ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের বিচার নিশ্চিত, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রনয়ণ, মন্ত্রণালয় গঠন, দেবোত্তর সম্পত্তি প্রনয়ন আইন বাস্তবায়ন, সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা বন্ধ, হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, বিচার ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণসহ আট দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা শহরের আটগ্যালারী এলাকার অপরাজেয় ৭১ চত্বরে সমবেত হয় হাজারো হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। এ কর্মসূচির আয়োজন করে ঠাকুরগাঁও সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন।
সমাবেশে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেওয়া হয়। স্লোগানের মধ্যে ছিল, কথায় কথায় বাংলা ছাড়, বাংলা কী কারও বাপ-দাদার, কুরুক্ষেত্রের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার, জেগেছে রে জেগেছে, সনাতনীরা জেগেছে, আমার দেশ তোমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ, আমার মাটি আমার মা, ছেড়ে কোথাও যাব না, স্বাধীন দেশে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ ও বিচার চাই বিচার চাই, হামলাকারীর বিচার চাই।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, আজ আমরা কয়েক দিন ধরে দিন-রাত পাহারা দিয়ে যাচ্ছি। নিজেদের জানমাল আর সম্ভ্রম রক্ষায় আমরা কাজ করছি। কিন্তু এখন শুধু আত্মরক্ষা করলেই হবেনা, সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ চলবে। আমরা আর পালিয়ে থাকতে চাই না। এই মাটি আমাদেরও। এটা আমাদের পিতৃপুরুষের সম্পত্তি। আমরা আর নিজ গৃহে পরবাসী থাকতে চাই না। আমরা কোথাও যেতে চাই না।
তারা আরও বলেন, যেভাবে হিন্দুদের ওপর হামলা হচ্ছে, নির্যাতন হচ্ছে, মন্দির ভাঙচুর করা হচ্ছে, তা দেখে আমরা স্তম্ভিত। আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। আমরা এ দেশের নাগরিক। আমাদেরও নিরাপদে বাঁচার অধিকার আছে।
বক্তারা সারাদেশে সনাতন সম্প্রদায়ের ওপর যে হামলা হয়েছে, তার সুষ্ঠু বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ প্রদান ও দেশে সম্প্রীতির সঙ্গে যাতে বসবাস করতে পারেন- সে ব্যাপারে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা।