আজঃ বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

তুরস্কের পদক্ষেপে ‘বিরক্ত’ জার্মান চ্যান্সেলর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ সেপ্টেম্বর 20২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ সেপ্টেম্বর 20২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাশিয়া ও চীনের নেতৃত্বাধীন অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা জোট সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-তে যোগদানের ব্যাপারে তুরস্কের পদক্ষেপে বিরক্ত জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠকের পর নিজের এমন মনোভাবের কথা জানান তিনি। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

ওলাফ শলৎস বলেন, এসসিও-তে যোগদানের জন্য তুরস্কের প্রচেষ্টার বিষয়ে তিনি খুবই বিরক্ত

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তুরস্ক। তবে গত ১৭ সেপ্টেম্বর এসসিও জোটে যোগদানের ব্যাপারে আঙ্কারার আগ্রহের কথা জানান এরদোয়ান। তার ভাষায়, সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক হবে ভিন্ন অবস্থান থেকে। অবশ্যই তুরস্ক এতে যোগ দিতে চায়।

নিউ ইয়র্কে এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ওলাফ শলৎস বলেন, এসসিও এমন কোনও সংস্থা নয় যা একটি ভালো বৈশ্বিক সহাবস্থানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে এসসিও জোটের স্থায়ী সদস্য আটটি। দেশগুলো হচ্ছে রাশিয়া, চীন, ভারত, পাকিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান ও কাজাখস্তান। আর সংলাপের অংশীদার হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে তুরস্ক, আজারবাইজান, আর্মেনিয়া, কম্বোডিয়া, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা।

নিউজ ট্যাগ: ওলাফ শলৎস

আরও খবর



রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন: নেতৃত্বের আলোচনায় যারা

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের ৪র্থ সম্মেলনে আগমী ১৯ সেপ্টেম্বর। এর আগে সর্বশেষ কমিটি ঘোষণা হয় ২০১৬ সালের ১০ ডিসেম্বরে। একই কমিটি প্রায় ৭বছর দায়িত্বে থাকার পর নতুন কমিটি গঠনের লক্ষে সম্মেলনের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

শাখা সম্মেলনকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নেতৃত্বে আসতে স্থানীয় এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন অনেকেই। ক্যাম্পাসে নিয়মিত শোডাউনও দিচ্ছেন পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা। নেতৃত্বে আসতে পারেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কিছু পদপ্রত্যাশী ছাত্রলীগ নেতার নাম এরই মধ্যে আলোচনায় উঠে এসেছে ক্যাম্পাসে।

রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে ক্লিন ইমেজধারী, সৎ, যোগ্য এবং নেতৃত্বদানে ক্ষমতাসম্পন্ন পদপ্রত্যাশীদের দায়িত্ব দেওয়া হবে, নাকি অর্থের বিনিময়ে নেতৃত্বে চলে আসবেন দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজিতে জড়িতরা, সে নিয়ে চলছে চুল ছেড়া বিশ্লেষণ। সবকিছু ছাপিয়ে রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বে কারা আসছেন সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন নেতৃত্বে আসার দৌড়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য সৌমিক সাহা। তিনি কম্পিউটার কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বাসা ফরিদপুর সদর উপজেলায়। তিনি ক্যাম্পাসে শুরু থেকেই ছাত্রলীগের সাথে সক্রিয় ছিলেন বলে জানা গেছে।

উপ-গ্রন্থনা ও প্রকশনা সম্পাদক মো: ছালাতিজ্জোহা ইফতি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বাসা বোয়ালিয়া রাজশাহী। সহ-সভাপতি মো. ফাহমিদ লতিফ (লিয়ন)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী। তার বাসা নীলফামারীতে।

তবে মনোনয়ন দৌড়ে আরও একাধিক নেতাকর্মী এগিয়ে থাকলেও রাজনীতিতে দীর্ঘদিন সক্রিয় ছিলেন না। কমিটির তারিখ ঘোষণার পর থেকে সক্রিয় হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তবে পরিবারিক সমস্যার কারণে সক্রিয় থাকতে পারেননি বলে তাদের দাবি। তাদের মধ্যে রয়েছে সহ-সভাপতি এম. এম. ওসমান হায়দার (তমাল)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী। তার বাসা চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে। উপ-দপ্তর সম্পাদক লাশিউর রহমান (নাহিদ)। তার বাসা গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায়। এছাড়াও আলোচনায় রয়েছেন আরও অনেকেই।

তবে এসব পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে এবং অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এই শাখায় সৎ, যোগ্য, দক্ষ, নেতৃত্বের গুণাবলি সম্পন্ন এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে স্বোচ্চার থাকবেন এমন নেতৃত্ব চান শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতে ভূমিকা রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে স্থানীয় ও বাইরের যোগ্য পদপ্রত্যাশীদের সম্মিলিত নেতৃত্ব দেখতে চান তারা।

রুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্র কল্যাণের পরিচালক রবিউল আউয়াল বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে পাশে নিয়ে রুয়েট ক্যাম্পাসে সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখার মতো যাদের যোগ্যতা রয়েছে তাদের হাতেই নেতৃত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

কেমন নেতৃত্ব প্রত্যাশা করেন এ বিষয়ে কথা হয় রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাঈম রহমান নিবিরের সাথে। তিনি বলেন, রাজশাহীতে একসময় শিবিরের আস্তানা ছিলো। এখনো কিছুটা প্রভাব রয়েছে। সামনে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। তাদেরকে দমন করে ও বঙ্গবন্ধুকে আদর্শকে লালন করে যারা রাজনীতি করে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে ভূমিকা রাখবে এমন নেতৃত্বই কামনা করেন তিনি।

রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহা. ইসফাক ইয়াসশির ইপু বলেন, আলোচনায় যারাই থাকুক না কেন রুয়েট ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে তাদেরই আসা উচিত যারা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করবে। একটি স্মার্ট ছাত্রলীগের ম্যান্ডেট নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করবে। তবে পরিচ্ছন্ন ইমেজ এবং সততা থাকতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে এদেশের যুবসমাজকে নিয়ে সামনের জাতীয় নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে বিজয়ী করে নিয়ে আসার যোগ্যতা যাদের থাকবে তাদেরকেই নেতৃত্বে আনা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

তবে স্বচ্ছ ইমেজ রয়েছে এমন যোগ্য নেতাকর্মীরাই শীর্ষপদের জন্য বিবেচিত হবে জানিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের কাছে যারা গ্রহণযোগ্য; শিক্ষার্থীদেরকে সাথে নিয়ে একটি আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার জন্য যাদের দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব ও স্বচ্ছ ইমেজ রয়েছে এবং যারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আপসহীন দুর্গ হিসেবে গড়ে তুলবেতারাই রুয়েট ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসবে।


আরও খবর



ইউক্রেনে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে ন্যাটো প্রধানের হুশিয়ারি

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও দেশটিতে রুশ আগ্রাসন বন্ধের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ।

শনিবার জার্মানির ফাঙ্কে মিডিয়া গ্রুপকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্টলটেনবার্গ এই সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। খবর এএফপির। তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের দ্রুত শেষ হবে না।

স্টলটেনবার্গ বলেন, বেশিরভাগ যুদ্ধ প্রথম শুরু হওয়ার সময় থেকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় ধরে চলে। সুতরাং আমাদের অবশ্যই ইউক্রেনে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এতে করে গত কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইউরোপে যুদ্ধ ফিরে আসে।

তবে কিয়েভ গত বছরের জুনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পালটা আক্রমণ শুরু করে এবং দেশের দক্ষিণ ও পূর্বের বিভিন্ন অঞ্চলে রাশিয়ান বাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করে। যদিও পালটা আক্রমণে ইউক্রেনের অর্জন এখন পর্যন্ত খুবই সীমিত।

স্টলটেনবার্গ বলেন, আমরা সবাই দ্রুত শান্তি কামনা করছি। তবে একই সময়ে আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, যদি প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ইউক্রেনীয়রা যুদ্ধ করা বন্ধ করে দেয়, তবে তাদের দেশ (ইউক্রেন) আর থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, যদি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং রাশিয়া তাদের অস্ত্র ফেলে দেয়, তা হলে আমরা শান্তি অর্জন করতে পারব।


আরও খবর



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নদী রক্ষায় তিতাসে বর্ণাঢ্য নৌ র‌্যালি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ক্রমাগত দখল-দূষণে অস্তিত্ব হারিয়ে বিলীন হচ্ছে বাঙালির প্রাণের সঙ্গে মিশে থাকা নদ-নদীগুলো। যার প্রভাবে ধুকছে প্রকৃতি ও পরিবেশ। সে অবস্থা থেকে নদী রক্ষার পাশাপাশি জনমনে নদীর প্রতি আন্তরিকতা বাড়াতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্ণাঢ্য নৌ র‌্যালি।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নৌ দিবস উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী তিতাস নদীতে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা সংগঠন তরী উদ্যোগে ওই র‌্যালির আয়োজন করা হয়।

নদী বাঁচলে, বাঁচবে দেশ এই স্লোগানকে সামনে রেখে শহরের তিতাস নদীর আনন্দ বাজার নৌ-ঘাট থেকে ১০টি নৌকা নিয়ে র‌্যালিটি নদীর প্রায় ৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। এ সময় নদী রক্ষার বিভিন্ন স্লোগানে পতাকা আর ব্যানার প্রদর্শন করে সাধারণ জনগণকে সচেতন করা হয়। র‌্যালিতে কবি-সাহিত্যিকসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করে। র‌্যালিটি দীর্ঘপথ অতিক্রম করার পর ভাদুঘর নৌ ঘাট গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় নদী ভিত্তিক কবিতা নিয়ে নদী বন্দনা।

অংশগ্রহণকারীরা জানান, নদী মাতৃক বাংলাদেশে নদীকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে এখানকার সভ্যতা, বেড়ে উঠেছে অর্থনীতি। এই নদীকে ঘিরেই সাহিত্য আর সংস্কৃতির বয়ে চলা। অথচ আধুনিকতার এ সময় নানাভাবে নদ-নদী ও জলাশয়গুলোর উপর নির্বিচারে অত্যাচার চলছে। যার বিরূপ প্রভাব পড়ছে প্রকৃতি ও পরিবেশের ওপর। তাই নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় নদী রক্ষার প্রতি সকলকে আন্তরিক হতে হবে। অন্যথায় নদী মাতৃক এই বাংলাদেশ একদিন মরুভূমিতে পরিণত হবে।

এদিকে নদী রক্ষায় জনগণের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোও আরও আন্তরিক হওয়ার দাবি জানিয়ে, নদী ও জলাধার রক্ষা নিয়ে কাজ করা সংগঠনের তরী বাংলাদেশের আহ্বায়ক বলেন, নদীকে দখল-দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে এবং নদী তীরবর্তী জনসাধারণসহ সকলকে নদীর প্রতি আন্তরিক করতেই এমন আয়োজন করা হয়েছে। কারণ প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় নদীগুলোকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। বিশেষ করে যে নদীকে ধারণ করে বাঙালি সাহিত্য ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধতা তা টিকিয়ে রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নদী রক্ষায় সারাদেশেরই নানামুখী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছেন। এতে আমরা আশাবাদী, আমরা মনে করি সরকারের আন্তরিকতায় দেশের নদীগুলো আবারো আগের চিরচেনা রূপে ফিরবে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, নদীকে বাঁচাতে প্রশাসন সব সময়ই তৎপর রয়েছে। নৌ র‌্যালির যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তার মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীকে নদীকে দখল-দূষণের হাত থেকে রক্ষায় সচেতন করা হয়েছে। বিশেষ করে তিতাস নদীর সঙ্গে জেলাবাসীর এক অন্যরকম হৃদ্যতা রয়েছে। আমরা আশা করি এই নদীটিকে রক্ষায় জেলাবাসীও সচেতন হবে।


আরও খবর



ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড পেলেন রাবির কলা অনুষদের ১৪ শিক্ষার্থী

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে কৃতিত্বপূর্ণ বিশেষ ফল অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কলা অনুষদের ১২টি বিভাগের ১৪ জন শিক্ষার্থীকে ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি একটি ক্রেস্ট, সনদপত্র  এবং ৫ হাজার নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।

রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।

অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীরা হলেন দর্শন বিভাগের জান্নাতুন নাহার, ইতিহাস বিভাগের সুরাইশতা নাঈম, ইংরেজি বিভাগের উম্মে কুলসুম প্রসূন, বাংলা বিভাগের মোসা. আইরিন খাতুন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মোসা. শ্রাবণী আক্তার ও মো. রহমত উল্লাহ, আরবি বিভাগের মো. বায়েজীদ, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাব্বির হোসাইন, সংগীত বিভাগের বিদিতা রায়, নাট্যকলা বিভাগের শাকিবুল হাসান, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের আতকিয়া আনতারা, সংস্কৃত বিভাগের মো. মিলন ইসলাম ও প্রতিমা রাণী এবং উর্দু বিভাগের সাদিয়া জান্নাত।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম, অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অবায়দুর রহমান প্রামাণিক প্রমুখ। এছাড়াও কৃতি শিক্ষার্থীদের অভিভাক এবং কলা অনুষদের সব বিভাগের সভাপতি এবং শিক্ষকেরা।

অনুষ্ঠানে সংগীত বিভাগের সভাপতি শায়লা তাসমিন-এর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. ফজলুল হক।

অনুষ্ঠানে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড ফজলুল হক বলেন, "রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মানকে বিশ্বমানে উন্নীত করতে কলা অনুষদের ভূমিকা অপরিসীম। এ ভূমিকার পিছনে আমাদের মূল উপাদান হলো দুটি। একটি হলো এই অনুষদের প্রগতিশীল শিক্ষকগণ, দ্বিতীয়টি হলো আমাদের প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীগণ। অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা যখন আপনাদের সন্তানদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান তখন তাদেরকে আমাদের সন্তান হিসেবেই আমরা লালন করি।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, প্রথমে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি কৃতি শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদেরকে। কলা অনুষদ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মের সাথে জড়িত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি কথা আছে, ''বিদ্যার' বিদ্যা সহজ, শিক্ষা কঠিন।' 'বিদ্যা আহরণে, শিক্ষা আচরণে'। শিক্ষার উদ্দেশ্য শুধু জিপিএ, সিজিপিএ অর্জন করা না। এর উদ্দেশ্য হলো অন্তরের অন্ধকার দূর করা।


আরও খবর



রুশ হামলায় ইউক্রেনে ৫ বেসামরিক নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনেৎস্ক অঞ্চলে রাশিয়ার হামলায় পাঁচ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন একজন। স্থানীয় সময় গত শনিবার পূর্বাঞ্চলীয় দনেৎস্ক অঞ্চলের কিরোভ ও কুইবিশেভস্কি জেলায় হামলা চালানো হয়।

দনেৎস্ক অঞ্চলে রাশিয়ার নিয়োগকৃত প্রধান কর্মকর্তা ডেনিস পুশিলিন জানান, কিরোভ ও কুইবিশেভস্কি জেলায় রুশ কামানের আঘাতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। সভেৎলোদারস্ক শহরে এক নারী আহত হয়েছেন।

অপরদিকে, স্থানীয় সময় রবিবার রাজধানী মস্কো, ক্রিমিয়া ও একটি তেলের ডিপোয় ইউক্রেন হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করে রাশিয়া। সবকটি স্থানে ড্রোন হামলা চালানো হয়। রুশ সেনারা ৬টি ড্রোন ভূপাতিত করে বলেও দাবি করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন>> ব্রাজিলে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ১৪

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের তেলের ডিপোয় ড্রোন হামলায় একটি জ্বালানি ট্যাঙ্কারে আগুন ধরে যায়। বেশ ক্ষয়ক্ষতিও হলেও এসব হামলায় এখন পর্যন্ত কারও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

রাশিয়ার ওরিওল অঞ্চলের গভর্নর আন্দ্রেই ক্লিচকভ টেলিগ্রামে বলেছেন, হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। জরুরি পরিষেবার সকল দল ওই অঞ্চলে কাজ করছে।


আরও খবর