তারা তরুণ, আবেদনময়ী, যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত।
তারা সবাই ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেসের (আইডিএফ) সদস্য। কিন্তু তাদের কাজ কার্যত হচ্ছে
টিকটিকে ভিডিও পোস্ট করা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমর্থন আদায় এবং জাতীয়তাবাদ ছড়িয়ে দিতে
এই তরুণীদের ব্যবহার করা হচ্ছে। খবর নিউইয়র্ক পোস্টের।
গাজায় নিরীহ মানুষের ওপর ১১ দিন ধরে তাণ্ডব
চালানোর পর হামাসের সঙ্গে এখন যুদ্ধবিরতি পালন করছে ইসরায়েল। ওই সহিংসতায় ২৪০ জনের
বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। মারা গেছে ১৩ ইসরায়েলিও। কিন্তু যুদ্ধবিরতির এই সময়ে
অন্য এক লড়াই শুরু করেছে ইসরায়েল। দেশটির নাগরিকদের মাঝে যুদ্ধ উত্তেজনা ছড়িয়ে দিতে
নারীদের ব্যবহার করছে তারা।
ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনিদের পালিয়ে
যাওয়ার দৃশ্যের বিপরীতে সম্পূর্ণ চিত্র তুলে ধরেছে আইডিএফ। তারা সামরিকপন্থী বিভিন্ন
কন্টেন্ট প্রকাশ করছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সামরিক পোশাক পরে গাজা সীমান্তে প্রিয়জনদের
সঙ্গে দেখা করছে সৈন্যরা।
ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচারাল অ্যানথ্রপলজির
অধ্যাপক রেবেকা স্টেইন বলেন, ইসরায়েলে সুন্দরী নারীদের সামরিক পোশাক পরিয়ে তাদের জাতীয়তাবাদের
প্রতীক হিসেবে তুলে ধরার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছ। তিনি বলেন, নিজের ডিজিটাল প্লাটফর্মের
চাহিদা অনুযায়ী নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করছে সেনাবাহিনী।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটা বড় অংশের বয়স ১৮-২১ বছর। তাই এসব সৈন্যদের উদ্বুদ্ধ করতে এই ‘থার্স্ট ট্রাপ’ ব্যবহার করছে আইডিএফ। কেননা প্রগতিশীল তরুণদের মধ্যে ফিলিস্তিনপন্থী মনোভাব থাকলেও তারা যাতে ইসরায়েলি সেনাদের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে সেটাই অর্জন করতে চাচ্ছে আইডিএফ।