আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
শ ম রেজাউল করিম বলেছেন

‘উন্নয়ন দিয়েছি, সমৃদ্ধি দিয়েছি, আপনাদের জিম্মি দশা থেকে মুক্তি দিয়েছি’

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image
আপনার দুঃসাহস দেখে আমি অবাক হই আপনি যে ভাষায় দীর্ঘায় বক্তব্য রেখেছেন, আপনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে বিএনপিও সে ভাষায় শেখ হাসিনার সমালোচনা করে না।

পিরোজপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, আমি আপনাদের ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়ে প্রায় ৫ বছর দায়িত্ব পালন করেছি। আমি উন্নয়ন দিয়েছি, সমৃদ্ধি দিয়েছি, আপনাদের জিম্মি দশা থেকে মুক্তি দিয়েছি।

মন্ত্রী বুধবার বিকেলে পিরোজপুর শহরের গোপাল কৃষ্ণ টাউক ক্লাব মাঠে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা এবার যাকে প্রত্যাখান করেছেন, গতবারও তাকে প্রত্যাখান করে নমিনেশন দেননি। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী দাবি করে বিভিন্ন জায়গায় বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। আপনারা আমার বক্তব্যের পূর্বে আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠস্বর শুনেছেন। তিনি বলেছেন পিরোজপুরে শ ম রেজাউল করিম তাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন এটা তার বক্তব্য।

মন্ত্রী বলেন, ঐ মঞ্চে ঈগলের প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রী তার দিকে ফিরেও তাকায়নি তার নামও বলেননি। আমার ব্যানারে আমার সভানেত্রীর ছবি আছে, জয় বাংলা আছে, বাঙালির আশা-আঙ্খাকা সমর্থনের প্রতীক নৌকা আছে। তার ব্যানারে বাজপাখি আছে, বঙ্গবন্ধু বা শেখ হাসিনার কোন ছবি নাই। অর্থাৎ তিনি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত মানেন না। ওনার উদ্ধত্য কাকে বলে উনি দীর্ঘায় বক্তব্য রেখে বলছেন ভগবানও খেলেন, নেত্রীও খেলেন আরও কিছু বাজে কথা নেত্রী সম্পর্কে বলেছেন। এটা বলতে পারে মোস্তাকরা আওয়ামী লীগের কেউ বলতে পারে না। আপনার দুঃসাহস দেখে আমি অবাক হই আপনি যে ভাষায় দীর্ঘায় বক্তব্য রেখেছেন, আপনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে বিএনপিও সে ভাষায় শেখ হাসিনার সমালোচনা করে না। আওয়ামী লীগের সভানেত্রীকে যখন তীব্র সমালোচনা করে তার সিদ্ধান্ত না মেনে প্রার্থী হন নিশ্চয় আপনি অন্য কোন দিকে যাবার মতলব করতেই পারেন।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি আমার আমলে পিরোজপুরে বাস মালিক সমিতির চাঁদা বন্ধ করেছি, ইজিবাইকের চাঁদা বন্ধ করেছি, টেন্ডারবাজি বন্ধ করেছি, সন্ত্রাস বন্ধ করেছি, উন্নয়ন এনেছি।

মন্ত্রী আরও বলেন আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাড. চন্ডী চরণ পাল এর সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে শোভাযাত্রা সহকারে পথসভায় যোগ দেন। পরে পথসভাটি জনসমুদ্রে রুপ নেয়।

সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রধান কার্যালয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ডরথী রহমান এক কর্মী সভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শ ম রেজাউল করিমকে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহবান জানান। এদিকে সকালে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শ ম রেজাউল করিম মূলগ্রাম বাজার, ইন্দুরকানীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভায় যোগ দেন।


আরও খবর



কংগ্রেস থেকে শিবসেনায় যোগ দিলেন গোবিন্দ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

আবারও রাজনীতিতে ফিরলেন বলিউড অভিনেতা গোবিন্দ। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) মুম্বাইয়ের বালাসাহেব ভবনে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের উপস্থিতিতে শিবসেনায় যোগ দেন গোবিন্দ।

পিটিআইয়ের একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, কিছুদিন আগেই একনাথ শিন্ডের সঙ্গে দেখা করেছিলেন গোবিন্দ। সেই মিটিংয়ের পরই তিনি শিবসেনায় যোগ দিলেন।

এর আগেও রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন গোবিন্দ। তখন তিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। এমনকি সেই দলের হয়ে ২০০৪ সালে লোকসভায় লড়েছিলেন উত্তর মুম্বাই কেন্দ্র থেকে। তখন তিনি বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা রাম নায়ককে পরাজিত করেন। এরপর তিনি কংগ্রেস থেকে মুখ ফেরান এবং ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে না লড়ার সিদ্ধান্ত নেন।

শিবসেনায় যোগ দিয়ে গোবিন্দ বলেন, আমি মন দিয়ে ভালো করে কাজ করব। শিল্পের উন্নতির দিকে নজর রাখব।

একই সঙ্গে তিনি জানান মুম্বাই এখন অনেক বেশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। একনাথ শিন্ডের জন্যই সেটা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া এ অভিনেতা জানান তার বাবা-মায়ের সঙ্গে শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। তবে কি আবার নির্বাচনে লড়বেন গোবিন্দ? সেই বিষয়ে তিনি কোনো উত্তর দেয়নি।

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন, কোনো শর্ত ছাড়াই গোবিন্দ শিবসেনায় যোগ দিয়েছেন।

গোবিন্দ যদি নির্বাচনে লড়েন তাহলে ২০০৪ সালের মতোই তিনি উত্তর মুম্বাই কেন্দ্র থেকেই নির্বাচনে লড়বেন বলে জানা গেছে।


আরও খবর



বুয়েটকে জঙ্গি রাজনীতির কারখানায় পরিণত করার প্রমাণ পেলে অ্যাকশন: কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদ, অপরাজনীতির কারখানায় পরিণত করা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। সেই রকম হলে সরকারকে অ্যাকশনে যেতে হবে।

রোববার (৩১ মার্চ) সকালে তেজগাঁও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সব অপকর্ম, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স। সেই নীতিতে আমরা এগিয়ে চলছি। বুয়েটে আবরার হত্যাকাণ্ডে আমরা ছাড় দেইনি। আজকে আমি রাজনীতি করি, কিন্তু বুয়েটে যেতে পারবো না? এটা কোন ধরনের আইন? এটা কোন ধরনের নীতি?

তিনি বলেন, স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক ঘোষক হতে পারে না। পাঠক তো ঘোষক না। তার চেয়ে বড় কথা ঘোষণার অধিকার কার ছিল? ৭০ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু জনগণের মেনডেড পেয়েছিলেন। মঈন খানের মতো নেতারা আজকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলেন। বিএনপির নেতাদের কেউ বলে গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার, আবার কেউ বলে ভারতের পণ্য বর্জন। বিএনপির সব ইস্যু নির্বাচনে মার খেয়েছে। এখন তাদের নতুন ইস্যু ভারত বিরোধী। বিএনপি মিথ্যাচার করছে। তারা যখন ক্ষমতা ছেড়ে যায় তখন বাংলাদেশের রির্জাভ ছিল সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার। এখন তারা আমাদের রিজার্ভ নিয়ে কটাখ্য করে। এখন আমাদের রির্জাভ ২১ বিলিয়ন ডলারের উপরে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সামনে উপজেলা নির্বাচন। নেত্রীর নিদেশনা আপনারা যানেন। আপনাদের প্রস্তাবনা ছিল কোনো প্রার্থী না দেওয়ার। আপনাদের খুব দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। একেক জনের একেক রকম কথাবার্তা দলকে বিভ্রান্ত করে। যা খুশি বলে দেবেন? এটা তো আওয়ামী লীগ নয়, ফ্রি স্টাইলে কথা বললে আমরা ব্যবস্থা নেব।

তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের নেতারা চায়ের দোকানে বসে দলের বিরুদ্ধে কথা বলে। এই ধরনের নেতাদের পরিহার করতে হবে। উপজেলা নির্বাচন ফ্রি ফেয়ার ভোট হবে, জনগণ যাকে ভোট দেওয়া দেবে। এখানে আপনারা ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, চাদঁপুর জেলা কমিটির দ্রুত সম্মেলন করার ব্যবস্থা নেন। চট্টগ্রাম মহানগর সম্মেলনের ব্যবস্থা নেন। আমরা সম্মেলন করে কমিটি করতে চাই। কেউ ক্ষমতার দাফট দেখাবেন না।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, উপ দপ্তর সায়েম খান প্রমুখ।

এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের সংসদ সদস্য, জেলা, মহানগর, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
বিএনপির ৭৫ নেতাকে বহিষ্কার

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




বিকেলে দুবাই পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদের থেকে মুক্তি পাওয়া এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি আজ রোববার সকালে পারস্য উপসাগরের কাসাব উপকূল অতিক্রম করছে। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টার দিকে জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জাহাজের অবস্থান নির্ণয়কারী বৈশ্বিক সংস্থা মেরিন ট্রাফিক এ তথ্য জানিয়েছে। জানা গেছে, দুবাই পৌঁছার পর জাহাজে থাকা ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাস করা হবে। আর কয়লা খালাসের পর জাহাজটি চট্টগ্রামে চলে আসতে পারে।

মেরিন ট্রাফিকের তথ্য বলছে, এমভি আবদুল্লাহ গতকাল রাতে ওমান সাগর পারি দিয়ে পারস্য উপসাগরে প্রবেশ করে। জাহাজটি ঘণ্টায় ৯ দশমিক ৩ কিলোমিটার গতিতে দুবাইয়ের দিকে আগিয়ে যাচ্ছে। জাহাজটির অবস্থান ও গতিবেগ অনুযায়ী বাংলাদেশ সময় আজ বিকেল ৪টার মধ্যে দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে।

এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ গণমাধ্যমকে জাহাজের ২৩ নাবিকের সবাই সুস্থ আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। দুবাই পৌঁছানোর পর নাবিকদের দুইজন ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফিরবেন। বাকি ২১ জন কয়লা খালাসের পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে জাহাজ নিয়ে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৩টা ৪৫ মিনিটে এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্তি পেয়ে দুবাই বন্দরের দিকে যাত্রা শুরু করে। এর আগে হেলিকপ্টার দিয়ে দস্যুদের কাছে ডলার পাঠানো হয়েছিল। ডলার পাওয়ার পরই জাহাজ ও জিম্মি ২৩ নাবিককে মুক্তি দেয় দস্যুরা।


আরও খবর



তীব্র গরমে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চলমান দাবদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার (২১ এপ্রিল) থেকে ৭ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, তীব্র গরমের কারণে ২১ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয়সমূহ ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।

এর আগে সকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, গরমের কারণে স্কুল শুরুর আগে অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। কিন্তু ক্লাস চলমান থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।

রমজান, ঈদ ও বৈশাখের টানা ২৬ দিনের ছুটি কাটিয়ে রোববার (২১ এপ্রিল) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা ছিল। তবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ছুটি আরও বাড়ানোর দাবি জানায় অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।


আরও খবর



রাজধানীতে বাসায় ২৫ দিন শেকলে বেঁধে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি বাসায় এক তরুণীকে ২৫ দিন আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে তিন যুবক। ধর্ষণের পর তাকে শিকল দিয়ে হাত-পা বেঁধে ফ্ল্যাটে বন্দি রাখা হতো। এভাবে পাশবিক যৌন নির্যাতনের পর তার ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। এই অপকর্মে তিন যুবককে সহায়তা করে এক নারীও। জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯-এ খবর পেয়ে গত শনিবার মেয়েটিকে উদ্ধার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

অভিযুক্তরা হলো– ভুক্তভোগী ওই তরুণীর কথিত প্রেমিক সান (২৬), তার বন্ধু হিমেল (২৭) ও রকি (২৯) এবং তাদের সহায়তাকারী সালমা ওরফে ঝুমুর। তরুণীকে উদ্ধারের পরপরই তারা পালিয়ে যায়। তবে গতকাল রাতে অভিযুক্ত দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন ছাত্র। আজ আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবেন তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

মেয়েটির পরিবার ও পুলিশ জানায়, ২৩ বছর বয়সী ওই তরুণীর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। তার মা-বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর মেজো বোনের ঢাকার বাসায় থাকতেন তরুণী। মেজো বোনের স্বামীর মাধ্যমে মাসুদ নামে এক ব্যারিস্টারের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। এক পর্যায়ে মাসুদ ওই তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ’ সম্পর্কে জড়ান। ব্যারিস্টার তাকে সালমা ও অনি নামে দু’জনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তাদের সঙ্গে মেয়েটি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় বাস করেন। ব্যারিস্টার মাসুদের পরামর্শে মাস ছয়েক আগে মোহাম্মদপুর থানার নবীনগর হাউজিংয়ের একটি বাড়ির চারতলায় ভাড়া নেন সালমা। বাসার খরচসহ সবকিছুর ব্যবস্থা করতেন মাসুদ। তবে কিছু দিন পার হওয়ার পর ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন মাসুদ।

পরে সান নামে এক যুবকের সঙ্গে তরুণীর পরিচয় করিয়ে দেয় সালমা। পরিচয়ের সূত্র ধরে সান মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সালমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ’ হওয়ার চেষ্টা করে। এতে রাজি না হলেও গত ৩ ফেব্রুয়ারি তরুণীকে ধর্ষণ করে সে। বিষয়টি সালমা জানত। এরপর আরও কয়েকদিন একই ফ্ল্যাটে ধর্ষণের শিকার হন তরুণী। ২৭ ফেব্রুয়ারি একইভাবে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার পর বিয়ের জন্য চাপ দিলে সান তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বিয়ের আশ্বাস দেয়। তবে বিয়ে না করলে থানায় গিয়ে মামলা করার কথা বললে সান যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

গত ৫ মার্চ দুপুরে দুই বন্ধু হিমেল ও রকিকে নিয়ে ওই বাসায় যায় সান। তাকে সারপ্রাইজ’ দেবে বলে চোখ বন্ধ করতে বলা হয়। এ সময় সালমা খাবার আনার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। সানের কথায় চোখ বন্ধ করলে তারা তিনজন মিলে তরুণীর হাত, পা ও চোখ বেঁধে ফেলে এবং মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে দেয়। হিমেলকে সেখানে রেখে অন্যরা শিকল আনতে দোকানে যায়। এ সময় মেয়েটিকে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করে হিমেল। ওইদিন থেকে মেয়েটিকে শিকল দিয়ে ঘরে বেঁধে রাখে তারা। এভাবে আটকে রেখে ২৯ মার্চ পর্যন্ত ২৫ দিন সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। খাবার এবং বাথরুমে যাওয়ার সময় বাসায় থাকা সালমা শুধু পায়ের শিকল খুলে দিত। মোবাইল ফোনে ভিডিও করত সালমা।

পুলিশ জানায়, তরুণীকে যৌন নির্যাতন চালিয়ে পর্নো ভিডিও তৈরি করতে থাকে এই চক্র। এ ছাড়া বিভিন্ন পর্নো ভিডিও তাকে দেখানো হতো। শনিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় মেয়েটি শিকলে বাঁধা অবস্থায় বাসায় একা ছিলেন। এ সুযোগে তিনি বাঁচাও, বাঁচাও’ বলে চিৎকার করেন। আশপাশের লোকজন চিৎকার শুনে ৯৯৯-এ ফোন করে জানান, একজন মেয়ে বাসায় আটকা আছে। উদ্ধারের জন্য চিৎকার করছেন। এরপরই মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ ওই বাসায় যায়। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। একই সময় ওই বাসা থেকে একাধিক ভিডিও জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশের মোহাম্মদপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মৃত্যুঞ্জয় দে সজল জানান, উদ্ধার করার পর ওই তরুণী পাশবিক নির্যাতনের যে বর্ণনা দিয়েছেন তা ভয়াবহ। এর অনেক কিছু ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তরুণীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কিনা তদন্ত করা হচ্ছে।

মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, তরুণীকে শিকলে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে মেয়েটি। এ ঘটনায় তিন যুবক ও এক নারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তরুণী। সবাইকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর