কক্সবাজারের
উখিয়া উপজেলার বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে প্রায় ২ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি
পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে আংশিক পুড়েছে ১০ ও ১২ নম্বর ক্যাম্প। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় সন্দেহভাজন
হিসেবে একজনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (৬ মার্চ)
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর
আগে রোববার (৫ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে আগুন দুই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে
আসে।
ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন
কমিশনার মো. মিজানুর রহমান জানান, রোববার বিকেলে প্রায় দুই ঘণ্টার বেশি সময় পর ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমরা ক্ষতির তালিকা তৈরির কাজ শুরু করছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা
করছি, প্রায় ২ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। তার মধ্যে ৩৫টি মসজিদ ও মাদরাসা রয়েছে।
তিনি আরও জানান,
হাসপাতাল ও হেলথ সেন্টারসহ ১৫টি প্রতিষ্ঠান পুড়েছে। কিভাবে আগুনের ঘটনা ঘটছে, সেটি
খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নাশকতার উদ্দেশ্যে কেউ আগুন লাগিয়েছে কিনা তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উখিয়া ফায়ার
সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ এমদাদুল হক জানান, রোববার বিকেলে বালুখালী ক্যাম্পের ডি-১৫
ব্লকের একটি বাড়ির চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানা গেলেও সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পাহাড়ের
ঢালুতে ঘরবাড়ি ও পাহাড়ি চিপা গলি হওয়ায় কাজ করতে বেগ পেতে হয়।
উখিয়া থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, রোববার বিকেলে বালুখালী ১১ নম্বর
রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের বি-ব্লকে আগুন লাগে। এ সময় আগুন আশপাশের ১০, ১১ ও ১২ নম্বর
আশ্রয় শিবিরেও ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিক তথ্যমতে, আগুনে প্রায় ২ হাজারের বেশি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছে।