অনুষ্ঠিত হয়ে
গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এবারের নির্বাচনে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসন
থেকে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
জয় নিয়ে শতভাগ আশাবাদী হলেও শেষ পর্যন্ত নয় হাজার ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন মাহি। আর
প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়েই জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে এই নায়িকার।
রাজশাহী-১
(গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে নৌকায় ১ লাখ ৩ হাজার ৫৯২ ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন ওমর
ফারুক চৌধুরী। এ আসনে ১৫৮ কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৪০ হাজার ২১৮ জন। মোট ভোট
পড়েছে ২ লাখ ১৯ হাজার ৭৯৩, ভোটের হার ৪৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। বৈধ ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১২
হাজার ২৯৬, বাতিল হাওয়া ভোটের সংখ্যা ৭ হাজার ৪৯৭।
নির্বাচনের
আগে এলাকাবাসীকে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার ট্রাক প্রতীকে ভোট চান। প্রচারণার সময়
‘সিনেম্যাটিক’ স্টাইলে বক্তব্যও দেন। আওয়ামী
লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছিলেন, চৌধুরী সাহেবের হয়তো
অনেক টাকা আছে, কিন্তু তার মন নেই।
এদিকে ভোটের
দিন রোববার (৭ জানুয়ারি) সকালে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে নায়িকা মাহিয়া মাহি সাংবাদিকদের
বলেছিলেন, ফলাফল যা হওয়ার হবে, আমি হারি আর জিতি কালকে (সোমবার) পুরো এলাকায় একটা শোডাউন
দেব। হেরে গেলেও সবাইকে জানান দেব, আমি তাদের সঙ্গে আছি।
তবে শেষ পর্যন্ত
কথা রাখেননি মাহি। সোমবার (৮ জানুয়ারি) নিজের নির্বাচনী এলাকায় কোনো শোডাউন দেননি তিনি।
জানা গেছে,
সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাসা থেকেই বের হননি নায়িকা মাহি। ঠিকভাবে কারও সঙ্গে কথাও
বলছেন না। দূরত্ব তৈরি হয়েছে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে। সাংবাদিকদেরও এড়িয়ে গেছেন তিনি।
গণমাধ্যমে আপাতত কোনো কথা বলতে চাইছেন না ঢাকাই চলচ্চিত্রের এ নায়িকা।
এদিকে একটি
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে মাহি বলেন, ট্রল তো আমার নিয়মিত সঙ্গী । এগুলো নিয়ে নতুন
করে আর কী বলব। শুধু একটা কথাই বলব, মানুষকে এভাবে ট্রল করা ঠিক নয়। একটা মেয়ে হয়ে
আমি নির্বাচন করেছি।
যারা বিভিন্নভাবে
ট্রল করছেন তাদের উদ্দেশে এই নায়িকা বলেন, এভাবে কাউকে ট্রল করবেন না, প্লিজ। আপনাদের
কাছের কেউ নির্বাচন করলে বুঝতে পারবেন এটা কতটা কঠিন।