আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

উন্নয়নের অগ্রযাত্রা থামাতে তৎপর রাষ্ট্রবিরোধী চক্রটি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অনবদ্য ভূমিকা রাখছে বৃহত্তর শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। তিন দশকের বেশি সময়ের প্রচেষ্টায় নানা খাতে বিস্তৃত হয়েছে ব্যবসা। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই গ্রুপের ওপর নির্ভরশীল দেশের প্রায় এক কোটি মানুষ। সরাসরি কর্মসংস্থান হয়েছে ৫০ হাজার মানুষের। যখন বিদেশে অর্থপাচারের মহোৎসব, তখনও দেশের টাকা দেশে রাখার প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে শিল্পগ্রুপটি। অর্থনৈতিকভাবে দেশকে সমৃদ্ধ করতে যখন দুর্বার দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলছে, ঠিক তখনই ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপকে ধ্বংসের পাঁয়তারা শুরু হয়। এই শিল্প গ্রুপকে আক্রমণ দেশের অগ্রযাত্রায় টুঁটিচেপে ধরার শামিল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অনুসন্ধানী তথ্য বলছে, গত সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বসুন্ধরা শিল্প পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে প্রশ্নবিদ্ধ যে মামলা দায়ের হয়েছে, এর পেছনে সক্রিয়ভাবে অবস্থান নিয়েছে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে নেতৃত্বদাতা চিহ্নিত চক্রের সদস্যরা। এই চক্রের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার একাধিক মামলাও রয়েছে। গত এক যুগ ধরে বিদেশে বসে রাষ্ট্র, সরকার, বঙ্গবন্ধু পরিবারসহ দেশের খ্যাতনামা ও প্রতিথযশা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে সংঘবদ্ধ চক্রটি।

জানা গেছে, গত ২৬ এপ্রিল রাজধানীর গুলশানে মোসারাত জাহান মুনিয়া নামে এক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনাকে পুঁজি করে ফের বসুন্ধরা গ্রুপ তথা রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্তে মেতে উঠেছে চক্রটি। দেশে-বিদেশে নানা প্রান্তে অবস্থানরত চক্রের সদস্যরা প্রত্যেকের জায়গা থেকে মরিয়া হয়ে উঠেছেন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে। আর, এই চক্রটিকে উসকে দিয়ে অর্থের জোগান দিচ্ছেন ভিন্ন দল থেকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী সংসদ সদস্য ও হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ওরফে বিচ্ছু সামশু এবং তার ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন।

তথ্য মতে, এই চক্রটির ইন্ধনে বসুন্ধরা শিল্প পরিবারের চার সদস্যসহ আটজনকে আসামি করে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে কথিত ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন ওই তরুণীর বোন নুসরাত জাহান তানিয়া। মামলায় বসুন্ধরার চেয়ারম্যান, এমডিসহ কয়েকজন স্বনামধন্য ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে, যাঁদের সঙ্গে ওই তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় দূরতম সম্পর্ক নেই।

এর আগে একই ঘটনাকে পুঁজি করে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের উদ্দেশ্যে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা করেছিলেন নুসরাত। পুলিশের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত ১৮ আগস্ট আদালত ওই মামলা থেকে বসুন্ধরার এমডির নাম প্রত্যাহারের আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যাপক অবদান সর্বমহলে প্রশংসিত। ১৯৮৫ সাল থেকে বসুন্ধরা গ্রুপ শিল্পায়ন, আবাসনসহ নানা ধরনের ব্যবসায় জড়িত। বর্তমানে এই গ্রুপের ব্যবসা সম্প্রসারণ হয়েছে সিমেন্ট, বিটুমিনসহ বহু খাতে। বর্তমানে দেশজুড়ে নানা খাতে ৪৫টির বেশি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই গ্রুপের। সরাসরি কর্মসংস্থান হয়েছে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের। আর, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই শিল্প গ্রুপের ওপর নির্ভরশীল দেশের অন্তত এক কোটি মানুষ। আবাসন খাতের প্রবৃদ্ধিতে শুধু বসুন্ধরা গ্রুপের অবদান প্রায় ২১ শতাংশ। এ ছাড়া অন্যান্য শিল্প গ্রুপের চেয়ে সামাজিক ও মানবিক উন্নয়নেও সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে এই শিল্প গ্রুপ। প্রান্তিক পর্যায়ে ২০ হাজার ৭৮০ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিনাসুদে ঋণ প্রদান করেছে।

তিন দশকের বেশি সময় ধরে তিল তিল করে বিস্তৃতি পাওয়া এই শিল্প গ্রুপের কর্ণধার আহমেদ আকবর সোবহান দেশের একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। ব্যবসায়িক দুরদর্শীতার মধ্য দিয়ে তিনি দেশের উন্নয়নে অংশীদার হওয়ার পাশাপাশি হতাশাগ্রস্ত লাখ লাখ বেকার তরুণ-যুবকের ঘুরে দাঁড়ানোর প্লাটফর্ম গড়ে তোলেন। তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে এই শিল্প গ্রুপকে আধুনিক, যুযোপযোগী এবং দেশকে আরো সমৃদ্ধশালী করে তোলার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন সায়েম সোবহান আনভীর। তাঁদের মতো সম্মানিত ও অনুকরণীয় ব্যক্তিদের ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টায় বিস্ময় ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

মামলার অন্যতম কুশীলব কে এই সারোয়ার : নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তাঁদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় বাদিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন। এই সারোয়ারের বিরুদ্ধে রয়েছে নাশকতা ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের একাধিক মামলা। নুসরাতের মামলায় অন্যতম কুশীলব হিসেবে সক্রিয় বিতর্কিত এই ব্যক্তি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ব্যারিস্টার সারোয়ারের বাড়ি পিরোজপুরের ইন্দুরকানী। তার বাবা আব্দুল হাকিম হাওলাদার ছিলেন মুসলিম লীগের সদস্য এবং চিহ্নিত রাজাকার। উত্তরাধিকার সূত্রে পরিবারের সকল সদস্যই বিএনপির রাজনীতি করে আসছেন। একসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ছিলেন। ২০০৪ সালের দিকে সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকাকালে পরিচয় হয় তারেক রহমানের সঙ্গে। এরপর তারা একসঙ্গে বসে করেন ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার নীলনকশা। ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন জঙ্গিবাদী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার তথ্য পেয়ে ২০০৭-০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করা হয় তাকে।

অনুসন্ধানী তথ্য বলছে, সারোয়ার তার স্ত্রী শেখ সোনিয়াকে নিয়ে অসংখ্যবার পাকিস্তান ভ্রমণে যান। ইসলামাবাদে অবস্থিত পাঁচতারকা হোটেল সেরেনায় বসে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সাথে একাধিকবার বৈঠকও করেন তারা। এর অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে তোলা। এমনকি আইএসআইয়ের সঙ্গে যোগসাজশ করে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার ছকও আঁকেন বেশ কয়েকবার।

বিভিন্ন সূত্রের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, ২০১৩ সালে সরকারবিরোধী আন্দোলনে জ্বালাওপোড়া, নাশকতা ও রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকান্ডের নেতৃত্বেও ছিলেন সারোয়ার। এ সংক্রান্ত মামলায় পাঁচ মাস জেলও খাটেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর থেকে বিএনপির টিকিটে নির্বাচনের জন্য সারোয়ারকে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছিলেন তারেক রহমান। এখনও দেশের বাইরে বসে গ্রেনেড হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত ফেরারি আসামি তারেক রহমানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছেন তিনি।

শুধু তাই নয়, বিভিন্ন দেশে অবস্থান করে প্রতিনিয়ত রাষ্ট্রবিরোধী গুজব ও অপপ্রচার চালিয়ে যাওয়া সংঘবদ্ধ চক্রের অন্যতম হোতা এই সারোয়ার। অনলাইনে আইপি টিভি এবং ফেসবুকে নামে বেনামে পেইজ খুলে চালিয়ে যাচ্ছেন ভয়াবহ অপপ্রচার। দেশের সাধারণ মানুষের আবেগ ও সরল বিশ্বাসকে পুঁজি করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন সার্বক্ষণিক। মুনিয়া ইস্যুকে পুঁজি করে শুরু থেকেই সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করে আসছিল চক্রটি। বসুন্ধরা গ্রুপের কর্ণধারসহ নিরপরাধ ব্যক্তিদের ফাঁসানোর অপচেষ্টা চক্রটির রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের সর্বশেষ সংযোজন।

অর্থের জোগানদাতা বিচ্ছু সামশু সিন্ডিকেট : অন্যদিকে, বিচ্ছু সামশু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকারি করোনা ভ্যাকসিন চুরি, ইয়াবা ব্যবসার গোমর ফাঁস, অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা, ব্যাংকার মোর্শেদ হত্যাসহ একাধিক অনিয়ম এবং দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছিল বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন বিভিন্ন গণমাধ্যম। এর জের ধরে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং এমডির বিরুদ্ধে এর আগেও মামলা করেছেন হুইপ সামশুল। মুনিয়া ইস্যুতে নুসরাতকে দাবার গুটি বানিয়ে ফের অপতৎপরতা শুরু করেছেন।

অনুসন্ধান বলছে, মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় হুইপপুত্র শারুন চৌধুরীর সরাসরি সম্পৃক্ততা ছিল। শারুনের বিরুদ্ধে মুনিয়াকে হত্যার অভিযোগও উঠেছিল। বিচ্ছু সামশু এবং তার ছেলের বিপক্ষে কেউ অবস্থান নিলেই নেমে আসে ভয়ংকর নির্যাতন। প্রতিশোধ নিতে শারুন চৌধুরী এতটাই ভয়ংকর হয়ে ওঠেন যে, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে নিজের বান্ধবী মুনিয়াকে হত্যা করে করেন। আর, নিজের অপকর্ম ঢাকতে এবং প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে মুনিয়ার বোন নুসরাতকে কোটি টাকা দিয়ে বশ করে সাজানো মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডিকে ফাঁসানোর অপচেষ্টা চালিয়েছিলেন।

ধর্ষণ ও হত্যা মামলার ছয় নম্বর আসামি শারুন চৌধুরীর সাবেক স্ত্রী সাইফা রহমান মিম। তথ্য মতে, মুনিয়ার সঙ্গে শারুনের পরকীয়া প্রেমের জের ধরে স্বামীর সংসার ছেড়ে এসেছিলেন মিম। শারুনের নানা অপকর্মের স্বাক্ষী থাকায় এবং শারুনের বিরুদ্ধে মামলা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে নুসরাতের মামলায় এই মিমকেও ফাঁসানোর অপচেষ্টা হয়েছে। এমনকি প্রথম মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে সত্য তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করায় নতুন মামলায় আসামি করা হয়েছে নিরপরাধ বাড়ি মালিক দম্পতিকেও। এ ছাড়া এ মামলায় আসামি করা হয়েছে গত মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়া মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাকেও। যিনি গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে শারুন চৌধুরী সম্পর্কে স্পর্শকাতর বহু তথ্য ফাঁস করে দিয়েছিলেন।


আরও খবর



অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কলেজ বন্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) জানিয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর।

এতে বলা হয়, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষণা না করা পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহে ক্লাস বন্ধ থাকবে।

এর আগে শনিবার দুপুরে চলমান তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে খুলবে স্কুল-কলেজ।

এর আগে তীব্র গরমের কারণে সাত দিন মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের ছুটি ঘোষণা করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। মাউশির পক্ষ থেকে বলা হয়, সারাদেশের ওপর দিয়ে চলমান দাবদাহ ও আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কতা জারির প্রেক্ষিতে মাউশি অধিদপ্তরের আওতাধীন সকল সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ২৮ এপ্রিল খুলবে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো ঈদের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল থেকে খোলার কথা ছিল।

দাবদাহের কারণে তিন দিন হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিস বলছে, আজ শনিবার থেকে তাপমাত্রা বেশি থাকবে। এ সময় সবাইকে গরম থেকে বাঁচতে সতর্কতার সঙ্গে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়।


আরও খবর



বাংলাদেশি শ্রমিকরা মালয়েশিয়ায় শোষণের শিকার: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি অভিবাসীদের অবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি বলেছে, কর্মসংস্থানের আশায় সরকারি নিয়ম মেনে দেশটিতে গিয়ে চরম দুরবস্থায় পড়তে হয় অনেক বাংলাদেশি অভিবাসীকে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত কয়েক মাস ধরেই দেশটিতে বাংলাদেশি অভিবাসীরা অসম্মানজনক অবস্থায় বাস করছেন।

এসব শ্রমিকদের ওপর যেন কোন শোষণ, অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘন না করা হয় সেজন্যে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

এতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বেশিরভাগ অভিবাসী মালয়েশিয়ায় পৌঁছে দেখেন যে তাদের প্রতিশ্রুত অনুযায়ী কর্মসংস্থান নেই। এমন অবস্থায় প্রায়শই তাদের ভিসা শেষ করতে বাধ্য করা হয়। ফলস্বরূপ এ অভিবাসীরা গ্রেফতার, আটক, দুর্ব্যবহার এবং নির্বাসনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন।

একই সঙ্গে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের অপরাধ নেটওয়ার্ক দ্বারা অভিবাসী শ্রমিকদের প্রতারণামূলক নিয়োগের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্তের আহবান করেছে। যদি এতে কোনো সরকারি কর্মকর্তা জড়িত থাকে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।


আরও খবর



কমানোর একদিন পরই বাড়ল সোনার দাম

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সোনার দাম সামান্য কমানোর একদিন পর আবারও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের সোনার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

এখন ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা। এর আগে দাম ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা।

রোববার (২১ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ বিকেল সাড়ে ৩টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এদিকে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।


আরও খবর



পেঁয়াজ রপ্তানি থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলল ভারত

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত সরকার। শনিবার (৪ মে) এক প্রজ্ঞাপনে একথা জানানো হয়েছে। ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অব ফরেন ট্রেড প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করেছে ৫৫০ ডলার।

মহারাষ্ট্রে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই মূলত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের এমন পদক্ষেপে স্বস্তি মিলবে সেখানের ব্যবসায়ীদের।

ভারতের, বিশেষ করে পেঁয়াজের রাজ্যখ্যাত মহারাষ্ট্রের চাষি ও ব্যবসায়ীরা অনেক আগে থেকেই পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। কারণ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরই সেখানকার চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে।

যদিও নিষেধাজ্ঞা চলাকালেও সীমিত আকারে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আমিরাতে পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে ভারত সরকার।

মূলত, দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার সঙ্গে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার কারণে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে দিয়েছিল। সেই অবস্থান থেকে এবার সরে এল দেশটি।


আরও খবর



পিনাকীসহ দু’জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য ও ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মফিজুর রহমান আশিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগ।

একই সঙ্গে সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ না পাওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উপপ্রেস সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারীকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করে সম্প্রতি এ প্রতিবেদন দাখিল করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিটিটিসির উপপরিদর্শক মোহাম্মদ রাহাত হোসেন। আজ রবিবার প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি জানা গেছে।

রাজধানীর রমনা মডেল থানার এ মামলার প্রতিবেদনে পিনাকী ভট্টাচার্য পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বদলি করা হয়েছে।

২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় পিনাকী ভট্টাচার্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগের উপপরিদর্শক এম আব্দুল্লাহিল মারুফ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় মফিজুর রহমান ও মুশফিকুল ফজল আনসারীকে আসামি করা হয়।

মামলায় বলা হয়, ২০২২ সালের ১৪ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্ট কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের নজরে আসে। ওই পোস্টে পুলিশ সদস্যদের সম্পর্কে বিকৃত তথ্য প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই ফেসবুক পোস্টের সূত্র ধরে ১৫ অক্টোবর পল্লবীর বাসা থেকে মফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে পুলিশ মফিজুরের দুটি মুঠোফোন জব্দ করে।

মামলা বলা হয়, আসামি মফিজুর রহমান ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এই তালিকায় আছেন পিনাকী ভট্টাচার্য ও মুশফিকুল ফজল আনসারী। মিরপুরে পুলিশ বাহিনীর একটি অভিযানের ঘটনাকে বিকৃতভাবে প্রচার করা হয়। সেই তথ্য ও ছবি পাঠানো হয় পিনাকী ভট্টাচার্যের ফেসবুক মেসেঞ্জারে। আলামত হিসেবে নাগরিক টিভি ও আমার দেশ পত্রিকার অনলাইনের একটি করে প্রতিবেদন এবং মুশফিকুল ফজল আনসারীর ফেসবুক মেসেঞ্জারে পিনাকী ভট্টাচার্যের কাছে পাঠানো কয়েকটি ছবি ও কথোপকথন তুলে ধরা হয়েছে। সেখানকার আলাপচারিতায় মুশফিকুলকে পিনাকীর কাছে বইয়ের তালিকা চাইতে দেখা গেছে।

মামলায় বলা হয়, মফিজুর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য প্রচার করেছেন। পরে সেই তথ্য তিনি বিদেশে অবস্থানরত পিনাকী ভট্টাচার্য, মুশফিকুল ফজল আনসারীসহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে পাঠিয়েছেন। পরে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে। মফিজুর রহমানসহ অন্যরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। এর মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার আশঙ্কা হয়।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, মফিজুর রহমানের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালীর খুদুখখালী গ্রামে। চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশোনা করা পিনাকী ভট্টাচার্য একটি ওষুধ কোম্পানি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কয়েক বছর ধরে তিনি বিদেশে অবস্থান করছেন। পিনাকী ভট্টাচার্য নানা বিষয়ে সরকারের সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে থাকেন। সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ফ্রান্সের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে পিনাকী ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। তাতে তিনি বলেছিলেন, পিনাকী ভট্টাচার্য বিদেশে অবস্থান করে সরকার, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছেন।


আরও খবর