মামলার নির্ধারিত তারিখে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয় আসামিদের, বসিয়ে রাখা হয় হাজতখানায়। মামলার শুনানি শুরুর আগ পর্যন্ত আদালতের হাজতের মেঝেতে বসে থাকতে হয় তাদের। ওই সময়টা যাতে দুশ্চিন্তায় না কাটে বরং নিজেদের ভুল সংশোধন করে নতুনভাবে জীবনযাপন করার লক্ষ্যে আসামীদের জন্য হাজতি পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে। আর আইনি পরামর্শকরা মনে করছেন পেশাগত জীবনের সবচে স্বরণীয় ও উল্লেখযোগ্য বিষয়।
বৃহস্পতিবার (২২জুন) ঠাকুরগাঁও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নিত্যানন্দ সরকারের উদ্যোগে কোর্ট ভবনে স্থাপন করা হয় হাজতি পাঠাগার উদ্বোধন করেন বিচারক নিত্যানন্দ সরকার।
জমি বিরোধ, গুম, খুন, নারী নির্যাতন, চুরি ছিনতাইসহ নানা অপরাধে যুক্ত হয়ে মামলার আসামী হিসেবে গ্রেফতার হচ্ছেন অভিযুক্তরা। বিচার কার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের থাকতে হচ্ছে কারাগারে। তবে এদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন নিরপরাধ ব্যক্তিও। তারপরেও আইনি পক্রিয়ার মাধ্যমেই খালাস পেয়ে হয় অভিযুক্তদের। আর সব বিষয় বিবেচনা করে অভিযুক্তরা নিজেদের ভুল সংশোধন করে কিভাবে ভালোর পথে ফিরতে পারে সেই লক্ষ্যে এই পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে বলে জানান, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নিত্যানন্দ সরকার।
পাঠাগারটিতে রয়েছে সকল প্রকার ধর্মীয়গ্রন্থ, মনীষীদের শিক্ষামূলক, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও আইন বিষয়কসহ সচেতনামুলক বিভিন্ন ধরনের বই।
ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল হালিম বলেন, দীর্ঘ ৪৫ বছর পেশাগত জীবনে হাজতি পাঠাগার স্থাপনের বিষয়টি সবচে স্বরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানান তিনি।
হাজতি পাঠাগার উদ্বোধন উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এস.রমেশ কুমার ডাগা, বিচারক আরিফুল রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, কোর্ট ইন্সপেক্টর মো: আব্দুল ওয়াহেদ, জেল সুপার আবু তালেব, গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।