আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

তিনি ফিরে এলেন অন্ধকারে আলোর দিশারি হয়ে

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
শ ম রেজাউল করিম

Image

তিনি ফিরে এসেছেন দিকভ্রান্ত এক জাতির ক্যাপ্টেন হয়ে। ফিরে এসেছেন ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ বৈরি সময়ে একমাত্র কান্ডারি হয়ে। এসেছেন অন্ধকারে আলোর দিশারি হয়ে। পিতা-মাতা, ভাই ও আত্মীয়-পরিজন হারিয়ে শোকে বিহ্বল থাকার সময়টুকুও তিনি পাননি। স্বদেশের মাটি ও মানুষের অমোঘ ডাক সেদিন উপেক্ষার উপায় জানা ছিল না তাঁর। দিনটি ছিল ১৭ মে ১৯৮১। রোববার। আর দশটি দিনের মতো রৌদ্রোজ্জ্বল ছিল না সে দিনটি। একদিকে ঝড়-বৃষ্টিতে বৈরী প্রকৃতি আর অপরদিকে স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষু ও ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র।

এসব কিছুই উপেক্ষা করে তিনি ফিরলেন বীরকন্যা হয়ে বাংলার মাটিতে। তিনি ইতিহাসের কালজয়ী মহামানবের কন্যা, তিনি বাঙালির মুক্তির মহানায়কের যোগ্য উত্তরসূরি। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর সংকল্পে তিনি অবিচল। প্রগাঢ় দেশপ্রেম আর নির্ভিক চিত্ত তাঁকে পরিণত করেছে দুর্গতদের কণ্ঠস্বরে। নির্যাতিত মানুষের অধিকারের প্রশ্নে তিনি আপসহীন। দৃঢ়তা, আত্মবিশ্বাস ও সাহসিকতায় তিনি অনন্য। তিনি শেখ হাসিনা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা সেদিন বাংলার মাটিতে ফিরে এসেছেন কোটি বাঙালির আশার প্রদীপ হয়ে। তিনি এসেছেন পিতার পথে পথ মিলিয়ে বাঙালি জাতিকে আলোর ঠিকানায় পৌঁছে দিতে। ১৭ মে ঢাকার কুর্মিটোলা বিমানবন্দর পরিণত হয়েছিল জনসমুদ্রে। কী ব্যাকুল প্রতীক্ষা মানুষের! ঠিক যেন বঙ্গবন্ধু ফিরছেন স্বদেশের মাটিতে। বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনাকে শুধু একনজর দেখার জন্য ছুটে আসা জনতার কণ্ঠে সেদিন ধ্বনিত হচ্ছিল, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু; ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে আমরা আছি তোমার সাথে; শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম

দিশেহারা বাঙালির দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ছয় বছরের নির্বাসন শেষে স্বদেশের মাটিতে পা রাখলেন শেখ হাসিনা। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমানে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে ঢাকার কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। দেশের মানুষের ভালোাবাসায় আপ্লুত বঙ্গবন্ধু কন্যা সেদিন জনতার উদ্দেশে বলেছিলেন, সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।

সেদিন তিনি আরও বলেছিলেন, আমার আর হারানোর কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেল সবাইকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদের ফিরে পেতে চাই। তিনি সেদিন এও বলেছিলেন, আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার জন্য আসিনি। আমি আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী কর্মী হিসেবে আপনাদের পাশে থাকতে চাই।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা তখন ছোট বোন শেখ রেহানা ও দুই সন্তানসহ স্বামীর কর্মস্থল পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করছিলেন বিধায় তাঁরা প্রাণে বেঁচে যান। পশ্চিম জার্মানি থেকে সেই সময় ভারত সরকারের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন শেখ হাসিনার স্বামী বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া।

২৫ আগস্ট সকালে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটযোগে দিল্লি পৌঁছান শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, ওয়াজেদ মিয়া এবং তাদের দুই সন্তান। বিমানবন্দর থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লির ডিফেন্স কলোনির একটি বাসায়। সেখানে কারও সঙ্গে যোগাযোগ এবং পরিচয় না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল তাদের। শুরু হয় তাঁদের কঠিন নির্বাসিত জীবন।

পরে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। দেশে গণতন্ত্র ও প্রগতিশীল রাজনীতি ফিরিয়ে আনা এবং মানুষের হৃত অধিকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে দুই শিশুসন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে ছোট বোন শেখ রেহানার কাছে রেখে দেশে ফেরেন বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার শেখ হাসিনা।

অথচ ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! যার পিতা স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও দেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি, তাঁর স্বদেশে ফেরা ছিল কণ্টকাকীর্ণ। তবু জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তিনি সেদিন দেশে ফিরেছিলেন মাটির টানে আর মানুষের মায়ায়। সে সময় ক্ষমতাসীন জিয়াউর রহমান ও তার দোসররা জাতির পিতার কন্যাকে দেশে ফিরতে বাধা দেওয়ার সব ধরনের চেষ্টাই করেছিল। এমনকি তাঁর দেশে ফেরা ঠেকাতে শেখ হাসিনার আগমন প্রতিরোধ কমিটি গঠন হয়েছে, কুরুচিপূর্ণ লিফলেট-পোস্টার বিতরণ করা হয়েছে। এতে অবশ্য বঙ্গবন্ধু কন্যার মনোবল এতটুকু টলানো যায়নি।

সাহসী সংকল্প আর জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে ফিরতে এতটুকু পিছপা হননি। তবে দেশে ফিরে এক বৃহৎ শূন্যতায় নিজেকে আবিষ্কার করলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। তাঁর ঘর নেই, ঘরের আপনজনও কেউ নেই। দেশে ফেরার আবেগসিক্ত প্রতিক্রিয়া বঙ্গবন্ধু কন্যা নিজের লেখা গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন ঠিক এভাবে, আমার দুর্ভাগ্য, সব হারিয়ে আমি বাংলাদেশে ফিরেছিলাম। লক্ষ মানুষের স্নেহ-আশীর্বাদে আমি সিক্ত হই প্রতিনিয়ত। কিন্তু যাদের রেখে গিয়েছিলাম দেশ ছাড়ার সময়, আমার সেই অতি পরিচিত মুখগুলি আর দেখতে পাই না। হারানোর এক অসহ্য বেদনার ভার নিয়ে আমাকে দেশে ফিরতে হয়েছিল (ড. আবদুল মতিন চৌধুরী: আমার স্মৃতিতে ভাস্বর যে নাম, বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম, পৃ: ৭৪)।

দেশে ফেরার পর জাতির পিতার কন্যার থাকার জায়গাটুকুও দেওয়া হয়নি। ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের ৬৭৭ নম্বর বাড়িটি ছিল জিয়াউর রহমান সরকারের দখলে। ১৭ মে সন্ধ্যায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের জনসভা শেষে সে বাড়িতে থাকা দূরের কথা, শ্রদ্ধা নিবেদন ও মিলাদ পড়ার জন্য পর্যন্ত তাঁকে যেতে দেওয়া হয়নি। পরের দিনগুলো তাঁর কেটেছিল অনেকটা দুঃস্বপ্নের মতো। আজ এখানে তো কাল ওখানে। তবু দমে যাননি বঙ্গবন্ধু কন্যা। ১৯৮৩ সালের ২৪ মার্চ সামরিক শাসন জারির দুদিন পর স্বাধীনতা দিবসে একমাত্র শেখ হাসিনাই সাভার স্মৃতিসৌধে গিয়ে বলেছিলেন, আমি সামরিক শাসন মানি না, মানবো না। বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করবোই করবো

রাজনীতির হাতেখড়ি যার খুব ছোটবেলা থেকে, ছাত্ররাজনীতিতে যার বর্ণাঢ্য বিচরণ আর ধমনিতে যার বঙ্গবন্ধুর রক্ত, তিনি দেশে ফিরে রাজনীতির মূলধারা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় মনোযোগী হলেন। লড়াই শুরু করলেন জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত টানা ৯ বছর রাজপথে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। নেতৃত্বের কোন্দল আর ষড়যন্ত্রে বিভাজিত দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করার চ্যালেঞ্জেও তিনি সফল হয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বেই ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

পঞ্চম জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা নির্বাচিত হন জননেত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তন করে সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পরে ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বে বিপুল ভোটে জয় লাভ করে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। ২১ বছর পর পথ হারানো বাংলাদেশ আবার সঠিক পথে চলতে শুরু করে। প্রশাসন ও অন্য স্তরে তখন স্বাধীনতাবিরোধী ও আওয়ামী বিরোধীদের উপস্থিতি সুস্পষ্ট। এমন জঞ্জাল নিয়েই সরকারের দায়িত্ব নিতে হয় তাঁকে।

দক্ষ নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় তখন তিনি সব সামলে নেন। প্রধানমন্ত্রী হয়েই দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বণ্টনে ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তি করেন। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে কয়েক দশকের চলমান চরম সংকট নিরসন করে পাবর্ত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নেন। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে ২০০৮, ২০১৪ এবং সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

সরকারের টানা তিন মেয়াদে বাংলাদেশকে শেখ হাসিনা বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। তাঁর রাষ্ট্র পরিচালনার মুন্সিয়ানায় সামাজিক, অর্থনৈতিক, মানব উন্নয়নসহ প্রায় সব সূচকে পাকিস্তানকে অতিক্রমসহ অনেক সূচকে বিশ্বের অনেক দেশকে আমরা ছাড়িয়ে গেছি। মাথাপিছু আয়, রপ্তানি আয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে। এটিই অভিজ্ঞ রাজনীতিক ও দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার অনবদ্য সাফল্য। তাঁর মতো নেতৃত্ব পেয়েছি বলেই সব প্রতিকূলতা জয় করে আজ আমরা উন্নয়নশীল বিশ্বে পদার্পণ করছি।

উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশে বিনির্মাণের পথে দ্রুতলয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। এ দেশের মানুষ আজ সংবিধানে বর্ণিত মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারছেন। গৃহহীন ও আশ্রয়হীন মানুষ বিনামূল্যে ঘর পাচ্ছেন। মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার নিশ্চয়তা বিধান করা সম্ভব হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম, যার মাথাপিছু জিডিপি আঞ্চলিক প্রতিবেশীর চেয়ে অনেক বেশি।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি ৯ বিলিয়ন থেকে ৪৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে, গড় আয়ু ৪৭ বছর থেকে বেড়েছে ৭৩ বছরে এবং সাক্ষরতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ শতাংশের বেশি। খাদ্য উৎপাদন, দারিদ্র্য হ্রাস, উন্নত স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, দুর্যোগ প্রশমনসহ আর্থ-সামাজিক খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছে বাংলাদেশ। এ সবকিছু সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও পৃষ্ঠপোষকতায়।

স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের পর একের পর এক চ্যালেঞ্জ জয় করে বীরদর্পে এগিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। অন্তত ১৯ বার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও দমে যাননি তিনি। সব বাধা-বিপত্তি আর দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র পেছনে ফেলে শেখ হাসিনা অন্ধকার থেকে আলোর পথে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় দেশকে শামিল করেছেন। যিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ধারক, লক্ষ্য যার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ, তার গতি রোধ করার সাধ্য কারও নেই।

শেখ হাসিনা শত প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েও অবিচল থেকেছেন, হযেছেন বিজয়ী। এটি বিশ্বের বিস্ময়। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকিসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়েছে তাঁকে। সংকট মোকাবিলায় শেখ হাসিনা গোটা বিশ্বে অনন্য নজির স্থাপন করেছে। শেখ হাসিনা আজ বিশ্ব পরিমণ্ডলে দুর্গতদের কণ্ঠস্বর, তিনি প্রাচ্যের নতুন তারকা, তিনি মানবতার জননী, তিনি বিশ্বের অন্যতম সৎ ও পরিশ্রমী প্রধানমন্ত্রী, তিনি বিশ্ব নেতৃত্বের কাছে অনুপ্রেরণাদায়ী, অনুসরণীয়। একই সাথে বাংলাদেশে এবং বিশ্ব পরিমণ্ডলে তিনি অনিবার্য।

জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্জন্ম দিয়েছেন। তিনি ফিরে এসে বাঙালি জাতির মুক্তির স্বপ্ন যেমন দেখেছেন, তেমনি বাঙালিকে মুক্তির স্বপ্ন দেখা শিখিয়েছেন। তাঁর আন্দোলন-সংগ্রামের দীর্ঘ ধারাবাহিকতায় স্বৈরতন্ত্রের অবসান শেষে বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তন হয়েছে।

তিনি এসেছিলেন বলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ পুনরায় প্রতিষ্ঠা হয়েছে; স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের দর্প চূর্ণ হয়েছে। তাঁর মতো অকুতোভয় রাজনীতিক ও মানবিক রাষ্ট্রনায়ক বিশ্বে বিরল। নীতি ও আদর্শে বঙ্গবন্ধুর মতোই দৃঢ় ও সাহসী রাজনীতিক শেখ হাসিনা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কল্যাণে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন।

উন্নত, আধুনিক, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনে বঙ্গবন্ধু কন্যা দৃঢ়চিত্তে এগিয়ে যাচ্ছেন। দীর্ঘ প্রায় ৪২ বছর দলের প্রধান এবং ২০ বছর দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা স্বদেশে না ফিরলে বাঙালি ও বাংলাদেশের ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হতো। একজন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের গল্প তাই এভাবেই লেখা যায়, অতঃপর তিনি এলেন/তিনি এলেন পিতার পথে পথ মিলিয়ে/আলোর পথ খুঁজে দিতে/তিনি এলেন/রুদ্ধ শেকল ভেঙে, গলিয়ে/জাতিকে আপন করে পেতে।

লেখক: শ ম রেজাউল করিম এমপি

মন্ত্রী , মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ।


আরও খবর



জনপ্রকাশ্যে ইউপি সদস্যকে গুলি, পরে গলা কেটে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীতে প্রকাশ্য দিবালোকে রুবেল আহম্মেদ নামে এক ইউপি সদস্যকে গুলি করার পর গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২টার দিকে নরসিংদীর আমদিয়া ইউনিয়নের পাকুড়িয়া বাজারে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত রুবেল আহম্মেদ ওরফে বডি রুবেল আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আজ দুপুরে রুবেল আহম্মেদ পাকুড়িয়া বাজারে আসেন। কাজ শেষে পৌনে ২টার দিকে মোটরসাইকেলে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রাইভেটকারযোগে আসা একদল দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে পরপর ছয় রাউন্ড গুলি করে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর রুবেল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার শরীরের ওপর বসে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।

মাধবদী থানা পুলিশের এসআই ফজলে রাব্বি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত করছে।

নরসিংদীর গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্রের ধারণা, ইউপি নির্বাচনের সময় তৈরি হওয়া শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।

জানা গেছে, সবশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে রুবেল আহাম্মেদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ইমরুল নামে এক প্রার্থী। ওই সময় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই নির্বাচনে কেন্দ্রে প্রভাব খাটিয়ে রুবেল বিজয়ী হন। এ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইমরুলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আরও ঘনীভূত হয়।


আরও খবর



অর্থ আত্মসাৎ মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন।

পরে আগামী ২ মে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। গত বছরের ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া বাকি অভিযুক্তরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস এম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দফতর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।

মামলার বিষয়ে ড. ইউনূস জানান, অনেক দিন ধরে তার ওপর বালা-মুসিবত। দেশের ওপরও এসেছে। তিনি ও দেশের মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত। এ থেকে রেহাই না পেলে মুক্তি নাই।

শান্তিতে নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদ বলেন, দেশ-বিদেশের মানুষ আমাদের বিশ্বাস করেছে। আমরা মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করি। সারা বিশ্ব বাংলাদেশ থেকে শিখতে চায়। তবে, দেশের মানুষ যেভাবে বাঁচতে চায়, সেভাবে পারছে না। মানুষ আইনের শাসন পাচ্ছে না।


আরও খবর
পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




৭০ বছর পর পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে শয়তান ধূমকেতু

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

৭০ বছর পর পৃথিবীর আকাশের দিকে ধেয়ে আসছে একটি ধূমকেতু, যা মাউন্ট এভারেস্টের সমান বড়। ধূমকেতুটির নাম ১২পি/পনস-ব্রুকস যা ডেভিল কমেট বা শয়তান ধূমকেতু নামে বেশি পরিচিত।

সংবাদ মাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, আগামী ৮ এপ্রিল পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সময় বিরল চেহারা দেখাবে শয়তান ধূমকেতু। আর ২১ এপ্রিল ধূমকেতুটি সূর্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছাবে। এ সময় সূর্য থেকে এর দূরত্ব থাকবে ৭ কোটি ৪৪ লাখ মাইল। এ ছাড়া আগামী ২ জুন এটি পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসবে। এ সময় পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব হবে প্রায় ১৪ কোটি মাইল।

গত বছর এই ধূমকেতুটির ওপর বরফ ও গ্যাসের বিস্ফোরণের কারণে শিং এর মতো আকৃতি তৈরি হয় এরপর এর নামকরণ করা হয় ডেভিল বা শয়তান ধুমকেতু। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে করতে এই ধূমকেতুটি প্রতি ৭০ বছর পরপর সৌরজগতের ভেতর চলে আসে। ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জ্যোতির্বিদরা বাইনোকুলারের সাহায্যে এটি দেখতে পাচ্ছেন এবং এর ছবি তুলছেন।

১৮১২ সালে প্রথম ধূমকেতুটি আবিষ্কার করেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী জ্যঁ-লুইস পনস। এরপর ১৮৮৩ সালে এটি আবার দেখতে পান জ্যোতির্বিজ্ঞানী উইলিয়াম রবার্ট ব্রুকস। তাঁদের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়। এর আগে সর্বশেষ ১৯৫৪ সালে ধূমকেতুটি সূর্যের কাছাকাছি এসেছিল। এরপর ২০৯৫ সালে এটি আবার সূর্যের কাছাকাছি আসতে পারে।

ধূমকেতুটি ২১ এপ্রিল নাগাদ তাওরাস নক্ষত্রপুঞ্জে হাজির হবে। তখন উত্তর গোলার্ধ থেকে সন্ধ্যায় সবচেয়ে ভালোভাবে এটি দৃশ্যমান হবে। এ সময় এটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিগন্তের কাছাকাছি প্রদর্শিত হবে।


আরও খবর
ফের ফেসবুকে বিভ্রাট

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




ঈদের আগে মায়ের মুক্তি চেয়ে চেম্বার আদালতে ৪ বছরের নুরী

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গত ২৮ অক্টোবরের হামলাকে কেন্দ্র করে বাবা হামিদ ভূঁইয়ার পরিবর্তে গ্রেপ্তার চার বছরের ছোট্ট নূরজাহান নূরীর মা হাফসা আক্তার পুতুলের জামিন চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে গত ৬ মার্চ বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ হাফসা আক্তারকে জামিন দিলেও ১০ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের আদালত তার জামিন স্থগিত করে দেন।

সম্প্রতি মায়ের মুক্তির জন্য মানববন্ধন করে বেশ আলোচনায় আসে নুরী। গত ৪ মার্চ বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চে ছোট্ট নুরীর মা হাফসা আক্তার পুতুলের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়।

শুনানিতে হাইকোর্ট জানতে চান, এই মহিলা আসামি হিসেবে এত গুরুত্বপূর্ণ কেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ বলেন, মাই লর্ড সিসিটিভি ফুটেজ আছে, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও আছে। পরে হাইকোর্ট সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চান এবং ফুটেজ উপস্থাপন করতে বলেন।

গত ২৯ নভেম্বর গণমাধ্যমে প্রচারিত বাবা ঘরে আসুক, কারাগার থেকে ফিরুক মা শীর্ষক এক সংবাদে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে বিএনপির কর্মী আবদুল হামিদ ভূঁইয়া পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মা হাফসা আক্তার নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।

তবে ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে ডিএমপি বলে, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হাফসা আক্তার পুতুল ও তার স্বামী আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া সম্পর্কে ২৯ নভেম্বর পত্রিকাটিতে যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, তা সঠিক নয়। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হাফসা আক্তার পুতুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।


আরও খবর
পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




ঈদের আগের‌ দিন ফাঁকা বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌ক

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প‌রিবা‌রের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভা‌গি কর‌তে বা‌ড়ি যা‌চ্ছেন মানুষজন। ত‌বে আজ মহাসড়‌কে নেই তেমন কোনো প‌রিবহন। দু্ই-তিন প‌রিবহ‌ন দেখা গে‌লেও ঈদের আগের দিন মহাসড়ক ফাঁকা র‌য়ে‌ছে। ফ‌লে কোনো ভোগা‌ন্তি ছাড়াই স্ব‌স্তি নি‌য়ে বা‌ড়ি যা‌চ্ছেন ঘরমুখো মানুষজন। আজ বুধবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কে এমন চিত্র দেখা‌ গে‌ছে।

দেখা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কের রাবনা বাইপাস, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও বঙ্গবন্ধু সেতু গোলচত্ত্বর এলাকায় তেমন কোনো প‌রিবহন উত্তরবঙ্গের দি‌কে যে‌তে দেখা যায়‌নি। দুই-‌তিনটা ক‌রে প‌রিবহন গ‌তি‌ নি‌য়ে চলাচল কর‌ছে। এছাড়াও মহাসড়‌কে তেমন কোনো যাত্রীও নেই। ত‌বে কিছু মানুষজন বাস না পে‌য়ে ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রা‌ক ও পিকআপে যা‌চ্ছেন।

জানা যায়, চির‌চেনা এই মহাসড়‌কে প্রতিবছরই ঈদের আগের রা‌তেও ব‌্যাপক মানু‌ষের স্রোত থাকে। ফ‌লে প‌রিবহ‌নের চাপ ছিল মহাসড়‌কে। এতে আইনশৃঙ্খলা বা‌হিনীর সদস‌্যদের মহাসড়‌কের প‌রিবহন চলাচল স্বাভা‌বিক কর‌তে হিমশিম খেত। জেলা পুলিশের নানা পদক্ষেপের কারণে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন মানুষজন।

ত‌বে গতকাল মঙ্গলবার চরম ভোগা‌ন্তি‌তে পড়‌তে হ‌য়ে‌ছিল উত্তরব‌ঙ্গের ঘরমুখো মানু‌ষদের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়‌কেই প্রচণ্ড রো‌দের ম‌ধ্যে যানজ‌টের কব‌লে প‌ড়ে‌ছিল। প‌রে বঙ্গবন্ধু সেতু‌র প‌শ্চিম টোলপ্লাজা বন্ধ রে‌খে সেতু‌তে একমুখী ক‌রে উত্তরব‌ঙ্গের দি‌কে প‌রিবহনগু‌লো ছে‌ড়ে দেওয়ায় টাঙ্গাইলের মহাসড়‌কে প‌রিবহ‌নের চাপ ক‌মে‌ছিল। মঙ্গলবার সকাল থে‌কে বিকেল পর্যন্ত পরপর দুইবার দুই ঘণ্টা ক‌রে প‌শ্চিম টোলপ্লাজায় ঢাকাগামী লেন বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।

মহাসড়কে দায়িত্বরত এক পু‌লিশ সদস্য জা‌নান, বুধবা‌রে ঈদ হ‌বে এই টা‌র্গেটে এবং সব প্রতিষ্ঠান আগেই ছু‌টি হ‌য়ে যাওয়ায় মানুষ আগে থে‌কেই বা‌ড়ি‌তে যাওয়া শুরু ক‌রে‌ছিল। ত‌বে মঙ্গলবার গা‌র্মেন্টসের লোকজনসহ অন‌্যান‌্যরা একসঙ্গে রওনা হওয়ায় মহাসড়কে চাপ বে‌ড়ে‌ছিল। ত‌বে আজ‌কে তেমন মানুষ বা‌ড়ি যাওয়ার নেই। যারা যাওয়ার তারা চ‌লে গে‌ছেন। ফ‌লে মহাসড়‌কে তেমন প‌রিবহন নেই। একদম ফাঁকা মহাসড়ক।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর আশরাফ জানান, মহাসড়‌কে তেমন প‌রিবহন নেই। পরিবহনগু‌লো স্বাভা‌বিক গ‌তি‌তেই চলাচল কর‌ছে। উত্তরবঙ্গগামী মানুষজন স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন। 


আরও খবর