দেশে ও বিদেশে
কতগুলো পণ্য জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক হিসেবে তালিকাভুক্ত
হয়েছে তার তালিকা ফের চাইলেন হাইকোর্ট। অবকাশকালীন ছুটি শেষে আদালত খোলার দিনই এই তালিকা
দাখিল করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড
ছাড়া অন্য কেউ তালিকা দাখিল না করায় ওই আদেশ দেন আদালত।
শুনানির সময়
বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড হাইকোর্টকে জানায়, বাংলাদেশের জিআই পণ্যের তালিকা মসলিন শাড়ি অন্তর্ভুক্ত
করা আছে। আরও নতুন ৭টি পণ্য জিআই তালিকাভুক্ত করার জন্য আবেদন করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের
শাড়ি নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশের জিআই পণ্যের তালিকা করতে সরকারকে নির্দেশ
দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার রাশেদ জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বাধীন
হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে জিআই পণ্যের তালিকা তৈরি ও রেজিস্ট্রেশনে
কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। বাণিজ্য সচিব,
কৃষি সচিব, সংস্কৃতি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের আজকের মধ্যে এ তালিকা করে হাইকোর্টকে জানানোর
নির্দেশ দেয়া হয়।
আদালতে রিটের
পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারোওয়াত সিরাজ শুক্লা। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের
সব জিআই পণ্যের তালিকা তৈরির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিটটি করেন তিনি।
সম্প্রতি কয়েকশ
বছরের পুরোনো টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের দাবি করে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে প্রতিবেশী
দেশ ভারত। এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় শিল্প
মন্ত্রণালয়।
গত কয়েক বছরে
বাংলাদেশের মোট ২১টি পণ্য জিআই হিসেবে নিবন্ধিত হলেও মোট ১৪টি পণ্যের জন্য নতুন করে
আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া আবেদনের প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে আরও দুটি পণ্য।
কোনো পণ্যের
জন্য আবেদন করার অর্থ এই নয় যে, সেগুলো জিআই সনদ পাওয়ার মতো যোগ্য বা পাবেই। নানারকম
পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নির্ধারিত হয় কোন পণ্য এই তালিকায় উঠবে। যাচাই-বাছাইয়ের পর এগুলোর
কোনোটি যদি জিআই সনদ পেয়ে যায়, তাহলে তখন সেগুলো বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে বিশ্ব
দরবারে পরিচিতি লাভ করবে।