আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

টিউবওয়েলের পানি পানে ৭ জন হাসপাতালে

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

টিউবওয়েলের পানি পান করে একই পরিবারের সাত জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। একই দিনে তাদের ঘরে জানালার গ্রিল ভেঙে নগদ টাকাসহ সোনা চুরির ঘটনাও ঘটেছে। সোমবার (১ জুলাই) রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সাত জন হলেন- রায়পুর গ্রামের মৃত জগবন্ধুর ছেলে বিপুল চাকী (৫০), তার স্ত্রী তৃপ্তি রানী চাকী (৪৬), জগবন্ধুর ছেলে নিমাই চাকী (৫৫), কার্তিক চাকী (৬৫), তার স্ত্রী পুতুল চাকী (৫০), নিমাই চাকীর স্ত্রী কল্যানী চাকী (৪৬) ও ইতি রানী দে (৪০)। অসুস্থ রোগীরা বর্তমানে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

স্থানীয়রা দাবি করছেন, যেসব দুর্বৃত্তরা ওই বাড়িতে লুট করেছে তারা পানির টিউবওয়েলে হয় তো কোনও চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে রেখেছিল- যাতে ওই বাড়ির সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং লুটপাট করতে কোনও সমস্যায় না পড়তে হয়।

অসুস্থ নিমাই চাকি বলেন, রাতে আমি বাজার থেকে বাড়িতে আসি। কিছুক্ষণ পর খাওয়া-দাওয়া শেষে প্রতিদিনের মতো ঘুমোতে যাই।  কিন্তু রাতে কোন কোন শব্দ পায়নি। পরে ৬-৭ জন মানুষ আমাদের হাত পাসহ মুখ বেধে লুটপাট চালায়।

বিপুল চাকীর মেয়ে বরিশা চাকী বলেন, আমাদের বাড়ির টিউবওলের পানি পান করে আমিসহ বাড়ির সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমরা অসুস্থ হওয়াতে সোমবার রাত ১-২টায় সবাই ঘুমিয়ে পড়লে প্রথমে জানালা দিয়ে একজন ঢুকে আমাদের প্রধান দরজাটি খুলে দেয়। বিষয়টি আমি টের পেয়ে চিৎকার করি এর পরপরই ৬-৭ জন এসে আমিসহ ঘরে যারা ছিল সবার হাত-পা মুখ বেঁধে নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ প্রায় ৬/৭ লাখ টাকার সোনা নিয়ে যায়।

বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, ধারণা করছি, তাদের পানির টিউবওয়েলে কোনও চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে রাখা হয়েছিল- যা খেয়ে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে বালিয়াকান্দি থানার ওসি আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।


আরও খবর



কর্মী হিসেবে অফিসে আপনার আচরণ কেমন হওয়া উচিত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

জীবনের তাগিদে অনেকেরই চাকরি করতে হয়। এ কারণে অফিস বা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কাজ করতে হয়। কর্মক্ষেত্রে থাকা সব মানুষগুলো এক ধরনের হয় না। এরপরও সবার সঙ্গে মানিয়ে চলতে হয়। কাজের ক্ষেত্রে মতামতে অমিল, দক্ষতায় সাম না হওয়া এবং কারও বিশেষ ক্ষেত্রে দক্ষতার জন্য অনেক সময় বিভেদের সৃষ্টি হয়। এই বিভেদ অনেকে প্রকাশ করেন, আবার কেউ কেউ প্রকাশ করেন না। কিন্তু বিভেদ প্রকাশ হোক বা হোক, মনে বিভেদ থাকলে এ থেকে কাজের পরিবেশ নষ্ট হয়। ফলে এক বা দুজনের কারণে পুরো টিমে এর প্রভাব পড়ে। এমনকী ব্যক্তিজীবনেও এর প্রভাব পড়ে।

কর্মক্ষেত্রে সবসময় টিম বা অফিসের ইতিবাচক হয়, এমন চিন্তাভাবনা এবং এ উদ্দেশ্যে সবার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। যেকোনো বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করে অগ্রসর হতে হবে। কারও সঙ্গে মতামতের মিল না হলে ভেবে দেখতে হবে, দুজনের মধ্যে কার সিদ্ধান্ত অফিসের জন্য সেরা সুফল বয়ে আনবে। কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের কেমন আচরণ ও ব্যবহার হওয়া উচিতএ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ক্যারিয়ারবিষয়ক পরামর্শ প্রকাশ করা ওয়েবসাইট কেটি রবার্টস।

সততা: ব্যক্তিগত কিংবা অফিশিয়াল জীবনে সততা সবার ঊর্ধ্বে। কর্মক্ষেত্রে সবসময় খোলামেলাভাবে কাজ করতে হবে। অপ্রয়োজনীয়ভাবে গোপনীয়, বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত বা ক্লায়েন্টের তথ্য অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করা যাবে না। কেউ অসৎ আচরণ বা অন্যায় করলে সেটি সহ্য বা সমর্থন করা যাবে না। এমনটা হলে নিজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাতে হবে।

পরস্পর সম্মান: সবসময় অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব বজায় রাখতে হবে, এমনকি চাপের সময়ও। নিজে কোনো কারণে কোনো কাজের জন্য চাপে বা জটিলতায় থাকা স্বাভাবিক, তাই বলে সহকর্মীদের কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, আঘাত বা অসম্মান করবেন না। হোক সে আপনার সিনিয়র বা জুনিয়র। সবসময় মৌখিক এবং লিখিতভাবে উপযুক্ত ভাষা ব্যবহার করবেন। নিজের ভুল হলে বা কখনো ভুল বোঝাবুঝি হলে ক্ষমাপ্রার্থী হতে হবে এবং অন্যের ব্যক্তিগত মতামতকেও সম্মান করতে হবে।

মিটিং: কর্মক্ষেত্রে অফিসের উন্নয়ন বা নতুন কোনো পদক্ষেপের জন্য মিটিং, আলোচনা সভার প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে আগে থেকেই সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এসব মিটিংয়ে সর্বদা সময়মত পৌঁছান। মিটিংয়ে আপনার কী করতে হবে, তা আগে জেনে-বুঝে নিয়ে কাজগুলো গুছিয়ে রাখুন। মিটিংয়ে থাকা সবার কথাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে শুনুন এবং নিজের কোনো মতামত থাকলে তা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন।

যোগাযোগ: সহকর্মীদের সঙ্গে সর্বদা স্পষ্টভাবে কথা বলুন এবং কিছুটা সময় লাগলেও এমন ভাষায় উপস্থাপন করুন, যাতে সবাই তা বুঝতে পারে। সবার সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণ করুন। সহকর্মীদের সঙ্গে অফিশিয়াল ব্যতীত অন্য কোনো বিষয়ে কথা বলা উচিত নয়। অফিসের বাইরে সহকর্মীদের সঙ্গে অফিস সংক্রান্ত গসিপে জড়ানোও ঠিক নয়। সরাসরি বা মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় সর্বোচ্চ শালীনতা বজায় রাখতে হবে এবং লিখিত যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভাষা নির্বাচনে সতর্ক থাকুন।

টাইম ম্যানেজমেন্ট: অফিসে আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে আপনাকে দেয়া কাজটি যথাসময়ে করার চেষ্টা করুন। কখনো বিলম্ব করা ঠিক নয়। প্রয়োজনে কয়েক মিনিট আগে অফিসে পৌঁছান। কোনো কারণ দু-একদিন অফিসে পৌঁছাতে দেরি হতে পারে, তবে সেটি যেন অভ্যাসে পরিণত না হয়ে যায়। অফিসে গিয়ে কফি পান ও সহকর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সব গুছিয়ে ঠিক সময়ে অফিসের কাজ শুরু করুন। কাজের মাঝে চা বিরতি ও দুপুরের খাবার এবং বিরতির সময়সূচি মেনে চলুন। কাজ শেষ হলে যথা সময়ে চলে যান।

অফিসের লক্ষ্য: প্রতিটি অফিসেরই নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য থাকে। সেসব বাস্তবায়নে একেকজন কর্মীর ওপর একেক ধরনের দায়িত্ব দেয়া থাকে। আপনার ওপর অর্পিত দায়িত্ব আপনি নিজে গুরুত্বসহকারে করার চেষ্টা করুন।

দায়িত্ববান হওয়া: নিজের কাজের জন্য নিজেকেই দায়িত্ব নিতে হবে। যেটি প্রয়োজন সেটি করুন এবং নিজের কাজ অন্যের জন্য রেখে দেবেন না। কোনো কারণে নিজের কিছু ভুল হলে বা নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে না পারলে, এটি বিনয়ের সঙ্গে স্বীকার করার অভ্যাস করুন। এ নিয়ে অন্য সহকর্মী বা ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান তৈরি করুন। এতে পরবর্তীতে কাজটি শেষ করা আপনার জন্য সহজ হবে।

টিমওয়ার্ক: কর্মক্ষেত্রে সবাইকে নির্দিষ্ট টিমের সঙ্গে কাজ করতে হয়। এতে প্রায়ই এমন কিছু পরিস্থিতি হয়, যে কাজগুলো আপনার পছন্দের নয়। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে সেই ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ বাদ রেখে সবার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দলগতভাবে কাজ করতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: কর্মক্ষেত্র

আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




রিশাদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে লঙ্কানদের হারিয়ে সিরিজ জয়

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে টার্গেট ২৩৬ রানের। সেই রান তাড়া করতে নেমে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে তানজিদ হাসান তামিম ও রিশাদ হোসেন ব্যাটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের ৪ উইকেটে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিলো স্বাগতিকরা।

সোমবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। লঙ্কান অলরাউন্ডার জেনিথ লিয়ানগের সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ২৩৫ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। ১০২ বলে ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন লিয়ানগে।       

২৩৬ রানের টার্গেট ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন সৌম্যের কনকাশন বদলি নামা তানজিদ তামিম। অন্যদিকে কিছুটা দেখেশুনে খেলতে থাকেন এনামুল হক বিজয়। তবে দলীয় ৫০ রানে ২২ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান বিজয়।

বিজয়ের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। টাইগার অধিনায়ককে সঙ্গে নিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান তানজিদ তামিম। তবে দলীয় ৫৬ রানে ৫ বলে মাত্র ১ রান করে আউট হন শান্ত। এরপর ক্রিজে আসা তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন তামিম। ৫১ বলে ফিফটি তুলে নেন এই টাইগার ওপেনার।

হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ৪৯ রানের জুটি গড়েন তামিম। এরপর দ্রুতই জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। হৃদয় ৩৬ বলে ২২ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪ বলে মাত্র ১ করে সাজঘরে ফিরে যান। তাদের বিদায়ের পর মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তামিম।

তবে দলীয় ১৩০ রানে ৮১ বলে ৮৪ রান করে ফিরে যান তামিম। তার বিদায়ে আরও চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন মুশফিক। ৪৮ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার।

তবে দলীয় ১৭৮ রানে ৪০ বলে ২৫ রান করে আউট হন মিরাজ। তার বিদায়ের পর ক্রিজে এসে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন রিশাদ হোসেন। তার ১৮ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৫৮ বলে হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ। ৩৬ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




বেইলি রোডে আগুন

স্বপরিবারে ইতালি যাওয়ার কথা ছিল নিহত পাঁচ জনের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

পরিবারকে ইতালি নিয়ে যেতে বাংলাদেশে এসেছিলেন সৈয়দ আবুল মোবারক কাউছার (৫০)। ছেলের অনুরোধে কাচ্চি খেতে পরিবারকে নিয়ে রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্ছি ভাই রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন। হঠাৎ লাগা আগুনে পুড়ে পরিবারটির পাঁচ সদস্যের মৃত্যু হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে লাগা আগুনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের খন্দকার পাড়ার সৈয়দ আবুল মোবারক কাইছার তার (৫০), তার স্ত্রী স্বপ্না (৩৫), দুই মেয়ে সৈয়দা তাসফিয়া (১৫) ও সৈয়দা নুর এবং ছেলে সৈয়দ আবদুল্লাহ (৭)।

নিহত আবুল মোবারকের প্রতিবেশী চাচাত ভাই সিপন মিয়া ও খালাত ভাই আতিকুর রহমান বাদল জানান, সৈয়দ আবুল মোবারক কাউছার ইতালি প্রবাসী। তার পরিবারের সবাইকে ইতালি নেওয়ার জন্য দেশে এসেছিলেন। গতকালই ভিসা পেয়েছিলেন। আগামী ২২ মার্চ স্বপরিবারে তাদের ইতালি যাওয়ার কথা ছিল। ১ মাস আগে দেশে এসেছিলেন কাউছার। রাজধানীর হাতিরঝিলে তাদের ফ্লাট আছে। সে ফ্লাটে থেকে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া করাতেন। এক সপ্তাহ আগে ছেলে আবদুল্লাহর খাতনা করানো হয়। ছেলের অনুরোধে কাচ্চি খেতে স্বপরিবারে রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্ছি ভাই রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন তারা। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পরিবারের পাঁচ জনই নিহত হন। এ ঘটনায় আবুল মোবারকের মা হেলেনা বেগম (৮৫) কান্না ছাড়া কিছুই বলতে পারছে না।

আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর খন্দকার পাড়া নিহতদের বাড়িতে আসে লাশবাহী গাড়ি। গাড়ি বাড়িতে আসার পরই এলাকায় শুরু হয় স্বজনদের আহাজারি।

আজ আসর নামাজের পর নিহতদের জানাজা শেষে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।


আরও খবর



এমভি আব্দুল্লাহর পিছু নিয়েছে ইইউয়ের যুদ্ধজাহাজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর পিছু নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এর একটি জাহাজ। গতকাল বুধবার (১৩ মার্চ) ইইউয়ের সামুদ্রিক নিরাপত্তা বাহিনী এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে জাহাজটি নিয়ন্ত্রণে নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। সে সময়ে জাহাজটি সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে প্রায় ৭০০ মাইল দূরে ছিল। জাহাজে থাকা ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু বর্তমানে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি।

অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইইউয়ের জাহাজটি এমভি আব্দুল্লাহ ট্র্যাক করছে। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, অপারেশন আটলান্টার অংশ হিসেবে তারা ছায়ার সেই জাহাজের পিছু নিয়েছে।

ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের উৎপাত এড়াতে এবং প্রতিহত করতে কাজ করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অপারেশন আটলান্টা।

বিবৃতিতে ইইউ জানায়, জলদস্যুরা জাহাজটি জব্দ করে ২৩ জন ক্রুকে জিম্মি করেছে। তারা নিরাপদে আছেন। আমাদের অভিযান চলছে। ওই জাহাজটি সোমালি উপকূলের দিকে যাচ্ছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সমুদ্র নিরাপত্তা সংস্থা আমব্রে জানায়, জাহাজটি মোজাম্বিকের রাজধানী মাপুতো থেকে আরব আমিরাতের হামরিয়া যাওয়ার পথে ২০ জন সশস্ত্র জলদস্যু আক্রমণ চালায়। এরপর জাহাজে থাকা ২৩ জন ক্রুকে জিম্মি করে তারা।


আরও খবর



জাহাজ থেকে লাফ দিয়ে গুরুতর আহত চিত্রনায়ক ইমন

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা নিয়ে নির্মিতব্য অপারেশন জ্যাকপট’ সিনেমার শুটিংয়ের একটি দৃশ্য ধারণ করতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন চিত্রনায়ক মামুনুন হক ইমন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছবির আরেক অভিনেতা জয় চৌধুরী।

জানা গেছে, সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল থেকে অপারেশন জ্যাকপট’ সিনেমার শুটিং চলছিল সুন্দরবন এলাকায়। যেখানে নায়ক ইমনের একটি দৃশ্য ছিল জাহাজ থেকে সাগরে লাফ দেওয়ার। সেই ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্য করতে গিয়েই ইমনের পায়ে নোঙরের লোহা ঢুকে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নায়ক জয় চৌধুরী বলেন, সকালে একটি শট ছিল যেখানে জাহাজ থেকে লাফ দিতে হবে ইমন ভাইয়ের। সেই শট দিতে গিয়েই জাহাজের নোঙরে পা লেগে বেশ জখম হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে পায়ের অবস্থা বেশ একটা ভালো নয়।’

বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় অপারেশন জ্যাকপট’। ১৯৭১ সালে নৌ-সেক্টর কর্তৃক পরিচালিত সেই গেরিলা অভিযানের বীরত্বের গল্প এবার উঠে আসছে সিনেমার পর্দায়। অপারেশন জ্যাকপট’ নামেই নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি। এর অর্থায়ন করছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ছবিটির বাজেট ধরা হয়েছে ২১ কোটি টাকা।

চলতি বছরের শুরুর দিকে বিএফডিসিতে শুরু হয়েছিল ছবিটির শুটিং। পালাক্রমে বর্তমানে সুন্দরবনে চলছে সিনেমাটির দৃশ্যধারণ। আর সেখানে শুটিংয়ে গিয়েই গুরুতর আহত হলেন নায়ক ইমন।

সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনন্ত জলিল, ইমন, নিরব, রোশান, শিপন, সাঞ্জু, জয় চৌধুরী, অমিত হাসান, পল্লব, ইশতিয়াক আহমেদ রুমেল, নিপুণ, নাদের চৌধুরী, শহীদুল আলম সাচ্চু, ড্যানি সিডাক, ইলিয়াস কাঞ্চন, কাজী হায়াত, ওমর সানী, মিশা সওদাগর।


আরও খবর