আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

উড়াল সেতুতে চলে মাদক ও রমরমা দেহব্যবসা

প্রকাশিত:রবিবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় উড়াল সেতুর ওপর দিনে দুপুরে চলছে প্রকাশ্যে মাদক সেবন। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেতুর ওপর মাদকসেবী ও মাদক কারবারিদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়, চলে দেহব্যবসাও। প্রশাসনের যথাযথ নজরদারি না থাকায় দিনের পর দিন বেড়ে চলছে এ সকল অনৈতিক কার্যকলাপের মাত্রা।

অথচ সেতুর ঠিক নিচেই রয়েছে হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশের দুটি পুলিশ বক্স। প্রশাসনের দাবি এ ধরনের কাজ বিচ্ছিন্ন ভাবে হয়ে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছে, প্রশাসনের কঠোর নজরদারির মাধ্যমে উড়াল সেতুর ওপর ও নিচ থেকে মাদকসেবী এবং যৌন কর্মীদের তাড়িয়ে এলাকায় স্বাভাবিক সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনার এখনই সময়।

সরেজমিনে সেতুর উপড়ে দেখা যায়, প্রকাশ্যে ব্যস্ততম সেতুর একপাশে বসে মাদক সেবন করছে । পাশ দিয়ে চলাচল করছে দ্রুত গতির বিভিন্ন পরিবহন। একজনকে মাতলামি করতে করতে রাস্তার মাঝখানেও যেতে দেখা যায়। মোটরসাইকেলের চালক ও বাইসাইকেল চালকেরা ভয়ে ভয়ে সেতু দিয়ে চলাচল করছে।

এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করছে, সেতুর নিচে দক্ষিণ পাশে রাত একটার পর শুরু হয় যৌন ব্যবসা। মাওনা চৌরাস্তা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা জামাল উদ্দিন  বলেন, উড়াল সেতুর ওপর রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আনাগোনা শুরু হয় মাদক কারবারি ও মাদক সেবিদের। আর মাওনা হাইওয়ে উড়াল সেতুর নিচে বসে পতিতা হাট। এই হাঁটে প্রতিদিন অসংখ্য বিভিন্ন বয়সী তরুণদের আনাগোনা থাকে।

এ বিষয়ে মাওনা হাইওয়ে থানার দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে মাদকসেবন দুঃখজনক। এ ধরনের চিত্র আমাদের চোখে ধরা পড়ে খুবই কম। তবে উড়াল সেতুর ওপরে টিকটকের ভিডিও ধারণ করতে দেখা যায় অনেক তরুণকে। তাদের আমরা নিয়মিত সাবধান করে থাকি। আর উড়াল সেতুর নিচে পতিতা বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। টহল পুলিশ সব সময় চোখ কান খোলা রেখে দায়িত্ব পালন করে থাকে।

শ্রীপুর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বিষয়গুলো সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গুরুতর এ সকল জনবহুল স্থানে কোনো ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ করতে দেওয়া হবে না।


আরও খবর



অনুমোদনহীন রেস্তোরাঁয় অভিযান অব্যাহত থাকবে: হাইকোর্ট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

অনুমোদনহীন সব রেস্তোরাঁয় অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি কামরুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে, ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডের গাউছিয়া টুইন পিক টাওয়ারে থাকা অনুমোদনহীন ১৩টি রেস্টুরেন্ট সিলগালা থাকবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট।

শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন অভিযান পরিচালনাকারী রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আদালত তার কথা শোনেন। পরে রেস্তোরাঁখাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে এই আদেশ দেন।

এর আগে, বেইলি রোড ট্রাজেডির পর বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অভিযানে গ্রেফতারকৃত রেস্তোরাঁ শ্রমিকদের তালিকা চেয়েছিলেন হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ। একইসঙ্গে, শ্রমিকদের গ্রেফতার করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেন আদালত। ৪ সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে বিবাদিদের।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লাগে। এ ঘটনায় ৪৬ জন মারা যান। এরপর রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোঁরা ও ভবনে অভিযান চালায় রাজউক, পুলিশ ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। অভিযানে অনেক রেস্তোরাঁ সিলগালা ও জরিমানা করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৪ মার্চ রাজধানীর ধানমন্ডির সাত মসজিদ সড়কে গাউসিয়া টুইন পিক টাওয়ারে অনুমোদনহীন ও নকশা বহির্ভূতভাবে নির্মাণ করা ১৩টি রেস্তোরাঁ সিলগালা করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।


আরও খবর
পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




বাংলাদেশি জাহাজ ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ৮ জলদস্যু গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ৮ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মুক্তিপণ পাওয়ার পর শনিবার (১৩ এপ্রিল) ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেয় দস্যুরা।

সোমালিয়ার সংবাদমাধ্যম গ্যারোয়ে অনলাইন জানিয়েছে, জাহাজটি মুক্তি পাওয়ার পরপরই স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পুন্টল্যান্ডের পূর্ব উপকূল থেকে দস্যুদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুন্টল্যান্ডের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশি জাহাজ ও নাবিকদের জিম্মির সঙ্গে জড়িত এই ৮ দস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণের কোনো অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে কি না সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি তিনি।

এদিকে, ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দুই দস্যু জানিয়েছে, দুই দিন আগে মুক্তিপণ হিসেবে তাদের ৫০ লাখ ডলার দেওয়া হয়। এই অর্থগুলো নকল কি না পরবর্তীতে সেটি যাচাই-বাছাই করে তারা। এরপর নিজেদের মধ্যে অর্থগুলো ভাগ করে তারা জাহাজ থেকে চলে যায়।

মুক্তিপণের মাধ্যমে জাহাজ ছাড়িয়ে নেওয়ার বিষয়টি দস্যুদের আরও জাহাজ ছিনতাইয়ে উদ্বুদ্ধ করতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পুন্টল্যান্ডের এক পুলিশ কর্মকর্তা।

গত তিন মাস ধরে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দস্যুরা সশস্ত্র গোষ্ঠী আল-শাবাবের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছে সোমালিয়ার সরকার। দস্যুতা বন্ধ করতে জলদস্যুদের গ্রেপ্তার এবং তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। গত ১৭ এপ্রিল সোমালি দস্যুদের কাছ থেকে এমভি রুয়েন নামের একটি জাহাজ উদ্ধার করে ভারতীয় নৌবাহিনী। জাহাজটি উদ্ধারে তারা কমান্ডো অভিযান পরিচালনা করে।

বাংলাদেশি জাহাজটিও মুক্ত করতে ভারতীয় নৌবাহিনী সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু নাবিকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এতে সম্মতি দেয়নি বাংলাদেশ সরকার। এর বদলে আলোচনার মাধ্যমে নাবিকদের ফিরিয়ে আনার পথ অনুসরণ করা হয়। এতে করে সব নাবিককে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কয়লা নিয়ে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালি দস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। এটির মালিক কবির রি রোলিং মিলস। ওই সময় জাহাজটিতে ২৩ নাবিক ছিলেন।


আরও খবর



বান্দরবানে সন্ত্রাসী হামলা রুখতে গাফিলতি খতিয়ে দেখা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট এবং সন্ত্রাসী হামলা রুখতে কারও গাফিলতি বা ব্যর্থতা থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে। শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে এ কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

তিনি আরও বলেন, রুমা এমন একটি জায়গায়, যে জায়গায় কোনো দিন এ ধরনের একটা অশান্ত পরিবেশ হবে আমরা চিন্তা করিনি। আমরা সব সময় দেখেছি, শান্তি প্রিয় মানুষগুলো এই এলাকায় থাকেন। হঠাৎ করে এই ঘটনা কেন ঘটল, এটাই আজকে আমাদের কাছে প্রশ্ন। ডাকাতির মূল উদ্দেশ্য ছিল বোধ হয় অর্থ সংগ্রহ করা, এখন পর্যন্ত আমরা যা মনে করছি। আমরা সব কিছুই দেখব। অস্ত্র সহকারে এবং পোশাক সহকারে এখানে ঢুকবে; আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকবে এটাও কাম্য নয়। যা করার নিরাপত্তা বাহিনী এখন সেটা করবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যাব। আমরা কোনো ক্রমেই আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে আর দেবো না। এই শান্তি প্রিয় এলাকায়, যেখানে শান্তির সুবাতাস সব সময় বইতো, এখানে অশান্তি হোক এটা আমরা চাই না। আমরা অবশ্যই এর কারণ, কারা করেছে, কাদের সহযোগিতা ছিল সবগুলো আমরা বের করব এবং আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

অভিযান শুরু হবে কি না জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান গণমাধ্যমকে বলেন, দেশে নিরাপত্তা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে, তারা তাদের মতো করে করবেন। কোনো কিছুকেই আমরা আনচ্যালেঞ্জড যেতে দেবো না। উৎস কোথায়, কীভাবে হলো সবগুলো আমরা বের করব।

এর আগে সকালে হেলিকপ্টারে রুমা পৌঁছান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরিদর্শন করেন সেখানকার সোনালী ব্যাংক শাখা। এছাড়া পাশের একটি মসজিদ কমপ্লেক্সসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখেন।

গত মঙ্গলবার রাতে একদল বন্দুকধারী রুমা সোনালী ব্যাংক শাখায় তাণ্ডব চালায়। অপহরণ করে ব্যাংকের ম্যানেজারকে। পরদিন থানচি বাজার ঘেরাও করে সোনালি ও কৃষি ব্যাংকেও হামলা চালিয়ে নগদ অর্থ লুট করে। স্থানীয়রা জানায়, হামলাকারীরা সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী কেএনএফের পোশাক পরিহিত ছিল।


আরও খবর



শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

জুমার দিন বা শুক্রবার মুসলমানদের কাছে পবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ দিন, সপ্তাহের ঈদের দিন। ইসলামে বিশেষ মর্যাদা রয়েছে এ দিনের। সব দিনের মধ্যে জুমাবারকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। কোরআন ও হাদিসে এ দিনের বিশেষ সম্মান ও মর্যাদার কথা উল্লেখ রয়েছে। জুমার দিনে অনেকেই বিভিন্ন আমল করার চেষ্টা করেন, শুধু আল্লাহকে খুশি করার জন্য।

রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিন অন্য দিনগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ। জুমার দিন আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে মহান দিন। এমনকি এ দিন আল্লাহ তাআলার কাছে ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর তথা ইসলামের দুই ঈদের দিন থেকেও মহান। (সুনানে ইবনে মাজা)

আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ এ দিনটিকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিনরূপে নির্ধারণ করেছেন। তাই যে ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করতে আসবে সে যেন গোসল করে এবং সুগন্ধি থাকলে তা শরীরে লাগায়। মিসওয়াক করাও তোমাদের কর্তব্য। (সুনানে ইবনে মাজা)

জুমার দিন একজন মুসলমান বিশেষ চারটি আমলে ‍গুরুত্ব দিতে পারেন। আমলগুলো হলো

সূরা কাহাফ তিলাওয়াত:

জুমার দিনে সুরা কাহাফ তিলাওয়াতের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, তার (ঈমানের) নূর এ জুমা হতে আগামী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মিশকাত ২১৭৫)।

হজরত আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (সহিহ মুসলিম : ৮০৯, আবু দাউদ : ৪৩২৩)

হজরত আলী রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, সে ৮ দিন পর্যন্ত সব ধরনের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকেও নিরাপদ থাকবে।

বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা:

জুমার দিনের ফজিলতপূর্ণ আরেকটি আমল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। রাসুল (সা.) বলেন, দিনসমূহের মধ্যে জুমার দিনই সর্বোত্তম। এ দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এ দিনে শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে। এ দিনে সমস্ত সৃষ্টিকে বেহুঁশ করা হবে। অতএব তোমরা এ দিনে আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করো। কেননা, তোমাদের দরুদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়ে থাকে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭)

তাড়াতাড়ি মসজিদে আগমন:

হজরত আউস ইবনে আউস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সা.-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করাবে (জুমার নামাজের পূর্বে স্ত্রী-সহবাস করে তাকেও গোসল করাবে) এবং নিজেও গোসল করবে অথবা উত্তমরূপে গোসল করবে। এরপর ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে আসবে, আসার সময় হেঁটে আসবে, কোনো বাহনে চড়বে না, ইমামের কাছাকাছি বসবে, এরপর দুটি খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং (খুতবার সময়) কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না, সে মসজিদে আসার প্রতিটি পদক্ষেপে একবছর নফল রোজা ও একবছর নফল নামাজের সওয়াব পাবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৫)

দোয়া করা:

জুমার দিনের দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন। তাই এদিন আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করা জরুরি। হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জুমার দিনে এমন একটা সময়ে রয়েছে, যাতে আল্লাহর বান্দা আল্লাহর ক‍াছে যা চাই আল্লাহ তাই দেন। অতএব তোমরা আছরের শেষ সময়ে তা তালাস করো। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮, নাসাঈ, হাদিস : ১৩৮৯)


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর

বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪




মানুষের কষ্ট লাঘবে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জিনিসপত্রের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের কষ্ট হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার চেষ্টা করছে সেই কষ্ট লাঘবের। ৫৪তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজান মাসের শুরুতে খেজুর, আমদানি করা ফল, লেবু, তরমুজ, পেঁয়াজসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কিছুটা চড়া ছিল। তবে এসব পণ্যের দাম কয়েক দিনের মধ্যেই স্বাভাবিক ও সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হয়। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি মানুষের কষ্ট লাঘবের।

তিনি বলেন, এবারের রমজান মাসকে সামনে রেখে আমরা বেশ আগে থেকেই চিনি, ছোলা, ডাল, ভোজ্য তেলসহ কয়েকটি পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ গড়ে তুলি। একচেটিয়া বাজার তৈরি করে অধিক মুনাফা যাতে কেউ করতে না পারে সেজন্য ভারত হতে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ এবং প্রায় সমপরিমাণ আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি রমজান মাসের শুরু হতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য রাজধানী ঢাকার অন্তত ২৫টি স্থানে ট্রাকে করে মাছ, মাংস, ডিম এবং দুধ সুলভমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, টিসিবি প্রথম পর্যায়ে সারাদেশের এক কোটি কার্ডধারী পরিবারের জন্য সুলভমূল্যে চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি এবং ছোলা এই পাঁচটি পণ্য বিতরণ করছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকার কার্ডধারী পরিবারের জন্য চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা ও খেজুর এই ৬টি পণ্য বিতরণ করছে। ঈদ উপলক্ষে সারাদেশের ১ কোটি ৬২ হাজার ৫৮০০ পরিবারের জন্য সরকার এক লাখ ৬২৮ মেট্রিক টন চালের বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতি পরিবার বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল পাবেন।

সরকার প্রধান আরও বলেন, আমরা এ বছর সরকারিভাবে এবং দলগতভাবে ইফতার পার্টির আয়োজন নিরুৎসাহিত করেছি। আওয়ামী লীগ এবং এর সকল সহযোগী সংগঠন নির্দেশমত তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত গরিব-দুঃস্থদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে।


আরও খবর