে তিন পেসার মিলেই তুলে নিয়েছিলেন ১০ উইকেট। শুরুতেই ভারতীয় ব্যাটিংকে তারা নাড়িয়ে দিয়েছিলেন। যদিও পরে ঈষাণ কিশান ও হার্দিক পান্ডিয়া সেই ধাক্কা ভালোভাবেই সামাল দেন। দুজনেই খেলেছেন ৮০-ঊর্ধ্ব ইনিংস।

অন্যদিকে, বৃষ্টির কারণে ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিং করার সুযোগ পায়নি পাকিস্তান। একই ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে পরে বাবরের দল বাংলাদেশের বিপক্ষে নেমেছিল। তবে ব্যাটারদের নিয়ে তেমন সমস্যায় পড়েনি পাকিস্তান। ফলে একই ব্যাটিং অর্ডার দেখা যাবে ভারতের বিপক্ষেও। আগামীকাল বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায় ম্যাচটি শুরু হবে।

অবশ্য কালকের ম্যাচেও প্রবল বজ্রসহ বৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে। তবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের জন্য একদিন রিজার্ভ-ডেও রেখেছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলি (এসিসি)। সে কারণে কালকের ম্যাচটিতে দুদল ন্যুনতম ২০ ওভার না খেললে, পরেরদিনও (সোমবার) তাদের খেলার সুযোগ রয়েছে। এসিসির এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা হলেও এতে সমর্থন দিয়েছে টুর্নামেন্টে টিকে থাকা বাকি দুই দল বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা।

পাকিস্তান একাদশ : বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান (সহ-অধিনায়ক), ফখর জামান, ইমাম-উল-হক, সালমান আলী আগা, ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), ফাহিম আশরাফ, নাসিম শাহ, শাহীন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফ।

নিউজ ট্যাগ: এশিয়া কাপ

আরও খবর
গেইলের রেকর্ড ভেঙে রোহিতের ইতিহাস

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বাউল বেশে জেমস, ছবি ভাইরাল

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

নেটিজেনদের মধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) ব্যবহার করে তৈরি তারকাদের ভিন্ন লুকের ছবি বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। পছন্দের তারকাকে একেবারের আলাদা রূপে দেখে চোখ কপালে উঠছে ভক্তদের। তাই এ ধরনের ছবি নির্মাণে মেতে উঠেছেন প্রম্পট ইঞ্জিনিয়াররা।

সম্প্রতি এআই ব্যবহার করে তৈরি বাংলাদেশের প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহর একটি ছবি ব্যাপক ভাইরাল হয়। সেটি তৈরি করেছিলেন রাজিব জাহান ফেরদৌস নামে একজন এআই প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ার। সেটির রেশ না কাটতে কাটতেই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে বহুল জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা নগর বাউল খ্যাত জেমসের ছবি। এটি তৈরি করেছেন সংগীত শিল্পী, ফটোগ্রাফার অভিষেক ভট্টাচার্য্য।

অভিষেক জানান, যাদের গান তিনি শুনতে পছন্দ করেন, তাদের মধ্য থেকে ব্যক্তিগত পছন্দের আর্টিস্টের কিছু ছবি এআইএর মাধ্যমে তৈরি করেছেন তিনি।

জেমসকে অভিষেক যে লুকে দেখিয়েছেন, কেউ কেউ তা সাধারণভাবে নিচ্ছেন না। মূলত জেমসকে জিনস-পাঞ্জাবি বেশি পরতে দেখে অভ্যস্ত তার ভক্তরা। অভিষেকের তৈরি ছবিতে জেমসের লুকে অনেকটা বাউলিয়ানা ধাঁচ দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়াও জেমসকে দেখা গেছে বৃদ্ধ লুকে।

এ বিষয়ে অভিষেক বলেন, লোকে যেহেতু জেমসের ছবিটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করছে, তার মানে আমার কাজটা সফলতার জায়গায় গেছে। আসলে এআই ব্যবহার করে স্থিরচিত্র তৈরি করা ছবির কারিগরদেরও তো ইমাজিনেশনের জায়গা থাকে। আমি সেই কল্পনা থেকে জেমসকে এমন রূপ দিয়েছি। তাছাড়া একজন শিল্পী দেখতে ঠিক যেমন- এআই ব্যবহার করে হুবহু তেমন ছবি তৈরি করলে তো আর পারপাস সার্ভ হলো না।

গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ফেসবুকে এআই ব্যবহার করে তৈরি জেমস, অর্ণবসহ মোট ১২টি পোস্ট করেন অভিষেক। ক্যাপশনে লিখেছেন, এখন অনেকেই এআই ব্যবহার করে তারকাদের ছবি তৈরি করছেন। আমিও যাদের খুব ভালোবাসি ও শ্রদ্ধা করি সেসব শিল্পীর ছবি তৈরি করলাম। উপভোগ করুন।

অভিষেকের পোস্টটি শেয়ার করেছেন দুই শতাধিক। তা ছাড়া মন্তব্যের ঘরে তার প্রশংসাও করেছেন অনেকে।


আরও খবর
রণবীরের জন্মদিনে স্মৃতিকাতর আলিয়া

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জয়ের জন্মদিনে বীরের শুভেচ্ছা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বরেণ্য কৃষিবিজ্ঞানী কাজী এম বদরুদ্দোজা আর নেই

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বরেণ্য কৃষিবিজ্ঞানী, কাজী পেয়ারার জনক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা আর নেই। কিংবদন্তি এই কৃষিবিজ্ঞানী আজ বুধবার বিকেল ৪টার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর।

কাজী এম বদরুদ্দোজার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। এক শোকবার্তায় মন্ত্রী বলেন, কাজী এম বদরুদ্দোজা এ দেশের কৃষি গবেষণার পথিকৃৎ। দেশের কৃষি গবেষণায়, গবেষণার সম্প্রসারণে ও কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের শক্তিশালী কাঠামো তৈরিতে তার অনন্য অবদান রয়েছে। কৃষিখাতে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

কাজী বদরুদ্দোজা ছিলেন একজন বিজ্ঞানী, বিজ্ঞান গবেষণার ব্যবস্থাপক এবং প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কারিগর। আর গবেষণাকে মাঠপর্যায়ে নিয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন ভালো সংগঠক।

১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি-অ্যাগ্রি ডিগ্রি শেষ করার আগে কাজী ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানে বিভাগীয় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অনুমোদনে অ্যাগ্রিকালচার রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে একজন রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। সেখানে সঠিকভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালন ও নেতৃত্বের গুণাবলির জন্য তিনি ফুলব্রাইট স্কলারশিপ পেয়ে উচ্চতর শিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান।

১৯৫৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্রপ বোটানিতে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। দেশে ফিরে কৃষি গবেষণায় আত্মনিয়োগ করেন। এরপর থেকে সারা জীবন তিনি নিজের গবেষণা এবং এ দেশের কৃষির উন্নতির জন্যই ব্যয় করে গেছেন।

স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের কৃষি খাতের যতগুলো প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরি হয়েছে, তার প্রায় সব কাজী বদরুদ্দোজার হাত ধরে তৈরি। শুধু ধান বা ভাত খেলে হবে না, সবজি, ফল ও আলুর মতো পুষ্টিকর খাবারও লাগবে। সঙ্গে থাকতে হবে মাছ, দুধ ও মাংস। এসব খাদ্য গৃহস্থপর্যায়ে স্বল্প পরিসরে উৎপাদিত হতো। কিন্তু বড় পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে চাষ ও উৎপাদিত হতো না। মাছ, গরু, মুরগি, ফল ও সবজির উন্নত জাত চাই। কিন্তু এগুলো কোথা থেকে আসবে? এসব চিন্তা করে কাজী বদরুদ্দোজার নেতৃত্বে একের পর এক দেশে প্রতিষ্ঠিত হলো বাংলাদেশে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এসব সংস্থার জন্য বিশাল পরিসরের কার্যালয়, ল্যাবরেটরি, স্থানীয় পর্যায়ে উপকেন্দ্রের জন্য জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে আধুনিক সরঞ্জামাদি ও গবেষক তৈরির কাজেও তিনি নেতৃত্ব দেন। দেশের দুগ্ধ খামারিদের সংগঠন মিল্ক ভিটার প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

ড. কাজী এম বদরুদ্দোজার বগুড়া জেলায় ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি জন্ম গ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায়। কৃষি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০১২ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।


আরও খবর
দেশে ফিরলেন সেনাবাহিনী প্রধান

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া সহযোগিতার নতুন উপায় অন্বেষণে রাষ্ট্রপতির আহ্বান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ব্যবসা ও বাণিজ্য দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বুধবার রাষ্ট্রপতি ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তিনটি কোম্পানি- পি টি পিন্দাদ, পিটি দিরগান্তারা ইন্দোনেশিয়া এবং পি টি পিএএল- এর উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন। মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, আসুন আমরা সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের নতুন উপায় অন্বেষণ চালিয়ে যাই এবং আমাদের দুটি মহান জাতির মধ্যে একটি শক্তিশালী ও আরও প্রাণবন্ত সম্পর্ক গড়ে তুলি।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান হিসেবে তিনটি কোম্পানির প্রতিনিধিগণ ইন্দোনেশিয়া সরকারের নীতি অনুযায়ী সমন্বিত প্রতিরক্ষা শিল্প উন্নয়নের জন্য গৃহীত পরিকল্পনার একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন। তারা দুর্যোগ-প্রবণ এলাকায় প্রতিরক্ষা শিল্পের বিকাশের পরিকল্পনার বিষয়ে একটি উপস্থাপনা এবং গবেষণা তুলে ধরেন।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া পরস্পরের সঙ্গে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে।

ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা ও আর্থ-সামাজিক মুক্তির জন্য দেশটির দূরদর্শী নেতা এবং রাষ্ট্রপতি সুকর্নোর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে অর্জিত ইন্দোনেশিয়ার অসাধারণ স্থিতিশীলতা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করি।

আসিয়ান অঞ্চলে ইন্দোনেশিয়াকে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিগত বছরগুলোতে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ক্রমশ: বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আমরা ভবিষ্যতে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।

তিনি উল্লেখ করেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ আনুমানিক ৩৩৬০.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ইন্দোনেশীয় পণ্য আমদানি করেছে, আর ৬৩.৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য দেশটিতে রপ্তানি করেছে। রাষ্ট্রপ্রধান দুদেশের কৌশলগত অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও জোরদার ও বৈচিত্র্যময় করতে যত দ্রুত সম্ভব অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশকে বিশ্বে অন্যতম দ্রুত-বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় কৌশলগত অবস্থানের কারণে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত আকর্ষণীয়।

তিনি এই চমৎকার ও তথ্যপূর্ণ উপস্থাপনের জন্য সকল প্রেজেন্টার ও তিনটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানির সংশ্লিষ্টদেরও ধন্যবাদ জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ, ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাসস


আরও খবর
দেশে ফিরলেন সেনাবাহিনী প্রধান

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




সালমান শাহ’র ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলা চলচ্চিত্রের বৃহৎ নক্ষত্র শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন ওরফে সালমান শাহর প্রয়াণ দিবস আজ। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পৃথিবী ছেড়ে চলে যান এই জনপ্রিয় নায়ক। রেখে যান অগণিত ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষী।

সিনেমা জগতে মাত্র তিন বছরের ক্যারিয়ারে জনপ্রিয়তার শীর্ষস্থান দখল করেছিলেন তিনি। রহস্যজনক মৃত্যুর ২৭ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও জানা সম্ভব হয়নি এর আসল কারণ। অপমৃত্যু নাকি হত্যাকাণ্ড এখনও রয়েছে ধোঁয়াশা।

সালমান শাহের জন্ম ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর নানার বাড়ি সিলেটের দাড়িয়াপাড়ায়। তার অভিনয় জীবন শুরু হয় বিটিভিতে শিশুশিল্পী হিসেবে। কিশোর বয়সে তিনি ছিলেন কণ্ঠশিল্পী।

১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার চলচ্চিত্রে আগমন। প্রথম ছবিতেই সারা দেশের মানুষের মন জয় করে নিলেন তার অভিনয়, ব্যক্তিত্ব আর সুদর্শন চেহারা দিয়ে।

স্বল্প সময়ের ক্যারিয়ারে সালমান শাহ ২৭টি ছবিতে অভিনয় করেন। তার প্রায় প্রতিটি সিনেমা ব্যবসা সফল ছিল। তার অভিনীত চলচ্চিত্রের মধ্যে কেয়ামত থেকে কেয়ামত, তুমি আমার, অন্তরে অন্তরে, সুজন সখী, বিক্ষোভ, স্নেহ, প্রেমযুদ্ধ, কন্যা দান, দেন মোহর, স্বপ্নের ঠিকানা, আঞ্জুমান, মহা মিলন, আশা ভালোবাসা, বিচার হবে, এইঘর এই সংসার, প্রিয়জন, তোমাকে চাই, স্বপ্নের পৃথিবী, সত্যের মৃত্যু নেই, জীবন সংসার, মায়ের অধিকার, চাওয়া থেকে পাওয়া, প্রেম পিয়সী, স্বপ্নের নায়ক, শুধু তুমি, আনন্দ অশ্রু উল্লেখযোগ্য।

এসব সিনেমায় তার নায়িকা ছিলেন মৌসুমী, শাবনুর, লিমা, শাবনাজ, বৃষ্টি, শাহনাজ, শ্যামা প্রমুখ। কেয়ামত থেকে কেয়ামত সালমানের সঙ্গে মৌসুমীর অভিনয় এবং এই জুটি পরিচিত হলেও শাবনুরের সঙ্গে তার জুটিবদ্ধ সিনেমার সংখ্যা বেশি। এবং এই জুটিই বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

এছাড়াও টিভি নাটকেও বেশ পরিচিত মুখ ছিলেন তিনি। এগুলো হলো আকাশ ছোঁয়া, দেয়াল, সব পাখি ঘরে ফিরে, সৈকতে সারস, পাথর সময়, ইতিকথা, নয়ন, স্বপ্নের পৃথিবী (টেলিফিল্ম)।

নিউজ ট্যাগ: সালমান শাহ

আরও খবর
রণবীরের জন্মদিনে স্মৃতিকাতর আলিয়া

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জয়ের জন্মদিনে বীরের শুভেচ্ছা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩