আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেলো কলেজছাত্রের

প্রকাশিত:বুধবার ২২ ডিসেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ ডিসেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
দুর্ঘটনার পর বগুড়া রেলওয়ে ফাঁড়ি পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠায়

বগুড়া সদর উপজেলায় ট্রেনে কাটা পড়ে আতাউর রহমান (২৫) নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় পৌর এলাকার চেলোপাড়া ব্রিজে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আতাউর শাহাজাহানপুর উপজেলার বাঁশকুটা গ্রামের হাছান আলীর ছেলে। এছাড়াও তিনি সরকারি আজিজুল হক কলেজের ইতিহাস বিভাগের স্নাতক ৩য় বর্ষের ছাত্র।

দুর্ঘটনার পর বগুড়া রেলওয়ে ফাঁড়ি পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠায়।

বগুড়ার সান্তাহার রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিউল আজম জানান, ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন রংপুর এক্সপ্রেসে কাটা পড়ে আতাউর মারা গিয়েছেন। এটি আত্মহত্যা নাকি দুর্ঘটনা আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। মরদেহ উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। পরিবারের কাছে বুধবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: বগুড়া

আরও খবর



ভারত : বিতর্কিত সিএএ’র বাস্তবায়ন স্থগিতের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিটিজেনশিপ অ্যামন্ডমেন্ট অ্যাক্ট অ্যান্ড রুলস- সিএএ) বাস্তবায়ন স্থগিতের নির্দেশ দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে নোটিশ জারি করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। নোটিশের জবাব দিতে নয়াদিল্লিতে আসীন কেন্দ্রীয় সরকারকে তিন সপ্তাহ সময়ও বেঁধে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ মঙ্গলবার নোটিশটি জারি করে। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি জে.বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র।

পার্লামেন্টে পাস হওয়ার চার বছর পর, গত ১১ মার্চ দেশজুড়ে সিএএ কার্যকর করে কেন্দ্রীয় সরকারে আসীন বিজেপি; কিন্তু তার পরপরই বিজেপির এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা শুরু করে বিরোধী দলগুলো। পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালার রাজ্য সরকার ইতোমধ্যে জানিয়েছে, রাজ্যে আইন বাস্তবায়ন করা হবে না। আইনটি স্থগিতের জন্য বিজেপিকে আল্টিমেটাম দিয়েছে তামিলনাড়ু, কর্ণাটকসহ দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যগুলোও।

সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র জানিয়েছে, ১১ মার্চ আইনটি কার্যকরের আদেশ দেওয়ার পর থেকেই সেটি স্থগিতের জন্য আপিল আসতে থাকে। এ পর্যন্ত অন্তত ২০টি আপিল জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এসব আপিলে স্বাক্ষর রয়েছে অন্তত ২৩৭ জন আবেদনকারীর।

মঙ্গলবার এসব আপিলের ওপর ওপরই শুনানি ছিল। শুনানিতে আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত যেন কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ বাস্তবায়ন স্থগিত রাখে এমন আদেশ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। বাদিপক্ষের আইনজীবী দলের অন্যতম সদস্য নিজাম পাশা বলেন, আইনটি পাসের পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভারতের মুসলিমরা। তাদের মধ্যে এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যে বিজেপি সরকার ভারতীয় মুসলিমদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে চায় এবং সিএএ হলো সেই পরিকল্পনার প্রথম ধাপ।

তবে বাদিপক্ষের এই যুক্তির পাল্টায় ভারতের শীর্ষ আইন কর্মকর্তা (সলিসিটর জেনারেল) তুষার মেহতা দাবি করেন, সিএএর মাধ্যমে কারো নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার উপায় নেই।

উভয়পক্ষের তর্ক ও যুক্তি উপস্থাপন শেষে সুপ্রিম কোর্ট সিএএ কার্যকর করা কেন অবৈধ হবে না মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে নোটিশ জারি করেন এবং জবাব দেওয়ার জন্য তিন সপ্তাহ সময় দেন। সেই সঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন হিসেবে আগামী ৯ এপ্রিল ধার্য করেন সর্বোচ্চ আদালত।

২০১৯ সালে পার্লামেন্টে সিএএ পাস করে তৎকালীন বিজেপি সরকার । এ আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ ও পার্সি সম্প্রদায়ের যেসব লোকজন সাম্প্রদায়িক নির্যাতন ও নিপীড়ণের মুখে টিকতে না পেরে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

ভারতে প্রথমবার নাগরিকত্ব আইন পাস হয় ১৯৫৫ সালে। সেই আইন অনুযায়ী, বিদেশ থেকে ভারতে আসা যেসব ব্যক্তি বিগত ১৪ বছরের মধ্যে ১১ বছর ধরে ভারতে বসবাস করছেন এবং অন্তত ১ বছর টানা থেকেছেন, তারা ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলে তা অনুমোদন করা হবে। সিএএতে ১১ বছরের মেয়াদকালকে কমিয়ে ৫ বছরে আনা হয়েছে।

২০১৯ সালে আইনটি পাসের পর থেকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিজেপিবিরোধী বিভিন্ন ভারতীয় দল ছিল সেই বিক্ষোভের নেতৃত্বে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ব্যাপক বিরোধী।

উত্তর-পূর্ব ভারত থেকেই মূলত আপত্তি উঠেছিল সিএএ নিয়ে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, সিএএ কার্যকর হলে শরণার্থীদের ভিড় ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। তার ফলে ভাষাগত এবং সংস্কৃতিগত সমস্যা প্রকট হতে পারে। নিজেদের ভাষা এবং সংস্কৃতি রক্ষার স্বার্থেই অনেকে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন।

পাশাপাশি আইনে মুসলিমদের বাদ দেওয়া নিয়েও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। শুধু তা-ই নয়, দক্ষিণ ভারতে সিএএ বিরোধিতার মূল কারণ, শ্রীলঙ্কা থেকে আগত তামিল উদ্বাস্তুদের বাদ দেওয়া।

সিএএ বিরোধিতাকারীদের অভিযোগ, আইনটি ভারতের সংবিধানের পরিপন্থী। কেননা, এ আইনে ধর্মীয় কারণে নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্য করা হচ্ছে। তবে বিজেপির বক্তব্য, এই আইনে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না; বরং যারা ধর্মীয় বৈষম্যের কারণে এ দেশে চলে এসেছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

২০১৯ সালে আইনটি পাস হওয়ার পর রাজধানী নয়াদিল্লিসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে দাঙ্গা হয়েছিল। এসব দাঙ্গায় প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ।


আরও খবর



পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিল বিজিপির আরও ১২ সদস্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মিয়ানমারের বিজিপির আরও ১২ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপির আষাঢ়তলী, জামছড়ি ও ঘুমধুম ইউপির রেজু সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি জান্তা বাহিনী সদস্যরা সংঘাতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, ৮ নম্বর ওয়ার্ড জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।

ঘুমধুম ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য বাবুল কান্তি চাকমা জানান, ওয়ার্ডের ফাত্রাঝিরি রেজু আমতলি পাড়া সীমান্ত দিয়ে দুই বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম সকালে ১২ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এর আগে ১৭৭ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন। আশ্রয় নেওয়া সব সদস্যদের নিরস্ত্র করে বিজিবিদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল।


আরও খবর



মিয়ানমারের ১৭৭ বিজিপি সদস্যকে দ্রুত প্রত্যাবর্তন করা হবে : বিজিবি ডিজি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৭ জন পলাতক সদস্যকে শিগগির তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকালে খাগড়াছড়িতে রামগড় স্থলবন্দরে আইসিপি (ইন্ট্রিগ্রেটেড চেক পোস্ট) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

বিজিবি ডিজি বলেন, বিজিপি সদস্যদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। শিগগিরই তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। অন্যদের যেভাবে ফেরত পাঠানো হয়েছে, সেভাবে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

মিয়ানমার সামরিক জান্তার সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষের জের ধরে ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের বান্দরবান সীমান্ত দিয়ে বিজিপির ৩২৯ জন সদস্য এদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে তাদেরকে জাহাজে করে সাগর পথে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। মার্চে মিয়ানমারের বিজিপির ১৭৭ সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বিজিবি ডিজি বলেন, আইসিপি- ইন্টিগেটেড চেকপোস্ট (সমন্বিত চৌকি) যখন চালু হবে, আমাদের দুই দেশের (বাংলাদেশ-ভারত) অর্থনৈতিক অনেক প্রাপ্তি ও সুবিধা হবে। জাপানসহ বিশ্বের অনেক দেশ আমাদের এদিকে ও ভারতের দিকেও আইসিপির দু'প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের ইনভেস্টমেন্ট করছে। এই আইসিপি চালু হওয়ার পর বর্ডারের দুপাশসহ অবশ্যই সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিকে অনেক সমৃদ্ধি করবে।

এর আগে তিনি বিজিবির সূতিকাগার ২২৯ বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যে গৌরবমন্ডিত রামগড় ব্যাটালিয়নের (৪৩ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন সদর, রামগড় স্থলবন্দর সংলগ্ন আইসিপি ও ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু এলাকা এবং বিজিবি স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শন করেন।

আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর থেকে রামগড় স্থলবন্দরটি পাহাড়ি এলাকায় হওয়ায় অবস্থানটি ভিন্ন। এ ক্ষেত্রে নিরাপত্তার দিকটি একটু ভিন্ন আঙ্গিকে থাকবে। সে জন্য এখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা  দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এখানে ফেনী নদীর ওপর বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু রয়েছে এবং এখানে যে সড়ক নির্মাণ হচ্ছে সেটা চট্টগ্রাম বন্দরসহ অন্যান্য জায়গা থেকে দূরত্ব কম। তাই সার্বিকভাবে পারস্পরিক বাণিজ্যের নতুন সমৃদ্ধির দ্বার খুলে যাবে। সবদিক থেকে এটা আরও ত্বরান্বিত হবে।

বিজিবি প্রধান রামগড়ে বিজিবি স্সৃতিস্তম্ভ এলাকায় সীমান্তবর্তী ২৫০ দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে চাল-ডাল-চিনিসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। এরপর রামগড়ে ৪৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদরে সকল স্তরের বিজিবি সদস্যদের সাথে মতবিনিময় এবং ইফতার করেন। এ সময় তিনি সবাইকে আভিযানিক, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।

এ সময় বিজিবি সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন ও প্রশিক্ষণ), চট্টগ্রাম রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার, গুইমারা সেক্টর কমান্ডার এবং রামগড় ব্যাটালিয়নের অধিনায়কসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বাংলাদেশের নতুন স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

পাকিস্তানের সাবেক লেগস্পিনার এবং বিশ্বকাপজয়ী মুশতাক আহমেদকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের নতুন স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

চলতি মাসের শেষদিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে প্রস্তুতি ক্যাম্পে যোগ দেবেন তিনি। মুশতাকের সঙ্গে বিসিবির চুক্তি হয়েছে চলতি বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ১ জুন থেকে মাঠে গড়াবে এই বিশ্বকাপ।

৫৩ বছর বয়সী মুশতাকের আগে ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ড দলের স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। নিজ দেশ পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও স্পিন কোচ ছিলেন তিনি।

খেলোয়াড়ি জীবনও বেশ সমৃদ্ধ ছিল মুশতাক আহমেদের। পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে ১৫২ টেস্টে ১৮৫ এবং ১৪৪ ওয়ানডেতে নিয়েছেন ১৬১ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার নামের পাশে ১ হাজার ৪০৭ উইকেট রয়েছে। ১৯৯২ সালে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন মুশতাক আহমেদ।


আরও খবর



নিজ্জর হত্যার তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে যা বললেন ট্রুডো

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

খলিস্তানপন্থি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার তদন্তে ভারত সরকারের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে কাজ করতে চাইছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বৃহস্পতিবার কানাডাভিত্তিক কেবল পাবলিক অ্যাফেয়ার্স চ্যানেলকে (সিপিএসি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান। খবর এনডিটিভির।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এই হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের এজেন্টরা জড়িত ছিল তা একটি বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ। তবে বিদেশি সরকারের বেআইনি কর্মকাণ্ড থেকে কানাডার সব নাগরিককে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। তাই আমাদের দেশের মাটিতে কানাডার একজন নাগরিকের হত্যার বিষয়টিকে আমাদের সবার অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে নেওয়া উচিত।'

সিপিএসিকে ট্রুডো আরও বলেন, নিজ্জর হত্যার বিষয়ে যথাযথ তদন্ত হচ্ছে তা নিশ্চিত করছে কানাডার সরকার। ভারত সরকারের সঙ্গে নিজ্জর হত্যার তদন্তে গঠনমূলকভাবে কাজ করতে চাইছে কানাডা। কানাডার আর কোনো নাগরিক যেন কোনো আন্তর্জাতিক শক্তির বিদেশি হস্তক্ষেপে ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে, সে কারণে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ও বুঝতে আমরা কাজ করছি।'

গত বছরের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় একটি শিখ মন্দিরের বাইরে নিজ গাড়িতে খুন হন খালিস্তানপন্থি নেতা নিজ্জর। কানাডার এই শিখ নেতাকে দুই বন্দুকধারী গুলি করে হত্যা করেন।

নিজ্জার হত্যায় ভারত সরকারের ভূমিকা আছে বলে অভিযোগ করেছিলেন জাস্টিন ট্রুডো। যদিও ভারত এ অভিযোগটি অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রত্যাখ্যান করে আসছে।


আরও খবর