ঠোঁট কালো হয়ে গেলে সৌন্দর্য অনেকটাই ম্লান হয়ে যায়। অনেক কারণেই ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে। আবহাওয়ার পরিবর্তন, সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির সংস্পর্শে আসা, ধূমপান, যথাযথ যত্ন না নেয়া ইত্যাদি কারণেই ঠোঁট কালচে হয়ে যেতে পারে কিংবা দাগ পড়তে পারে। একটু সতর্ক থাকলে এবং যথাযথ যত্ন নিলেই ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করে সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব। ঠোঁটের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে যা করতে পারেন:
ত্বকের মতো ঠোঁটের যত্নেও আর্দ্রতা ধরে রাখার বিষয়টি খেয়াল রাখা উচিত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঠোঁট আর্দ্রতা হারালে বা শুকিয়ে গেলে সৌন্দর্য হারায়। তাই রাতে তো অবশ্যই, দিনের বেলাতেও ভালো মানের একটি লিপ বাম বা লিপ মাস্ক ব্যবহার করুন। দিনের বেলায় যে লিপ বাম ব্যবহার করছেন, তা এসপিএফসমৃদ্ধ কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন। কেননা ত্বকের মতো ঠোঁটও সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে অন্তত দুই মিনিট নারিকেল বা বাদাম তেল দিয়ে ঠোঁট ম্যাসাজ করতে পারেন। এটি ঠোঁটের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে এবং আর্দ্রতা ধরে রেখে ঠোঁটের সৌন্দর্য বাড়াবে। সপ্তাহে অন্তত একবার লেবু, চিনি, মধু একসঙ্গে মিশিয়ে আলতোভাবে ঠোঁটে স্ক্রাব করুন
সপ্তাহে অন্তত একবার লেবু, চিনি, মধু একসঙ্গে মিশিয়ে আলতোভাবে ঠোঁটে স্ক্রাব করুন। এটি ঠোঁটের মৃতকোষ তুলে ফেলে কালচে ভাব দূর করবে। অন্যদিকে প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করার সময় ঠোঁটে দু-একবার ব্রাশ ঘসে নিন। এভাবেও মৃতকোষ সরে গিয়ে ঠোঁট হয়ে উঠবে সজীব।
লিপস্টিক ব্যবহার করলে রাতে ঘুমানোর আগে তা অবশ্যই ভালোভাবে তুলে ঠোঁট ময়েশ্চারাইজ করে তবেই ঘুমাতে যাবেন। অন্যথায় ঠোঁট কালো হয়ে যাবে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল যেমন- কমলা, লেবু ইত্যাদি খাওয়ার সময় এক টুকরা ঘষে নিতে পারেন ঠোঁটেও। ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে ভিটামিন সির জুড়ি মেলা ভার।
নিয়মিত প্রচুর পানি পান করতে হবে। গরম চা, কফি যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া ভালো। এ ছাড়া জেনে রাখুন, নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের সঙ্গে ঠোঁটের সৌন্দর্যও সম্পৃক্ত।