ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাট জেলায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে ফের বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে। ফলে হাতীবান্ধাসহ জেলার তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে ধীরে ধীরে পানি ঢুকছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে কালনী-কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে
আজ শনিবার সকাল
৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড
করা হয়েছে ৫২ দশমিক ২৮ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত
হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘শনিবার শেষরাত থেকে আবারও বাড়তে শুরু করে পানি। এতে হাতীবান্ধাস্থ তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। ফলে জেলার পাঁচ উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চলে ও তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে ধীরে ধীরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।’
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে মালবাহী ট্রলার ডুবি, নিখোঁজ ২
এদিকে, ধরলা
নদীর পানিও বাড়া-কমার মধ্যে আছে বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী
প্রকৌশলী শুনীল কুমার।
বর্ষা মৌসুমে জুন মাসের শুরু থেকে তিস্তার পানি বাড়া-কমার মধ্যে আছে। প্রথম দফা স্বল্প মাত্রার বন্যার পর পানির গতি অনেকটা স্বাভাবিক থাকলেও গত বুধবার ভোর থেকে বাড়তে শুরু করে বিপৎসীমা অতিক্রম করে তবে বিকেল হতেই না নেমে যায়।
আরও পড়ুন: যশোরে বাসের ধাক্কায় ইজিবাইকের ৬ যাত্রী নিহত
লালমনিরহাট
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে সকালে পানি বিপৎসীমার
ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এখন কমতে শুরু করেছে। জরুরি প্রয়োজনসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা
করায় প্রস্তুতি নেওয়া রয়েছে। আমরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউএনওদের মাধ্যমে সব পরিস্থিতির
খোঁজখবর রাখছি।