আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

তিতাস নদীতে কয়েক’শ অবৈধ মাছের ঘের

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

অদ্বৈত মল্লবর্মনের সারা জাগানো উপন্যাস তিতাস একটি নদীর নাম। এক সময় প্রচণ্ড খরস্রোতা এই তিতাস নদী এখন অনেকটা মরা খালে পরিণত হয়েছে। মাছের ঘেরে গাছের ডাল-পাতা ও বাঁশের জন্য উজান থেকে আসা বালি/পলি আটকে ভরাট হচ্ছে নদীর তলদেশ। ফলে নদী হারাচ্ছে নব্যতা, ব্যহত হচ্ছে নৌ চলাচল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর  উপজেলায় প্রবাহিত ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ তিতাস নদী।  নদীকে ঘিরে গড়ে উঠেছে কয়েকশ অবৈধভাবে মাছের ঘের। এই ঘের তৈরি করে নির্বিচারে রেনু ও মা মাছসহ বিভিন্ন মাছ শিকার করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। এই ঘের এর কারনে  নদীর স্বাভাবিক স্রোতধারা ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে নদীতে ঘের দিয়ে নির্বিচারে মাছ শিকার চললেও স্থানীয় প্রশাসন ঘের মালিকদের বিরুদ্ধে রহস্যজনক কারণে কোন ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। নৌপথ বন্ধ হওয়ার কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরকে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে স্থলপথে মালামাল আনা নেওয়া করতে হচ্ছে। এছাড়া ঘেরের কচুরিপানা আটকে গিয়ে পঁচে নদীর পানি দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে পড়ায় তিতাসপাড়ের মানুষ গোসল ও রান্নাবান্নাসহ দৈনন্দিন কাজ করতে পারছেন না। এসকল ঘেরের কারণে পানি স্রোতধারা বাধাগ্রস্ত হওয়ায় অনেক জায়গায় ডোবচর জাগছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নদীতে নৌ চলাচল ব্যাহত হওয়ার কারণে নদীতে ঘের নির্মান নিষিদ্ধ করেছে সরকার। সরকারের নিষেদ্বা উপেক্ষা করে এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নদীতে অবৈধভাবে ঘের নির্মাণ করছেন এবং চিকন জাল দিয়ে ঘের থেকে মাছ নির্ধন করছে। মা মাছ ও ছোট পোনা মাছ অভাধে ধরছে ঘের মালিকরা। এক সময় এই নদীতে জেলে সম্প্রদায়ের লোকজন এসকল ঘের নির্মাণ করতো।


তিতাস নদী  উপজেলার দক্ষিন-পশ্চিম ও উত্তর-পূর্ব দিক দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা নদী থেকে তিতাস নদীটি বাঞ্ছারামপুরের কালিকাপুর, জয়কালিপুর এবং পার্শ্ববর্তী নবীনগর উপজেলার ধরাভাঙ্গা গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবেশ করেছে। তিতাসের পূর্ব পাড়ে নবীনগরের ছলিমগঞ্জ পার হয়ে বাঞ্ছারামপুরের আকানগর, তেজখালি হয়ে দরিকান্দিতে এসে দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে তিতাস নদীটি। এক অংশে বাঞ্ছারামপুর ও নবীনগর উপজেলার সীমানা ঘেঁষে দরিকান্দি ইমামনগর, ভিটিবিশারা, গকুলনগর, ফরদাবাদ, ডোবাচাইল, ঝুনারচর, ভুরভরিয়া, রামকৃষ্ণপুর, গঙ্গানগর, তাতুয়াকান্দি, পাইকারচর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপর অংশটি দরিকান্দি থেকে খাল্লা, বাহাদুরপুর, কাঞ্চনপুর, মধ্যনগর, ডোমরাকান্দি, কালাইনগর, আছাদনগর, শরীফপুর, সাহেবনগর, বাঞ্ছারামপুর, কমলপুর হয়ে পাইকারচর এসে মিলিত হয়ে উজানচর, বুধাইরকান্দি, রাধানগর, কালিকাপুর হয়ে পার্শ্ববর্তী হোমনা উপজেলার শ্রীমদ্দির পাশ দিয়ে মেঘনা নদীতে মিলিত হয়েছে।

মেঘনা নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে মেঘনা নদীতে পতিত হওয়া ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ তিতাস নদী একসময় ছিল প্রচন্ড খরস্রোতা। ড্রাগন বলে খ্যাত তিতাস নদী এখন অনেকটা মরা খালে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তিরা। সময়ের ব্যবধানে আজ নাব্যতা হারিয়ে ক্রমশ মরা খালে পরিণত হচ্ছে তিতাস। নদীর এই নাব্যতা হারানোর নেপথ্যে নদী দখল, পলি জমে ভরাট হওয়া, অবৈধভাবে ঘের দিয়ে মাছ শিকার করা অন্যতম কারণ। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা অংশের তিতাস নদীর প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় অন্তত: ৫শ অবৈধ মৎস ঘের রয়েছে। প্রভাবশালীরা নদীতে গণহারে ঘের নির্মান করে মাছ শিকার করছে। মাছ শিকারে ঘের মালিকরা একেবারেই ঘন (চিকন মশারীর জাল) জাল ব্যবহার করছেন। এসব জাল থেকে কোনো (আধা সেন্টিমিটারের কম) ধরণের মাছই বের হতে পারে না। যার ফলে ছোট-বড় মাছের পাশাপাশি পোনা মাছও ধরা পড়ছে ঘের মালিকদের ফাঁদে।

সাহেব নগর গ্রামের লিটন মিয়া বলেন, এই গাঙ্গে (তিতাস নদী) একসময় পানির গভীরতা ছিল অনেক বেশি। পানিতে নামতে গেলেই ভয় পাইতাম। এখন দখল ও ভরাটের কারণে শুকনা মৌসুমে নদীতে কোমর পানি পর্যন্ত হয়ে যায়। ফরদাবাদ গ্রামের শিশু মিয়া বলেন, আমাদের তিতাস নদীতে আগে বড় বড় লঞ্চ, মালবাহী ষ্টিমার চলতো। এখনতো ঘের কচুরিপানা ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে আনন্দবাজারের পূর্ব পাশ দিয়ে হাঁটু পানি হয়ে যায় তিতাস নদীতে।  কৃষকরা তাদের ফসল আনতে পারে না নদী পথে।


এ বিষয়ে ফরদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, তিতাস নদী ছিল আমাদের এলাকার মানুষের গর্ব। দীর্ঘদিন ধরে নদীতে অবৈধভাবে কতিপয় কিছু ব্যক্তি নদীতে ঘের দিয়ে মাছ শিকার করছে। এতে কচুরিপনা আটকে গিয়ে নদীতে মালবাহী ট্রলার চলাচল করতে পারে না। পলিমাটি জমে ভরাট ও অবৈধ দখলদাররা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নদীর তীরে বাড়িঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছে। দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে হয়তো তিতাস নদী তার পূর্বের ঐতিহ্য ফিরে পাবে।

এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইদা আক্তার বলেন, এসব অবৈধ মাছের ঘের উচ্ছেদের কাজ শুরু করেছি। অবৈধ ঘের তৈরি করে নদীতে নৌ চলাচল ও পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ করা হবে এমন কোনো কাজের সুযোগ নেই।  ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে অবৈধ ঘের মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমা জানান, নদীতে অবৈধ মাছের ঘের এর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। পর্যায় ক্রমে সকল অবৈধ ঘের উচ্ছেদ করা হবে। ঘের দিয়ে নদী দখল করে নৌ চলাচল বিঘ্নিত হয় এমন কোনো কাজ নদীতে করা যাবে না বলে তিনি জানান।


আরও খবর



স্ত্রীকে ২২৪ টুকরো করে গুগলে সার্চ করলেন—‘স্ত্রী মারা গেলে স্বামী কী কী সুবিধা পায়?’

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

স্ত্রীকে খুন করে ২২৪ টুকরা করলেন স্বামী, তারপর গুগলে সার্চ করলেন, কেউ মরে যাওয়ার পর ভূত হয়ে ভয় দেখাতে আসে কি? চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যে। ওই ব্যক্তির নাম নিকোলাস মেটসন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়, খুন করার পর তার দেহ ছোট ছোট টুকরো করে কাটেন স্বামী। এরপর প্লাস্টিকের ব্যাগে মুড়ে সেগুলো রেখে দেন ফ্রিজে। তারপর মোবাইলে সার্চ করলেন, কেউ মরে যাওয়ার পর ভূত হয়ে ভয় দেখাতে আসে কি?

পুলিশ বলছে, গত মার্চে স্ত্রীকে খুন করেন অভিযুক্ত ২৮ বছরের নিকোলাস মেটসন। এক বন্ধুর সাহায্য নিয়ে কাটা টুকরোগুলো তিনি ফেলে দেন নদীতে। পরে সেখান থেকে তা উদ্ধার করে পুলিশ। এখন পর্যন্ত ২২৪টি টুকরো উদ্ধার করা গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে দিনের পর দিন পুলিশকে বিভ্রান্ত করেছেন যুবক। জানিয়েছেন, তার স্ত্রী স্থানীয় একটি সংগঠনের সঙ্গে কোনো বিশেষ কাজে গিয়েছেন। হাসিঠাট্টাও করেছেন অফিসারদের সঙ্গে। তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, ১৬ মাস আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল এবং তার পর থেকেই তরুণীর ওপর নানাভাবে অত্যাচার করতেন তার স্বামী। বিবাহবিচ্ছেদের পথেই হাঁটছিলেন তারা। তার আগেই স্ত্রীকে খুন করেন অভিযুক্ত।

পুলিশ জানতে পেরেছে, স্ত্রীকে ঘুমের মধ্যেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন যুবক। তার পর বাথরুমে নিয়ে গিয়ে কাটা হয় দেহ। বাড়ি থেকে রক্তমাখা কাপড়, বিছানার চাদর উদ্ধার করা হয়েছে। দেহ পচার গন্ধ ঢাকতে ঘরে অ্যামোনিয়ার কড়া গন্ধ ছড়িয়ে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। খুনের পর মোবাইলে তিনি দুটি বিষয় সার্চ করেছিলেন। স্ত্রী মারা গেলে স্বামী কী কী সুবিধা পেতে পারেন, তা জানার জন্য গুগলের সাহায্য নিয়েছিলেন তিনি। কেউ মারা গেলে ভূত হয়ে ভয় দেখাতে আসতে পারে কি না, তা-ও সার্চ করেন।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, এর আগে তরুণীর পোষ্য কুকুর এবং হ্যামস্টারগুলোকেও হত্যা করেন ওই যুবক। শুক্রবার ব্রিটেনের আদালতে স্ত্রীকে খুনের কথা তিনি স্বীকার করে নেন তিনি। তার সাজা ঘোষণা স্থগিত রয়েছে। অভিযুক্তের আইনজীবীর দাবি, যুবক জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত।


আরও খবর



জবি শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহত্যা, এক মাসেও শেষ হয়নি তদন্ত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনার এক মাস পার হলেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত কমিটি।

তবে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে না পারার কারণ হিসেবে পুলিশের কাছে কিছু তথ্য চেয়ে পাওয়া যায়নি বলে জানান কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জাকির হোসেন।

গত ১৫ মার্চ রাত ১০টার দিকে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে অভিযুক্ত করে ফেসবুকে পোস্ট দেন জবি ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এরপরই কুমিল্লার বাগিচাগাঁও নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তিনি। অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠী বর্তমানে কুমিল্লা কারাগারে আটক আছেন।

আত্মহত্যার পরদিনই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন আবুল হোসেন, আইন অনুষদের ডিন মাসুম বিল্লাহ, সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ঝুমুর আহমেদ এবং সদস্যসচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার (আইন) রঞ্জন কুমার।

তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা যায়, কমিটির সদস্যরা কুমিল্লায় গিয়ে অবন্তিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাদের মতামত জানার চেষ্টা করেছেন। পরে কারাগারে আটক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর সঙ্গেও কথা বলেন তারা।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন আমরা গুছিয়ে আনছি। কিছু তথ্য আমরা কুমিল্লার স্থানীয় থানা পুলিশের কাছে চেয়েছি। সেগুলো দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো পাইনি। তদন্তের স্বার্থে আমাদের কিছু ডিজিটাল এভিডেন্স যেমন- অবন্তিকার মোবাইলের কল লিস্ট, সর্বশেষ কল রেকর্ড, ফেসবুক- ম্যাসেঞ্জারের চ্যাটিং স্ক্রিনশট প্রয়োজন। এছাড়াও মোবাইলে আরও গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য থাকলে সেটা এবং ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করেছি। এগুলো পেলে কাজের সুবিধা হবে।

কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির পাঠানো চিঠি আমরা পেয়েছি। আইনানুযায়ী যতটুকু তথ্য আমরা দিতে পারি, তা অবশ্যই দিব। তাছাড়া আমাদের গঠিত তদন্ত কমিটির কার্যক্রম এখনো চলমান আছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিবেন বিশ্বাস বলেন, তদন্ত কার্যক্রম চলছে। তদন্তে যদি অন্য কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তবে তাকে আমরা গ্রেফতার করব। মোবাইল ফরেনসিক ও পোস্টমর্টেম প্রতিবেদন পেলে আমরা পরবর্তী কাজ করতে পারব। আমাদের তদন্ত কার্যক্রম কবে শেষ করতে পারব- তা পুরোপুরি নির্ভর করছে ফরেনসিক প্রতিবেদন এবং পোস্টমর্টেম প্রতিবেদন পাওয়ার ওপর।

উল্লেখ্য, আত্মহত্যার আগে দেওয়া ফেসবুক পোস্টে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে অনলাইন ও অফলাইনে হুমকি-ধামকি দেওয়ার অভিযোগ করেন ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। প্রতিকার চেয়ে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের কাছে বারবার অভিযোগ দিলেও প্রতিকার পাননি। উল্টো সহকারী প্রক্টর তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন বলেও উল্লেখ করেন সেই ফেসবুক পোস্টে।


আরও খবর



ভারতে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ১২

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের ছত্তিশগড়ে একটি যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছন। আহত হয়েছেন আর ১৪ জন। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাতে রাজ্যের দুর্গ জেলার কুমহারি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্গের কালেক্টর রিচা প্রকাশ চৌধুরী বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, কর্মীদের বহনকারী বাসটি রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুমহারির কাছে একটি খাদে পড়ে যায়। এতে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয় এবং ১৪ জন আহত হন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি জানান, আহতদের মধ্যে ১২ জনকে এইমসে (রায়পুর) স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাকি দুজন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের সবার অবস্থা স্থিতিশীল।

সরকারি এ কর্মকর্তা জানান, বাসের মধ্যে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে। তবে দুর্ঘটনার কারণ এখনো জানা যায়নি। এ বিষয়ে আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।

এদিকে, এই দুর্ঘটনা শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই। নিজের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, কুমহারির কাছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বহনকারী একটি বাস দুর্ঘটনার খবরে আমি দুঃখিত। আমি বিদেহী আত্মার শান্তি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারকে শক্তি দেওয়ার জন্য সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা করছি। আহত কর্মচারীদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।


আরও খবর



এবার পরিধি বাড়ছে মঙ্গল শোভাযাত্রার

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদ্‌যাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সামাদ জানিয়েছেন, এবারের পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রার পরিধি বাড়ছে। যা চারুকলা থেকে বের হয়ে শিশু পার্ক ঘুরে ফের টিএসসিতে এসে শেষ হবে। রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে চারুকলায় পহেলা বৈশাখ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

উপ-উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য হলো আমরা তো তিমিরবিনাশী। প্রতিপাদ্যটি নেয়া হয়েছে কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতা থেকে।

তিনি বলেন, এবারও মঙ্গল শোভাযাত্রার নিরাপত্তা দিবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, তবে দূর থেকে। এদিকে এবার চারুকলারও ৭৫ বছর পূর্ণ হবে। এজন্য মঙ্গল শোভাযাত্রায় ভিন্নমাত্রা যোগ করবে বলে জানান চারুকলা অনুষদের ডিন নিসারুল হোসেন।

অন্যদিকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় নিরাপত্তা রক্ষার নামে সময়সীমা বেঁধে দেয়ায় প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বিকেল চারটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।


আরও খবর
লিপি চক্রবর্তীর ‘আকণ্ঠ মরেছি’

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




দেশব্যাপী টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা, মে মাসে মিলতে পারে স্বস্তি

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশব্যাপী টানা ২৯ দিন ধরে চলছে তাপপ্রবাহ। চলমান এ তাপপ্রবাহ আরও দুইদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক।

তিনি বলেন, গত ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে এবারের তাপপ্রবাহ। ১৯৯২ সালেও মাস জুড়ে টানা তাপপ্রবাহ হয়েছিল। তবে তার বিস্তৃতি এবারের মতো ছিল না। মে মাসের প্রথম সপ্তাহ দেশব্যাপী টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, ময়মনসিংহসহ ঢাকা বিভাগে এই বৃষ্টির প্রকোপ বেশি থাকবে।

সোমবারের আবাওহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, যশোর ও রাজশাহী জেলা সমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নওগাঁ, পাবনা ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এ সময় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।


আরও খবর