আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

টেকনাফে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে দুইজন অপহৃত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কক্সবাজারের টেকনাফে স্থানীয় দুইজনকে অপহরণ করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এছাড়া একই ঘটনায় ভূক্তভোগী পালিয়ে আসা দুইজনের মধ্যে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।

টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মরিচ্যাঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

অপহৃতরা হল, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী এলাকার মৃত ওলা মিয়ার ছেলে নজির আহমদ (৫০) এবং তার ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৭)।

এছাড়া অপহরণকারিদের কবল থেকে পালিয়ে আসারা হলেন হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী এলাকার মো. শাহজাহান ও মো. মেহেদী। এদের মধ্যে শাহজাহানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পালিয়ে আসা ভূক্তভোগী ও অপহৃতের স্বজনদের বরাতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, সকালে হ্নীলা ইউনিয়নের মরিচ্যাঘোনা এলাকার শসা ক্ষেতে কাজ করছিল নজির আহমদ, সাদ্দাম হোসেন, শাহজাহান ও মেহেদী সহ আর কয়েকজন। এক পর্যায়ে একদল রোহিঙ্গা দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে ৪ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

পরে অপহৃতদের নিয়ে যাওয়ার পথে গহীন পাহাড়ী এলাকায় আরেকটি দুর্বৃত্ত দলের মুখোমুখি পড়ে অপহরণকারিরা। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে সুযোগ পেয়ে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয় শাহজাহান ও মেহেদী। এসময় দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে শাহজাহান আহত হন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, আহত শাহজাহানকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।’ এ ব্যাপারে টেকনাফ থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান রাশেদ মোহাম্মদ আলী।

টেকনাফ থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাটি স্থানীয়দের মাধ্যমে পুলিশ অবহিত হয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ খোঁজ খবর নিচ্ছে। সব তথ্য হাতে আসার পর বিস্তারিত পরে জানানো হবে।


আরও খবর



যেকোনো সময় ইরান থেকে ইসরায়েলে হামলা!

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

শুক্রবার যেকোনো সময় ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে হামলা চালানো হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তেল আবিব। সম্ভাব্য হামলা মোকাবিলায় তারা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। দেশের বড় একটি অংশজুড়ে জিপিএস সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

গত সোমবার সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেট মিসাইল হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত হবার পর ইরান ও ইসরালের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।হামলায় ইরানের একজন সিনিয়র জেনারেল নিহত হয়েছে। হামলায় ইসরায়েল জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস ঘোষণা দিয়েছে যে সেনাবাহিনীতে যেসব সৈন্য কমব্যাট ইউনিটে রয়েছে তাদের সব ছুটি স্থগিত করা হয়েছে।

ইসরায়েল আশঙ্কা করছে ইরানের দিক থেকে হামলা হবে যেকোনো সময়।শুক্রবার এই হামলা হতে পারে বলে তারা ধারণা করছে। কারণ এই দিনটিকে আল কুদস দিবস বা জেরুসালেম দিবস হিসেবে পালন করা হয়। তাছাড়া এই দিনটি মুসলিমদের পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার, যেটি জুমাতুল বিদা হিসেবে পরিচিত। এই দিনটিতে ইরানে ইসরায়েল-বিরোধী বিক্ষোভ করা হয়।

বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে জিপিএস সিস্টেম বিঘ্ন হতে দেখা গেছে। প্রতিরক্ষার অংশ হিসেবে ইসরায়েল এ কাজ করেছে। কারণ, জিপিএস সিস্টেমের ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন দূরপাল্লার অস্ত্রের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ঠিক করা হয়।

ইসারায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস-এর মুখপাত্র রিয়ার এডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি নিশ্চিত করেছেন যে ইসরায়েলের ভেতরে জিপিএস ব্লক করা হয়েছে।

টাইমস অব ইসরায়েল-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলিদের আহবান জানানো হয়েছে তারা যাতে তাদের মোবাইল ফোনের অ্যাপে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে জিপিএস সেট করে। এর মাধ্যমে তারা যে কোনো রকেট আক্রমণের সতর্কবার্তা আগে থেকে পাবে।

ইসরায়েলের বিভিন্ন গণমাধ্যম রিপোর্ট করেছে যে ইরানের হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েলের বিভিন্ন দূতাবাসকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে অথবা খালি করা হয়েছে।


আরও খবর



ঢাক-ঢোলে আর জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা নববর্ষ উদযাপনে বরাবরের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়েছে। যাত্রা শুরুর আগে প্রথমে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়েছে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টা ১৮ মিনিটে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি চারুকলার সামনে থেকে যাত্রা করে। শোভাযাত্রাটি চারুকলার সামনে থেকে শাহবাগ, ঢাকা ক্লাব ও শিশু পার্কের সামনে থেকে ইউটার্ন নিয়ে টিএসসিতে এসে শেষ হওয়ার কথা আছে।

মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরুতে ছিল র‌্যাবসহ নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা। এরপর ঢাক ঢোল বাজিয়ে যাচ্ছিল আরো একটি দল। তারপরে উৎসব প্রেমীরা সেই শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। সহযাত্রা অংশ নেওয়ার জন্য হাতি থেকে শুরু করে নানা ধরনের প্রতিকৃতি তৈরি করেছিল বিভিন্ন চিত্রশিল্পীরা। এসবের প্রদর্শনী দেখা গেছে শোভাযাত্রায়।

মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরুর আগে সকাল থেকে শাহবাগ এবং চারুকলা ঘুরে দেখা গেছে, মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করার জন্য বাঙালিয়ানা সাজে হাজারো উৎসব প্রেমী মানুষ শাহবাগ থেকে চারুকলা পর্যন্ত সড়কে অবস্থান করেছেন। এছাড়া দেশের বাইরের কিছু উৎসব প্রেমীরাও অংশগ্রহণ করতে চারুকলায় এসেছেন।

উৎসব প্রেমী ছেলেদের পরনে রয়েছে সাদা পাঞ্জাবি এবং পায়জামা। সঙ্গে রয়েছে কালো সানগ্লাস। অন্যদিকে মেয়েদের পরনে রয়েছে সাদা রঙের শাড়ি ও লাল রঙের ব্লাউজ। তাদের সঙ্গে যে শিশুরা এসেছে তাদের বেশিরভাগের পরনেও দেখা গেছে পায়জামা পাঞ্জাবি।

এর আগে গতকাল শনিবার (১৩ এপ্রিল) চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, এবারের শোভাযাত্রার উপজীব্য হলো অন্ধকারকে কাটিয়ে আলোর দিকে ধাবিত হওয়া। প্রতিবারের মতো এবারও চারুকলা অনুষদ দিবসটি উদযাপন করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া করেছে। শোভাযাত্রা এটি চারুকলা থেকে শুরু হয়ে ঢাকা ক্লাব ও শিশু পার্ক ঘুরে টিএসসিতে এসে শেষ হবে। এছাড়া বিকাল ৫টা পর্যন্ত চারুকলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে।

পহেলা বৈশাখ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, তবে নিরাপত্তার কারণে শোভাযাত্রার ভাবগাম্ভীর্য যেন নষ্ট না হয় সেই বিষয়টিও দেখা হবে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ক্যাম্পাস এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে থাকবে। এছাড়া ইভটিজিং প্রতিরোধ পুলিশ প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল টিম প্রস্তুত থাকবে।

কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, এই শোভাযাত্রায় কোনও বাণিজ্যিক প্রচারণা করা যাবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটটি বন্ধ রাখা হবে। আগত দর্শনার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত পানি ও মোবাইল টয়লেটের সুবিধা রাখা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনও রকম ভুভুজেলা বাঁশী বাজানো ও বিক্রয় করা যাবে না।


আরও খবর



তীব্র গরমে প্রাথমিকে অ্যাসেম্বলি বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে বইছে তীব্র থেকে মাঝারি তাপদাহ। সারাদেশে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ অবস্থায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

শনিবার (২০ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশজুড়ে বহমান তাপদাহের ওপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

এদিকে শনিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

বৃষ্টিপাতের বিষয়ে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপ প্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর



চার মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নানা জল্পনা কল্পনার পর শেষ পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেনের রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর ফলে ট্রেনের ভাড়া কিছুটা বাড়বে। যা আগামী চার মে থেকে কার্যকর হবে। সোমবার (২২ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ রেলওয়ে।

তবে এখন পর্যন্ত নতুন ভাড়ার হার নির্ধারণ করেনি রেলওয়ের বাণিজ্যিক বিভাগ। যা চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত হবে বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে সেকশনাল রেয়াত রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ৪ মে থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, রেয়াত প্রত্যাহারের মাধ্যমে আগামী ৪ মে থেকে ট্রেনের ভাড়া সমন্বয় করা হবে। ট্রেনের ভাড়া কী হারে বাড়ছে, এ প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, এটা রেলওয়ের বাণিজ্যিক শাখা নির্ধারণ করবে।

রেলওয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, ১০১-১৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ, ১৫১-৪০০ কিলোমিটার ২৫ শতাংশ আর ৪০০ কিলোমিটারের বেশি পথ ভ্রমণে ৩০ শতাংশ রেয়াত সুবিধা পান যাত্রীরা। এই সুবিধাটি এখন বাতিল করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলের এই প্রস্তাব সম্প্রতি অনুমোদন করেছেন। যা চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী রেলের ভাড়া বাড়ানো হবে বলে কয়েকটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন। তখন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম জানিয়েছিলেন ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই। এখন রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহারের মাধ্যমে ঠিকই যাত্রীদের কাঁধে বাড়তি ভাড়া চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, কোনো যাত্রী ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে গেলে তার ভাড়ার ক্ষেত্রে এতদিন ধরে ছাড় (রেয়াত) দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। সূত্রটি জানিয়েছে, ৪ মে থেকে যদি একজন যাত্রী ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ কারণে, তাহলে বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়িয়েছিল রেলওয়ে। ২০১২ সালের অক্টোবরে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। পরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফায় রেলের ভাড়া বাড়ানো হয় ৭ থেকে ৯ শতাংশ। এর প্রায় সাত বছর পর ২০২৩ সালের শেষার্ধে রেলওয়ের বিভিন্ন সেতু ও ভায়াডাক্টে পন্টেজ চার্জ আরোপের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। এর মধ্যে সেকশনভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহার করা হয় ২০১২ সালে। দূরত্বভিত্তিক রেয়াত সুবিধার কারণে দূরপাল্লার ভ্রমণে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ হয় দূরত্বের তুলনায় কম।


আরও খবর



ইরানের হামলার পর কমেছে তেলের দাম

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের ওপর ইরানের হামলার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যাবে, এমন ধারণাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে বিপরীত ঘটনা। সামান্য হলেও কমে গেছে তেলের দাম। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে এশিয়ান ট্রেডে এই কম মূল্যের প্রবণতাই দেখা গেছে, যদিও সেটা প্রতি ব্যারেল ৯০ ডলারের কাছাকাছিই ছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

তবে এটাও ঠিক, ইসরায়েলের ওপর ইরান আক্রমণের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই তেলের দাম ওর নেতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছিল। গত ছয় মাসের মধ্যে গত সপ্তাহে তেলে দাম ছিল সর্বোচ্চ। গত সপ্তাহের শেষে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ৯২ দশমিক ১৮ ডলার পর্যন্ত হয়েছিল। গতবছরের অক্টোবরের পর থেকে ধরলে সেটা ছিল সর্বোচ্চ। এর পর থেকে কমতে কমতে সেটা ৯০ দশমিক ৪৫ ডলারে নেমেছিল। সোমবার সকালে সেটা আরও ২০ থেকে ৩০ সেন্ট কমেছে।

ইরান বর্তমানে প্রতিদিন ৩০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করে থাকে। তেল উৎপাদনের ক্ষেত্রে ওপেকভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে ইরানের অবস্থান চতুর্থ। বিশ্বের মধ্যে সপ্তম। ইসরায়েলে হামলার পর থেকে সবসময়ই একটা পাল্টা আঘাতের আশঙ্কায় রয়েছে ইরান। সে আঘাত ইরানের তেলক্ষেত্রের ওপরও হতে পারে। এসব বিবেচনায় তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে ইরান এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করবে।

বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্ববাজারে তেলে দাম বাড়া-কমার ক্ষেত্রে হরমুজ প্রণালী একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশ্বের ২০ শতাংশ তেলবাহী জাহাজ এই সমুদ্রপথ দিয়েই চলাচল করে। ওপেকভূক্ত দেশ সৌদি আরব, ইরান, আরব আমিরাত, কুয়েত এবং ইরাক তাদের বেশির ভাগ তেল এই পথেই রপ্তানি করে। ওমান ও ইরানের মধ্যেকার সংবেদনশীল এই সমুদ্রপথটি শান্তিপূর্ণ থাকলে কমে যায় তেলের দাম।

গত শনিবার ইরান হরমুজ প্রণালী দিয়ে যাওয়ার সময় একটি বাণিজ্যিক জাহাজকে আটক করে। তাদের অভিযোগ ছিল জাহাজটি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত। ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে এই হরমুজ প্রণালী কতটুকু নিরাপদ থাকবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের।

এসব কারণেই, সোমবার হঠাৎ করেই তেলের দামে এই সামান্য মূল্যহ্রাসকে বিশেষজ্ঞরা অবশ্য অত বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাদের মতে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে পাল্টা হামলা হলেই তেলের দাম আশঙ্কাজনকভাবেই বেড়ে যাবে।


আরও খবর