আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

টিফিনের টাকা জমিয়ে রাস্তা সংস্কার করলেন শিক্ষার্থরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক, ঠাকুরগাঁও

Image

কয়েক বছর ধরে বেহাল সড়কে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পৌরবাসী। সংস্কারের জন্য মেয়রকে বারবার তাগাদা দিয়েও কোনো সুরহা পায়নি তারা। এবার টিফিনের টাকা জমিয়ে রাস্তা সংস্কারের কাজ করছে শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি ইতোমধ্যে আলোরণ সৃষ্টি করেছে। শুরুতে একতা বন্ধন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়ে তোলে ঠাকুরগাঁও আমানাতুল্লা স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

সংগঠনের সদস্যরা টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে মানবিক কাজে ব্যয় করে থাকে। তাদের ইচ্ছে ছিলো ভবিষ্যতে প্রয়োজন মতো খরচ করার। সেই টাকা টাকা রাস্তা সংস্কারের কাজে তুলে দিয়েছে তারা।

পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ১৯৫৮ সালে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তী এটি প্রথম শ্রেণিতে উন্নিত হয়। পৌরসভা এলাকার ১২টি ওয়ার্ডে মোট জনসংখ্যা ১লাখ ২০হাজার। পৌর এলাকায় ১৯৫ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। এর মধ্যে ১৩৫ কিলোমিটার সড়ক পাকা করা হলেও প্রায় ৮০ শতাংশই বেহাল।

পৌর শহরের হাজিপাড়া এলাকায় স্কুলের সামনের গিয়ে দেখা যায়, স্কুল থেকে শুরু করে শহরে বিভিন্ন রাস্তার কয়েক কিলোমিটার অংশ ভাঙাচোড়া। সামান্য বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে পানি জমে যায়। এ কারণে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের। এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসে একতাবন্ধন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। নিজেরাই নেমে পড়েছে রাস্তা সংস্কারের কাজে। স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার করেছে আমানাতুল্লাহ ইসলামী একাডেমির ছাত্ররা।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় গর্ত হয়ে গেছে। বৃষ্টি হলে রাস্তায় কাদা-পানি জমে যায়, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার উপায় থাকে না। জনপ্রতিনিধিরা সংস্কার করে না, তাই নিজ উদ্যোগে আমরা সংস্কারে নেমেছি।

ওই এলাকার বাসিন্দারা বলেন, এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটির সংস্কারের জন্য জনপ্রতিনিধিদের কাছে গেলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। আজ ছাত্ররা নিজস্ব অর্থায়নে এবং স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতেই রাস্তাটির সংস্কার করেছে। এটি একটি মহৎ কাজ।

একাডেমিক সহকারী শিক্ষক আবদুল সালাম বলেন, রাস্তাটি বেশ পুরোনো। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে সংস্কার করছি। এতে স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমবে।

গোয়ালপাড়া এলাকার জুয়েল, সেনুয়া পাড়া এলাকার রাকিব বলেন, প্রথম শ্রেণির ঠাকুরগাঁও পৌরসভা হলেও ১০-১৫ বছর সড়কের সংস্কার হয়নি, ড্রেনেজ ব্যাবস্থা নেই; নেই বর্জ ব্যবস্থাও।

জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম সাংবাদিকদের বলেন রাজস্বের টাকা দিয়ে যতটুকু সম্ভব উন্নয়নের কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু অর্থ সংকটের কারণে সড়কগুলোর উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। ইতোমধ্যে ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে, একনেকের সভায় পাশ হলেই বরাদ্দ পাওয়া যাবে। তখন পৌরসভা এলাকাকে ঢেলে সাজানো হবে বলে জানান তিনি।

নিউজ ট্যাগ: ঠাকুরগাঁও

আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বেনাপোল বন্দর এলাকা থেকে আরও ২৫ ককটেল বোমা উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
এম এ রহিম, বেনাপোল (যশোর)

Image

যশোরের বেনাপোল বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবারও ২৫টি ককটেল বোমা উদ্ধার করেছে র‍্যাব- তিন দিনে আইনশৃঙ্খলা  রক্ষা বাহিনী (পুলিশ ও র‍্যাব) ৬৬টি ককটেল উদ্ধার করল। ফলে চাপা আতংক ছড়িয়ে পড়ছে বন্দর এলাকায়। নাশকতার উদ্দেশ্যে এগুলো মজুত করা হতে পারে বলে জানান র‍্যাব কর্মকর্তা।

শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বন্দরের ক্যামিক্যাল সেডের পিছনে পরিত্যক্ত অবস্থায় তাজা ২৫টি ককটেল পাওয়া যায় বলে জানান বেনাপোল পোর্টথানার ওসি কামাল হোসেন ভূইয়া।

এর আগে ২ সেপ্টেম্বর যশোর র‍্যাব-৬ সদস্যরা বন্দর এলাকার বাদল হোসেনের পরিত্যাক্ত একটি বাড়ি থেকে ১৮টি ককটেল উদ্ধার করে। তার পরের দিন ৩ সেপ্টেম্বর বন্দরের একটি মাদ্রাসার পিছনের বাগান থেকে পোর্ট থানা পুলিশ ২৩টি ককটেল উদ্ধার করে।

যশোর র‌্যাব-৬, স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, বন্দর এলাকার ক্যামিক্যাল গোডাউনের পিছনে বোমা রাখা আছে গোপন এ ধরনের সংবাদে যশোর র‍্যাব-৬ এর সদস্যরা ক্যামিক্যাল সেডের পিছনে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে বাগানের ভিতর থেকে দু'টি বালতির ভিতর রাখা ২৫টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলো পোর্ট থানায় জমা দেওয়া হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে উদ্ধারকৃত বিপুল পরিমাণ ককটেল বোমা যেকোন বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টির জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একত্রিত করা হয়েছে। ককটেল বোমা মজুদকারিদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে র‌্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। তবে ককটেলগুলো কারা রেখেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এগুলো নিষ্ক্রিয় করার জন্য পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, শান্ত বন্দরকে অশান্ত করতে একটি পক্ষ ককটেলগুলো বন্দর এলাকায় জমা করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত তিন দিনে ৬৬টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গত দুদিন আগে বাদল হোসেন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।  বিষয়টি গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ডেঙ্গু: ভর্তির ২৪ ঘণ্টায় ৫৫ শতাংশ রোগীর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে ৫৫ শতাংশ মৃত্যু হচ্ছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। আর ২৬ শতাংশ মৃত্যু হচ্ছে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ৫৯৩ জনের তথ্য পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ৬৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪১ জন মারা গেছেন চলতি মাসের প্রথম তিন দিনে। মৃতদের বড় অংশ কর্মক্ষম ও নারী। এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে পুরুষ রোগীর মধ্যে শূন্য দশমিক ৩২ শতাংশ এবং নারী রোগীর মধ্যে শূন্য দশমিক ৭৩ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের ৪২ শতাংশের বয়স ২০ থেকে ৪০ বছর। 

আরও পড়ুন>> রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে ঢাকা-নেপিডো বৈঠক আজ

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বর এলে গুরুত্ব না দেওয়া এবং দেরিতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি রোগী ব্যবস্থাপনায় ঘাটতিও প্রভাব ফেলছে।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা জনস্বাস্থ্যবিদ মুশতাক হোসেন বলেন, ডেঙ্গু শনাক্ত হলেও সবাই চিকিৎসার আওতায় আসছে না। হাসপাতালে রেখে সব ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অনেকের জটিল উপসর্গ না থাকায় বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা মৃত্যুর বড় কারণ। রোগী শনাক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রাখা জরুরি। 

আরও পড়ুন>> কাস্টমসের সুরক্ষিত গুদাম থেকে ৫৫ কেজি স্বর্ণ গায়েবের ঘটনায় মামলা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক নাজমুল ইসলাম বলেন, দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিরা বেশি মারা যাচ্ছেন। রোগীরা ডেঙ্গু হলে ভাবেন, কাল-পরশু হাসপাতালে যাব। অনেকে নিজেই পাড়ার দোকান থেকে ওষুধ কিনে খান। এর মধ্যে রোগী শকে চলে যান। সেজন্য মৃত্যু বাড়ছে। জ্বর হলে কেউ একদিনও দেরি না করে টেস্ট করে, চিকিৎসকের পরামর্শ নেন এটাই আমাদের অনুরোধ।


আরও খবর
ডেঙ্গুতে ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩৫৭

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশে এই প্রথম ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ভারতের বিপক্ষে খেলছেন না মুশফিক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

এশিয়া কাপের সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে খেলছেন না মুশফিকুর রহিম। সদ্য কন্যা সন্তানের বাবা হওয়ায় মুশফিককে পরিবারের সঙ্গে থাকার জন্য ছুটি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

বুধবার বিকেলে এক বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিসিবি।

বিবৃতিতে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছেন, মুশফিক জানিয়েছে তার স্ত্রী সুস্থতার দিকে আছে। এখন তার সন্তান ও পরিবারের সঙ্গে থাকা উচিত। আমরা তার অবস্থা বুঝতে পেরে ছুটি দিয়েছি।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯ সেপ্টেম্বর সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে ঢাকা যান মুশফিক। ১১ সেপ্টম্বর কন্যা সন্তানের বাবা হন। তার ফেরার কথা ছিল ১৪ সেপ্টেম্বর। কিন্তু পারিবারিক কারণে শেষ পর্যন্ত ফিরতে পারলেন না।


আরও খবর



পেট্রোল পাম্প মালিকদের একাংশের ধর্মঘট আজ থেকে

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) থেকে পেট্রোল পাম্পের মালিকদের একাংশ ধর্মঘটে যাচ্ছে। ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রাখতে এ হরতাল ডাকে তারা। বিপিসির সঙ্গে সমঝোতা না হওয়ায় এই ধর্মঘট হচ্ছে। তবে মোহাম্মদ নাজমুল হকের নেতৃত্বে থাকা অন্য অংশ ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে।

মালিকরা বলছেন, ডিজেলের দুই ভাগ, পেট্রোলের তিন ভাগ এবং অকটেনের চার ভাগ কমিশন বাড়িয়ে সাড়ে সাত ভাগ করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের শিল্প থেকে বাদ দিয়ে কমিশন এজেন্ট ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। এ ছাড়া পুরনো ট্যাংক লরি অবসরের সময় ২৫ বছর থেকে বাড়াতে হবে।

হরতাল আহ্বানকারী অংশ এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবিগুলো বাস্তবায়ন না করে শুধু সময় ক্ষেপণ করা হচ্ছে। দাবিগুলো অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত ও সৎভাবে বেঁচে থাকার দাবি। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।

ধর্মঘট প্রত্যাহার জানিয়ে অন্য অংশ এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল হকের নেতৃত্বে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি মো. হারুন অর রশিদ, মহাসচিব জুবায়ের আহমেদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মীর আহসান উদ্দিন পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক জায়েদ আহমেদ তপন ও হুমায়ুন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক সিলেট বিভাগসহ বাংলাদেশ ট্যাংক লরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ট্যাংক লরি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের উপস্থিতিতে গত ২৯ আগস্ট বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সব দাবিদাওয়া বাস্তবায়নে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সব ধরনের দাবিদাওয়া পূরণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আশ্বস্ত করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হলো।

মালিক সমিতির একাংশের মহাসচিব মো. মিজানুর রহমান রতন বলেন, তারা ধর্মঘটে যাবেন। এই ধরনের আশ্বাস ২০২০ সাল থেকে তাদের দেওয়া হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, তারাই বৃহত্তর অংশ। ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের একাংশের মালিক-শ্রমিকরা তাদের সঙ্গে রয়েছেন। সব মিলিয়ে তাদের সদস্য সাড়ে চার হাজারের মতো। আজ তাদের সঙ্গে বিপিসির কোনও বৈঠক হয়নি বলে জানান তিনি।

অন্য অংশ ধর্মঘট থেকে সরে গেছেন, এ বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা ধর্মঘট ভেঙে দেখাক পারলে। এদিকে মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রাত ৯টার পর তাদের একটি দাবি কমিশন এজেন্ট ঘোষণা করা মেনে নিয়ে গ্যাজেট প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এতে কি ধর্মঘট প্রত্যাহার হবে কি না, জানতে চাইলে মিজানুর রহমান রতন বলেন, শুধু একটি দাবি মেনে নিয়েছে। মোট দাবি তিনটি। প্রধান দাবি উপেক্ষিত। সবার সঙ্গে কথা বলতে হবে। রাতের মধ্যে যোগাযোগ করা কঠিন, কাল ধর্মঘট থাকবে। হয়তো পরশু থেকে প্রত্যাহার হতে পারে।

নিউজ ট্যাগ: পেট্রোল পাম্প

আরও খবর



ড. ইউনূসের পক্ষে চিঠি দেওয়া ১৬০ বিদেশি নীতিজ্ঞান বিবর্জিত: ঢাবি উপাচার্য

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনে চলমান মামলা স্থগিত চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন দেশের যে নোবেলজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা চিঠি দিয়েছেন, তাঁরা নীতিজ্ঞান বিবর্জিত বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত রাখার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠির প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (ডুটা)আয়োজনে এক মানববন্ধনে উপাচার্য এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, প্রতিটি সমাজেই কিছু মানুষ থাকেন যে মানুষগুলো নীতিজ্ঞান বিবর্জিত এবং তারা অনেক সময় নানাভাবে প্রলোভনের মুখে পড়ে অন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেয়। আমার ধারণা, এই ব্যক্তিবর্গ যারা আন্তর্জাতিকভাবে (১৬০ জন) বিবৃতি প্রদান করেছেন বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়াধীন বিষয় নিয়ে তারা নীতিজ্ঞান বিবর্জিত কিছু মানুষ। আমার ধারণা, নিঃসন্দেহে এই মানুষগুলো লবিস্ট হিসেবে ভূমিকা পালন করছেন। তাদেরকে হয়তোবা কোনো গোষ্ঠী, কোনো সম্প্রদায়, কোনো রাজনৈতিক দল ও সংগঠন অথবা কোনো ব্যক্তি অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ করেছেন। সে কারণেই আজকে তারা দুর্নীতির পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন; অন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

আখতারুজ্জামান বলেন, তবে এমনও কিছু মানুষ আছেন যাদের নিজেদের দেশ, দেশমাতৃকা, মূল্যবোধ, সংস্কৃতি, গৌরব ও অর্জনের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা থাকে না। যে মানুষগুলোর নাম এখানে উচ্চারিত হচ্ছে, যাকে নিয়ে আবর্তন হচ্ছে তাদের কখনো আমাদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ কিংবা অসাম্প্রদায়িক কোনো অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করতে দেখবেন না। কারণ এই মানুষগুলো ব্যবসায়িক দৃষ্টিতে পর্দার অন্তরালে থেকে নানা ধরনের পরিস্থিতির সুযোগে তারা স্বার্থ হাসিল করায় নিয়োজিত থাকে এবং এই স্বার্থ হাসিলের সুরক্ষা হিসেবে তারা আন্তর্জাতিকভাবে অন্য মানুষদের হায়ার (ভাড়া) করে থাকেন; লবিস্ট নিয়োগ করে থাকেন। আমার ধারণা, যারা এই দেশে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সেই মানুষগুলো, প্রতিষ্ঠান বা দল সুরক্ষা পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে চাপ প্রয়োগের জন্য কৌশল গ্রহণ করেছেন এবং এটি ভাবার কোনো কারণ নেই যে এটি আমাদের স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর একটি হস্তক্ষেপ।

ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এসএম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহাম্মদ হাসান বাবু, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভূঁইয়া, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী প্রমুখ।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ১৯৯৮ সালের আগস্ট মাস থেকে ১৯৯৯ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত কিস্তি বাকি পড়ায় তিনি (ইউনূস) দরিদ্র মানুষের বিরুদ্ধে ১৩ হাজার সার্টিফিকেট মামলা করেছিলেন। সে সময় অনেক দরিদ্র মানুষ আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছেন। তিনি ১৩ হাজার মামলা করার পরও বিবৃতি দিয়েছেন আইনের চোখে সকলই সমান। তাহলে তিনি কি আইনের চোখে সমান নন? কাজেই ইউনূসের অনৈতিক কাজকর্মের বিরুদ্ধে যারা মামলা দায়ের করেছেন তাদেরও আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার রয়েছে। আইনের ওপর ভিত্তি করে এ মামলাগুলো ফয়সালা হবে।

মুহাম্মদ সামাদ আরও বলেন, তিনি (ইউনূস) একটি রাজনৈতিক দল তৈরি করেছিলেন। সরকার পরিচালনার খায়েশ তাঁর হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ে তাঁর ডাকে কেউ সাড়া দেয়নি। তিনি এর আগে পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিলেন যাতে পদ্মা সেতু না হয়। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ কিংবা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির কোনো কিছুর সঙ্গে কখনো যুক্ত হননি। তিনি কখনো শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধে যাননি। তিনি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কখনো কথা বলেন না। তাঁর প্রথম টার্গেট বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আমরা বিশ্বাস করি শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রতীক। স্বাধীনতার প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক। কাজেই শেখ হাসিনার ওপর যে আঘাত আসছেআমাদের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ ও স্থায়িত্বশীল চলমান গণতন্ত্র ব্যবস্থার ওপর যে আঘাত আসছে আমরা তার প্রতিবাদ জানাব।

অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল বলেন, বিচারব্যবস্থাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নোবেল বিজয়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন ড. ইউনূস। যারা বিবৃতি দিয়েছেন তারা সেই বিবৃতিটিকে পড়েছেন কিনা একজন শিক্ষক হিসেবে আমার প্রশ্ন আছে। এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে চলমান বিচার প্রক্রিয়াকে স্থগিত করে দেওয়ার জন্য। যে চলমান প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অধ্যাপক ড. ইউনূস প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা শ্রমিকদের দেওয়ার জন্য আদালতে রায় হয়েছে। সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা তিনি ইতিমধ্যে প্রদান করেছেন। কর ফাঁকির জন্য ১২ কোটি টাকা তিনি প্রদান করেছেন। তিনি বিচার ব্যবস্থা মেনে নিয়েছেন এবং বিচারব্যবস্থা মেনে নিয়ে তিনি যেখানে আপিল করার দরকার ছিল তিনি সেখানে আপিল করেছেন। তিনি যে ধরনের সুবিধা নেওয়ার দরকার ছিল সেই সকল সুবিধা নিয়ে চলমান বিচার ব্যবস্থাকে বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

মাকসুদ কামাল বলেন, নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর তিনি বলেছিলেন নোবেল পুরস্কারের অর্থ তিনি গরিবদের জীবন মানে উন্নয়ন এবং শিক্ষার জন্য ব্যয় করবেন। আমার প্রশ্ন হল কোন জায়গায় শিক্ষার জন্য তিনি ব্যয় করেছেন। তিনি গরিব মানুষের জন্য কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছেন এই টাকা দিয়ে এমন কোনো নজির আমার জানা নেই। তিনি (ইউনূস) আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দিয়ে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ওপরে চাপ প্রয়োগ করতে চাচ্ছেন। একটি দেশের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অর্থই হলো দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত আনা। আপনি কেন শহীদ মিনারে যান না, কেন স্মৃতিসৌধে যান না, কেন আপনি বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে চান না। এগুলো কি দেশ প্রেমের অংশ নয়। আপনার কি দেশপ্রেম আছে। যদি আপনার দেশ প্রেম থাকত তাহলে কোটি কোটি টাকা খরচ করে এতগুলো মানুষ থেকে কেন বিবৃতি চেয়ে নিতে হবে?

মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর