আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

উত্তর কোরিয়ায় দুই বছরের শিশুর যাবজ্জীবন!

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দুই বছরের শিশুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার আদালত। বাবা-মায়ের অপরাধের সাজা ভুগতে হচ্ছে তাকে।

অভিযোগ উঠেছে, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী নাগরিকদের কাছে বাইবেল পাওয়া গেলেই কড়া শাস্তি দিচ্ছে কিম জং উন প্রশাসন। এমনকি, যাদের কাছে বাইবেল পাওয়া যাচ্ছে, তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে তাদের পরিবারের অন্য সদস্যরা পাচ্ছেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এ ঘটনা। তবে এ ঘটনা ২০০৯ সালের। সে বছর বাইবেল রাখা ও খ্রিস্টান ধর্ম পালনের অপরাধে শিশুটির বাবা-মাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তার পর থেকেই সরকারের আদেশে রাজনৈতিক কারাগারে জীবন কাটাচ্ছে শিশুটি। সে হিসাব অনুযায়ী শিশুটির বর্তমান বয়স ১৫ বছর।

আরও পড়ুন>> ফিলিপাইনে ধেয়ে আসছে মহাশক্তিশালী সুপার টাইফুন ‘মাওয়ার’

যুক্তরাষ্ট্রের এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, উত্তর কোরিয়ায় গত কয়েক বছরে ৭০ হাজার খ্রিস্টানকে কারাবাসে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডও পেয়েছেন অনেকে । প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, জেলে বন্দিদের ওপর অত্যাচার করা হয়। নানা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন উত্তর কোরিয়ার বন্দিরা।

২০১০ সাল থেকে উত্তর কোরিয়া শাসন করছেন কিম জং উন। দেশটির কোনো নাগরিকের একনায়ক এ শাসকের কোনো সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার ক্ষমতা নেই।

সূত্র: এনডিটিভি


আরও খবর



মামার বাসা থেকে ফেরার পথে কিশোরীকে ধর্ষণ: আটক যুবক

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

সাভারে মামার বাসা থেকে বাসায় ফেরার পথে এক কিশোরীকে মুখ চেপে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী কিশোরীর অভিভাবক। এঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন কিশোরীর মা।

রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে আশুলিয়ার পলাশবাড়ি হাউজিং লেক মাঠ থেকে আটক করা হয় অভিযুক্ত ধর্ষককে।

আটককৃত ধর্ষক আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার সামসুল খনের ছেলে আরিফ খান জয়। সে হাউজিং এলাকায় ডিসের লাইনে সংযোগের কাজ করতো।

এর আঊ পলাশবাড়ি হাউজিং লেক মাঠ সংলগ্ন একটি ঘন নির্জন জঙ্গলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযোগ হলে ঘটনার ৪ ঘন্টার মধ্যে আশুলিয়া থানার এ এসআই শরীফ তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত সাপেক্ষে মামলা রুজু করেন। এ ঘটনায় পরদিন মামলার আয়ু এস আই মিলন ফকির অভিযান চালিয়ে আটক করে অভিযুক্তকে।

ভুক্তভোগী কিশোরীর ভাই আজকের দর্পণকে জানায়, বখাটে আরিফ তার সহযোগীদের নিয়ে প্রায় আমাদের ওই এরিয়াতে বাজে আড্ডা দেয়। বিকেলে আমার বোন হাউজিং এর গেটের চাবি আনতে মামার বাসায় যায় । সেখান থেকে বাসায় ফেরার পথে বখাটে আরিফ আমার ছোট বোনকে মুখ চেপে ধরে পাশের ঘন ও নির্জন জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর বখাটে আরিফ পালিয়ে যায়। বখাটে আরিফ ডিসের লাইনে কাজ করতো।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিলন ফকির জানান, কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ভুক্তভোগীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। আজ রাতে অভিযান চালিয়ে আশুলিয়ার পলাশবাড়ি এলাকা থেকে অভিযুক্ত যুবককে আটক করা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার আসামিকে আদালতে পাঠানো হবে।

নিউজ ট্যাগ: আটক

আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




দুদকের মামলায় ওজোপাডিকোর পিয়ন কারাগারে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ, ফরিদপুর

Image

ফরিদপুরের মধুখালীর ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) পিয়ন মোকছেদ মোল্লাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সাতচল্লিশ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ওই অফিস পিয়নকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

আজ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. মজিবুর রহমান আজকের দর্পণকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গতকাল (২৫ সেপ্টেম্বর) ওই ব্যক্তি আদালতে হাজিরা দিলে ফরিদপুর জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আকবর আলী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মোকছেদ মোল্লা জেলা সদরের কবিরপুর এলাকার মৃত আব্দুল মালেক মোল্লার ছেলে। মধুখালী উপজেলায় ওজোপাডিকোর পিয়ন পদে কর্মরত আছেন বলে দুদক ফরিদপুর জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, মোকছেদের বিরুদ্ধে ৪৭ লাখ ১ হাজার ১২০ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ বিবরণীতে ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৪২০ টাকার তথ্য গোপন করার দায়ে একটি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। স্বেচ্ছায় তিনি আদালতের হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে মোকছেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।


আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বিশ্বের সব থেকে বিষধর দশটি সাপ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সাপের নাম শুনলেই অনেকে ভয় পেয়ে যান। অনেকে আবার সাপ দেখলে ঘৃণাতে মুখ সরিয়ে নেন। সাপকে প্রাণি হিসেবে আমরা যে কারণে ভয় পাই তার মূল কারণ হচ্ছে এর বিষ। বিষাক্ত সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়, তাই বিষাক্ত সাপ থেকে সবাই দূরে থাকে। এই সাপের মধ্যে কিছু আছে বিষহীন, আবার কিছু আছে খুবই বিষাক্ত। পৃথিবীর সব থেকে বিষধর সাপ কোনগুলো? এ নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন।

১০.র‌্যাটল স্নেক

যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া যায় এই র‌্যাটল স্নেক। এদের লেজের দিকে ঝুনঝুনি সদৃশ বিশেষ অঙ্গ তাকে যার সাহায্যে তারা শব্দ করতে পারে। শরীরে দুই-তৃতীয়াংশ লাফিয়ে আক্রমণ করে থাকে। এটি উত্তর আমেররিকার সব থেকে বিষধর সাপ। এই সাপে কামড়ালে শিশুদের দ্রুত মৃত্যু হয়। এই সাপের বিষ টিস্যু নষ্ট করে ফেলে রক্ত জমাট বেঁধে যায় ফলে এর সঞ্চালন প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। এই সাপে কামড়ানোর পর শ্বাসকষ্ট, প্যারালাইসিস, বমি, রক্ত বমি, চেতনাহীন হয়ে পড়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

৯. ডেথ এডার

ডেথ এডার সাপ বিষের দিক থেকে নবম স্থানে রয়েছে। নামের সাথে এই সাপের কামড়েরও যথেষ্ট মিল পাওয়া যায়। অস্ট্রেলিয়া এবং নিউগিনিতে এই সাপ দেখতে পাওয়া যায়। ডেথ এডার মূলত অন্য সাপকে তাড়া করে কামড়িয়ে মারে এবং খেয়ে ফেলে। এক কামড়ে এই সাপ ৪০-১০০ মিলিগ্রামের মত বিষ ঢেলে দেয়। এই সাপে কামড়ালে শ্বাস কষ্ট ও প্যারালাইসিস দেখা দেয়। ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই কামড়ে আহত ব্যক্তির মৃত্যু হয়ে থাকে। এই সাপ একবার বিষ ঢালার পর দ্রুততম সময়ে এদের বিষ থলিতে আবারও বিষ উৎপাদন করতে পারে।

৮. ভাইপারস

ভাইপারস মূলত সাপের একটি জাত। এই জাতের অনেক ধরনের সাপ আছে। সারা বিশ্বেই ভাইপারসদের দেখা যায়। মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়ার ভারত, চীন এবং পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে এদের বেশি দেখা যায়। এরা খুব দ্রুত রেগে যায় এবং প্র্রধানত রাতের বেলা শিকারে বের হয়। এরা খুব দ্রুত আক্রমণ করে থাকে। ভাইপারসে কামড়ালে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। পরে শ্বাসকষ্টের সাথে প্যারালাইসিস দেখা দেয় এবং হৃদস্পন্দন আস্তে আস্তে কমে যায়। এই সাপে কামড়ালে শরীরের উপর থেকেই বোঝা যায় যে রক্ত জমাট বেধে যাচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যায়। যদি দ্রুত চিকিৎসা দেয়া যায় তাহলেও ২-৪ সপ্তাহ নাগাদ প্রচণ্ড ব্যথা থাকে।

৭.ফিলিপাইনন্স কোবরা

পৃথিবীর সব কোবরাই বিষাক্ত এবং ভয়ানক সাপ। কিন্তু অন্যসব কোবরা থেকে ফিলিপাইন কোবরা একটু আলাদা। কোবরা প্রজাতির মধ্যে এরাই সব থেকে বেশি বিষধর। এরা প্রায় তিন মিটার দূর থেকে বিষ ছুড়ে মারতে পারে।এই সাপে কামড়ালে আধা ঘন্টার মধ্যে মৃত্যু হয়। কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শরীর অবশ, মাথা ঘোরানো, বমি, মেরুদণ্ডে ব্যথা, পাতলা পায়খানাসহ নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

৬. টাইগার স্নেক

টাইগার স্নেক অন্যতম বিষাক্ত সাপ। এই সাপে কামড়ানোর তিরিশ মিনিটের মধ্যে মানুষ মারা যায়। এই সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যুর হার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ। এরা সাধারণত মানুষ দেখলে ভয়ে পালায়। কিন্তু একবার ক্ষেপে গেলে এই সাপ বেশ ভয়ঙ্কর রুপ ধারণ করে। টাইগার স্নেকের নিশানা কখনো মিস হয় না।

৫. ব্ল্যাক মামবা

আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ব্ল্যাক বামবা নামক ভয়ঙ্কর এই সাপের দেখা মেলে। ক্ষ্যাপাটে স্বভাবের জন্য এরা বিশ্বে প্রথম। কোন ব্যক্তি যদি একবার ব্ল্যাক বামবার পাল্লায় পড়েন, তাহলে কামড় না খেয়ে ফিরে আসতে পারবেন এমন সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ এই সাপ যাদের উপর ক্ষেপে যায় তাদেরকে ঘোড়ার মত তাড়া করে কামড়ে দেয়। এরা বেশ দ্রুতগামী। দেখতে প্রধানত কাল হয়। প্রায় বিশ কিলোমিটার ঘন্টা গতিতে তাড়া করার ক্ষমতা রাখে ব্ল্যাক বামবা। একই সারিতে ১২বারের বেশি কামড়ে দেয় এরা। এদের প্রতিটি কামড়ে ১০০-১২০ গ্রাম বিষ বের হয় যা ১০-২৫ জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট। মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

৪. টাইপান

টাইপান সাপ অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া যায়। টাইপানের এক কামড়ে ১২ হাজার গিনিপিগের মৃত্যুর মত যথেষ্ট বিষ থাকে। এর বিষ রক্তনালী বন্ধ করে দেয়। এই সাপের কামড় থেকে বেঁচে ফিরেছেন এই সংখ্যা খুবই কম। যথার্থ চিকিৎসা দেয়া হলেও অনেক সময় রোগিকে এক নাগারে বহুদিন নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকতে হয়।

৩. ব্লু ক্রিট

ব্লু ক্রিট সাপ দেখতে পাওয়া যায় দক্ষিণ এশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়াতে। ক্রিট অন্য সাপ শিকার করে এবং খেয়ে বাঁচে। রাতের বেলা বের হয়।অন্ধকারে আক্রমণ করতেই এরা বেশি পছন্দ করে। এই সাপ নিজেদের প্রজাতিকে খেয়ে ফেলে। এই সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যুর হার ৮৫ শতাংশ। এই সাপের বিষ একবার শরীরের ভিতরে ঢুকলে শরীর সুস্থ হতে অনেক সময় লেগে যায়।

২.ইনল্যান্ড টাইপান

টাইপান সাপের মধ্যে এই ইনল্যান্ড টাইপান্ড আরেকটি জাত। বিষের কার্যক্ষমতার দিক থেকে অস্ট্রেলিয়ার ইনল্যান্ড টাইপান সাপের অবস্থান দ্বিতীয়। এদেরকে ক্ষুদ্র-আঁশের সাপও বলে। অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের কাছে সাপটি দানদারাবিল্লা নামে পরিচিত। বলা হয়ে থাকে, এই সাপ এক দংশনে যে পরিমাণ বিষ নির্গত করে তাতে অনায়াসে শতাধিক পূর্ণ-বয়স্ক মানুষের মৃত্যু ঘটা সম্ভব। কোনরূপ প্রতিষেধক ব্যবস্থা না নিলে এই সাপে দংশনের সময় থেকে মৃত্যুর দূরত্ব মাত্র ৪০-৪৫ মিনিট। এরা ঋতুর সাথে রঙ বদলায়- গ্রীষ্মে জলপাই রঙের আর শীতে ধূসর। আফ্রিকার ব্ল্যাক মামবা বা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার লম্বা কিং কোবরার মতো এরা ক্ষিপ্র ও আক্রমণাত্মক নয়। ভয়াবহ রকমের বিষাক্ত এই সাপ সচরাচর মানুষের সান্নিধ্যে আসতে চায় না, আক্রমণও করতে চায় না। এদের বিষ কোবরার থেকে ১৫ গুন বেশি শক্তিশালী।

১. বেলচারস সী স্নেক

ভেনামাস প্রাণিকূলে সরীসৃপের মধ্যে সবচেয়ে বিষাক্ত হলো বেলচারস সী স্নেক। অস্ট্রেলিয়ার উত্তর উপকূল এবং দক্ষিণ এশিয়ার উপকূলের সাগরের জলে এদের দেখা পাওয়া যায়। এই সাপের এক কামড়ে যতটুকু বিষ বের হয় তা দিয়ে প্রায় এক হাজার পূর্ন বয়স্ক মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত করা সম্ভব। কিন্তু এই সাপটি খুবই শান্ত ও লাজুক প্রকৃতির। বিশেষ করে জেলেদের মাছ ধরার সময় জালের ভিতরে ধরা পড়ে। এই সাপ মাঝে মাঝেই ভূমিতে যায়।পানির নিচে এরা ৭৮ ঘন্টা দম বন্ধ করে থাকতে পারে। এই সময়ের মধ্যে তারা শিকার ধরে এবং বিশ্রাম নেয়।


আরও খবর



তৃতীয় ওয়ানডেতে অধিনায়ক হয়ে ফিরছেন নাজমুল

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে অধিনায়ক হয়ে দলে ফিরেছেন নাজমুল হোসেন। চোটের কারণে এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের দুটি ম্যাচ খেলেই দেশে ফিরে এসেছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। আগামী মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচ দিয়ে খেলায় ফিরবেন নাজমুল।

দলে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ ও শরীফুল ইসলাম। বিশ্রামে গেছেন সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা লিটন দাস। পিঠের অস্বস্তির কারণে শেষ ম্যাচে খেলছেন না তামিমও।

লিটন জ্বর থেকে সুস্থ হয়ে এশিয়া কাপে যোগ দেওয়ার পর থেকে টানা খেলার মধ্যে আছেন। কিন্তু এখনো জ্বরের ধকল থেকে পুরোপুরি সুস্থ হননি। সে জন্য প্রথম ডানহাতি এ উইকেটকিপারব্যাটসম্যান শেষ ম্যাচটি খেলতে চাননি।

চোট থেকে ফেরা তামিম গতকাল সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে পিঠের অস্বস্তির কথা বলেছেন। তিনি এর মধ্যেই এক দিনের বিরতিতে দুটি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। বিশ্বকাপের আগে আরও একটি ম্যাচ খেলে চোটের ঝুঁকি বাড়াতে চান না এই বাঁহাতি ওপেনার।

শেষ ওয়ানডের দলে নেই মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান, সৌম্য সরকার ও খালেদ আহমেদ। এর মধ্যে চোটের সঙ্গে লড়ছেন পেসার তানজিম। তাঁর বদলি হিসেবে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচেই দলে ডাকা হয় হাসানকে। বিশ্বকাপের আগে তানজিমকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায় না বিসিবি।

তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচের দল: নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, জাকির হাসান, এনামুল হক, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, শেখ মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, রিশাদ হোসেন।


আরও খবর



বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ

সারাদেশে ঝড়বৃষ্টির আভাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের সব বিভাগেই ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমনটাই বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ভারতের উত্তর উড়িষ্যা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল এবং বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ ছাড়া মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তার কাছাকাছি পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের অদূরে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তার কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এ অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-য়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর
ঢাকাসহ ১৪ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩