মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তিনি তথ্য অধিকার আইন করেছেন যেটা সংবাদ মাধ্যমে জন্য দেশের নাগরিকদের জন্য অনেক সুবিধা করে দিয়েছেন। সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে জনগণই এ রাষ্ট্রের মালিক। এটা ভেবেই শুধু তথ্য অধিকার আইন শুধু না তথ্য কমিশন করে দিয়েছেন। এত বড় একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করে দিয়েছেন। এটা কিন্তু সংবাদ মাধ্যমে যারা কাজ করেন বা নাগরিক হিসাবে কোন বিষয় জানতে তাদের জন্য এ সুযোগ আমরা করে দিয়েছি। কারণ তথ্যের ভান্ডারকে গোপন করে রেখে কোন জাতি এগুতে পারে না।
মন্ত্রী আজ রবিবার পিরোজপুর প্রেসক্লাব মিলানয়তনে চ্যানেল আই এর জন্মদিন পালন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে গণমাধ্যম যে স্বাধীনতা পেয়েছে, আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি বাংলাদেশের ইতিহাসে এতো স্বাধীনতা গণমাধ্যম কখনও পায়নি। শেখ হাসিনার আমলে যতগুলো টেলিভিশন অনুমোদন পেয়েছে, যতগুলো পত্রিকা অনুমোদন পেয়েছে, অনলাইন পোর্টাল রেজিষ্ট্রেশন পেয়েছে বাংলাদেশের কোন রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দেয়নি। আজকে কিন্তু সংবাদ মাধ্যমের উপরে কোন খড়গ নেই। একটা সময় সাংবাদ মাধ্যম ও সংবাদ কর্মীরা আতঙ্কে থাকতেন। তা কিন্তু এখন আর নেই। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত স্বাধীনতা গণমাধ্য কখনও পায়নি। বর্তমান সরকার গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের সহায়ক, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচনায় গ্রহণ করেছেন।
চ্যানেল আই জেলা প্রতিনিধি ফসিউল ইসলাম বাচ্চু’র সঞ্চালনায় আলোচনা সভা ও কেক কাটার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, এনএসআই’র যুগ্ন পরিচালক মো. আব্দুল কাদের, সিলেট মেডিকেল কলেজের নাক-কান-গলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মানলাল আইচ লিটু। আরও বক্তব্য রাখেন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ইকবাল কবির, বীব মুক্তিযোদ্ধা নূরদিদা খালেদ রবি, গৌতম চৌধুরী, এম এ রব্বানী ফিরোজ, জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা চেয়ারম্যান কাজী রুহিয়া বেগম হাসি, জেলা দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. মুনিরুজ্জামান নাসিম, মহিলা পরিষদ নেত্রী খালেদা আক্তার হেনা, পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, শফিউল হক মিঠু, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক এস এম তানভীর আহম্মেদ।
আলোচনা শেষে অতিথিবৃন্দকে নিয়ে এক আনন্দঘন পরিবেশে চ্যানেল আই জন্মদিনের কেক কাটা হয়। এ সময় সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস এম বায়েজিদ, সাবেক পৌর কাউন্সিলর মিনারা মাহাবুব, কৃষিবিদ জগৎপ্রিয় দাস বিষুসহ সাংবাদিক ও নানা শ্রেণি পেশার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।