
আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি:
বরগুনার আমতলীতে গুলিশাখালী ইউনিয়নে অতিদরিদ্রদের ৪০ দিনের কর্মসূচি কর্মসংস্থানে ইজিপিপি প্রকল্পের সুফল পেতে শুরু করেছে স্থানীয় প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারন মানুষ। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের তত্ত্বাবধানে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় (পিআইও)।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রের তথ্য মতে, গুলিশাখালী ইউনিয়নে ২টি প্রকল্পে মোট ১৩৯ জন শ্রমিক কাজ করেছেন। দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরি ও প্রত্যেক দলের নেতাকে আরও ৫০ টাকা অতিরিক্ত পরিশোধ করা হয়েছে।
সরেজমিনে প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, গুলিশাখালী মোশারেফ মিযার বাড়ি হইতে জালাল পাহলানের বাড়ি হয়ে রবি জালো এর বাড়ি পর্যন্ত মাটির রাস্তা নির্মাণে ৫০ জন শ্রমিক ও হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামের গনি হাং এর বাড়ি হইতে খালেক হাওলাদারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মাটি দ্বারা পুন:নির্মাণ প্রকল্পে ৮৯ জন শ্রমিক সংস্কারের কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন>> জম্মু-কাশ্মিরে বাস খাদে পড়ে নিহত ১০
গুলিশাখালী ইউপির হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্ধা শ্রমিক জামাল রাঢ়ী বলেন, আমরা দৈনিক ৮৯ জন শ্রমিক ৪০০ টাকা করে মোবাইল সিমে ৪০ দিন পেয়েছি। শ্রমিক মো. আব্বাস বলেন, বিগত বছর এখানে রাস্তা ছিল না। চলতি বছর চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় রাস্তা পেয়েছি। ছেলে-মেয়েরা ভোগান্তি ছাড়া বিদ্যালয়ে যেতে পারবে।
১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শ্রমিক মো. আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা আসলেই ভাগ্যবান। একটা ভালো রাস্তার পাশাপাশি ৫০ জন শ্রমিকের ৪০ দিনের কাজের ব্যবস্থা হয়েছে। টাকা পেতেও সহজ হয়েছে। মোবাইল দিয়ে পৌনে ৪০০ করে উত্তোলন করেছি।
অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক আলহাজ্ব মো. মোসলেম উদ্দিন জানান, এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় গ্রামীন মানুষের অনেক উপকার হবে এখন চিকিৎসা সেবা, বাজার করা, পণ্য বিক্রিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল কাজেই সহজ হবে।
সাবেক প্রধান শিক্ষক গাজী আব্দুর রহমান বলেন, তিন যুগের মতো সময় ধরে রাস্তাটা সংস্কার হয়েছে। এর আগে আমরা জোপ-ঝাড়ের মধ্যে দিয়ে খালের পাড় ধরে যাতায়াত করতাম। রাস্তাটি সংস্কার হওয়ায় শিক্ষার্থী, বৃদ্ধা ও সমাজের শ্রমজীবি মানুষের সহজতর হয়েছে। এতে দু’গ্রামের হরিদ্রাবাড়িয়া ও কলাগাছিয়া গ্রামের ৫শত পরিবারের দীর্ঘদিনের একটা সমস্যার সমাধান হয়েছে।
আরও পড়ুন>> ইতালির ম্যাগিওর হ্রদে নৌকা উল্টে ৪ জনের মৃত্যু
প্রকল্প সভাপতি ও ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মাসুদ বলেন, আমি নির্বাচিত একজন ইউপি সদস্য এবং প্রকল্প সভাপতি এটা ভেবেই দীর্ঘদিনের ভোগান্তির এই রাস্তাটি অধিক গুরুত্ব দিয়ে করেছি। অতিদরিদ্র মানুষের মাধ্যমে কাজটি করতে পেরে সত্যিকার অর্থে আমি সফল হয়েছি।
গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. এইচ এম মনিরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসাবে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সঠিক এবং নীতিমালা অনুযায়ী করার চেষ্টা করেছি। কোন অনৈতিক আশ্রয় নেইনি। তবুও একদল আমাকে দুর্নীতির জালে আটকাতে ব্যস্ত। আমি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছি। এখানে কোনোভাবে দুর্নীতি করার সুযোগ নাই।
আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জামাল হোসাইন বলেন, প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে বাস্তাবয়নের জন্য নিয়মিত তদারকি করা হয়েছে।