আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

ঠাকুরগাঁওয়ে ওরাঁও সম্প্রদায়ের কারাম উৎসব অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক, ঠাকুরগাঁও

Image

সন্ধ্যার প্রথম প্রহরে বাজতে থাকে ঢাক-ঢোল আর মাদল। সঙ্গে ডুগডুগি, খঞ্জনি আর কাঁসর। কারাম গাছকে ঘিরে পূজা অর্চনায় হেলে দুলে নেচে-গেয়ে শুরু হয় উৎসব। প্রতিবছর ভাদ্র মাসের একাদশীতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেরা উদযাপন করে তাদের ধর্মীয় উৎসব কারাম। নিজস্ব সংস্কৃতির রেশে শিশু-কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীসহ নানান বয়সী মানুষ নেচে গেয়ে মেতে ওঠেন এ উৎসবে।

সোমাবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালান্দর ইউনিয়নে পাচপীরডাঙ্গা আদিবাসী গ্রামে ঐতিহ্যবাহী কারাম পূজা ও সামাজিক উৎসবটি পালন করা হয়। উৎসবটি দেখার জন্য ওরাও (আদিবাসী) সম্প্রদায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ সমবেত হয়।

নেচে-গেয়ে আর কেজ্জায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেরা কারাম উৎসবের মাধ্যমে বিপদ থেকে মুক্তি, অতিবন্যা ও খরা থেকে বাঁচতে দেশ ও মানুষের মঙ্গল কামনা করেন। উৎসবটি দেখার জন্য ওরাওঁ সম্প্রদায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষও সমবেত হন আদিবাসী পল্লিতে।

কারাম মূলত একটি বৃক্ষ। বাংলা বছরের ভাদ্র মাস এলেই এই বৃক্ষের ডাল নিয়ে একটি নির্ধারিত স্থানে পুঁতে রেখে সেখানে দুধ ছিটিয়ে জ্বালানো হয় ধূপ। পুঁতে রাখা কারামের ডাল ঘিরে চলে নৃত্যযোগে ধর্মীয় কেজ্জাপঠন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপদ থেকে নিজ নিজ সম্প্রদায়কে রক্ষার আকুতির সঙ্গে দেশ ও মানুষের মঙ্গল কামনা প্রাধান্য পায় কারাম উৎসবে। এ কারণে ঐতিহ্যবাহী এ উৎসবকে ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি সামাজিক উৎসব হিসেবেও গুরুত্ব দিয়ে আসছে সমতলে থাকা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেরা।

পাচপীরডাঙ্গা আদিবাসী পল্লিতে ওরাওঁ সম্প্রদায়ের অর্ধশতাধিক পরিবার রয়েছে যাদের বেশির ভাগই কৃষিকাজ নির্ভর। বেশ কয়েকটি পরিবারের ছেলে-মেয়েরা শিক্ষার আলোয় নিজেদের জীবন বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আবার কেউ কেউ সচেতনতার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করছেন। তবে এই পল্লিতে নিম্নআয়ের পরিবারের সংখ্যা অনেক বেশি। এ কারণে উৎসবের দিনেও কখনো কখনো অনেকের পরনে জোটে না নতুন কাপড়। তবে আনন্দ ভাগাভাগিতে কারও কোনো কমতি নেই। যেন ছোট-বড় সববয়সী মানুষের মিলন মেলা কারাম উৎসব।

ওরাওঁ সম্প্রদায়ের লোকেরা জানান, এ উৎসবে অনেক আনন্দ হয়ে থাকে। নিজেদের পাশাপাশি দেশের মানুষের মঙ্গল কামনা করা হয় কারাম উৎসবে। তাদের পূর্ব-পুরুষরা বিশ্বাস করতো কারাম পূজার মাধ্যমে সব বিপদ-আপদ দূর হয়ে যায়, এ জন্য বংশ পরমপরায় তারাও প্রতি বছর ঘটা করে এই উৎসবটি পালন করে আসছে।

কারাম পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিশ্বনাথ কেরকেটা বলেন, আদি সময় থেকে যারা আমরা ওরাও আদিবাসী তারা এ কারাম পূজাটি পালন করে আসছি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি এ আয়োজনকে আরো মানসম্মত করে করার। কারন এটি আমাদের বড় একটি ধর্মীয় উৎসব। সরকারি সুযোগ সুবিধা পেলে আমরা ভালোভাবে এ উৎসবটি পালন করতে পারব।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ইমরান হোসেন চৌধুরী জানান, প্রতিবছর এ ঐতিহ্যবাহী ও সামাজিক দিবসটি পালন করে এখনকার ওরাও সম্প্রদায়ের আদিবাসীরা। তারা এখানে কারাম গাছের ডালকে তাদের রক্ষাকবজ মনে করে। তারা মনে করে এ গাছটির মাধ্যমে তারা তাদের জীবন রক্ষা করে। সেজন্য প্রতিবছর তারা এ উৎসবটি পালন করে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদর আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুণাংশু দত্ত টিটো বলেন, আদিবাসী সম্প্রদায়ের কারাম পূজাটি ঐতিহ্যবাহী বড় একটি উৎসব। প্রতি বছরে তারা নানা আয়োজনে এ উৎসবটি পালন করে থাকেন। তাদের সব আয়োজনে আমরা পাশে থেকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করে আসছি।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: বেলায়েদ হোসেন জানান, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলো নানা সমস্যায় থাকে, সেই সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তাদের সহায়তা করা হবে। তাদের জীবনমান উন্নয়নে উপজেলা প্রশাসন তাদের পাশে থাকবে সবসময়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোছাঃ লিজা বেগম জানান, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এ উৎসব আরও জাঁকজমক করতে সব রকম সহযোগিতা করা হবে।

কারাম পূজা ও সামাজিক উৎসব নিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রামকৃষ্ণ বর্মন বলেন, আদিবাসী সম্প্রদায়ের কারাম পূজাটি ঐতিহ্যবাহী বড় একটি উৎসব। প্রতি বছরে তারা নানা আয়োজনে এ উৎসবটি পালন করে থাকেন। তাদের সকল আয়োজনে জেলা প্রশাসন সাথে ছিল এরপরেও তাদের সকল আয়োজনে আমরা পাশে থাকবো।


আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ঢাকা থেকে কক্সবাজার নিয়ে ২ নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ১

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কক্সবাজারে দুই নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে শহরের কলাতলী এলাকার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বিপরীতে অবস্থিত রাজন কটেজে এ ঘটনা ঘটে। দুই কিশোরীর মধ্যে একজন কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আটককৃত ব্যক্তি রিয়াদ (৩০)। ভুক্তভোগী দুই কিশোরী ঢাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। 

আরও পড়ুন>> সিরাজদিখানে ট্রাকের পিছনে বাসের ধাক্কায় নিহত ৩

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে রাজন কটেজে দুই কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। ভুক্তভোগী দুজনকে একটি অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশনের জন্য ঢাকা থেকে তাদের কক্সবাজারে আনা হয়েছিল। এ সময় যার মাধ্যমে তারা আসেন ওই ব্যক্তি তাদের একটি চক্রের হাতে তুলে দেয়। পরে চক্রের সদস্যরা রাজন কটেজে নিয়ে তাদের সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।

এদিকে মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভোগী দুজনকে ঢাকার একটি বাসে তুলে দেওয়া হয়। পরে ভুক্তভোগী এক কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে বাস থেকে রামু বাইপাস এলাকায় নেমে যায়। এ সময় অপর কিশোরী ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যায়। রামুতে নেমে যাওয়া ভুক্তভোগী কিশোরীকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার সময় চিকিৎসক ঘটনার বিস্তারিত জেনে পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ ভুক্তভোগীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।

রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা নোবেল কুমার বড়ুয়া জানান, মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভোগী কিশোরীকে চিকিৎসা দিয়েছেন চিকিৎসক নুরুল হুদা শাওন। পরে কিশোরীর বক্তব্য পাওয়ার পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

আরও পড়ুন>> আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পেরেছে।


আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




মশা মেরে শেষ করা যাবে না, নিজেদের সচেতন হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে এবং মশার হাত থেকে বাঁচতে হলে মশারি ব্যবহার করতে হবে। ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখতে হবে। মশা মেরে শেষ করা যাবে না। নিজেরাও সচেতন হতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গণভবনে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস ২০২৩ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছে খালেদা জিয়া। আজকে কৃষকের ঘরে সার পৌঁছে যায়। তাদের কৃষি উপকরণ কার্ড দিয়েছি। এটা দিয়ে কৃষি উপকরণ কিনতে পারে। ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। এর মাধ্যমে ভর্তুকির টাকা সরাসরি কৃষকের কাছে পৌঁছে যায়। জেলেদের ৪০ কেজি করে চাল দিই।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ৯৬ সালে ১৬০০ মেগাওয়াট ছিল। আমরা ৪ হাজার তিনশ করে যাই। পরে বিএনপির আমলে কমে গেছে সেটা। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর এখন ২৫ হাজার মেগাওয়ার্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন করি। শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পায়। শিক্ষার্থীদের বই, বৃত্তি, উপবৃত্তি দিচ্ছি। ডিজিটাল সেন্টার করে দিচ্ছি। ইনকিউবেটর, হাইটেক পার্ক করে দিয়েছি। আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। ৭৩ শতাংশ লোক ইন্টারন্টে ব্যবহার করে। ঘরে ঘরে মোবাইল ফোন। সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করি। কোনো মানুষ দরিদ্র থাকবে না। নানান ভাবে তাদের এগিয়ে নেওয়ার কাজ করছি। প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, স্বামী পরিত্যক্তাদের ভাতা দিচ্ছি। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের স্বীকৃতি ও তাদের ভাতাও দিচ্ছি। ৫ কোটি মানুষের পারিবারিক কার্ড করে দিয়েছি। এটা দিয়ে স্বল্পমূল্যে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির জনক আদর্শ নিয়ে সংবিধানে বর্ণিত পন্থায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, পৌর ও সিটি করপোরেশন আইন করে আমরা এগুলো নিয়ে যাচ্ছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, ঘরে বসে চাকরির আবেদনসহ যাবতীয় সেবার কাজ করতে পারে মানুষ। অনলাইনে কেনা-বেচাসহ সব কিছু হচ্ছে। আমরা তরুণ-তরুণীদের ফ্রিল্যান্সিং শিখাচ্ছি। সে এই ট্রেনিং নিয়ে বিদেশেও কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নোত দেশের মর্যাদা দিয়ে গেছেন জাতির পিতা। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষকে ক্ষমতায়ন করে দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছেন। তখনই এল আঘাত। জাতির পিতা সপরিবারে শাহাদাৎ বরণ করতে হয়। হারিয়েছিলাম বাবা-মা ভাইবোন। পেয়েছি বিশাল জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশের মানুষই আমার আপনজন। তারাই আমার সব শক্তি।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, রাজশাহীর মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, নারায়ণগঞ্জের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, খুলনার মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সিলেটের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীসহ বিভিন্ন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইবরাহীম।


আরও খবর



স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহযোগিতা করবে ফ্রান্স : ম্যাক্রোঁ

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ফ্রান্স সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ১১ লাখের মতো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মানবতার পরিচয় দিয়েছে। এর জন্য আমি বাংলাদেশের প্রতি ধন্যবাদ জানাই। আগামী বছরগুলোতে ফ্রান্স বাংলাদেশের অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করবে। বাংলাদেশ এবং ফ্রান্সের মধ্যকার সম্পর্ক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করবে।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজ বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যকার পাঁচ দশকেরও অধিক সময় ধরে চলমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি ঐতিহাসিক দিন। আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে ফ্রান্সের সঙ্গে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সূচনা করেছিলেন আজ তা নতুন মাত্রায় উন্নীত হলো। 

আরও পড়ুন>> প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ

তিনি বলেন, ফ্রান্স সরকার বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার সুরক্ষায় সরকারের দায়িত্বশীলতা ও প্রতিশ্রুতিমূলক কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের অর্থনীতির অভাবনীয় ধারাবাহিকতার অগ্রযাত্রায় ফ্রান্স সরকারের আস্থার কথা দৃঢ়তার সাথে উদ্ধৃত হয়েছে।

এদিন বৈঠকে ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপর দুই দেশের নেতা সংবাদ সম্মেলন করেন। এর আগে, রোববার দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। রাত ৮টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। এ সময় বিমানবন্দরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে সশস্ত্র বাহিনীর একটি দল সেখানে ম্যাক্রোঁকে গার্ড অব অনার এবং লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়।


আরও খবর



রংপুরে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রংপুর প্রতিনিধি

Image

ন্যায্য মজুরি প্রদান না করা ও শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে রংপুর শ্রম আদালতে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের সিনিয়র খামার ব্যবস্থাপক (অবসরপ্রাপ্ত) মো. ফারুকুল ইসলাম বাদী হয়ে রংপুর শ্রম আদালতে মামলাটি করেছেন।

মামলায় গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। বাদীপক্ষের আইনজীবী শামিম আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

শামিম আল মামুন জানান, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ কৃষি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে মজুরি, গ্রাচ্যুইটি ও অর্জিত ছুটির অর্থ বাবদ বাদীর পাওনা ৯ লাখ ৭৫ হাজার ১২৫ টাকা প্রদান না করা ও শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এবং উক্ত পাওনা ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে এই মামলা করা হয়েছে।

উল্লিখিত টাকা পাওনা থাকলেও সেটা প্রদান না করেই বাদীকে বিভিন্ন সময় চাপ প্রয়োগ করে অবসর নিতে বাধ্য করেছেন ১নং বিবাদী ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ। মামলার মাধ্যমে পাওনাসহ ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন বাদী ফারুকুল ইসলাম।


আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




লিঙ্গবৈষম্য নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য শ্রেয়া ঘোষালের

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

লিঙ্গবৈষম্য নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ভারতের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল। তার মতে, প্রতিটি নারী লিঙ্গবৈষম্যর শিকার হচ্ছেন। আর এ সমস্যাটি শুধু তার দেশেই নয়, সারা বিশ্বব্যাপী।

সম্প্রতি রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি সিনেমার গান তুম কেয়া মিলে-তে কণ্ঠ দিয়েছেন অরিজিৎ সিং ও শ্রেয়া ঘোষাল। সেই গানেরই ভাগাভাগি এবং প্রচার নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন অনেক ভক্ত। আর তা নিয়েই সম্প্রতি মুখ খুলেছেন এই বাঙালি গায়িকা।

গানটি যখন ঘোষণা করা হয়, সেই পোস্টে অরিজিৎ সিংকে কৃতিত্ব দেওয়ার সময় শ্রেয়া ঘোষালের নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল। আর তাতেই প্রতিক্রিয়ার ঝড় তোলেন ভক্তরা। তাদের ভাষ্যমতে, লিঙ্গ পক্ষপাত এবং শিল্পে পুরুষ ও নারী শিল্পীদের প্রতি অসম আচরণ লক্ষ করা যাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি ইন্ডাস্ট্রির সামান্য পক্ষপাতের কথা স্বীকার করেন শ্রেয়া ঘোষাল।

তিনি বলেন, এটি শুধু সংগীত বা ছবির জগতে নয়, আলোচনা শুধু অভিনেত্রী বা সংগীতশিল্পীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, প্রতিটি কোম্পানি, প্রতিটি শিল্পে এটাই চলে আসছে। সব ক্ষেত্রে এটি একটি সাধারণ গল্প এবং সাধারণ লড়াই। সমস্ত নারী প্রতিনিয়ত এর সম্মুখীন হন। শুধু এই দেশে নয়, এ সমস্যা বিশ্বব্যাপী।

এদিকে ৬৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন শ্রেয়া ঘোষাল। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো পুরস্কার পেলেন এই গুণী শিল্পী। তামিল ছবি ইরাভিন নিজহাল-এর মায়াভা চায়াভা গানের জন্য সেরা গায়িকা খেতাব অর্জন করেছেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: শ্রেয়া ঘোষাল

আরও খবর
রণবীরের জন্মদিনে স্মৃতিকাতর আলিয়া

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জয়ের জন্মদিনে বীরের শুভেচ্ছা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩