আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম
মেঘনার তীররক্ষা বাঁধ

তিন হাজার ৯০ কোটি টাকার প্রকল্পে সুফল মিলবে কি?

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুলাই ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুলাই ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার মতিরহাট থেকে রামগতি উপজেলা পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার মেঘনা নদীর উপকূল। খরস্রোতা হওয়ায় বর্ষা কিংবা শুষ্ক- দুই মৌসুমেই নদীতে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, ফসলি জমি, রাস্তাঘাটসহ নানা অবকাঠামো। গত ৩০ বছরে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে কয়েক কিলোমিটার এলাকা।

উত্তাল মেঘনার এ করালগ্রাস থেকে দুই উপজেলার বড়খেরী ও লুধুয়াবাজার এবং কাদিরপণ্ডিতেরহাট এলাকা রক্ষায় সরকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়। ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ৮৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। গত বছরের শুরুর দিকে নির্মাণকাজ শুরু হলেও ঠিকাদারের গাফিলতি ও কাজের ধীরগতির কারণে প্রতিনিয়তই ভাঙনের কবলে পড়ছে উপকূলবাসী। এবারের বর্ষায় ভাঙন আরো তীব্র আকার ধারণ করেছে।

মেঘনার তীররক্ষা বাঁধ প্রকল্পের সব প্যাকেজের কাজ একযোগে শুরু না হওয়ায় ভাঙনের মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। আবার বিপুল অর্থ ব্যয়ে নির্মাণাধীন প্রকল্পের কাজের মান নিয়েও উঠছে নানা প্রশ্ন। কমলনগরের পাটওয়ারীহাট রাস্তার মাথার দক্ষিণাংশের বাঁধের ওপর দিয়ে গত কয়েকদিন জোয়ারের পানি আসা-যাওয়া করছে। এতে বাঁধ টেকসই ও সুফল মেলা নিয়ে শঙ্কিত নদীতীরের বাসিন্দারা। কাজের ধীরগতির কথা স্বীকার করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্তাব্যক্তিরাও। তবে তাদের যুক্তি হলো, বর্ষার আগে বালি সংকটের কারণে প্রকল্পের কাজ ঠিকমতো করা যায়নি। এখন নদীর স্রোতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বাঁধ নির্মাণকাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

জানা গেছে, মেঘনার ৩৩ দশমিক ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধ নির্মাণের প্রকল্পটি ২০২১ সালের ১ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে পাস হয়। এটি বাস্তবায়নে পুরো প্রকল্পকে ৯৯টি প্যাকেজে ভাগ করে একই বছরের আগস্টে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় এখন পর্যন্ত পাউবোর পক্ষ থেকে ৪৩টি লটের বা সাড়ে ১৩ কিলোমিটার এলাকার জন্য ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে কমলনগরে আট ও রামগতিতে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার। কমলনগর অংশে ২৬টি ও রামগতি অংশে ১৭টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণে কাজ করছে। নতুন করে আরো ৩৪টি লটের ওয়ার্ক অর্ডারের কাজ অনুমোদনের অপেক্ষায় বলে জানিয়েছেন পাউবোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উদ্বোধনের পর ১৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করলেও তিন মাসের মাথায় বালি সংকটসহ নানা অজুহাতে তীররক্ষা বাঁধ বন্ধ রাখে। সম্প্রতি চাপের মুখে ঠিকাদাররা কাজ শুরু করলেও তেমন কোনো অগ্রগতি নেই নির্মাণকাজে। বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ভেঙে ঢুকে পড়ছে জোয়ারের পানি। প্লাবিত হচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা। এতে কাজের মান নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। কমলনগর উপজেলার পাটওয়ারীহাট রাস্তার মাথার দক্ষিণাংশের নির্মাণাধীন বাঁধের ওপর দিয়ে কয়েকদিন জোয়ারের পানি গড়াচ্ছে। এতে বাঁধ টেকসই হওয়া নিয়ে শঙ্কিত নদীতীরের বাসিন্দারা। নির্মাণাধীন বাঁধের ওই অংশের দায়িত্বে রয়েছে ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এদিকে উপকূলের বাসিন্দারা জানায়, ৩ হাজার ৯০ কোটি টাকার তীররক্ষা বাঁধ প্রকল্পের আগেও রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ভাঙন ঠেকাতে প্রায় ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। সেনাবাহিনী বাঁধ নির্মাণ করায় রামগতি বাজার ও আলেকজান্ডারের সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকা ভাঙন থেকে রেহাই পায়। তবে একই প্রকল্পে কমলনগর উপজেলার মাতাব্বরহাট এলাকায় ঠিকাদারের মাধ্যমে নির্মিত এক কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের পর আটবার ধসে পড়েছে।

সরেজমিন কমলনগর ও রামগতি উপজেলার কয়েকটি অরক্ষিত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বর্ষায় তীব্র স্রোতে নদীর পাড় ভেঙে পড়ছে। বিলীন হচ্ছে গাছপালা, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ঘরবাড়ি ও দোকানপাট সরিয়ে নিচ্ছে উপকূলের বাসিন্দারা। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাকি লটগুলোর বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু না হলে ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়বে উপকূলবাসী। এতে ভেস্তে যেতে পারে সরকারের ৩ হাজার ৯০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প।

কমলনগরের উপকূলীয় সাংবাদিক সাজ্জাদুর রহমান জানান, রক্ষাবাঁধ নির্মাণকাজের উদ্বোধন হলেও যথাসময়ে একযোগে কাজ শুরু করা হয়নি। উদ্বোধনের পর দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এরপর জিও ব্যাগ ডাম্পিং হচ্ছে। এখনো অনেক স্থানেই জিও ব্যাগ ডাম্পিংই করা হয়নি। যথাসময়ে রামগতি-কমলনগর তীররক্ষা বাঁধ বাস্তবায়ন না হলে এখানকার মানুষ সুফল থেকে বঞ্চিত হবে। বর্ষা মৌসুম এলেই তীররক্ষা বাঁধ না থাকার কারণে জোয়ারের পানিতে বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হয়। অরক্ষিত হয়ে পড়ে উপকূল। মেঘনাপাড়ের মানুষের সুরক্ষায় দ্রুত নদীর তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করা জরুরি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সেনাবাহিনীকে দিয়ে নদীর তীররক্ষা বাঁধ প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই কাজ শুরু করা হয়। এখানে শুষ্ক মৌসুমেও নদীভাঙন অব্যাহত ছিল। বর্ষার আগে পর্যাপ্ত পরিমাণ জিও ব্যাগ ডাম্পিং না করায় বর্ষায় কমলনগর-রামগতির বিস্তীর্ণ জনপদ এখন নদীতে বিলীন হওয়ার পথে। নদীর তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজের দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন তারা।

কমলনগরের চরলরেঞ্জ ইউনিয়নের নবীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা সফিক মাঝি বলেন, পুরান সাহেবের হাট থেকে শুরু করে হাজিগঞ্জ ও নবীগঞ্জ ১০ বছর ধরে ভাঙছে। এবারের বর্ষায়ও ভাঙছে, কিন্তু রক্ষাবাঁধ নির্মাণ বা জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্টদের। তারা এসে এসে শুধু দেখেই যায়।

নদীপাড়ের তেল ব্যবসায়ী রাশেদ বলেন, হাজিগঞ্জ থেকে প্রায় এক কিলোমিটার নদী ভেঙেছে। এতে ১৫ বার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সরাতে হয়েছে। এখন আবার ভাঙনের কবলে পড়তে হচ্ছে। অথচ দুই পাশের ইউনিয়নে দুই লটে দুজন ঠিকাদারের লোকজন জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ করছেন। কিন্তু ভাঙন এলাকায় কারো চোখ পড়ে না।

এদিকে কমলনগর উপজেলায় চারটি প্যাকেজের কাজ করছেন মেসার্স সালেহ আহম্মদ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম জানান, সাড়ে ১২ মিটার বাঁধ নির্মাণকাজ পেয়েছেন তারা। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৪ কোটি টাকা। এরই মধ্যে জিও ব্যাগ ডাম্পিং ও মাটি ভরাট করে বাঁধের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ব্লক নির্মাণকাজ করা হচ্ছে। বর্ষায় কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। তবে সরকারের উন্নয়ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যথাসময়ের মধ্যে তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৩০০ মিটার কাজের ওয়ার্ক অর্ডার পায় মেসার্স এম আর কনস্ট্রাকশন ও কে কে এন্টারপ্রাইজ নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। চরলরেঞ্জ ইউনিয়নের চরলরেঞ্জ গ্রামে নদীপাড়ের জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ করছে তারা। জানতে চাইলে যৌথ প্রতিষ্ঠানের সাব-ঠিকাদার কবির হোসেন জানান, কাজের ওয়ার্ক অর্ডার দেরিতে পাওয়ায় কাজও দেরিতে শুরু করেছেন তিনি। আগামী বছরের জুনের মধ্যে বাঁধ নির্মাণকাজ শেষ করার কথা রয়েছে তার। বর্ষার শেষে মাটি ফেলে ও ব্লক স্থাপন করে বাঁধ নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হবে। তবে কাজে কোনো গাফিলতি হচ্ছে না। 

লক্ষ্মীপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ জানান, রামগতি-কমলনগর মেঘনা নদীর তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পে ১৩ কিলোমিটার এলাকায় এখন পর্যন্ত ৪৩টি লটের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে বর্ষাকালীন নদী উত্তাল থাকায় প্রকল্পের কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে আগামী অর্থবছরের মধ্যে ব্লক নির্মাণকাজসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করা হবে। যেসব স্থানে কার্যাদেশ দেয়া সম্ভব হয়নি তবে বর্ষায় ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে, সেসব স্থান আপৎকালীন জরুরি মেরামতের আওতায় এনে জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের মাধ্যমে নদীভাঙন রোধের চেষ্টা করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: লক্ষ্মীপুর

আরও খবর



টিপু-প্রীতি হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি শেষ, আদেশ ২৯ এপ্রিল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ৩৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আলী হোসাইনের আদালতে এ মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য ধার্য ছিল। এদিন ২৬ আসামির পক্ষে অব্যাহতি ও ১৯ আসামির জামিন চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবীরা। শুনানি শেষে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ও জামিনের বিষয়ে আদেশের জন্য ২৯ এপ্রিল ধার্য করেন।

এর আগে গত বছরের ৫ জুন শাহজানপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় এ চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার। প্রতিবেদনে ৩৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার। তবে এক্সেল সোহেল নামে এক আসামির পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা না পাওয়ায় তাকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিচারের জন্য ৩৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। পরে ২০ জুন এ মামলায় বিদেশে পলাতক দুই সন্ত্রাসী জিসান ও ফ্রিডম মানিকসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত।

চার্জশিটভুক্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ তালুকদার,ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মারুফ আহমেদ মনসুর, মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম, মতিঝিল থানা জাতীয় পার্টির নেতা জুবের আলম খান রবিন, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সোহেল শাহরিয়ার, ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি মারুফ রেজা সাগর, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান বাবুল, ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সদস্য কাইল্যা পলাশ, একই ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক নেতা আমিনুল, ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ঘাতক সোহেল, সুমন শিকদার মুসা, মুসার ভাগনে সৈকত, মুসার ভাতিজা শিকদার আকাশ, ইমরান হোসেন জিতু, মোল্লা শামীম, রাকিব, বিডি বাবু, ওমর ফারুক, কিলার নাসির, রিফাত, ইশতিয়াক হোসেন জিতু, মাহবুবুর রহমান টিটু, হাফিজ, মাসুম ও রানা মোল্লা। এদের মধ্যে মুসা, শুটার আকাশ ও নাসির উদ্দিন মানিক আদালতে সেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

২০২২ সালের ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শো-রুমের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এসময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতি (১৯) নামে এক কলেজছাত্রীও নিহত হন। এছাড়া টিপুর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন।

চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর ওইদিন রাতেই শাহজাহানপুর থানায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে টিপুর স্ত্রী অভিযোগ করেন, ২০২২ সালের ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুর থানার ২০২ উত্তর শাহজাহানপুর মানামা ভবনের বাটার দোকানের সামনে পৌঁছামাত্র অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা হামলা করেন। তারা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করেন।


আরও খবর



নরসিংদীতে বজ্রপাতে একই পরিবারের ২ জনসহ নিহত ৩

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীতে বজ্রপাতে দুই নারীসহ মোট ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। শনিবার (১৮ মে) দুপুরে সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালীতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, সকালে আলোকবালী গ্রামের ইমন মিয়া, সুফিয়া বেগম এবং কাইয়ুম মিয়া মাঠে ধান কাটতে যান। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিল পরিবারের আরও ৩ সদস্য। দুপুর ১২টার দিকে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হলে বজ্রপাতে ৩ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় আহত হন আরও ৩ জন। নিহত সুফিয়া এবং ইমন সম্পর্কে মা-ছেলে। স্থানীয়রা আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

নরসিংদী সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মাহমুদুল কবির বাশার বলেন, মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। আহতরা চিকিৎসাধীন।


আরও খবর



উন্নয়ননের অপর নাম শেখ হাসিনা : মাহবুবুর রহমান

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়ন হয় এটা সকলের জানা। সরকারের কাজ উন্নয়ন করা আর উন্নয়নের অপর নাম শেখ হাসিনা।

শনিবার ঢাকার দোহার উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান এ মন্তব্য করেন।

মাহবুবুর রহমান বলেন, আমার রাজনীতির জীবনে স্বপ্ন ছিলো তৃণমূলের মানুষদের সেবা করবো। মহান আল্লাহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে আমাকে সেই দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি আমাকে দেওয়া দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করে যাচ্ছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।

চেয়ারম্যান বলেন, আমি কারো মুখের কথায় কোনো উন্নয়ন কাজ করি না। আমি সরাসরি ওই এলাকায় গিয়ে যেসকল উন্নয়ন প্রয়োজন তাই করে দিচ্ছি।

এসময় দিনব্যাপি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২টি আরসিসি রাস্তা, একটি ড্রেন ও একটি মসজিদের উন্নয়ন ফলক উদ্বোধন করেন।

উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল রাজ্জাক, উপসহকারী প্রকৌশলী মোতালেব হোসেন, নারিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শেখ শাহাবুদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, সাজ্জাদ হোসেন সাজু, মোস্তফা মোল্লা, আজাদ খান, চঞ্চল মোল্লা, মুক্তার হোসেন, মেহেদী হাসান সাদ্দামসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীরা।

নিউজ ট্যাগ: দোহার

আরও খবর



গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: স্টেশন মাস্টারসহ বরখাস্ত ৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের জয়দেবপুরে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে তেলবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় স্টেশন মাস্টারসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এই ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

এদিকে ঘটনার পর থেকে জয়দেবপুর স্টেশন দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম রুটের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়েছে অন্তত ৬টি ট্রেন।

জয়দেবপুরের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী মিয়া বলেন, আজ পৌনে ১১টার দিকে টাঙ্গাইল কমিউটার ও তেলবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। রেললাইনের পয়েন্টের ভুলের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে তেলবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়। কমিউটার ট্রেনটিতে যাত্রী কম থাকায় হতাহতের সংখ্যা কম। কমিউটার ট্রেনের লোকোমাস্টারসহ চারজন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আপঘুন্টি স্টেশন মাস্টার হাশেম ও পয়েন্টসম্যান সাদ্দাম হোসেনসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বগি উদ্ধারের জন্য ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুস সামাদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। এরই মধ্যে রেলের সব বগি তল্লাশি করা হয়েছে। তবে ভেতরে কেউ আটকা নেই। ট্রেনের চালক ও সহকারী চালকসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

তিনি বলেন, জয়দেবপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিগন্যাল ভুল, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন যাত্রা বিরতি করা হয়েছে। দ্রুত উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

এরআগে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সঙ্গে একটি তেলবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

তিনি জানান, রেল দুর্ঘটনায় দুই ট্রেনের চালক ও সহকারীরা আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া রেল দুর্ঘটনায় ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে কমলাপুর রেলস্টেশনে আটকা পড়েছেন ৪-৫টি ট্রেনের যাত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে এসে গাজীপুর হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিল না।

একজন উদ্ধারকর্মী জানান, শুক্রবার টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি বন্ধ থাকে। অন্যান্য দিন ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনে থামে। আজ বন্ধ থাকায় এটির থ্রোপাস করার কথা। আর অপরদিকে ঢাকা থেকে আসা তেলবাহী ট্রেনটি স্টেশনে দাঁড়ানো ছিল। এখানে আপলাইন ও ডাউনলাইন আছে, কিন্তু কী কারণে ট্রেন দুটি মুখোমুখি হল সে বিষয়ে তদন্তের পর জানা যাবে।

এর আগে গতকাল রাজবাড়ীতে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ৩ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন এসে লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করে।

রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটি সকালে ২ নম্বর রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় লাইনচ্যুত হয়। তখন এ রুটে সব রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন সাড়ে ১০টার দিকে লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করে। বর্তমানে রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।

এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় ২ নম্বর রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় মালবাহী ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এতে মেইন লাইন ব্লক হয়ে যাওয়ায় রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

খবর পেয়ে তিন ঘণ্টা পর ট্রেনটি উদ্ধার করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রাজবাড়ীর সঙ্গে স্বাভাবিক হয়েছে ট্রেন চলাচল।


আরও খবর



সিনিয়র না হলে জয়কে থাপড়াতাম : মিষ্টি জান্নাত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সম্প্রতি ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ের গুঞ্জন উঠেছে চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাতের। এই গুঞ্জনের সূত্রপাত, কিছু সংবাদকে কেন্দ্র করে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, শাকিবের জন্য চিকিৎসক পাত্রী খুঁজছে তার পরিবার। ইতোমধ্যে একজনকে নাকি বেশ পছন্দ হয়েছে তাদের। তবে সেই পাত্রীর পরিচয় এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।

চিকিৎসক পাত্রীর খবর প্রচার হতেই অনেকে দাবি করছেন শাকিবের হবু বউয়ের নাম ডাক্তার মিষ্টি জান্নাত। যিনি ঢাকাই সিনেমার একজন অভিনেত্রী। পাশাপাশি চিকিৎসকও বটে।

বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন এই নায়িকা নিজেও। শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ের খবরটি অস্বীকার না করলেও গুঞ্জন হিসেবেই রাখতে চেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বলেছেন, শাকিব খানকে ছোটবেলা থেকেই পছন্দ করেন।

শাকিব-মিষ্টির বিয়ের সেই গুঞ্জনে যোগ দিয়েছেন অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। সম্প্রতি মিষ্টি জান্নাতকে নিয়ে তিনি বলেছেন, ওই মেয়ে ভাইরাল হতেই শাকিবকে জড়িয়ে এসব কথা বলছেন। শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ে হলেও সেটা টিকবে না।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন মিষ্টি জান্নাত। তার দাবি, শাহরিয়ার নাজিম জয় তাকে চেনেন। তবুও না চেনার অভিনয় করেছেন।

এই অভিনেত্রী বলেন, ‘‘জয় ভাইয়াকে দেখলাম, সে বলছেন- ওই যে একটা মেয়ে, শাকিব খানকে নিয়ে ভাইরাল হতে চান। তিনি একজন ডাক্তার পাশাপাশি অভিনেত্রী, যেটা মিলে গেছে। তাদের বিয়ে হলেও সেটা টিকবে না। এটা উনি কীভাবে জানলো? কীভাবে বললো? এটা আমার প্রশ্ন।’’

মিষ্টি জান্নাত বলেন,  সে আমাকে চেনে। গত পরশুদিন আমাকে টেক্সট করে বলছে, মিষ্টি কোথায় আছো? চলো লং ড্রাইভে যাই। অথচ, এমন একটা ভাব নিল, সে আমাকে চেনেই না।  জয় তাকে প্রায়শই মেসেজ দেন। নিকেতনে আসলে একসঙ্গে বসে কফি খান। তবুও তাকে না চেনার ভান করেছেন।

মিষ্টি জান্নাত বলেন, সে বললো, ওই যে একটা মেয়ে। এটা কেন বলবে? আমি কষ্ট পেয়েছি। যদি সে সিনিয়র না হতেন, তাহলে তাকে ধরে থাপড়াতাম। তার প্রোগ্রামে গেলেও এমন করে। অফস্ক্রিনে চুমু দেওয়ার চেষ্টা করে। আমার কাছে সেসবের ভিডিও আছে। সে অনেক নেগেটিভ কথা বলে।

উল্লেখ্য, ঢাকাই সিনেমায় পরিচিত মুখ মিষ্টি জান্নাত। ২০১৪ সালে লাভ স্টেশন সিনেমার মাধ্যমে শুরু করেন রুপালি পর্দার ক্যারিয়ার। এরপর নিয়মিত কাজ করেছেন সিনেমায়। অভিনেত্রী পরিচয়ের বাইরে মিষ্টি জান্নাত একজন দন্ত্য চিকিৎসক।


আরও খবর