আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ জুলাই ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

১৯৪ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য। তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন সৌম্য সরকার। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে পথ দেখান তিনি। খেলেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। সৌম্যর দেখানো পথ ধরে শেষ দিকে বাকি কাজ সারেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও তরুণ অলরাউন্ডার শামীম হোসেন। তাতেই জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে টেস্ট ও ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতল বাংলাদেশ।

হারারের স্পোর্টস ক্লাবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ের মাধ্যমে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে মাহমুদউল্লাহর দল।

আজ রবিবার সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫ উইকেটে ১৯৩ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ১৯.২ ওভারে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ইনিংসের ২.২ ওভারে ব্লেসিং মুজারাবানির অফ স্টাম্পে পিচ করে বেরিয়ে যাওয়া বল উড়িয়ে মারেন মোহাম্মদ নাঈম। কিন্তু টাইমিং ঠিকমতো হয়নি। মিড অফ থেকে একটু পেছনে গিয়ে ক্যাচ নিয়ে নেন লুক জঙ্গুয়ে। ৭ বলে ৩ রান করে ফেরেন নাঈম।

এরপর ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নেমে লড়াইয়ের আশা জাগান সাকিব আল হাসান। উইকেটে গিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসীও দেখা যায় তাঁকে। এক বাউন্ডারি ও দুটি ছক্কা হাঁকান তিনি। কিন্তু থিতু হয়েও শেষ পর্যন্ত টিকেননি। জঙ্গুয়ের বল উড়িয়ে মেরে ক্যাচ তুলে দেন সাকিব। ১৩ বলে ২৫ রান করে ফেরেন তিনি। ৩২ বলে ৫০ রানে থামে বাংলাদেশের দ্বিতীয় জুটি।

তবে সাকিব ফিরলেও টিকে ছিলেন সৌম্য সরকার। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তুলে নেন ব্যাক টু ব্যাক হাফসেঞ্চুরি। সৌম্যকে ভালো সঙ্গ দেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। সৌম্যও ছুটছিল দারুণ ছন্দে। তুলে নেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম টি-টোয়েন্টি হাফসেঞ্চুরি। ভয়ংকর হয়ে ওঠা সৌম্যকে শেষ পর্যন্ত থামান জঙ্গুয়েই। তাঁর বলে ছক্কা মারার চেষ্টা করেন সৌম্য। টাইমিং মেলেনি। বল উপরে উঠে গেলে ক্যাচ নেন মুসাকান্দা। ৪৯ বলে ৬৮ রান করে ফেরেন সৌম্য। টি-টোয়েন্টিতে এটাই তাঁর ক্যারিয়ার সেরা। আগের সেরা ছিল ৬২।

এরপর কিছুদূর লড়াই করে ফেরেন আফিফও। এরপর দলকে জয়ের কাছে নিয়ে আউট হন মাহমুদউল্লাহ। ২৮ বলে ২৪ রান করে ফেরেন তিনি। অধিনায়ক ফেরার পর নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন শামীম। ম্যাচ শেষে ১৫ বলে ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন অভিষেকের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলা শামীম।

এদিন টসের ভাগ্য জিতেছেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। ব্যাটিং নেমে স্বাগতিকদের উড়ন্ত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার মাধেভেরে ও মারুমানি। দুজন মিলে শুরুর জুটিতে তোলেন ৬৩ রান। ভয়ংকর হয়ে ওঠা সেই জুটি ভাঙেন সাইফউদ্দিন।

সাইফউদ্দিনের মিডল স্টাম্পে থাকা লেংথ বল লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করেন মারুমানি। ব্যাট-প্যাডের মাঝে রয়ে যায় বিশাল ফাঁক। বল আঘাত করে স্টাম্পে। ২০ বলে ২৭ রানে ফিরে যান মারুমানি।

মারুমানি ফেরার পর ঝড় তোলেন মাধেভেরে। অল্প সময় উইকেটে থেকেও তাণ্ডব চালান তিনি। ১২তম ওভারে অবশেষে তাঁর ঝড় থামান সৌম্য।

১১.১তম ওভারে সৌম্যর অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্লগ সুইপে উড়িয়ে মারেন চাকাভা। সীমানার কাছে বল ক্যাচ নেন নাঈম। কিন্তু ব্যালেন্স রাখতে পারেননি। ছুঁড়ে মারেন শামীম হোসেনের দিকে। তিনিও ভুল করেননি। নাঈমের ছোঁড়া বল তালুবন্দি করেন শামীম। ৬ ছক্কায় চাকাভার ২২ বলে ৪৮ রান করেন চাকাভা।

এরপর ব্যাট করতে নামা স্বাগতিক অধিনায়ক সিকান্দারকে টিকতে দেননি সৌম্য। রানের খাতা খোলার আগেই তাঁকে বিদায় করেন সৌম্য। হাফসেঞ্চুরি তুলে নেওয়া মাধেভেরেকে ফিরিয়ে দেন সাকিব আল হাসান। নতুন স্পেলে আসা সাকিবের বল রিভার্স করতে চেয়েছিলেন মাধেভেরে। টাইমিং ঠিক হয়নি। শর্ট থার্ড ম্যানে শরিফুল ইসলামের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ৩৬ বলে ৫৪ রান করেন মাধেভেরে। দলের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান ফেরার পর শেষের দিকে মিডলঅর্ডারদের ওপর ভর করে নির্ধারিত ওভারে বড় সংগ্রহ পায় জিম্বাবুয়ে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

জিম্বাবুয়ে : ২০ ওভারে ১৯৩/৫ (মাধেভেরে ৫৪, মারুমানি ২৭, চাকাভা ৪৮, মায়ার্স ২৩, রাজা ০, বার্ল ২১, জঙ্গুয়ে ১; সাইফ ৪-০-৫০-১, তাসকিন ২-০-২৮-০,  সাকিব ৪-০-২৪-১, শরিফুল ৪-০-২৭-১, সৌম্য ৩-০-১৯-২, নাসুম ৩-০-৩৭-০)।

বাংলাদেশ: ১৯.২ ওভারে ১৯৪/৫ (মাহমুদউল্লাহ ৩৪, মোহাম্মদ নাঈম ৩, সৌম্য ৬৮, সাকিব ২৫, আফিফ ১৪, শামীম ২১*, সোহান ১*; সিকান্দার ১-০-১৩-০, মুজারবানি ৪-০-২৭-২, চাতারা ৪-০-২৭-০, মাসাকাদজা ৩.২-০-৩৭-১, মায়ার্স ৪-০-৪২-০ ও জঙ্গুয়ে ৩-০-৪২-২)।

ফল : পাঁচ উইকেটে জয়ী বাংলাদেশ।

সিরিজ: ২-১ ব্যবধানে জয়ী বাংলাদেশ।


আরও খবর



ঢাকা ছেড়েছেন কাতারের আমির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুই দিনের সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিশেষ ফ্লাইটযোগে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি।

আমিরের ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।

আজ সকালে কাতারের আমির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত বৈঠকে মিলিত হন। পরে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এরপর দুই শীর্ষ নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করতে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়।

চুক্তিগুলো হলো, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে আয়ের ক্ষেত্রে দ্বৈত কর পরিহার এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধ, বাংলাদেশ সরকার এবং কাতার রাষ্ট্রের মধ্যে আইনি ক্ষেত্রে সহযোগিতা, কাতার এবং বাংলাদেশের মধ্যে সমুদ্র পরিবহন, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা এবং বাংলাদেশ-কাতার যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা।

চুক্তি ছাড়াও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, জনশক্তি কর্মসংস্থান (শ্রম), বন্দর (এমব্লিউএএনআই কাতার এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ), বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে এবং বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতার স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়।

অনুষ্ঠানে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে রাজধানী ঢাকার একটি সড়ক ও একটি পার্কের নামকরণ করা হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীনে মিরপুরের কালশী এলাকার বালুর মাঠে পার্কটি নির্মাণ করা হচ্ছে। মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ফ্লাই ওভার পর্যন্ত সড়কটির নামকরণ করা হয়েছে কাতারের আমিরের নামে। এখন থেকে রাস্তা ও পার্কটি শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি অ্যাভিনিউ এবং শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি পার্ক নামে পরিচিত হবে।

সব শেষ আনুষ্ঠানিকতায় আমির পিএমও ত্যাগ করে বঙ্গভবনে যান। সেখানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কাতারের আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন।

এর আগে গতকাল সোমবার বিকেলে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির। বিমানবন্দরে আমিরকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। টানা চতুর্থ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ থেকে এটি ছিল প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সফর। আর এর মধ্য দিয়ে ২০০৫ সালের পর কাতারের কোনো আমির ঢাকা সফর করলেন।


আরও খবর



যেভাবে অপহরণের ৪৮ ঘণ্টা কেটেছে ব্যাংক ম্যানেজারের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বান্দরবানের রুমা থেকে অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিন রাসেলকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৭টায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও নিরাপত্তা বাহিনী বিশেষ অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে। নেজামকে এরইমধ্যে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে পার্বত্য জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যা‌বের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন।

র‌্যাব এবং অপহৃত ম্যানেজার নেজামের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, ম্যানেজার নেজাম চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানালে, সন্ত্রাসীরা ভোল্ট ভাঙতে চেষ্টা করে। ম্যানেজার তাদের জানায়, ভল্টে আঘাত করলে সেন্সরের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক বিষয়টি সোনালী ব্যাংকের হেড অফিস জেনে যাবে। তখন তারা ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং পাহাড়ি এলাকায় পৌঁছানোর পর তার চোখ বেঁধে ফেলে।

দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা তাকে পাহাড়ের ঝিরিপথে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার সঙ্গে ১০-১২ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী ছিল বলে র‍্যাবকে জানান নেজাম উদ্দীন। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা তার চোখের বাঁধন খুলে দেয় এবং অন্ধকারে চলার জন্য তার হাতে একটি বাটন মোবাইল সেট ধরিয়ে দেয়। এভাবে প্রথম রাত কেটে যায়।

অপহরণের দ্বিতীয় দিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ম্যানেজারকে নাস্তা খেতে দেওয়া হয় এবং পায়ে হাঁটিয়ে পাহাড়ি ঝিরিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অপেক্ষমান ৩০-৩৫ জনের একটি দল ম্যানেজারকে কলা পাতায় করে গরম ভাত, ডাল ও ডিম ভাজি দিয়ে খেতে দেয়। সেখান থেকে হাঁটিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। নতুন অবস্থানে ম্যানেজারকে ১৫-২০ মিনিট বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭ পর্যন্ত সেখানেই তাকে রাখা হয়। রাতে ম্যানেজারকে ডাল ও ডিম ভাজি দিয়ে সদ্য রান্না করা ভাত খেতে দেয়।

অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন সূত্রে জানা গেছে, অপহরণকারীরা নিজেদের মধ্যে বম ভাষায় কথা বললেও ম্যানেজারের সাথে কথা বলার সময় তারা শুদ্ধ বাংলা ভাষা ব্যবহার করতো।

সূত্র জানায়, ২-৩ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নেজামকে সবসময় ঘিরে রাখতো। এছাড়া ১২-১৩ জনের একটি গ্রুপ তার আশেপাশে অবস্থান করতো। দ্বিতীয় দিন বুধবার রাত ৮ টার দিকে একটি মাচাং ঘরে (টং ঘর) কড়া সশস্ত্র প্রহরায় ম্যানেজারের রাতে ঘুমানোর ব্যবস্থা করা হয়। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ম্যানেজার নেজামকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ দেয় এবং তিনি যেন প্রশাসনিক বা আইনি সহায়তা না নেন, সে বিষয়ে পরিবারকে সতর্ক করা হয়।

পরিবারের সাথে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারের ফোন কলের সূত্র ধরে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে র‌্যাব তাদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। এরপর শুরু হয় সন্ত্রাসীদের সাথে র‌্যাবের যোগাযোগ।

এদিকে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকে ব্যাংক ম্যানেজারের স্ত্রী মাইসুরা ইসফাত এবং তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা রুমা উপজেলায় অবস্থান করছিলেন। ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারের পর ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে তাদেরকেও র‌্যাবের একটি গাড়িতে চড়িয়ে রাত সোয়া ৯টার দিকে আসা হয় বান্দরবান জেলা সদরের মেঘলা এলাকায় অবস্থিত র‌্যাব ১৫ কার্যালয়ে।


আরও খবর



ইসরায়েলের কোনও দূতাবাস নিরাপদ নয়: ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার একজন উপদেষ্টা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, গত সপ্তাহে সিরিয়ার রাজধানীতে ইসরায়েলের হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের সাত সদস্য নিহত হওয়ার পর কোনো ইসরায়েলি দূতাবাস আর নিরাপদ নয়’।

খবর অনুসারে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি বলেন, ইহুদিবাদী সরকারের দূতাবাসগুলো এখন আর নিরাপদ নয়।

ইরানের বার্তা সংস্থাটি একটি গ্রাফিকসও প্রকাশ করেছে যাতে দাবি করা হয়েছে, নয় ধরণের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম।

গত সোমবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এই হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি ছাড়াও ছয়জন নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইরানের আরেক জেনারেল আছেন।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, কূটনৈতিক মিশনে দিবালোকের এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে অনুশোচনা’ করিয়ে ছাড়বে তেহরান।


আরও খবর



নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, দাড়িগোঁফ রাখতে পারবেন ব্রিটিশ সেনারাও

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

এবার দাড়ি রাখার উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাজ্য। ফলে ব্রিটিশ সেনা সদস্য ও কর্মকর্তাদের এখন থেকে দাড়ি রাখতে আর বাধা নেই। তবে তাদের দাড়ি ও গোঁফ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সুবিন্যস্ত রাখতে হবে। বিষয়টি নিয়মিত নজরদারিও করা হবে। খবর বিবিসির।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, এই অনুমতির পরও, কিছু নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানে সেনা এবং কর্মকর্তাদের শেভ করারও প্রয়োজন হতে পারে। এসব পরিস্থিতিতে তাদের শেভ করার নির্দেশ দেয়া হবে। নীতিটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ব্রিটিশ সেনা নেতৃত্ব আশা করছে, এর মাধ্যমে তারা নতুন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে।

বিবিসি বলছে, যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীগুলোর মধ্যে সেনাবাহিনীই সবার পরে দাড়ি রাখার অনুমতি দিয়েছে। টানা কয়েক বছর বিষয়টি নিয়ে নীতি পর্যালোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ বাহিনীর এক মুখপাত্র।

এর আগে ডেনমার্ক, জার্মানি এবং বেলজিয়ামের মতো কয়েকটি দেশের সেনাবাহিনী সৈন্যদের দাড়ি রাখার অনুমতি দেয়। নতুন নীতি ঘোষণার আগে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী শিখ, মুসলিম এবং রাস্তাফারিয়ানদের মতো কয়েকটি নির্দিষ্ট ধর্মের সেনাদের দাড়ি রাখার অনুমতি দিয়েছিল। যদি তাদের কার্যকারিতা, স্বাস্থ্য বা নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে না- এমন শর্তে দাড়ি রাখার অনুমতি ছিল।


আরও খবর



এডিপির সঙ্গে ৭১ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মধ্যে ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি সই হয়েছে।

Loan 4440- BAN: Climate-Resilient Integrated Southwest Project for Water Resources Management'  শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ চুক্তি সই হয়েছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। ঋণচুক্তি ও প্রকল্পচুক্তিটি ঢাকায় স্বাক্ষরিত হয় বলে জানা গেছে।

এ সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এডিবির পক্ষে বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং উভয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির আবাসিক মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঋণটি এডিবির Ordinary Operations (Concessional) বা নমনীয় শর্তে পাওয়া গিয়েছে যার সুদের হার ২ শতাংশ এবং ৫ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ২৫ বছরে পরিশোধযোগ্য। এছাড়া অন্য কোনো চার্জ নেই।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা যায়, প্রকল্পটি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে। আলোচ্যে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন করে কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, আনুষঙ্গিক উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন আনয়ন, সমন্বিত পানি সম্পদ ও অংশগ্রহণমূলক পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং উন্নত অবকাঠামো নির্মাণ ও সমন্বিত সহায়তার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অর্জন সম্ভব হবে।

এছাড়া প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত সুবিধাদির দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব বজায় রাখার নিমিত্ত পানি ব্যবস্থাপনা সংঘ গঠন করা হবে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল জানুয়ারি ২০২৪ হতে ডিসেম্বর ২০২৮ পর্যন্ত।

এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে সদস্যলাভের পর থেকে এডিবি থেকে এর অর্থনীতির অগ্রাধিকারভুক্ত বিভিন্ন খাতসমূহে ধারাবাহিকভাবে আর্থিক সহায়তা পেয়ে আসছে। এডিবি এ যাবত বাংলাদেশ সরকারকে ৩১ হাজার ৫৪৭.৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা ও ৫৭১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান সহায়তা প্রদান করেছে। বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি সাধারণত বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, কৃষি, পানিসম্পদ ও সুশাসনকে প্রাধান্য দেয়।

নিউজ ট্যাগ: এডিবি বাপাউবো

আরও খবর