
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের মামলায় আরও দু’জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল৷
এদিন সাক্ষ্য দেন- এমরান আলী শিকদার, সৈয়দ আজাদ ইকবাল।
তারা ঘটনার সময় বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত দৈনিক দিনকালে চাকরি করতেন।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, এ মামলার কিছু কাগজপত্র দিনকাল অফিস থেকে জব্দ করা হয়। এ সময় তারা উপস্থিত ছিলেন বলে জবানবন্দিতে বলেছেন৷ তবে দুই আসামি পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে জেরার সুযোগ ছিল না।
এ মামলায় মোট ৫৬ জন সাক্ষীর তিন জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৮মে দিন ধার্য করা হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির ২৯ প্রার্থীকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত। এরপর গত ২১ মে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়৷ ওইদিন আদালতে জবানবন্দি দেন মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ জহুরুল হুদা।
ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান হচ্ছেন হুদাকন্যা অন্তরা
২০০৮ সালে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
গত বছর এ মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে রুল খারিজ করেন হাইকোর্ট।