অনেকেরই থাইরয়েডের সমস্যা আছে। তবে পুরুষের
তুলনায় নারীদের এ সমস্যা বেশি হয়। এই হরমোনের ঘাটতি বা আধিক্যের কারণে ব্যাপক শারীরবৃত্তীয়
পরিবর্তন ঘটে। থাইরয়েডের সমস্যায় সুস্থ থাকতে জীবনযাত্রা ও ডায়েটে পরিবর্তন আনতে হবে।
থাইরয়েড স্বাস্থ্য বজায় রাখা নিশ্চিত করার জন্য থাইরয়েড সমর্থনকারী পুষ্টিতে ভরা
ডায়েট করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় গণমাধ্যম ‘হিন্দুস্তান টাইমসে’র এক প্রতিবেদনে
এমনই কিছু খাবারের কথা বলা হয়েছে।
সেলেনিয়াম: সেলেনিয়াম শরীরে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট
হিসাবে কাজ করে। ব্রাজিল বাদাম, ঝিনুক, সার্ডিন এবং স্যামন মাছে সেলেনিয়াম পাওয়া যায়।
এই উপাদানটি থাইরয়েডের সমস্যা সমাধান করতে
সাহায্য করে। তবে খুব বেশি সেলেনিয়াম আবার থাইরয়েডের জন্য ক্ষতিকারকও হতে পারে।
আয়োডিন: থাইরয়েডে আয়োডিন খুব গুরুত্বপূর্ণ।
এই উপাদান মাছ, চিংড়ি এবং ডিমে পাওয়া যায়। আয়োডিন শরীরের জন্য একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়
পুষ্টি উপাদান।
জিঙ্ক: শরীরের জিঙ্কের অভাব হাইপোথাইরয়েডিজম
হতে পারে। তাই যেই সমস্ত খাবারে জিঙ্ক রয়েছে তা খেতে হবে। এসব খাবারের মধ্যে সামুদ্রিক
মাছ ও অন্যান্য খাবার যেমন-চিংড়ি, মাংস, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, ডিম, বাদাম, শিম, মাশরুম
ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
ভিটামিন ডি: মাশরুম, স্যামন এবং ডিমে পাওয়া
ভিটামিন ডি হাইপোথাইরয়েডিজমের মতো থাইরয়েড ব্যাধিগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা
করে।
ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন বি : কুমড়োর বীজ,
তিল এবং বাদামে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। এ ছাড়া ভিটামিন বি খেতে হবে। ভিটামিন বি থায়রয়েড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য
করে।