ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল। ঠাকুরগাঁও জেলা রিটার্নিং অফিস কর্তৃক এক গণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
জেলা রিটার্নিং অফিসারের অফিস সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে একজন প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সন্তোষ কুমার আগরওয়ালা প্রত্যাহার করলে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বী থাকেন। জেলা রিটার্নিং অফিসার যাচাই-বাছাইয়ে তিনজনের মধ্যে ব্যাংকে ঋণ খেলাপির দায়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এসএমএ মঈনের মনোনয়ন বাতিল করেন। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল মজিদ আপেলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
পরে এসএমএ মঈন প্রার্থিতা ফিরে পেতে উচ্চ আদালতে রিট করেন। আদালত তার প্রার্থিতা বহাল রেখে তাকে প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দেন। পরে গত ৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এসএমএ মঈনের আবেদন খারিজ করে ঠাকুরগাঁও জেলা রিটার্নিং অফিসারের গণবিজ্ঞপ্তি সঠিক বলে রায় দেন। এ অবস্থায় জেলা রিটার্নিং অফিসার আর কোনো প্রার্থী না থাকায় আব্দুল মজিদ আপেলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ৭ মার্চ আবারও গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় শনিবার (৯ মার্চ) বিকেলে আব্দুল মজিদ আপেল জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় অফিসে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
নবনির্বাচিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ আপেল বলেন, আমি সব সময় সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে গেছি এবং সততার সঙ্গে কাজ করে যাব। আমার বড় ভাই মরহুম মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশীর অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করব। সকলকে সঙ্গে নিয়ে একটি মডেল জেলা পরিষদ গড়ে তুলবো।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ অক্টোবর ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহ. সাদেক কুরাইশী মৃত্যুবরণ করলে পদটি শূন্য হয়। ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৭৫৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৭৮ জন ও নারী ভোটার ১৮০ জন।