আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

টেন্ডার ছাড়াই ৯ বছর ধরে মৌখিকভাবে চলছে যবিপ্রবির ক্যাফেটেরিয়া

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

নিয়ম না থাকলেও টেন্ডার ছাড়াই ৯ বছর ধরে মৌখিকভাবে চলছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) একমাত্র ক্যাফেটেরিয়া। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, মানহীন খাবার ও তীব্র অব্যবস্থাপনার অভিযোগ থাকলেও কোনো এক অদৃশ্য কারণে এখনো এটির টেন্ডার আহ্বান করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কথিত রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীবের ছত্রছায়ায় কামাল উদ্দীন নামের একজন বহাল তবিয়তে ক্যাফেটেরিয়া চালাচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, যবিপ্রবির তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুস সাত্তার ২০১৪ সালে মৌখিকভাবে সাময়িক সময়ের জন্য মোঃ কামাল উদ্দীনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনার দায়িত্ব দেন। কিন্তু কামাল ঠিকমতো ভাড়া পরিশোধ না করায় এর তিন বছর পর ২০১৭ সালের ১৪ মার্চ ক্যাফেটেরিয়ার বকেয়া ভাড়া আদায় ও পরিচালনার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে একই কারণে ২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর পুনরায় বকেয়া ভাড়া আদায় ও লিখিত চুক্তির মাধ্যমে ক্যাফেটেরিয়া বরাদ্দ প্রদানের বিষয়ে আবারও ৫ সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।

সর্বশেষ ২০২২ সালের ৪ জুলাই মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া লিজ/টেন্ডার করার জন্য যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ জারি করা হয়। সেখানে যবিপ্রবির নিউট্রিশন এন্ড ফুড টেকনোলজি (এনএফটি) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও শহীদ মসিয়ূর রহমান হল এর প্রভোস্ট ড. মো. আশরাফুজ্জামান জাহিদ'কে আহ্বায়ক করে ক্যাফেটেরিয়া পূর্ণাঙ্গভাবে লিখিত চুক্তির মাধ্যমে লিজ/টেন্ডার করার জন্য ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু এক বছরের ও বেশি সময় পার হলেও এই কমিটিও কোনো ধরনের লিজ/টেন্ডার আহ্বান করেনি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে টেন্ডার আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক ড. আশরাফুজ্জামান জাহিদ বলেন, ২০২২ সালে আমাকে আহবায়ক করে টেন্ডার আহ্বানের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয় এবং প্রথম মিটিংয়ে ১০ দিনের মধ্যে টেন্ডারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু ঐসময়ে ক্যাফেটেরিয়ার দায়িত্বে থাকা কামাল উদ্দিন রেজিস্টার বরাবর আবেদন করে বকেয়া ভাড়া ও ইলেকট্রিসিটি বিল পরিশোধের জন্য সময় চেয়ে নেন। তারপর রেজিস্টার মহোদয় টেন্ডার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিবের কাছে মৌখিকভাবে টেন্ডার কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বলেন। সে কারণে টেন্ডার আহ্বান করতে পারিনি। তবে আমরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আহবায়ক কমিটির একটি মিটিং করবো এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্যাফেটেরিয়ার জন্য টেন্ডার আহ্বান করবো।

সামগ্রিক বিষয়ে জানতে ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মো. কামাল উদ্দীনকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া কোনো ধরনের টেন্ডার ছাড়া মৌখিক চুক্তিতে কাউকে দিতে পারে কি না জানতে চাইলে যবিপ্রবি রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যবিপ্রবির সহকারী রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর বলেন, সাময়িকভাবে উপাচার্য লিজ দিতে পারলেও দীর্ঘ সময়ের জন্য দিতে পারেন না। তবে লিখিত চুক্তির মাধ্যমে লিজ/টেন্ডার দেওয়ার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

এবিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য জানান, আমি বিভিন্ন সময়ে নিজে ক্যাফেটেরিয়া পরিদর্শন করে দেখেছি সেখানের অবস্থা খুবই খারাপ। এ বিষয়ে আমি দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেছি। খুব শীঘ্রই ক্যাফেটেরিয়ার দায়িত্বে যিনি রয়েছে তাকে সরানো হবে। ক্যাফেটেরিয়াকে খুব দ্রুত আধুনিকায়ন করা হবে  এবং সেখানে যেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা একটি সুন্দর পরিবেশ পায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ডেঙ্গুতে ১৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৯৪৪ রোগী

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৬৭ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৯৪৪ জন।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৯৪৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮২৩ জন ও ঢাকার বাইরের দুই হাজার ১২১ জন। একই সময়ে মারা যাওয়া ১৫ জনের মধ্যে ছয়জন ঢাকার ও নয়জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক লাখ ৫৭ হাজার ১৭২ জন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৬৯ হাজার ৭৬০ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ৮৭ হাজার ৪১২ জন ভর্তি হয়েছেন।

বছরের একই সময়ে আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক লাখ ৪৬ হাজার ৪১৭ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৬৫ হাজার ৮৬ জন এবং ঢাকার বাইরের ৮১ হাজার ৩৩১ জন।

এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।


আরও খবর
ডেঙ্গুতে ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩৫৭

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশে এই প্রথম ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




গাইবান্ধায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধা জেলার সাত উপজেলায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও এখন পর্যন্ত কোন মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

সোমবার সকালে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে নতুন করে ৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। গত রোববার পর্যন্ত হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর ভর্তি সংখ্যা ছিল ৪ জন। এ নিয়ে চলতি সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১২ জন।

এব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা: আব্দুল্লাহিল মাফি জানান, গত জুলাই মাস থেকে আজ পর্যন্ত হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২২ জন। তবে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

নিউজ ট্যাগ: গাইবান্ধা

আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




হাসিনা-মোদি বৈঠক

নির্বাচন নিয়ে কথা হয়নি, ৩ সমঝোতা স্মারক সই

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বহুল প্রতীক্ষিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় যোগাযোগ, বাণিজ্যিক সংযুক্তিসহ অন্যান্য বিষয় স্থান পেয়েছে। এদিকে, দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এই আলোচনার ওপর অনেকখানি নির্ভর করছে বাংলাদেশের আগামীর রাজনীতি। শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পরই রাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেটিও ফলপ্রসূ হয়েছে বলে এক বার্তায় জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।

ভারতের স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন লোককল্যাণ মার্গে দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে বৈঠক হয়। এরপর এক্সে (টুইটারে) এক বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। গত ৯ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক। আমাদের আলোচনায় কানেকটিভিটি, বাণিজ্যিক সংযুক্তি এবং আরও অনেক বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত ছিল।

দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া তিন সমঝোতা স্মারক হলো কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে আর্থিক লেনদেন সহজীকরণ।

এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে কথা হয়নি। তবে তাদের একান্ত বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কিনা জানি না। গতকাল রাতে দুই দেশের শীর্ষ বৈঠকের পর দিল্লির একটি হোটেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। দুই প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যমান গভীর সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে একমত হয়েছেন। উভয় দেশের মধ্যকার অনিষ্পন্ন সমস্যা সমাধানে আলোচনার তাগিদ দেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারতের সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী উভয় দেশের মধ্যকার অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো অফিসিয়াল পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ভারত আমাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ভারত সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন। ভারতের সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে কানেকটিভিটি তথা রেল ও সড়ক যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে আমাদের চলমান প্রচেষ্টা এবং কার্যক্রম বেগবান করতে উভয় প্রধানমন্ত্রী একমত হয়েছেন।

ড. মোমেন বলেন, উভয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ এবং ভারতের বিদ্যমান গভীর সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য একমত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, গত বছরের ৪-৮ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে তাঁর সফল রাষ্ট্রীয় সফরের পর দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানাবিধ ক্ষেত্রে প্রভূত দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। এই জন্য উভয় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আর্থসামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যের কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রভূত উন্নতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী সে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ অবস্থা নিশ্চিতকরণে অবদান রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

শনিবার দুই দিনব্যাপী জি২০ শীর্ষ সম্মেলন নয়াদিল্লিতে শুরু হচ্ছে। এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে গতকাল অনুষ্ঠেয় জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে পৌঁছার পর ভারতের রেলওয়ে ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা জার্দোস প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সফরসঙ্গী অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানাও রয়েছেন। এর আগে সকাল ১১টায় ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।

শনিবার শুরু হওয়া জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে বর্তমান সরকারের মেয়াদে বিভিন্ন আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের অভিজ্ঞতা অংশগ্রহণকারী বিশ্ব নেতাদের কাছে তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী। এবারের শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ। একই দিন প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনের সাইডলাইনে একাধিক রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এর মধ্যে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপ্রধান, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

রোববার জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় এবং শেষ দিনে প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশের নেতার সঙ্গে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে যোগ দেবেন তিনি। সম্মেলনের শেষ দিনে জি২০ নয়াদিল্লি নেতাদের ঘোষণা গৃহীত হবে। ওইদিনই প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

ভারতের জি২০ সভাপতিত্ব ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল। দেশটির মেয়াদকালীন বাংলাদেশসহ সদস্য নয় এমন ৯টি দেশকে জি২০ সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানায় ভারত। দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, মিসর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

জি২০ এর ১৯টি দেশ আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। জি২০ সদস্যরা বিশ্বব্যাপী জিডিপির প্রায় ৮৫ শতাংশ, বিশ্ব বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশের বেশি এবং বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ প্রতিনিধিত্ব করে।


আরও খবর



রাশিয়ার ‘বন্ধু’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

সম্প্রতি ৩০টিরও বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ ও নিরপেক্ষ দেশ, ব্যাংক এবং ব্রোকারের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে রাশিয়া। যে তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের নামও।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় রাশিয়ান দূতাবাস তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, তালিকায় থাকা ৩০ দেশকে রাশিয়ান মুদ্রা বাজার এবং ডেরিভেটিভস বাজারে বাণিজ্য করার অনুমতি দেওয়া হবে।

তালিকায় থাকা দেশগুলো হলো- আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বেলারুশ, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, আলজেরিয়া, বাংলাদেশ, বাহরাইন, ব্রাজিল, ভেনেজুয়েলা, ভিয়েতনাম, মিসর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কাতার, চীন, কিউবা, মালয়েশিয়া, মরক্কো, মঙ্গোলিয়া, ওমান, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সার্বিয়া, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।


আরও খবর



যুদ্ধ এড়াতে ইউক্রেনকে স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক দেননি ইলন মাস্ক

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুদ্ধের ভয়াবহতা এড়াতে গত বছর নিজের স্টারলিংক স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক ইউক্রেনকে ব্যবহার করতে দেননি প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। তিনি বলেন, রুশ অধিকৃত ক্রিমিয়ার ওপর স্টারলিংক যোগাযোগ নেটওয়ার্কে প্রবেশাধিকার দিতে ইউক্রেনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি। যাতে করে যুদ্ধের প্রধান কাজ হামলায় জড়িত হতে না হয়। ক্রিমিয়ার প্রধান রুশ নৌবন্দর এলাকা সেভাস্তোপলে স্টারলিংক সক্রিয় করতে জরুরি অনুরোধ পাঠিয়েছিল কিয়েভ। কিন্তু তাতে তিনি রাজি হননি। খবর বিবিসির

রুশ জাহাজে ড্রোন হামলা ব্যর্থ করার জন্য মাস্ক স্টারলিংক বন্ধ করে দিয়েছিলেন বলে একটি বইয়ের অভিযোগের পর মাস্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এ কথা জানান। তিনি কোনো সংযোগ বন্ধ করেননি বলেও দাবি করেন।

ইউক্রেনের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত রাশিয়ার আক্রমণকে সহায়তা করেছে। রাশিয়ার নৌবাহিনীর জাহাজগুলো তখন থেকে ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ব্যাপক হামলায় অংশ নিয়েছিল।

এর জবাবে মাস্ক বলেন, আমি যদি তাদের অনুরোধে সম্মত হতাম, তাহলে স্পেসএক্স স্পষ্টভাবে যুদ্ধ এবং সংঘাত বৃদ্ধির একটি বড় কাজে জড়িত হতো। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছিল রাশিয়া।

এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হত্যা করেছেন। এই প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

গত মাসের শেষ দিকে রাশিয়ায় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে প্রিগোজিন ও তাঁর বাহিনীর কয়েক শীর্ষ কমান্ডার নিহত হন। জেলেনস্কি বলেন, সত্য হলো, পুতিন প্রিগোজিনকে হত্যা করেছেন। অন্তত তাদের কাছে এ তথ্যই আছে। অন্য কোনো তথ্য নেই। আর বাস্তব বিষয় হলো, তিনি দুর্বল। প্রিগোজিনের মৃত্যুর পেছনে পুতিনের হাত রয়েছে জেলেনস্কি এমন দাবি করলেও তিনি তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে কোনো প্রমাণ হাজির করেননি। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা এ দুর্ঘটনার সম্ভাব্য সব কারণ খতিয়ে দেখবে।


আরও খবর
নেদারল্যান্ডসে বন্দুক হামলায় নিহত ৩

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩