আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

উচ্চশিক্ষায় জার্মানিতে বিপুল সম্ভাবনা

প্রকাশিত:শনিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আমাদের দেশের শিক্ষিত যুবসমাজের মধ্যে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রচলন বেশ আগে থেকেই রয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাতে পড়তে যাওয়ার প্রবণতা আমাদের মাঝে সব থেকে বেশি। তবে বর্তমানে, অনেক শিক্ষার্থীই উচ্চশিক্ষার জন্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যেমন জার্মানি, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, নেদারল্যান্ডসকে বেছে নিচ্ছেন। তবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় জার্মানি হয়তো সবচেয়ে এগিয়ে।

নামকরা সব বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থা, সময়োপযোগী বিষয়, ইতিহাস ও ঐতিহ্য মিলিয়ে শুধু বাংলাদেশ নয়; বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের কাছে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য হয়ে উঠেছে জার্মানি। তাছাড়া আরেকটি চমকপ্রদ খবর হলো, জার্মানির মন্ত্রিসভা প্রস্তাবিত অভিবাসন আইনের রূপরেখা উপস্থাপন করেছে। ২০২৩ সালের শুরুতেই আইনটি প্রণয়ন করতে চায় জার্মান সরকার। একই সঙ্গে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে বিদেশিদের জন্য আরও দ্রুত জার্মান নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ করে দিতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আজ আলোচনা করা যাক, উচ্চশিক্ষার জন্য কারা, কেন জার্মানিকে বেছে নেবেন। আর এ ক্ষেত্রে কী কী প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। সবশেষে জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা নিয়ে সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে।

যেসব কারণে উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানি উত্তম:

বিনামূল্যে শিক্ষা: জার্মানি মোট ১৬টি রাজ্য নিয়ে গঠিত। তার মধ্যে বাদেন-ইয়ুর্তেমবার্গ ছাড়া বাকি ১৫টি রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো টিউশন ফি নেই। এক্ষেত্রে পড়াশোনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় আপনার কাছ থেকে ছয় মাস পরপর একবার শুধু সেমিস্টার ফি নেওয়া হবে। এই ফি বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে সচারচর ২৮০ থেকে ৩৫০ ইউরো, যা বাংলাদেশি টাকায় ২৪ থেকে ৩৪ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। আরেকটি সুবিধার ব্যাপার হচ্ছে, সেমিস্টার টিকিটের মধ্যেই যাতায়াত খরচ অন্তর্ভূক্ত থাকায়, যেকোনো রাজ্যে গণপরিবহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া সেমিস্টার কার্ড দেখালেই চলবে। গণপরিবহনে যাতায়াত করতে আপনাকে আলাদা করে টিকিট কাটতে হবে না।

সহজ আবেদন প্রক্রিয়া: তৃতীয় পক্ষের সাহায্য ছাড়াই একজন শিক্ষার্থী নিজে নিজে ইন্টারনেটের সহায়তায় ভর্তি আবেদনের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন। দেশটির কোন বিশ্ববিদ্যালয়, কোন কোর্স, কোন সেশনে ভর্তির আবেদনপত্র আহ্বান করছে, আবেদনের সময়সীমা ও যোগ্যতাগুলো কী কী, তা এ ওয়েবসাইট https://www.daad.de/de/ থেকে দেখতে পারেন। 

সহজ ভিসা প্রক্রিয়া: সাধারণত জার্মানির ভিসাপ্রাপ্তির প্রক্রিয়া ও ভিসা লাভের নিশ্চয়তা অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে সহজ ও তুলনামূলক কম সময়সাপেক্ষ। ভিসার আবেদন ও এ সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য দেখতে https://dhaka.diplo.de/ ওয়েবসাইট ভিজিট করুন

স্কলারশিপ: জার্মানিতে টিউশন ফি না থাকায় অন্যান্য দেশের তুলনায় স্কলারশিপ পাওয়ার হার কিছুটা কম। তবে নির্দিষ্ট কর্মক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের কাজের অভিজ্ঞতার আলোকে ডিএএডি বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আরও রয়েছে ইরাসমুস স্কলারশিপ। এদিকে, জার্মানিতে যাওয়ার আগে বৃত্তি না পেলেও, ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মেয়াদি বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়। এসব বৃত্তি পাওয়ার জন্য নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে চোখ রাখতেই হবে।

খণ্ডকালীন চাকরির সুবিধা: জার্মানিতে একজন শিক্ষার্থী পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরি করতে পারেন। দেশটির নিয়মানুযায়ী, একজন শিক্ষার্থী বছরে ১২০ দিন পূর্ণ দিবস কিংবা ২৪০ দিন অর্ধদিবস কাজ করতে পারেন। এভাবে নিজের, এমনকি পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়াও সম্ভব। খন্ডকালীন এসব কাজের মধ্যে হোটেল, রেস্তোরাঁ ও বারে কাজসহ ফুড ডেলিভারি উল্লেখযোগ্য। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রজেক্টে অধ্যাপকদের সঙ্গে কাজের যথেষ্ট সুযোগ পাওয়া যায়। কোনো শিক্ষার্থী যদি শুরু থেকেই 'অড জব' না করে, অধ্যাপকের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী হন ও সে অনুযায়ী এগিয়ে যান; তাহলে এ অভিজ্ঞতা দিয়েই দেশটির চাকরির বাজারে ভালো অবস্থান অর্জন করতে পারবেন।

শেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে ভ্রমণের সুবিধা: যেসব শিক্ষার্থী ঘুরতে ভালোবাসেন, তারা উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানিকেই এগিয়ে রাখেন। কারণ, একবার এদেশের স্টুডেন্ট ভিসা পেয়ে গেলে, আপনি শেনজেনভুক্ত ২৬টি দেশে ভ্রমণের ভিসা পেয়ে যাবেন। একপ্রকার পুরো ইউরোপ ঘুরে দেখার এ অভাবনীয় সুযোগ লুফে নেওয়ার জন্যই অনেকে জার্মানিতে পড়তে চান।

পড়াশোনা শেষে চাকরি ও স্থায়ীভাবে থাকার সুবিধা: জার্মানিতে পড়ালেখা শেষ করার পর ১৮ মাসের একটি 'জব সার্চিং ভিসা' দেওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী তার সাবজেক্ট সংশ্লিষ্ট চাকরি খুঁজে নিতে পারলে জব সার্চিং ভিসাকে ওয়ার্কিং ভিসায় রূপান্তর করা হয়। দুই বছর চাকরি করার পর একজন শিক্ষার্থী পার্মানেন্ট রেসিডেন্স (পিআর) বা স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারেন।

যাদের জন্য জার্মানি সর্বোত্তম

জার্মানিতে থাকা কিংবা পড়ালেখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হলো ভাষা। স্বভাবগতভাবেই জার্মানরা নিজেদের ভাষাকে অনেক বেশি ভালোবাসেন। সাবলীল ইংরেজি জানলেও, সচারচর কেউ অনুরোধ না করলে তারা ইংরেজি বলেন না। তাই জার্মান ভাষা না জানলে দেশটিতে স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে শুরু চাকরির ক্ষেত্রে ভালোই ভোগান্তিতে পড়ার আশঙ্কা থাকে। সুতরাং যতই সুবিধা দেওয়া হোক না কেন, জার্মান ভাষা শিখতে না পারলে কিংবা ভাষাটা কঠিন মনে হলে উচ্চশিক্ষার জন্য এ দেশে না যাওয়াটাই উত্তম। বাংলাদেশে জার্মান ভাষা শেখার যাবতীয় তথ্য মিলবে https://www.goethe.de/de/index.html ওয়েবসাইটে। জার্মানিতে আসার আগে অন্তত 'এ টু' সমপর্যায়ের ভাষা শিখে আসলে ভালো হবে। না হলে পিআর পেতে বেশ কষ্টই হবে যাবে। জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা নিয়ে কয়েকটি সাধারণ প্রশ্ন ও তার উত্তর:

জার্মানিতে ব্যাচেলর ডিগ্রির জন্য কী কী লাগবে? উত্তর: ব্যাচেলর ডিগ্রির জন্য আপনাকে উচ্চমাধ্যমিকের (এইচএসসি) পরে জার্মানি স্বীকৃত বাংলাদেশের যেকোনো পাবলিক কিংবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপক্ষে এক বছর পড়তে হবে ও টোটাল কোর্সের ২৫ শতাংশ শেষ করতে হবে।  গুগলে anabin university list bangladesh লিখে সার্চ করার পর যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে H++ থাকবে, সেগুলো জার্মান স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়। এ তালিকার যেকোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লেই হবে।

আইইএলটিএসে (IELTS) কতো পয়েন্ট কত লাগে? উত্তর: আইইএলটিএসে মিনিমাম ৬ লাগবে। কিছুক্ষেত্রে ৫.৫ পয়েন্ট নিয়ে, এমনকি এমওআই দিয়েও অফারলেটার পাওয়া যায়। তবে সম্প্রতি জার্মান দূতাবাস রিকোয়ারমেন্ট হিসেবে মিনিমাম ৬ পয়েন্ট নির্ধারণ করেছে। অর্থাৎ, ভিসা পেতে আইইএলটিএসে ৬ থাকাটা বাধ্যতামূলক।

সিজিপিএ কত লাগে? উত্তর: ব্যাচেলরের সিজিপিএ ৩.৫ থাকাটা সবচেয়ে ভালো, তকে সমান ৩ থাকলেও চলবে। তবে এর থেকেও কম সিজিপিএ নিয়ে জার্মানিতে যাওয়ার নজির আছে। সুতরাং লেগে থাকলে সিজিপিএ একটু কম হলেও যেতে পারবেন।

মাস্টার্সে আবেদন করতে কী কী কাগজপত্র লাগবে? উত্তর: উচ্চমাধ্যমিক কিংবা ডিপ্লোমা সনদপত্র, উচ্চমাধ্যমিক কিংবা ডিপ্লোমার নম্বরপত্র, স্নাতক সনদ ও নম্বরপত্র, আইইএলটিএসে কমপক্ষে ৬ পাওয়ার সনদ, পাসপোর্ট, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষকের আলাদা আলাদা সুপারিশপত্র, ডিপার্টমেন্টর প্রধান অফিস সহকারীর সুপারিশপত্র, কাজের অভিজ্ঞতার সনদ, ইউরোপাস সিভি, লেটার অব মোটিভেশন, মিডিয়াম অব ইনস্ট্রাকশন (এমওআই), ট্রেড কোর্স সার্টিফিকেট (অটো ক্যাড অথবা এমএস অফিস)। সবগুলো ডকুমেন্ট নোটারি করতে হবে।

কত টাকা লাগে? উত্তর: মোটামুটি ১৩ লাখ টাকা লাগে। তার মধ্যে ব্লক অ্যাকাউন্টের সাড়ে ১০ লাখ, প্লেন ভাড়ার ৫০ হাজার ও অন্যান্য খরচ বাবাদ ২ লাখ টাকা কিংবা তার বেশি ধরতে হবে।

ব্লক অ্যাকাউন্ট কী? উত্তর: জার্মানিতে এক বছরের জন্য আপনার নিজের নামে ১০ হাজার ৫৩২ ইউরো জমা করতে হয়। যাওয়ার পরে আপনি পুরো টাকাটা ১২ কিস্তিতে ফেরত পাবেন। অন্যান্য দেশের জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হয়, কিন্তু জার্মানিতে ব্যাংক স্টেটমেন্টের পরিবর্তে ব্লক অ্যাকাউন্ট করতে হয়।  সোনালী, সিটি, ইস্টার্ন ব্যাংক ছাড়াও অন্যান্য ব্যাংকে ব্লক অ্যাকাউন্ট করাতে পারবেন।

কখন আবেদন করবো? উত্তর: আপনি বছরে উইন্টার (১৫ জানুয়ারি-১৫ জুলাই) ও সামার (১ অক্টোবর- ১৫ ডিসেম্বর) ২টা সেশনে আবেদন করতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে ডেডলাইন আলাদা হতে পারে তবে, জার্মানি উইন্টারে সবচেয়ে বেশি কোর্স অফার করে। জার্মানিতে। তাই উইন্টারে আবেদন করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

নিউজ ট্যাগ: জার্মানি

আরও খবর



গরমে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যেসব পরামর্শ দিলেন চিফ হিট অফিসার

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহের এই সময়ে অতিরিক্ত গরম মোকাবিলায় সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন।

তিনি বলেন, পরিবার ও সমাজের সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি সম্ভব। খুব সাধারণ কিছু পন্থা অবলম্বন করে আমরা নিজেদের ঝুঁকিমুক্ত রাখতে পারি। যেমন, বেশি বেশি পানি পান করা, ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করা, যথাসম্ভব ছায়ার মধ্যে থাকার চেষ্টা করা এবং অসুস্থ বোধ করলে বিশ্রাম নেওয়া বা বেশি খারাপ বোধ করলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।

রোববার (২১ এপ্রিল) সাধারণ মানুষের জন্য এসব পরামর্শ তুলে ধরেন বুশরা আফরিন।

খাবার পানির সুব্যবস্থা ও ছায়াযুক্ত স্থান বাড়াতে সিটি কর্পোরেশন যথাসাধ্য চেষ্টা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, কুলিং স্পেস-এর ব্যবস্থা করার জন্য, যেন পথচারীরা বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পায়, চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের অবশ্যই আরও বেশি করে গাছ লাগাতে হবে এবং পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে।

গত এক বছরে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে বুশরা আফরিন বলেন, এর মধ্যে অন্যতম হলো বস্তি এলাকায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। কারণ তারা অন্যতম প্রবল ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী। সেসব জায়গায় গাছ লাগানোর মাধ্যমে তাদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে, সেসব গাছের রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও সচেতন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এছাড়া, আবহাওয়া অধিদপ্তরসহ আরও বেশ কিছু সরকারি-বেসরকারি ও এনজিওর সঙ্গে আমরা যুক্ত হয়ে বেশ কিছু কার্যক্রম শিগগিরই চালু করতে যাচ্ছি। এগুলো সম্পর্কে আপনাদের বিশদভাবে অবহিত করা হবে। কল্যাণপুর ও বনানীতে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আমরা নগর বন তৈরি করতে যাচ্ছি, যা একই সঙ্গে শীতলকরণ, বায়ু দূষণ রোধ ও মাটির গুণাগুণ বৃদ্ধি করবে।


আরও খবর



নরসিংদীতে পিকআপ-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৪

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীর মাধবদীতে পিকআপভ্যান ও যাত্রীবোঝাই মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত আটজন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টায় সদর উপজেলার মাধবদীর টাটা পাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নরসিংদী সদর থানার ওসি মো. তানভীর আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহতদের মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, একটি যাত্রীবোঝাই মাইক্রোবাস ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে যাচ্ছিল। মাইক্রোবাসটি নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী টাটা পাড়া এলাকার পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন। আহত হন অন্তত আটজন।

আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। আটজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া, ৪ মে থেকে কার্যকর

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া। আগে যাত্রীদের ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব গেলে ভাড়ার ক্ষেত্রে ছাড় (রেয়াত) প্রত্যাহার করায় এ ভাড়া বাড়ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাৎ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আগামী ৪ মে থেকে রেয়াত প্রত্যাহার করায় ট্রেনের ভাড়া সমন্বয় করা হবে।

ট্রেনের ভাড়া কেমন বাড়ছে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা রেলওয়ের বাণিজ্যিক শাখা নির্ধারণ করবে।

এদিকে রেলসূত্র জানিয়েছে, ১০১ থেকে ১৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে একজন যাত্রীর রেয়াত কর ২০ শতাংশ, ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ২৫ শতাংশ আর ৪০০ কিলোমিটার এর ওপরে ৩০ শতাংশ।

রেলসূত্র জানিয়েছে, মে মাসের ৪ তারিখে হতে যদি একজন যাত্রী ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করে তাহলে তাকে ভাড়া বেশি দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলের এই প্রস্তাবনা পাস করেছেন। যা এই মাসের ১ তারিখ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

বাংলাদেশ রেলওয়ে এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে,  এতদ্দ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি প্রদান করা হয়। ২০১২ সালে সেকশনাল রেয়াত’ রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী ট্রেনসমূহে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধুমাত্র বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সব প্রকার যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আগামী ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে।

এর আগে গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাৎ আলী রেলের ভাড়া বাড়ছে বলে জানিয়েছিলেন। সেসময় ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির গুঞ্জন উঠার পরে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, রেলের ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই।

২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়িয়েছিল রেলওয়ে। ২০১২ সালের অক্টোবরে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। পরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফায় রেলের ভাড়া বাড়ানো হয় ৭ থেকে ৯ শতাংশ। এর প্রায় সাত বছর পর ২০২৩ সালের শেষার্ধে রেলওয়ের বিভিন্ন সেতু ও ভায়াডাক্টে পন্টেজ চার্জ আরোপের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

আর রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। এর মধ্যে সেকশনভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহার করা হয় ২০১২ সালে। দূরত্বভিত্তিক রেয়াত সুবিধার কারণে দূরপাল্লার ভ্রমণে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ হয় দূরত্বের তুলনায় কম।


আরও খবর



শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্ব যখন প্রশংসা করছে তখন কিছু মানুষ সমালোচনা করছে৷ যে যাই বলুক, শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগকে সবসময় ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই পথ চলতে হয়েছে৷ আওয়ামী লীগ দেশ ও মানুষের ওপর আস্থা রেখেই দেশ চালায়৷ কিছু রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবী অনবরত দেশবিরোধী অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে৷ তাদের চোখে কিছুই ভালো লাগে না৷ বাংলাদেশ তো পেছাচ্ছে না৷ এগিয়ে যাচ্ছে৷ তাহলে সমস্যাটা কোথায়?

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ক্ষমতায় বসে লুটপাট করতে পারছে না বলেই সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনায় নেমেছে বিএনপি৷ বিএনপি এমন একটি দল, যাদের কোনো মাথামুণ্ডু নেই৷ তারা শুধু পারে অনলাইনে নির্দেশনা দিতে৷ ২৮ অক্টোবর বিএনপি যে অপকর্ম করেছে, তা মানুষের ভুলে যাওয়া উচিত না৷

ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসা দলের কাছে আজ গণতন্ত্রের কথা শুনতে হয় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, যারা ভোট নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, তারা কেনো বুঝছে না দেশবাসী এই নির্বাচনে ভোট দিতে পেরে খুশি৷ জনগণের আস্থা আওয়ামী লীগ পেয়েছে, কারণ মানুষ বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ তাদের উপকার করে৷

জনগণের আস্থা-বিশ্বাসই আওয়ামী লীগের মূল শক্তি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ দেশের মানুষের দিন বদল হয়েছে৷ দারিদ্র্যের হার এখন গ্রামে নয় শহরে দেখা যাচ্ছে৷ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়া যাবে৷ পদ্মা সেতু উদ্বোধনের এক বছর না পেরোতেই দেড় হাজার কোটি টাকা উপার্জন হয়েছে দেশের৷ এটাই তো প্রাপ্তি, বলেন তিনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিজের চেহারা আয়নায় না দেখে, মানবাধিকার নিয়ে সবক দেয় বাংলাদেশকে৷ মার্কিন কোনো পুলিশের গায়ে কোনো রাজনৈতিক দল হাত তুললে, কী করতো সেখানতার পুলিশ? কদিন আগে যুদ্ধের বিরোধীতা করায় সাধারণ মানুষের আন্দোলনে কি জুলুমটাই না করলো আমেরিকার পুলিশ। এটা তো মানবাধিকার লঙ্ঘন৷ এর জবাব কী?

প্রচণ্ড গরমে দেশবাসীকে সাবধানে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় গরম ছড়িয়ে পড়ছে৷ শিগগিরই বৃষ্টি হবে বলে আশা করছি৷ পহেলা আষাড় থেকে পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ চালিয়ে যেতে হবে বলেও জানান শেখ হাসিনা৷


আরও খবর



জনসেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভোটের চিন্তা থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে আওয়ামী লীগ। লক্ষ্য স্থির রেখে পরিকল্পনার জন্য দেশে দারিদ্র্যতা হ্রাস পেয়েছে। জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে ভোটের চিন্তা থাকবে না।

বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁও কার্যালয়ে ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়রদের শপথ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত। জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে ভোটের কোনো চিন্তা থাকবে না। মানুষ আপনাদের ওপর আস্থা রাখবে, বিশ্বাস রাখবে। এই কথাটা আপনারা মাথায় রাখবেন। জনসেবার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেবেন, সেটাই আমরা চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য জাতির পিতা প্রথমে ইউনিয়ন পর্যায়ে ১০ শয্যার হাসপাতাল তৈরি করার ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। তিনি সম্পন্ন করতে পারেননি। আমি সরকারে আসার পর কমিউনিটি ক্লিনিক করলাম। স্থানীয় লোক সেখানে জমি দেয়, আমরা ভবনের ব্যবস্থা করি, চিকিৎসার সরঞ্জামের ব্যবস্থা করি, স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণ দিয়ে সেখানে নিয়োগ দেই। ৩০ ধরনের ওষুধ আমরা বিনামূল্যে দিচ্ছি। আপনারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে এসব দিকে নজর দেবেন যেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো সঠিকভাবে চলছে কিনা। মানুষ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে কিনা। মানুষ সেবা পাওয়াটাই বড় কথা।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই জনগণ সেবা পায় জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, সরকার যে জনগণের সেবক তা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই দেশের মানুষ বুঝতে পারে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, অনেক দেশ চাইবে খাদ্য আমদানির মাধ্যমে তাদের ওপর নির্ভরশীল থাকি। তবে কোনো বড় দেশের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকবে না বাংলাদেশ।

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ডা. তাহসীন বাহার সূচনা ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক (টিটু) শপথ নেন। তাদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে শপথ নেন কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, সিরাজগঞ্জ, ব্রাক্ষণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের কাছে শপথ নেন ময়মনসিংহ সিটির ৪৪ জন কাউন্সিলর।


আরও খবর