আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

উসকানির বিষয়ে শ্রমিকদের সতর্ক থাকতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
অনেক সময় আমরা দেখি—বাইরে থেকে কিছু শ্রমিক নেতা আসেন, তারা বা কোনও কোনও মহল উসকানি দিয়ে একটা অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কল-কারখানায় অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে বাইরে থেকে অনেকে উসকানি দিয়ে থাকেন। এ বিষয়ে শ্রমিকদের সতর্ক থাকতে হবে। এখানে মালিক-শ্রমিক সম্পর্কটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ প্রদান এবং মহিলা কর্মজীবী হোস্টেলসহ ৮টি নবনির্মিত স্থাপনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত  অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, একটা কথা মনে রাখতে হবে, এখন বিশ্ব প্রতিযোগিতামূলক। এই প্রতিযোগিতাময় বিশ্বে শিল্প-কলকারখানা এবং উৎপাদন-রফতানি যদি সঠিকভাবে চালাতে হয় তাহলে কারখানাগুলো যাতে যথাযথভাবে চলে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। আর যদি সেখানে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয় তাহলে এই রফতানিও যেমন বন্ধ হবে, তেমনি কর্মপরিস্থিতিও থাকবে না। নিজেরাও কাজ হারাবেন। তখন বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে ঘুরতে হবে। সেই কথাটা মনে রেখে শ্রমিকদেরও একটা দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। কাজেই এখানে মালিক-শ্রমিক সম্পর্কটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, অনেক সময় আমরা দেখি—বাইরে থেকে কিছু শ্রমিক নেতা আসেন, তারা বা কোনও কোনও মহল উসকানি দিয়ে একটা অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করে।’

শ্রমিক-মালিক পরস্পরের সুবিধা-অসুবিধা দেখার আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, মালিকদের দেখতে হবে শ্রমিকদের অসুবিধা কি কি বা তাদের জীবন-জীবিকা যাতে সুন্দরভাবে চলে, সেই ব্যবস্থা করা। শ্রমের ন্যায্যমূল্যটা যেন তারা পায়, শ্রমের পরিবেশ যেন সুন্দর থাকে, সেটাও তাদের দেখতে হবে। আবার শ্রমিকদেরও দায়িত্ব থাকবে কারখানাটা সুন্দরভাবে যেন চলে। উৎপাদন যেন বাড়ে, সেই ব্যাপারটাও দেখতে হবে। সেদিকে লক্ষ রেখেই কিন্তু আপনাদের কাজ করতে হবে।’

শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্কের তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি সবসময় একটা অনুরোধই করবো আমাদের মালিক এবং শ্রমিক সকলকে, শ্রমিক-মালিকের একটা সুন্দর সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মালিকদের সবসময় মনে রাখতে হবে—এই শ্রমিকরা শ্রম দিয়েই কিন্তু তাদের কারখানা চালু রাখে এবং অর্থ উপার্জনের পথ করে দেয়। আবার সেই সঙ্গে শ্রমিকদেরও এই কথা মনে রাখতে হবে—কারখানাগুলো আছে বলেই তারা কাজ করে খেতে পারছেন, তাদের পরিবার-পরিজনকে পালতে পারছেন বা তারা নিজেরা আর্থিকভাবে কিছু উপার্জন করতে পারছেন।’

‘আর কারখানা যদি ঠিকমতো না চলে তাহলে নিজেদেরই ক্ষতি হবে। কাজেই যে কারখানা আপনার রুটি-রুজির ব্যবস্থা করে অর্থাৎ আপনার খাদ্যের ব্যবস্থা করে, আপনার জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে সেই কারখানার প্রতি যত্নবান হতে হবে।’

অনুষ্ঠান থেকে ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ প্রদান করা হয়। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন প্রান্তে এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক-প্রতিনিধিদের হাতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পুরস্কার তুলে দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।


আরও খবর



মশা নিধনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মশা নিধন কারো একার পক্ষে সম্ভব নয় উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জনপ্রতিনিধি ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে। প্রতিকার থেকে প্রতিরোধ উত্তম উল্লেখ করে তিনি বলেন, মশা নিধনে সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হচ্ছে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা যাতে মশার উৎপাদন না হয়। সেজন্য জনপ্রতিনিধি ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি।

বুধবার (২০ মার্চ) ঢাকার উত্তরায় ১২নং সেক্টর খালপাড়ে সিটি করপোরেশনের মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগন উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন ধরনের মশা যেমন কিউলেক্স মশা, অ্যানোফিলিস মশা ও এডিস মশার প্রজননস্থল ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় আমাদেরকে সেদিকে লক্ষ্য রেখে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালাতে হবে। অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া রোগ, কিউলেক্স মশা ফাইলেরিয়া এবং এডিস মশা ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের জন্য দায়ী উল্লেখ করে তিনি বলেন, মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে মশার প্রজননস্থল ধ্বংসই হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম পন্থা।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরের বিভিন্ন খালে বাসাবাড়ির সুয়ারেজ বর্জ্যের কারণে পানি দূষিত হচ্ছে এবং কচুরিপানার ফলে প্রচুর মশা উৎপাদন হচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঢাকাকে পাঁচটি ক্যাচমেন্ট এরিয়াতে ভাগ করে বর্জ্য নিষ্পত্তি করার জন্য সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট স্থাপন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে দাসেরকান্দিতে একটি প্লান্ট উদ্বোধন করেছেন এবং উত্তরাতেও একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী উত্তরা ১২ নং সেক্টরে লেক পরিষ্কার করার যে উদ্যোগ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নিয়েছেন তাকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করার জন্য এই ধরনের খাল বা লেক যেখানে কচুরিপানা এবং দূষিত পানির কারণে মশার উৎপাদন বেশি হয় তা সবাইকে মিলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের এই লেক ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পরিষ্কার করা হবে বলেও জানান তিনি।

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে এবং সিটি করপোরেশনগুলোর সক্ষমতা পর্যালোচনা করে যেখানে যতটুকু দরকার মন্ত্রণালয় থেকে সহযোগিতা করা হয়েছে। মন্ত্রী আবারও এডিস মশা নির্মূলে জনপ্রতিনিধি এবং জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, নিজ বসতবাড়ি এবং নিজ এলাকা পরিষ্কার করার দায়িত্ব আমাদের সবার তাহলেই প্রাণঘাতী ডেঙ্গু জ্বর থেকে আমরা নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারবো।


আরও খবর



কড়াইল বস্তিতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট (ভিডিও)

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মহাখালীর টিঅ্যান্ডটি মাঠের পাশে কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। রোববার (২৪ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট। তবে আগুনে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বিকাল ৪টার ১০ মিনিটে আমাদের কাছে আগুন লাগার খবর আসে। সংবাদ পেয়ে আমাদের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো তথ্য জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



১১ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির ঘোষণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আবু বকর সিদ্দিক, মোংলা প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশ লঞ্চ লেভার অ্যাসোসিয়েশন নৌযান শ্রমিকদের ১১দফা দাবি আদায়ের লক্ষে পহেলা মার্চ শুক্রবার সকাল ৯ টায় বাংলাদেশ লঞ্চ লেভার অ্যাসোসিয়েশনের মোংলা শাখা কার্যালয়ে বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ নৌজান শ্রমিক  ফেডারেশন, বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে এক বিশাল শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

উক্ত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশিকুল আলম পটল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো: শাহ আলম ভূঁইয়া, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো: বাহারুল ইসলাম বাহার, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ শাহাদাত মাস্টার, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নারায়ণগঞ্জ শাখার সভাপতি আজিজ মাস্টারসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, ৪ মার্চ সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ১১দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নাগাতার কর্মবিরতি পালন করা হবে।


আরও খবর



মিয়ানমারে সংঘাত: উখিয়া সীমান্তে গুলিতে আহত বাংলাদেশির মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কক্সবাজারের উখিয়ায় সীমান্তে গুলিতে আহত বাংলাদেশি যুবক আনোয়ারুল ইসলামের (৩৫) মৃত্যু হয়েছে। এক মাস চিকিৎসাধীন থেকে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান। নিহত আনোয়ারুল ইসলাম পালংখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতের বিল গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে।

এ নিয়ে গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী আরকান আর্মির মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে সংঘর্ষে তিনজনের প্রাণহানি হলো। গত ৫ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির জলপাইতলী এলাকায় ওপারের ছোড়া মর্টারশেল এসে পড়ে দুজন নিহত হন। এদের একজন বাংলাদেশি নারী ও অপরজন রোহিঙ্গা পুরুষ।

গুলিবিদ্ধ আনোয়ারুল এক মাসেরও বেশি চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার মারা যায় বলে জানিয়েছেন পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী। 

আরও পড়ুন>> পাঁচ দিনের মাথায় উৎপাদনে ফিরছে এস আলমের চিনিকল

তিনি বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনী ও আরকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে বিপুল অস্ত্র নিয়ে একদল রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়। ওই দিন পালংখালীর রহমতের বিল সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের সঙ্গে অস্ত্রধারী ২৩ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছিলেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন অস্ত্রধারী রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে বাধা দিলে তাঁরা গুলি ছোড়েন।

গুলিতে আনোয়ারুলসহ পাঁচজন বাংলাদেশি আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় আনোয়ারকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আশিকুর রহমান বলেন, এক মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর আনোয়ারুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে আনোয়ারুল ইসলামের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানো হয়। আনোয়ারুল ইসলাম তিন সন্তান রয়েছে।

সীমান্তের বাসিন্দা ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সীমান্তচৌকির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে সংঘাত চলে আসছে। এ সংঘাতের জেরে প্রায় প্রতিদিন গোলাগুলি, মর্টারশেল নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগ ও বিমান হামলার ঘটনা ঘটছে। এতে এপারের সীমান্তঘেঁষা বাসিন্দারা ভয় ও আতঙ্কে আছেন।


আরও খবর



ড. ইউনূসকে ৫ বছরের ১১৯ কোটি টাকা কর পরিশোধের নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে ১১৯ কোটি টাকা কর পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ২০১১ সাল থেকে পরবর্তী ৫ পাঁচ বছরের জন্য তাকে এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে। বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) হাইকোর্ট এ আদেশ দিয়েছেন।

কর ফাঁকি সংক্রান্ত বিষয়ে এর আগে গত বছরের জুনে ইউনূস সেন্টার একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে কর বকেয়ার বিষয়ে স্পষ্ট করে নিজের অবস্থান পরিস্কার করা হয়।

ইউনূস সেন্টার বলছে, প্রফেসর ইউনূসের যে টাকা নিয়ে পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনে আলাপ চলছে, তার পুরোটাই প্রফেসর ইউনূসের অর্জিত টাকা। তার উপার্জনের সূত্র প্রধানত তার বক্তৃতার ওপর প্রাপ্ত ফি, বই বিক্রি লব্ধ টাকা এবং পুরস্কারের টাকা। এর প্রায় পুরো টাকাটাই বিদেশে অর্জিত টাকা। এই টাকা বৈধভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলে আনা হয়েছে। কর বিভাগ তা অবহিত আছে। কারণ সব টাকার হিসাব তার আয়কর রিটার্নে উল্লেখ থাকে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তিনি জীবনে কোনো সম্পদের মালিক হতে চাননি। তিনি মালিকানামুক্ত থাকতে চান। কোথাও তার মালিকানায় কোনো সম্পদ নেই (বাড়ি, গাড়ি, জমি বা শেয়ার ইত্যাদি)। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন তার উপার্জনের টাকা দিয়ে ২টি ট্রাস্ট গঠন করবেন। তিনি তাই করেছেন।

একটি ট্রাস্ট করলেন প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট এবং অল্প কিছু টাকা দিয়ে (মোট টাকার ৬ শতাংশ) উত্তরসূরীদের কল্যাণের জন্য করলেন ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্ট। ফ্যামিলি ট্রাস্টের মূল দলিলে এই রূপ বিধান রেখে দিলেন যে তার পরবর্তী এক প্রজন্ম পরে এই ট্রাস্টের অবশিষ্ট টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল ট্রাস্টে ফিরে যাবে। তিনি এটা করলেন যাতে তার বর্তমানে ও অবর্তমানে টাকাটা ট্রাস্টিদের তত্ত্বাবধানে নিরাপদে থাকে এবং তারা ট্রাস্ট ২টির লক্ষ্য বাস্তবায়নে তৎপর থাকে।

দানকর দেওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, ড. ইউনূসের নিজের টাকা নিজের কাছে রেখে দিলে তাকে কম ট্যাক্স দিতে হতো। কারণ ব্যক্তিগত করের হার প্রতিষ্ঠানিক করের হারের চেয়ে কম। দানকরের প্রসঙ্গটি তুলেছেন তার আইনজীবী। আইনপরামর্শক বলেন, ট্রাস্ট গঠনের কারণে তাকে দানকর দিতে হবে না। কারণ বড় ট্রাস্টটি জনকল্যাণের জন্য প্রতিষ্ঠিত। ফ্যামিলি ট্রাস্টের ব্যাপারে তিনি পরামর্শ দিলেন যে, এরকম ক্ষেত্রে (অর্থাৎ প্রফেসর ইউনূসের অবর্তমানে তার সম্পদের কী হবে, সে চিন্তায় যদি তিনি কোনো ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন তবে সেক্ষেত্রে) তাকে কোনো কর দিতে হবে না। কারণ এটা হবে তার অর্জিত টাকার একটি সুব্যবস্থা করে যাওয়া।

আইনজীবীর পরামর্শের ভিত্তিতে টাকা স্থানান্তর করার সময় প্রফেসর ইউনূস কোনো কর দেননি। কিন্তু তিনি আয়কর রিটার্ন দাখিল করার পর কর বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানালেন যে, এক্ষেত্রে তাকে কর দিতে হবে। রিটার্নের যেখানে তিনি দানের তথ্যটি উল্লেখ করেছিলেন, সংশ্লিষ্ট কর কর্মকর্তা তার ওপর দানকর ধার্য করে দিলেন। তিনি টাকার অঙ্কটা রিটার্নসে উল্লেখ করায় কর কর্মকর্তা তা দেখে কর আরোপ করেছেন। আইন পরামর্শকের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রফেসর ইউনূস এ ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্ত চাইলেন। আদালত কর দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।

এখানে তার কর ফাঁকি দেওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। কর দিতে হবে কি না, এ ব্যাপারে তার পক্ষ থেকেই আদালতের সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হয়েছিল। আদালতে সরকার যায়নি, প্রফেসর ইউনূস গিয়েছেন। কর বিভাগ কোনো পর্যায়ে বলেনি যে প্রফেসর ইউনূস কর ফাঁকি দিয়েছেন। এখানে কর ফাঁকি দেওয়ার কোনো প্রশ্ন উঠেনি। প্রশ্ন ছিল আইনের প্রয়োগযোগ্যতা নিয়ে। এখন প্রফেসর ইউনূস বিবেচনা করবেন তিনি কর পরিশোধ করবেন নাকি উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত চাইবেন। করের আইন যদি এক্ষেত্রে প্রয়োগযোগ্য না হয়, প্রফেসর ইউনূস তাহলে সে টাকাটা জনহিতকর কাজে ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। এই হলো কর নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার পেছনে তার উদ্দেশ্য, ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য নয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে প্রফেসর ইউনূস ট্রাস্টের বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশ ভ্রমণে ব্যয় করেন। বিষয়টি মোটেই সত্য নয়। তার বিদেশ ভ্রমণের সব ব্যয় আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বহন করে। শুধু তাই নয়, প্রতি ভ্রমণে একজন অতিরিক্ত ব্যক্তিকে সফরসঙ্গী হিসেবে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার ব্যয়ও আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বহন করে। প্রফেসর ইউনূসের বিদেশ ভ্রমণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যয় তার কোনো ট্রাস্টকে বা তাকে বহন করতে হয় না। কখনো কখনো তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রাইভেট উড়োজাহাজ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে টাকা খরচের চিন্তা তাকে কখনো করতে হয় না।


আরও খবর