আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

তিন চাকার যান নিয়ে অসহায় পুলিশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উত্তরাঞ্চল মহাসড়কে এখন বড় বিপদ ত্রিচক্র যান। দূরপাল্লার যানবাহনের সঙ্গে গতির পাল্লা দিয়ে চলছে এই ঝুঁকিপূর্ণ বাহনগুলো। শুধু তাই নয়, এসব অবৈধ যানের স্ট্যান্ডও করা হয়েছে মহাসড়কের ওপরই। প্রধান সড়কগুলোতে সকাল থেকে গভীর রাত অব্দি দেখা যাচ্ছে তিনচাকার যানবাহনের রাজত্ব।

বগুড়াসহ উত্তরের বিভিন্ন জেলার মহাসড়কে গত তিন বছরে সিএনজি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ভটভটি দুর্ঘটনায় মারা গেছে দুই শতাধিক মানুষ। আহত হয়েছে এক হাজারেরও বেশি। অর্থাৎ প্রতি সপ্তাহে দুজন করে মানুষ মারা যাচ্ছে এবং সাতজন আহত হচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশ, যাত্রী কল্যাণ সমিতি ও বেসরকারি একাধিক এনজিওর তথ্য থেকে মিলেছে এই চিত্র।

যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক জানান, সরকারি আদেশ অমান্য করে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে অবাধে চলাচল করছে ইজিবাইক, সিএনজিসহ অন্য থ্রি-হুইলার। অতীতের চেয়ে এই চলাচল বেড়ে যাওয়ার কারণে অহরহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। এটা বন্ধ করা না গেলে সড়কে অরাজকতা কমবে না।

হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া রিজিয়নের পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, তাদের সব রকমের চেষ্টার পরেও মহাসড়কে ত্রিচক্র যান চলাচল বন্ধ করা যাচ্ছে না। তারা প্রতিনিয়ন অভিযান চালাচ্ছেন, চালকদের সচেতন করছেন, মামলা দিচ্ছেন। কিন্তু তারপরেও এই যানের দৌরাত্ম কমছে না। উল্টো মহাসড়কে থাকা পুলিশ সদস্যরা দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, মহাসড়ক নিরাপদ করতে হলে এখন পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও উদ্যোগ নিতে হবে।

দেখা গেছে, বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কের শাজাহানপুর উপজেলা অংশে মহাসড়ক দখল করে থাকে নিষিদ্ধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা। এই সড়কেই রয়েছে সিএনজির একাধিক অবৈধ স্ট্যান্ড। সেখানে এলোমেলোভাবে পার্কিং করা হচ্ছে শতশত অটোরিকশা।

যাত্রীরা বলছেন, মহাসড়কে অটোরিকশা ওঠা নিষিদ্ধ হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর তা বাস্তবায়নে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। আবার তিনজনের আসনে বসছেন পাঁচজন। যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠা-নামা করা হচ্ছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

আব্দুল কাদের নামে এক অটোরিকশাচালক বলেন, বগুড়া থেকে বিভিন্ন রুটে অন্তত তিনশ অটোরিকশা চলাচল করে। মহাসড়কের উভয়পাশ দিয়ে বগুড়া শহর এবং অন্য উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের শাখা সড়ক আছে। এতে সময় একটু বেশি লাগে, তবে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কম থাকে। কিন্তু রিজার্ভ না নিলে কেউ ছোট সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে না। মহাসড়কেই চলাচল করে।

উত্তরের জেলাগুলোর মধ্যে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল, বগুড়ার শেরপুর, নন্দীগ্রামের কুন্দারহাট ও গোবিন্দগঞ্জের ফাঁসিতলায় রয়েছে হাইয়ের পুলিশের থানা ও ক্যাম্প। অভিযোগ রয়েছে এসব থানা ও পুলিশ ক্যাম্পে দায়িত্বরত কিছু অসাধু পুলিশ সদস্য মাসিক চুক্তির ভিত্তিতে অবৈধ যানবাহনকে মহাসড়কে চলাচলের সুযোগ দিয়ে থাকেন। যার কারণে গোপনে নয়, বরং প্রকাশ্যে শোডাউন করে দূরপাল্লার যানবাহনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলেন তারা। গতির দিক থেকেও বাস-ট্রাককে পেছনে ফেলে রীতিমতো ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেন। আর বেপরোয়া গতির কারণে প্রায়ই বড় ধরনের দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় যাত্রীদের।

অটোরিকশার যাত্রী শেরপুরের মীর্জাপুর গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, মহাসড়কে চালকরা কারও কথা শোনেন না। তারা কেউই প্রশিক্ষিত নন। যাত্রীদের অনুরোধ উপক্ষো করে দ্রুতগতিতে চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটে।

আমেনা বেগম একটি এনজিওতে চাকরি করেন। তিনি বলেন, মহাসড়কে মাঝে মাঝে পুলিশকে তৎপর হতে দেখি। এটা হঠাৎ কেন আবার বন্ধ হয়ে যায়, সেটা বুঝতে কষ্ট হয় না। আসলে পুলিশের সঙ্গে চালকদের একটা মাসিক চুক্তি আছে। এটা অনেক চালক অবলীলায় স্বীকারও করেন। আবার কেউ স্বীকার করেন না। কিন্তু আমরা যারা নিয়মিত যাত্রী তারা মহাসড়কে পুলিশের এই হঠাৎ তৎপরতা বেশ ভালোই বুঝি। পুলিশ ব্যবস্থা নিলে ঝুঁকি অনেক কমে যেত।

শেরপুরের ধুনট মোড় এলাকার বাসিন্দা আকবর মিয়া বলেন, সকাল সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত স্ট্যান্ড এবং বাজারের মুখগুলোতে সিএনজি অটোরিকশা ঠাসাঠাসি করে থাকে। তিনজনের বসার আসন থাকলেও পাঁচজন যাত্রী নিয়ে চলাচল করে। যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠা-নামা করা হয়। বছরের পর বছর এই অবস্থা চলে আসছে। অথচ এই মহাসড়ক দিয়ে উত্তরাঞ্চলের ১১টি জেলার শতশত ভারী যানবাহন চলাচল করে। পাশেই হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা বিষয়গুলো দেখেও না দেখার ভান করে থাকেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বগুড়ার শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জয়নাল আবেদিন বলেন, মাসিক কোনো চুক্তি করা হয় না। আমরা সিএনজির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। মামলা দিচ্ছি। আসলে এরা পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে চলাচল করে।

দেশের মহাসড়কগুলোতে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বেড়ে যাওয়ায় ২০১৫ সালের ১ আগস্ট থেকে সব মহাসড়কে থ্রি-হুইলার অটোরিকশা, অটোটেম্পু ও সব শ্রেণির অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে আদেশ জারি করে সরকার। আদেশ জারির পর পুলিশ অভিযান চালালেও এখন তা অনেকটাই কমে এসেছে।

বগুড়া জেলা অটোটেম্পু, অটোরিকশা ও সিএনজি পরিবহন মালিক সমন্বয় কমিটির সাবেক সভাপতি আসাদুর রহমান দুলু দাবি করেন, এ জেলায় সবমিলিয়ে অন্তত ২০ হাজার থ্রি-হুইলার সড়ক ও মহাসড়কে চলাচল করে। এতে অন্তত ৩০ হাজার মানুষের জীবিকার ব্যবস্থা হয়। তবে আমরাও চাই এটা চলাচলে শৃঙ্খলা ফিরে আসুক। এ বিষয়ে সবার আগে মহাসড়কে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

সম্প্রতি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা সদরে গিয়ে দেখা গেছে, অন্ধকার মহাসড়কে শুধু সিএনজি অটোরিকশা নয়, ব্যাটারি ও পায়েচালিত রিকশা-ভ্যান চলাচল করছে। তাদের বেপরোয়া গতিতে চলাচলের কারণে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।

বিআরটিএ বগুড়া অফিসের সহকারী পরিচালক মাইনুল হাসান বলেন, দেশের ২২টি জাতীয় মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধে সরকারি নির্দেশ রয়েছে। মাঝে মাঝে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়। অনেক সময় মহাসড়কে গিয়ে কোনো থ্রি-হুইলার গাড়ি দেখা যায় না। আবার কখনো কখনো এত গাড়ি থাকে যে অভিযান চালাতে আমাদের হিমশিম অবস্থায় পড়তে হয়।


আরও খবর



এবার বিশ্বের ২৮ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধ আরোপ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন দেশের মোট ২৮টি প্রতিষ্ঠানের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, চীন, রাশিয়া, ফিনল্যান্ড ও জামার্নির প্রতিষ্ঠানসহ মোট ২৮টি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধ আরোপ করা প্রতিষ্ঠিানের মধ্যে চীনা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১১টি, আর রুশ প্রতিষ্ঠান রয়েছে পাঁচটি।

অভিযোগ করা হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠান ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার জন্য ড্রোন তৈরিতে ব্যবহৃত খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরি করছে। তাই এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রযুক্তি রপ্তানি করতে পারবে না মার্কিন সরবরাহকারীরা। 

আরও পড়ুন>> ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী সচিব রেনা বিটার

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এক বিবৃতিতে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রধান অ্যালান এস্তেভেজ বলেছেন, যারা ইউক্রেনে পুতিনের অবৈধ ও অনৈতিক যুদ্ধে সরঞ্জাম সরবরাহ ও সমর্থন করবে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও অর্থপূর্ণ ব্যবস্থা নিতে কোনো দ্বিধা করব না। এর আগে গত মঙ্গলবার তেহরানের ড্রোন ও সামরিক বিমান নির্মাণকে কেন্দ্র করে ইরান, রাশিয়া, চীন ও তুরস্কের সাত ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

ওই দিন বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, ওই সাত ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠান ইরানের এয়ারক্রাফ্ট ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানির চালান ও লেনদেনে সহায়তা করেছে। একই সঙ্গে তারা দেশটির ড্রোন ও সামরিক বিমান নির্মাণের চেষ্টায় সহায়তা করেছে।


আরও খবর



সিলেটে ট্রাকের ধাক্কায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ নিহত ২

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় মোটরসাইকেলে ট্রাকের ধাক্কায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার সালুটিকরের মিতৃমহল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সিলেট সদর উপজেলার ১ নং জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওবায়দুল্লাহ ইসহাক ও তার সহযাত্রী। চেয়ারম্যানের সহযাত্রী নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিউজ ট্যাগ: ট্রাকের ধাক্কা

আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে লক্ষ্মীপুরে দৃষ্টিনন্দন শিশু পার্ক পেলো শিশুরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শিশুদের বিনোদনের জন্য উপজেলা শিশু পার্কের উদ্বোধন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পৌরসভা সংলগ্ন রায়পুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে পার্কের উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এড. নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে শিশুদের এমন উপহার বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অঞ্জন দাশ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসেল ইকবালসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।

শিশুদের মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে ২ একর জমির ওপর ৫০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মিত শিশু পার্কটিতে নানা খেলনার উপকরণ রয়েছে। এছাড়াও পার্কের দেওয়ালে দৃষ্টিনন্দন নানা রকম চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটেন অতিথিরা।


আরও খবর



বিকেলে শোভাযাত্রা, রাজধানীর যেসব সড়ক এড়িয়ে চলবেন

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি শুভ জন্মাষ্টমী আজ বুধবার। দিবসটি উপলক্ষে বিকেলে শোভাযাত্রা বের হবে। রাজধানীর শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি বাহাদুর শাহ্ পার্কে গিয়ে শেষ হবে।

বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত শোভাযাত্রাটি চলবে। জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির-পলাশী বাজার-জগন্নাথ হল-কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার-দোয়েল চত্বর-হাইকোর্ট-বঙ্গবাজার-নগর ভবন-গোলাপ শাহ মাজার-গুলিস্তান মোড়-নবাবপুর রোড-রায়সাহেব বাজার মোড় হয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত যাবে।

পথযাত্রীদের এসব এলাকা পরিহার করতে বলেছেন ঢাকা মেটোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। সেই সঙ্গে শোভাযাত্রা চলাকালীন কিছু নির্দশনা দেওয়া হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে-

১. জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার রুটে কোনো ধরনের যানবাহন পার্কিং না করতে অনুরোধ করা হলো।

২. রুট এলাকার আশপাশের সব দোকান শোভাযাত্রা চলাকালীন বন্ধ রাখতে অনুরোধ করা হলো।

৩. উচ্চস্বরে সাউন্ড সিস্টেম না বাজানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।

৪. শোভাযাত্রার শুরুতেই যোগ দিতে হবে, কোনোভাবেই মাঝপথে কোনো ব্যক্তি শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

৫. নিরাপত্তার স্বার্থে হ্যান্ড ব্যাগ, ট্রলি ব্যাগ, বড় ভ্যানিটি ব্যাগ, পোটলা, দাহ্য পদার্থ, ছুরি, অস্ত্র, কাঁচি, ক্ষতিকারক তরল, ব্লেড, দিয়াশলাই, গ্যাসলাইট ইত্যাদি সঙ্গে নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া যাবে না।

৬. শোভাযাত্রা চলাকালীন রুটে কোনো ধরনের ফলমূল ছোড়া যাবে না।

৭. শোভাযাত্রা চলাকালীন রাস্তায় অহেতুক দাঁড়িয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।

৮. সন্দেহজনক কোনো ব্যক্তি বা বস্তু দেখা গেলে তাৎক্ষণিক কাছাকাছি থাকা পুলিশকে জানানোর অনুরোধ

৯. শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবক ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পরামর্শ মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হলো।

১০. ব্যারিকেড, পিকেটিং ও আর্চওয়ে ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত পুলিশকে দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করুন।


আরও খবর



পরমাণু অস্ত্র নিয়ে বিশ্বকে যেভাবে সতর্ক করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পরমাণু অস্ত্র বিশ্বকে সতর্ক করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থনি গুতেরেস। তিনি মূলত বিশ্বকে একটি নতুন পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতায় প্রবেশ করা এবং বিশ্বজুড়ে ধ্বংসের ছায়া ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সভার শেষ দিনে তিনি বলেছেন, একটি উদ্বেগজনক নতুন অস্ত্রের প্রতিযোগিতা চলছে এবং কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা বাড়তে পারে।

বিশ্বের নতুন পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতাকে পাগলামি হিসেবে বর্ণনা করে গুতেরেস বলেন, পারমাণবিক অস্ত্রের যেকোনো ব্যবহার তা যেকোনো সময়, স্থান বা  যেকোনো প্রসঙ্গে হোক না কেন, তা ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনবে এবং আমাদের অবশ্যই এ পথ পরিবর্তন করতে হবে।

বিশ্ব পারমাণবিক অস্ত্রের ছায়ায় দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেছে উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিব বিশ্বের দেশগুলোকে বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে আসার আহ্বান জানান।

বিশ্বে পারমাণবিক অস্ত্রাগারের বৃদ্ধি এবং ক্রমাগত পারমাণবিক অস্ত্রের বিকাশের প্রতিযোগিতা এবং এগুলোর ব্যবহার বিশ্বব্যাপী জননিরাপত্তাকে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নজিরবিহীন প্রতিযোগিতা চলছে। আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমা দেশের হুমকি মোকাবেলায় নিজের দৃঢ় সংকল্প দেখানোর জন্য মস্কো তার পারমাণবিক শক্তি প্রদর্শনের কথা বিবেচনা করলে জাতিসংঘ মহাসচিবের পারমাণবিক সতর্কতা  কতটা গভীর তা সহজেই বোধগম্য হচ্ছে। 

আরও পড়ুন>> ৫ বছরে সশস্ত্র বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে ২৩ ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম

প্রকৃতপক্ষে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্ব শীতল যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে প্রথমবারের মতো একটি পারমাণবিক যুদ্ধের দুঃস্বপ্নের মুখোমুখি হয়েছে।

এই বিষয়ে রুশ নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি এবং রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ ন্যাটোকে হিটলারের মতো একটি ফ্যাসিবাদী ব্লক হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, রাশিয়া প্রয়োজনে ন্যাটাকে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ন্যাটো ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের ফলে মানবতার জন্য ১৯৪৫ সালের (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ) তুলনায় অনেক বেশি ক্ষতি হবে।

পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার চুক্তি (এনপিটি) ১৯৭০ সাল থেকে কার্যকর হয়েছে এবং এদে বিশ্বের বিদ্যমান অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তিগুলোর মধ্যে সর্বাধিক স্বাক্ষরকারী রয়েছে এবং ১৯১টিরও বেশি দেশ এতে যোগ দিয়েছে। এনপিটি চুক্তি বাস্তবায়নের পর থেকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ এবং এই মারাত্মক অস্ত্র ধ্বংস করার প্রচেষ্টা জাতিসংঘের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে। তবে এই চুক্তিটি উপেক্ষিত হয়েছে বিশেষ করে পারমাণবিক অস্ত্রাগারের মালিকরা এই চুক্তি বারবার লঙ্ঘন করেছে।

প্রকৃতপক্ষে পৃথিবী ৭৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে পারমাণবিক যুদ্ধের মতো একটি ভয়াহব দুঃস্বপ্নের মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। প্রধান পারমাণবিক শক্তিগুলো এখনও তাদের পারমাণবিক অস্ত্রাগার আধুনিকীকরণ করছে। যে পাঁচটি দেশ পারমাণবিক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য, সেইসাথে গত কয়েক দশকে বিভিন্নভাবে পারমাণবিক রাষ্ট্রের ক্লাবে যোগদানকারী যে দেশগুলো গড়ে উঠছে তারা তাদের অস্ত্র এবং পারমাণবিক লঞ্চার সিস্টেম স্থাপন এবং এগুলোর আপডেট  অব্যাহত রেখেছে।

এই বিষয়ে গুতেরেস পারমাণবিক শক্তি অর্জনকারী দেশগুলোর সমালোচনা করে বলেছেন,  তারা তাদের অস্ত্রগুলোকে আরও দ্রুত, আরও নির্ভুল করে আধুনিকরণ করছে  এবং এগুলোকে সনাক্ত করা আরও কঠিন করে তুলেছে।

অন্যদিকে, পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ করতে এবং পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের অগ্রগতি রোধ করার জন্য অতীতে যে কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল  আজ অকার্যকর হয়ে পড়েছে।


আরও খবর