আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

তিন মাস সুন্দরবনে প্রবেশ করা যাবে না

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ৩১ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

মাছ ও বন্যপ্রাণীর বংশবৃদ্ধি, বিচরণ এবং প্রজনন কার্যক্রমের সুরক্ষায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে তিন মাসের জন্য বন্ধ হচ্ছে সুন্দরবনে প্রবেশাধিকার। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত পর্যটক প্রবেশ ও সাধারণ মানুষের চলাচলসহ নদী-খালে মাছ শিকারও বন্ধ থাকবে।

সুন্দরবন মৎস্য সম্পদের ভাণ্ডার নামে পরিচিত। তাই মাছের প্রজনন ও বন্যপ্রাণী বংশবৃদ্ধি নির্বিঘ্ন করতে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সব ধরনের নৌযান, পর্যটকবাহী লঞ্চ-জালিবোটসহ সব ধরনের জেলে বাওয়ালি বনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার কারণে গত ২০ মে থেকে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়েছে। এ নির্দেশনা থাকবে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত। এ ছাড়া ১ জুন থেকে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে ঢুকতে পারবেন না কোনো পর্যটকও। ওই সময়ের মধ্যে কোনো নৌযানও প্রবেশ করতে পারবে না সুন্দরবনসহ কোনো পর্যটক স্পটে।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, এখন সুন্দরবনে ২৫১ প্রজাতির মাছের প্রজনন মওসুম। তাই বন বিভাগ থেকে জেলেদের জন্য সব ধরনের পাস পারমিট বন্ধ রাখা হয়েছে। বনের নদী ও খালে নৌযান চলাচল করলে মাছের ডিম ছাড়তে সমস্যা হবে। তাই সব ধরনের নৌযান চলাচলও বন্ধ থাকবে। বনে ৩১৫ প্রজাতির পাখি, ৩৫ প্রকারের সরীসৃপ, ৪২ প্রকারের স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে।

এসব বণ্যপ্রাণীর মধ্যে রয়েছেবাঘ, হরিণ, শুকর, বানর, কুমির, ডলফিন, ভোদড়, বনবিড়াল ও মেছোবাঘ। এখন তাদের প্রজনন মওসুম চলছে। এ জন্যই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বন, পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তর।

সরকারের এমন সিদ্ধান্তের ফলে পর্যটকদের জন্য দেশের একমাত্র বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র করমজল, পর্যটক স্পট হারবাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, হিরোন পয়েন্ট, নীল কমল, দুবলা, আলোর কোল, টাইগার পয়েন্ট কলাগাছিয়াসহ ১১টি স্পটে বন্ধ হচ্ছে পর্যটক প্রবেশ।

এমন সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক বলে মনে করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বাগেরহাট জেলা শাখার আহ্বায়ক নুর আলম শেখের। তিনি বলেন, বন সংলগ্ন পশুর নদে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ ও দেশীয় লাইটার চলাচল স্বাভাবিক রেখে শুধু পর্যটক বহনকারী লঞ্চ ও জেলেবাওয়ালিদের নৌকা-ট্রলার বন্ধ করে প্রজননের কোনো লাভ হবে না।  নদী ও খালে নৌযান বা পর্যটকরা বনের অভ্যন্তরে চলাচলের সময় শব্দ করলে প্রজনন বিঘ্নিত হবে। তাই নৌকা বা ট্রলার নিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ হয়েছে। কিন্তু জাহাজ ও লাইটার চলাচল করলে একই শব্দ হবে। তাহলে প্রজনন তো বিঘ্নিত হচ্ছেই।

বাপার এ নেতার অভিযোগ, বনের নিষিদ্ধ খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করে স্থানীয় কিছু লোক। আর ওইসব ব্যক্তিদের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করে বনের অসাধু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী।

নিউজ ট্যাগ: সুন্দরবন

আরও খবর



রমজানে ৫০ লাখ পরিবারকে চাল দেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান উপলক্ষে আগামী ১০ মার্চের মধ্যে ৫০ লাখ পরিবারকে দেড় লাখ টন চাল বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

আজ সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চলা জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শেষে করা প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই তথ্য জানান।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ১ মার্চ থেকেই লিফটিং (ডিলারদের চাল ওঠাতে) করতে বলেছি। ১ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত আমাদের একটি সিদ্ধান্ত ছিল। সেটা কমিয়ে ১০ মার্চের মধ্যে ৫০ লাখ পরিবারকে দেড় লাখ টন খাদ্য বিতরণ শেষ করা হবে।

এর ফলে বাজারে স্বস্তি ফিরবে কি না, এমন প্রশ্নে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেড় লাখ টন চাল যদি বাজারে ১৫ টাকা দরে যায়, তাহলে ৫০ লাখ পরিবারকে তো আর বাজার থেকে চাল কিনতে হবে না। এতে স্বস্তি আসবে বলে মনে করি।

২০ ফেব্রুয়ারি থেকে বস্তায় চালের দাম ও জাত লেখা থাকার সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে কি না, জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরিপত্র জারি করব বলেছিলাম আর কার্যকর করব ১৪ এপ্রিল বা পহেলা বৈশাখ থেকে। তখন বাজারে বোরোর নতুন চাল আসবে। যেসব চাল এখন বাজারে বস্তাবন্দী আছে এবং সিল মারা আছে, সেগুলো এখন আর কেউ প্যাকেট চেঞ্জ করবে না। কাজেই নতুন বছরে বোরো চাল উঠবে, তখন থেকে এটা কার্যকর হবে।

ডিসিদের কাছে হালনাগাদ তথ্য আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিসি ও মিলমালিকদের সঙ্গে মিটিং শুরু হয়েছে। ধান ও চালের জাতের যে নমুনা, সেটা তাদেরও সরবরাহ করা হচ্ছে। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট সে জাতগুলো দিয়েছে। আউশ, আমন ও বোরোতে কোন কোন জাত, কোনটা মোটা, মাঝারি ও সরু সেই জাত দিয়েছে, সেটা নিয়ে তাদের সঙ্গে কাজ করছি।

মন্ত্রী বলেন, মজুদবিরোধী অভিযান অনেকাংশেই সফল হয়েছে। ডিসিদের নির্দেশনা দিয়েছি যাতে বস্তার গায়ে জাতের নাম লেখা নিয়ে যে পরিবর্তন এসেছে, সেটা বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করে।


আরও খবর



দেশের ২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস নেই: টিআইবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

১৮ দশমিক ৯ শতাংশ বাসের নিবন্ধন, ২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস, ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ বাসের ট্যাক্স টোকেন ও ২২ শতাংশ বাসের রুট পারমিট নেই বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সড়কে বাণিজ্যিকভাবে চলাচলকারী প্রত্যেকটি বাসের জন্য নিবন্ধন ও তিন ধরনের সনদ বাধ্যতামূলক রয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবি কার্যালয়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন বাস পরিবহন ব্যবসায় শুদ্ধাচার’—শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংস্থাটির দাবি, বাসকর্মী-শ্রমিকেরা মনে করেন১৮ দশমিক ৯ শতাংশ বাসের নিবন্ধন, ২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস, ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ বাসের ট্যাক্স-টোকেন ও ২২ শতাংশ বাসের রুট পারমিট নেই।

যাত্রী সেবা প্রসঙ্গে টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জরিপে অংশগ্রহণকারী ৭৫ দশমিক ৮ শতাংশ যাত্রী, ৪৮ শতাংশ শ্রমিক এবং ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ মালিক বাসের মাত্রাতিরিক্ত গতিকে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

টিআইবির গবেষক মুহা. নূরুজ্জামান ফারহাদ, ফারহানা রহমান ও মোহাম্মদ নূরে আলম গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন। মূলত বাসের যাত্রী, মালিক, বাসকর্মী ও শ্রমিকদের ওপর চালানো এক জরিপের ভিত্তিতে এই তথ্য উপস্থাপন করেছে সংস্থাটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাস শ্রমিকদের দৈনিক প্রায় ১১ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। যাদের মধ্যে ৮২ শতাংশের কোনো নিয়োগপত্র নেই, ৬৯ দশমিক ৩ শতাংশের নেই নির্ধারিত মজুরি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২২ দশমিক ২ শতাংশ কর্মী বা শ্রমিকদের মতে, চালকেরা মদ্যপান বা নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে গাড়ি চালান এবং কন্ডাক্টর, হেলপার বা সুপারভাইজার বাসে দায়িত্ব পালন করেন। নির্দেশনার যথাযথ প্রয়োগের অভাবে চলন্ত বাসে চালকেরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে, ফলে অনেক সময় প্রাণহানিসহ দুর্ঘটনা ঘটে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। প্রসঙ্গত, বিআরটিএর তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫,০২৪ জন এবং যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্যানুযায়ী এ সংখ্যা ৭,৯০২ জন।


আরও খবর



বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

জ্বালানি তেলের দাম কমেছে বিশ্ববাজারে। বুধবার (২০ মার্চ) বিকেলের দিকে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম মে মাসের জন্য ব্যারেলপ্রতি ৭২ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৮২ শতাংশ কমে ৮৬ দশমিক ৬৬ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

তাছাড়া এপ্রিল মাসের জন্য ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টার মিডিয়েটের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮৪ সেন্ট বা এক দশমিক শূন্য এক শতাংশ কমে ৮২ দশমিক ৬৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

দুই বেঞ্চমার্কের দামই আগের সেশনের তুলনায় ব্যারেলপ্রতি এক ডলার কমে। তবে বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, তেলের দাম এখনো শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।

পিভিএম বিশ্লেষক তামাস ভার্গ বলেছেন, রাশিয়ার রপ্তানি সমস্যার মধ্যেও মৌলিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়নি ও এখনো সাপোর্টিভ রয়েছে।

এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে ফোনালাপা হয়েছে। বুধবার (২০ মার্চ) ক্রেমলিন থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

পুতিন পঞ্চমবারের মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। পশ্চিমাদেশগুলো নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেছে। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিল ভারত। তাছাড়া মোদী পুতিনকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




ল্যাপটপ ব্যবহারে একটি ভুলে হতে পারে যেসব সমস্যা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

মোবাইল ফোনের যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে আমরা যতটুকু যত্নশীল। ফোন সুরক্ষিত রাখতে আমরা নানা কভারও ব্যবহার করি। ফোনের স্ক্রিনে গার্ড বসিয়ে তাকে কভারের ভেতরে সুরক্ষিত রাখি। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই প্রতিদিন ল্যাপটপ ব্যবহার করেন এবং কেউ কেউ আছেন যারা অফিসিয়াল বিভিন্ন কাজের জন্যও ল্যাপটপের উপর নির্ভর করেন। কিন্তু অনেকে আছেন যারা ল্যাপটপের নিরাপত্তা নিয়ে একেবারেই ভাবেন না।

অনেক ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা গেছে যে, বাড়িতে বা অফিসে ল্যাপটপের স্ক্রিন খুলে আমরা অন্য কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। কিন্তু এটা করা ঠিক নয়। এটি ল্যাপটপের জন্য মারাত্মক বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ল্যাপটপের স্ক্রিন অন রেখে চলাফেরা করা উচিত নয়। এই একটি ভুল করলে আমাদের ল্যাপটপ সম্ভবত পাঁচ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। এবারে জেনে নেওয়া যাক কেন ল্যাপটপের স্ক্রিন খুলে হাঁটা উচিত নয় এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮।

ল্যাপটপের স্ক্রিন অন রাখার ফলে ল্যাপটপের জয়েন্টে চাপ পড়তে পারে এবং এটি ফেটে যেতে পারে। জয়েন্ট হলো সেই অংশ যেখান থেকে ল্যাপটপ ফোল্ড করা হয়। যদি ল্যাপটপের স্ক্রিন খোলা রেখে হাঁটাহাটি করা হয়, তাহলে স্ক্রিন কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে।

ল্যাপটপের সঙ্গে এই ভুলটি হলে ল্যাপটপের ফ্রেম ফেটে যেতে পারে। যদি খোলা ল্যাপটপ নিয়ে ঘোরাঘুরি করা হয়, তাহলে কোথাও ধাক্কা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই কখনোই এমনটি করা উচিত নয়। এ ছাড়া ল্যাপটপের স্ক্রিন খোলা রেখে ঘোরাঘুরি করলেও এটি পড়ে যেতে পারে, যার ফলে হার্ডওয়্যারে সমস্যা হতে পারে।

এজন্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ল্যাপটপ খুলে অর্থাৎ স্ক্রিন প্যানেল খোলা রেখে যেখানে-সেখানে ভ্রমণ করলে হার্ডডিস্কেও সমস্যা হতে পারে। হার্ডডিস্কের সমস্যা মানে ল্যাপটপ আর কোনোই কাজে লাগবে না। তাই কখনোই ল্যাপটপ বেশিক্ষণ খুলে রাখা ঠিক নয় এবং খুলে হাঁটাহাটি করা উচিত নয়।


আরও খবর
গুগল ডুডলে মহান স্বাধীনতা দিবস

মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪




জিম্মি জাহাজ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলো ইউরোপীয় নৌবাহিনী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালি জলদস্যুরা ভারত মহাসাগর থেকে এমভি আবদুল্লাহ নামে বাংলাদেশি একটি জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। জাহাজটি এরইমধ্যে সোমালিয়ার একটি বন্দরে নোঙর করেছে বলে জানা গেছে। এবার বাংলাদেশি ওই জাহাজে কীভাবে হামলা চালানো হয়েছে, সে বিষয়ে তথ্য দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) জানিয়েছে, গেল ডিসেম্বরে রুয়েন নামে মাল্টিজ-পতাকাবাহী একটি বাল্ক কার্গো জাহাজ আটক করেছিল সোমালি জলদস্যুরা। দুদিন আগে (মঙ্গলবার) সোমালিয়া উপকূল থেকে বাংলাদেশের পতাকাবাহী যে পণ্যবাহী জাহাজটি ছিনতাই হয়েছে; এই কাজে দস্যুরা রুয়েনকে ব্যবহার করে থাকতে পারে। খবর রয়টার্সের।

২০১৮ সাল পর্যন্ত এক দশক ধরে গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক জলপথে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে রেখেছিল সোমালি জলদস্যুরা। এরপর তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড কমে আসলেও, গত বছরের শেষ দিক থেকে বাণিজ্যিক জাহাজে আক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করে।

রয়টার্স বলছে, ছিনতাই হওয়া জাহাজ ব্যবহার করে মঙ্গলবার জলদস্যুদের হামলার (বাংলাদেশি জাহাজে) তথ্য সঠিক হয়ে থাকলে তা এই দস্যুদের পুরনো কৌশলে ফিরে আসাকেই বুঝাবে। অর্থাৎ তারা যে আগের মতোই সক্রিয় হয়ে উঠেছে, এ ঘটনা হবে তারই প্রমাণ।

ইইউ’র জলদস্যুতা বিরোধী অভিযান ইউন্যাভফর (EUNAVFOR)-এর তথ্যানুযায়ী, ছিনতাইয়ের সময় অন্তত ১২ জলদস্যু এমভি আবদুল্লাহ-তে উঠেছিল।

ইউন্যাভফর বলছে, এমভি রুইন ছিনতাই করা জলদস্যুরাই এই ছিনতাইকাণ্ডে (বাংলাদেশি জাহাজ) অংশ নিয়ে থাকতে পারে। তবে এমভি আবদুল্লাহ’র ক্রুরা নিরাপদে আছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে ব্রিটিশ মেরিটাইম সিকিউরিটি ফার্ম অ্যামব্রে জানিয়েছে, অন্যান্য বাণিজ্যিক জাহাজেও হামলা চালানোর জন্য মাদারশিপ’ হিসেবে এই জাহাজটিকে (এমভি রুয়েন) ব্যবহার করা হতে পারে বলে আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল।

প্রসঙ্গত, মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।


আরও খবর