সিরিয়া-তুরস্কে
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে আজ বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত
নিহতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে।
তুরস্কের কর্তৃপক্ষ
বলছে, তাদের দেশের নিহতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৪১৮ জন। অন্যদিকে, সিরিয়ায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে
৫ হাজার ৮০০জন। তুরস্কে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে এবং সাহায্য সংস্থাগুলো
বলছে, সিরিয়ায় এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
দুই দেশেরই উদ্ধারকারী
দলগুলো এখন বিস্তীর্ণ এলাকায় উদ্ধার কাজ গুটিয়ে আনছে। কারণ জীবিত কাউকে উদ্ধারের সম্ভাবনা
ক্ষীণ হয়ে আসছে।
জাতিসংঘ বলছে,
গত সপ্তাহের মারাত্মক ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হওয়ার পর দেশটিতে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে আরও
দুটি সীমান্ত পারাপার খুলতে রাজি হয়েছে সিরিয়ার সরকার।
জাতিসংঘ মহাসচিব
আন্তোনিও গুতেরেসের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, এটি একটি বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে।
আমরা এখন পর্যন্ত একটি সীমান্ত পারাপার ব্যবহার করছি।
অনেক সিরিয় নাগরিক
তাদের যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশে সহায়তা না পৌঁছানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। প্রেসিডেন্ট বাশার
আল-আসাদের সরকার উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হওয়ার জন্য দেশটির ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে
দায়ী করেছে।
কিন্তু আন্তর্জাতিক
সাহায্য গোষ্ঠীগুলো বলছে, আসাদ সরকারের অব্যবস্থাপনা এবং দেশের সব এলাকায় উদ্ধার কাজে
সংযুক্ত না হওয়াটাই মূল প্রতিবন্ধকতা।
সোমবার দামেস্কে প্রেসিডেন্ট আসাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর জাতিসংঘ নতুন দুটি সীমান্ত পারাপার খুলে দেয়ার এই ঘোষণা দিয়েছে। এগুলো হচ্ছে- তুরস্কের সীমান্তের সঙ্গে থাকা বাব আল-সালাম এবং আল রাই সীমান্ত পারাপার।এতে বলা হয়েছে, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় সীমান্ত পারাপার প্রাথমিকভাবে তিন মাসের জন্য খোলা থাকবে।