আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

‘টপ লেভেলের একজন বলেছিল তোমাকে ম্যানেজ করে খেলাতে হবে’

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

দল ঘোষণার আগে কী হয়েছিল তামিম ইকবালের সঙ্গে, কী-ই বা শর্ত দেওয়া হয়েছিল বিসিবির পক্ষ থেকে। সামাজিক মাধ্যমে এসব বিষয়ে নানা গুঞ্জন-আলোচনা সামনে আসছিল গতকাল থেকে। কারণ আগেই কিছুটা ইঙ্গিত থাকলেও, তামিমকে ছাড়াই যে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল গড়া হয়েছে সেটি ঠিক বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছিল না। সবমিলিয়ে সেসব ধোঁয়াশা কাটাতে আজ (বুধবার) সকালে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ব্যাখ্যা দেওয়ার ঘোষণা দেন তামিম।

সব অপেক্ষার অবসান হলো বিকেল সোয়া ৫টায়। নিজের ফেসবুক পোস্টে দেওয়া ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর মানসিকভাবে আমি খুব খুশি ছিলাম। গত চার-পাঁচ ম্যাচের যত বিষয় সব ভুলে গিয়েছিলাম। ম্যাচ শেষে আমার ইনজুরির অবস্থা ফিজিওকে জানাই। তখন ড্রেসিংরুমে নির্বাচকরা আসেন। আমি তাদের বলেছিলাম, আমার অবস্থা সামনে এমনই থাকবে। আমাকে দলে রাখলে বিষয়টি মাথায় রাখবেন। হোটেলে যাওয়ার পর আমাকে ফিজিও পর্যবেক্ষণ করেন।

এরপর ফিজিওর রিপোর্টে কী ছিল তাও পরিষ্কার করে দেন তামিম, ফিজিওর রিপোর্টে ছিল প্রথম ম্যাচের পরে আমার ব্যথার অবস্থা কী, দ্বিতীয় ম্যাচের পর কী হয়েছে। সেক্ষেত্রে ২৬ তারিখের (নিউজিল্যান্ড সিরিজের শেষ ম্যাচ) ম্যাচের দিন অবস্থা কেমন হতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী, খেলার জন্য আমি প্রস্তুত। তবে আমাকে বলা হয়েছিল আমি রেস্ট নিতেও পারি।

কিউইদের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে রেস্ট নেওয়ার বিষয়ে দেশসেরা ওপেনার বলেন, শেষ ম্যাচটায় রেস্ট নিলে সেক্ষেত্রে আমার প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য রিহ্যাভ হয়ে যেত এবং বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচও আমি খেলতে পারবো এমনটা ছিল রিপোর্টে। আমি কোথাও বলিনি যে, পাঁচটা ম্যাচ খেলবো বা পাঁচ ম্যাচ খেলতে পারবো। এটা মিথ্যা। জানিনা কিভাবে এটি মিডিয়াতে ছড়ানো হয়েছে। শুধু তিন নির্বাচককে জানিয়েছিলাম আমি ফিট না, দল ঘোষণার সময় যেন এটা মাথায় রাখেন।

আমি নিশ্চিত কালকে নান্নু ভাইও কথাটা ক্লিয়ার করছে। আমি জানি না এই কথাটা মিডিয়াকে খাওয়ানো হলো বা কে করছে, কিন্তু এই জিনিস একদমই মিথ্যা। যে জিনিস আমি নির্বাচকদের বলেছিলাম যে আমার শরীর এরকমই থাকবে। এখন যেরকম অবস্থায় আছে। আমার ব্যথা থাকবে। আপনারা যখন দলটা নির্বাচন করবেন, তখন এটা মাথায় রাখবেন।

তামিম আরও বলেন, আমি কোনো কন্ট্রোভার্সি চাইনি। বিশ্বকাপের মাঝেও যেকোনো ঘটনা ঘটতে পারে, তাই যাতে কোনো ঝামেলা না হয় তাই আগেই জানিয়ে রেখেছিলাম।

বিসিবির পক্ষ থেকে মিডল অর্ডারে খেলার প্রস্তাবও দেওয়া হয় বলে জানান তামিম, বোর্ডের টপ লেভেল থেকে একজন ফোন করে আমাকে বললো, তুমি বিশ্বকাপে যাবা, কিন্তু তোমাকে তো ম্যানেজ করে খেলাতে হবে। একটা কাজ করো, তুমি প্রথম ম্যাচ খেলিও না। ‘‘আমি বলেছি, এখনো ১২/১৩ দিন সময় আছে। এই সময়ের মধ্যে তো আমি ভালো অবস্থায় থাকবো। তো কি কারণে খেলবো না?’’ তখন বললো, আচ্ছা তুমি যদি খেলো তাহলে আমরা পরিকল্পনা করছি, তুমি নিচের দিকে খেলবা।

নিউজ ট্যাগ: তামিম ইকবাল

আরও খবর
বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত দ্বিতীয় দিনের খেলা

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




কারাবন্দি ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিলো ইসরায়েল

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

৩৯ ফিলিস্তিনিকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার নিশ্চিত করেছে। খবর বিবিসির।

বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ৩৯ ফিলিস্তিনি নাগরিকের মধ্যে ২৪ জন নারী ও ১৫ জন তরুণ রয়েছেন। অধিকৃত পশ্চিম তীরের বেইতুনিয়া চেকপয়েন্ট দিয়ে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। এই যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী, চারদিনে ৫০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস।

এর আগে চুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে ১৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে ছেড়ে দেয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে এসব জিম্মিকে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রেডক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

আগামী তিনদিনে হামাসের কাছ থেকে ছাড়া পাবেন আরও ৩৭ ইসরায়েলি। তাছাড়া শুক্রবার শুধুমাত্র ১৩ ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও, ১২ থাই নাগরিককেও মুক্তি দিয়েছে হামাস।

চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির চারদিনে ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে।


আরও খবর



এখন যেভাবে চলবে সরকার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ভোট আগামী ৭ জানুয়ারি। তার আগেই মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহার এবং প্রতীক বরাদ্দের কাজ সম্পন্ন করবে নির্বাচন কমিশন।

তফসিল ঘোষণার পর থেকেই সরকারের কার্যক্রমে পরিবর্তন চলে আসবে। সংবিধান কিংবা আইনে স্পষ্ট কিছু না থাকলেও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের চর্চা অনুযায়ী তফসিলের পর পূর্ববর্তী সরকারই বহাল থাকবে, যা নির্বাচনকালীন বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে বিবেচিত হবে।

যেহেতু তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে, ফলে বর্তমান সরকার নির্বাচনকালীন শুধু রুটিন ওয়ার্ক বা স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যাবে। এসময়ে সরকার কোনো নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবে না বা নতুন কোনো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করবে না। প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্যেও এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।

তবে মন্ত্রিসভায় থাকা তিনজন টেকনোক্র্যাট (সংসদ সদস্য নন) মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভায় না থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া সরকারের যেসব মন্ত্রী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন, তাদের সুযোগ-সুবিধা কিছু কমবে। নির্বাচনী প্রচারকাজে তারা সরকারি প্রটোকল পাবেন না।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তফসিল-পরবর্তী বর্তমান সরকার এভাবেই কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।

যেহেতু তফসিলের পর সরকার শুধু রুটিন কাজ চালিয়ে যাবে, কোনো নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না বা নতুন প্রকল্পও উদ্বোধন করতে পারবে না, এজন্য গত কিছুদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেষ হওয়া বড় প্রকল্পগুলো উদ্বোধনে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। এসময়ের মধ্যে নতুন নতুন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেছেন তিনি।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ অনুসারে গতকাল বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণার পরপরই শুরু হয়েছে নির্বাচন-পূর্ব সময়। নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত এই নির্বাচন-পূর্ব সময় বহাল থাকবে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর ৫(২) অনুচ্ছেদে বলা আছে, নির্বাচন কমিশন যে কোনো ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোনো দায়িত্ব পালনে বা সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দিতে পারবে। ৪৪(ঙ) অনুচ্ছেদ অনুসারে, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফলাফল ঘোষণার পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া বিভাগীয় কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ডেপুটি কমিশনার, পুলিশ সুপার এবং তাদের অধস্তন কর্মকর্তাকে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া বদলি করা যাবে না। এছাড়া নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনবোধে যে কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলির ব্যবস্থা নিতে পারবে। নির্বাচন কমিশন এ সময় নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ প্রয়োগ করতে পারবে।

গত ৩১ অক্টোবর গণভবনে ব্রাসেলস সফর নিয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বাদশ সংসদের ভোটের আগে নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে তা জানান।

ওই সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও কানাডার মতো সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে যেভাবে নির্বাচনকালীন সরকার থাকে, সেভাবে চলবে। অর্থাৎ সেসময় আমরা যারা থাকবো, আমরাই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে আমাদের রুটিন ওয়ার্ক পালন করবো, যেন সরকার অচল হয়ে না যায়, সেটা আমরা করবো, সেভাবেই চলবে।


আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা, নিহত ৩

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা অঙ্গরাজ্যের লাস ভেগাসে ইউনিভার্সিটি অব নেভাদার ক্যাম্পাসে বন্দুকধারীর গুলিতে ৩ জন নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে আরও একজন। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, সন্দেহভাজন বন্দুকধারী নিজেও মারা গেছে। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার এই ঘটনা ঘটেছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এমএসএনবিসি নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

লাস ভেগাস পুলিশ বিভাগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সন্দেহভাজন বন্দুকধারী ছাড়াও আরও তিনজন নিহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়া আরও একজনের অবস্থা গুরুতর। পুলিশ এখনো বন্দুকধারী এবং নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি। এমনকি কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সে বিষয়েও কোনো কিনারা করতে পারেনি। 

আরও পড়ুন>> যুক্তরাষ্ট্রকে ৫০ বিলিয়ন ডলার জরিমানা করল ইরান

ইউনিভার্সিটি অব লাস ভেগাসের অধ্যাপক ভিনসেন্ট পেরেজ জানান, তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্যাপক গোলাগুলির আওয়াজ শুনেছেন। তিনি বলেন, আমি বলতে চাই, পরপর সাত আটটি গুলির শব্দ শুনতে পাই জোরে, খুবই জোরে। গুলির আওয়াজ শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দৌড়ে ভেতরে চলে যাই। দ্রুতই বুঝতে পারি যে, ক্যাম্পাসে একজন সক্রিয় বন্দুকধারী আছে।

ইউনিভার্সিটি অব লাস ভেগাসের নিজস্ব পুলিশ বিভাগের অ্যাডাম গার্সিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ক্যাম্পাসে একজন সক্রিয় বন্দুকধারী বিষয়ে খবর পাওয়ার পর আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় এবং সন্দেহভাজনকে পাকড়াও করে। তিনি জানান, সন্দেহভাজন বন্দুকধারী মারা গেছে। তবে কীভাবে মারা গেছে, তা পুলিশ জানায়নি।

লাস ভেগাস মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগের শেরিফ কেভিন ম্যাকমাহিল বলেছেন, আর কোনো হুমকি নেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শাখাগুলি সতর্কতার কারণে কিছুদিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।


আরও খবর



জাসদ ছেড়ে আ. লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম কিনলেন ড. আনোয়ার হোসেন

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দলটির দলীয় আবেদন ফরম সংগ্রহ করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন।

আজ সোমবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে নেত্রকোনা-৫ আসনের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। মনোনয়ন ফরম নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন আনোয়ার হোসেন নিজেই। একই সঙ্গে তিনি জানান জাসদ থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগ দেবেন।

জাসদের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম হলেন আনোয়ার হোসেন বড়ভাই মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের। ভাইয়ের সঙ্গে জাসদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন ড. আনোয়ার হোসেন। এরপর শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হলেও সংগঠনটির সঙ্গে তাদের নিবিড় সম্পর্ক ছিল। শিক্ষকতা পেশা থেকে অবসরের পরে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটির সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। পরে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন।

সর্বশেষ গত ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জাসদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ড. আনোয়ার হোসেন। সেখানে দলীয় মনোনয়ন বোর্ড, নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়। যেখানে নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সদস্য হিসাবে রাখা হয় আনোয়ার হোসেন।

আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য। বিষয়টি আমি স্থায়ী কমিটির সভায় জানিয়েছি। আমাদের পূর্বধলায় (নেত্রকোনা-৫ আসন) আমার ছোট ভাই বেলাল (ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল) তিনবারের সংসদ সদস্য। সে গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় এখন নির্বাচন করতে পারছে না। এলাকার বিভিন্ন স্তরের মানুষ, সেটা রাজনীতিবিদ ছাড়াও অনেকেই যোগাযোগ করছে। কারণ বেলালের অনুপস্থিতি প্রায় এক বছরের মত। সেখানে আওয়ামী লীগের যে অন্যান্য অংশ রয়েছে তাদের প্রতি মানুষের তেমন আস্থাও নেই। এতে মানুষ নেতা শূন্য হয়ে পড়েছে।

তাঁর পরিবারে প্রতি পূর্বধলার মানুষের চাওয়া পাওয়া রয়েছে বলে জানান আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, এলাকায় আমার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছিল না। কিন্তু ভাইতো আছে। মানুষজন আমাকে চিনেন। বিশেষ করে ১/১১ সময়ে আমার ভূমিকা, জাবির উপাচার্য, মুক্তিযোদ্ধা, সাহসী লোক হিসাবে সংকটে এগিয়ে আসে সেসব কারণে।

নির্বাচন করার চিন্তা ছিল না বলে উল্লেখ করে ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশে একটা বিরাট সংকট তৈরি হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্হিশক্তি ‍যুক্ত হয়ে গেছে এবং আছে। সেখানে ষড়যন্ত্র হচ্ছে নানা রকম। আমি শেখ হাসিনাকে দেশের কান্ডারি মনে করি, কোনো বিকল্প দেখি না। আমি অবসরের পরে জাসদে যোগ দিলেও সব সময় আমার শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। এখন আমার দেশ বিশাল সংকটে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য চেষ্টা হচ্ছে নানাভাবে, সে সময় তাঁর পাশে আমার থাকা দরকার। খুব চিন্তাভাবনা করেই এটা করেছি।

আনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশে এখন যে অবস্থা। আমরা জাসদ কিংবা ওয়ার্কার্স পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি অনেক দিন ধরে চেষ্টা করছি, কিন্তু জনগণের মধ্যে সেভাবে আস্থাটা তৈরি হয়নি। বরং দলগুলো ছোট হয়ে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের জোটে আছে। এ ক্ষেত্রে জাসদ থেকে মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের সমর্থন নেওয়া যেত না এমন এক প্রশ্নে আনোয়ার হোসেন বলেন, ওইটা নেওয়াটা কঠিন ছিল। কারণ ওখানে (পূর্বধলা) জাসদের সাংগঠনিক কাঠামো সেরকম নেই। ওখানেতো জাসদের রাজনীতি কেউ করত না। আমার ভাই আওয়ামী লীগ করে। আমিও রাজনীতিতে তেমন ছিলাম না। এলাকায় দেখলাম সেখানে জাসদের পুরোনো কিছু কর্মী থাকলেও তারা জাসদে (আওয়ামী লীগ হবে) যোগ দিয়ে দিয়েছে।

গত আড়াই মাসে ভাইয়ের অবর্তমানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কাজ করে মুগ্ধ বলে জানান আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ওখানে জাসদের কাঠামো থাকলে তারা মনোনয়ন দিতে পারত। কিন্তু ওখানেতো জাসদ নেই।

আপনি কি তাহলে জাসদ থেকে পদত্যাগ করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি অবশ্যই পদত্যাগ করবো। তাদের বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি। আওয়ামী লীগ থেকে যেহেতু মনোনয়ন নিয়েছি, তাদের সঙ্গে যুক্ত হবো। আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগ যোগ দেব।

এ বিষয়ে জানতে জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতারকে কল করা হলেও তারা রিসিভ করেননি। পরে মোবাইলে এসএমএস পাঠালেও কোনো উত্তর দেননি।

তবে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, উনি এখনো আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য। আমাদের এখানে থাকলে জোট থেকে ওনার মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকত। আমরা আসনটা নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের দেনদরবার-আলোচনা করতাম। কিন্তু সেখানে যাওয়া সে সম্ভাবনাও কমে গেছে।


আরও খবর
রবিবার হরতাল-অবরোধ দিচ্ছে না বিএনপি

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




তৃতীয় দিনের মতো ইসিতে চলছে আপিল গ্রহণ কার্যক্রম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের মতো আপিল আবেদন করছেন। আজ বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিচের ১০টি বুথে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

গত মঙ্গলবার এ আপিল কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। এদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ১০টি বুথে আপিল গ্রহণের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল গ্রহণ করা হবে। পরে ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল আবেদনের শুনানি হবে।

বুধবার আপিল গ্রহণ কার্যক্রম পরিদর্শন করে সিইসি হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিশন প্রথমে আপিল শুনবে। পরে সিদ্ধান্ত দেবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সারা দেশের ৩০০ আসনে ৭৪৭ জন স্বতন্ত্রসহ মোট দুই হাজার ৭১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু, গত ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র বৈধ এবং ৭৩১টি বাতিল ঘোষণা করেন। মনোনয়নপত্র বাতিলের হার ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ মনোনয়নপত্রের হার ৭৩ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ। 

আরও পড়ুন>> নির্বাচন পর্যবেক্ষণে নিবন্ধন পেল ৯৬ দেশি সংস্থা

ইসি কর্মকর্তারা জানান, বুধবার ঢাকা অঞ্চলে ২৩ জন, কুমিল্লার ১৬ জন, চট্টগ্রামের নয়জন, ফরিদপুরের ছয়জন, সিলেটের চারজন, ময়মনসিংহের ১৯ জন, বরিশালের ছয়জন, খুলনার ১৮ জন, রাজশাহীর ২৬ জন ও রংপুর অঞ্চলের ১৪ জন আপিল আবেদন করেছেন। তার আগের দিন, অর্থাৎ মঙ্গলবার আপিল করেছিলেন ৪২ জন প্রার্থী।

জানা গেছে, ৭৩১টি মনোনয়নপত্রের বেশিরভাগই তিনটি কারণে বাতিল করা হয়েছে। সেগুলো হলোস্বতন্ত্র প্রার্থীদের জমা দেওয়া এক শতাংশ ভোটারের সইয়ে অমিল, ঋণ ও ইউটিলিটি বিলের খেলাপি ও দ্বৈত নাগরিকত্ব।

প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর এবং রিটার্নিং কর্মকর্তারা ১৮ ডিসেম্বর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে নির্বাচনি প্রতীক বরাদ্দ করবেন।


আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩