মেহেরপুর সদর উপজেলা বারাদি গহরপুর গ্রামের ভৈরব নদের ওপর সেতু নির্মাণের কাজ গত তিন বছর আগে মেয়াদ শেষ হলেও এখনো শেষ হয়নি নির্মাণের কাজ। যার ফলে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫টি গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬০ মিটার সেতু নির্মাণ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর।
ব্রিজটি নির্মাণের দায়িত্ব পায় মাগুরা জেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আনোয়ারা-কামারজানি জেভি। প্রকল্পের মেয়াদ গত জুন মাসে শেষ হয়ে গেলেও কাজ হয়েছে মাত্র এক তৃতীয়াংশ।
এ বিষয়ে কথা বলত রাজি হননি মেহেরপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশলি অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলি শাখাওয়াত হোসেন। তবে মেহেরপুর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কাজের সময় বেধে দেওয়া হয়েছে এর মধ্যে কাজ শেষ না করলে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গ্রামবাসির অভিযোগ সেতুটি না হওয়ায় কৃষি পণ্য পরিবহণে অনেক খরচ বেড়েছে। অনেক রাস্তা ঘুরে ফসল ঘরে নিতে হয়। ১শ টাকার পরিবহন ভাড়া এখন ৫শ টাকা ব্যায় করতে হয়। এটা আমাদের বিপদ ফাঁদ হয়ে দাড়িয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও চালকরা বলেন, অত্র এলাকার একটি গুরুতাব পূর্ণ সেতু এটা। তিন বছর ধরে তিন ভাগের একভাগ কাজ শেষ হয়নি। এর পাশে একটা কাঠের ব্রীজ দেওয়া হয়েছে। প্রায় এ কাঠের ব্রীজ ভেঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটে। যেকোন সময় প্রাণহানির আশংকা আছে।
মাগুড়া জেলার আনোয়ারা-কামারজানি জেভির মালিক খান হক বলেন, আমি কাজ করছিনা, আমার লাইসেন্সে অন্যজন কাজ করছে বলে ফোন কেটে দেন।
মেহেরপুর সদর উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রৌকশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সাব্বির-উল- ইসলাম বলেন, সেতুটি গুরত্বপূর্ণ। আমাদের নির্বাহী প্রকৌশলী এটি নিবির পর্যবেক্ষণ করছেন। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কাজের সময় বেধে দেওয়া হয়েছে এর মধ্যে কাজ শেষ না করলে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত সেতুটি নির্মাণের কাজ শেষ হলে গ্রামের লাখ মানুষের দুর্ভোগ দূর হবে।