ক্যালেন্ডার অনুযায়ী শীতকাল শুরু হতে আরও
দুই দিন বাকি। আগামী শনিবার পৌষের প্রথম দিন। কিন্তু এবার অগ্রহায়ণের মাঝামাঝি সময়
থেকেই শীত পড়তে শুরু করেছে। গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপামাত্রার পারদ
ছিল পড়তির দিকে। অনেক এলাকায় সকালে সূর্য দেখা যাচ্ছে বেলা করে।
এর মধ্যেই আজ বৃহস্পতিবার রাত থেকে শৈত্যপ্রবাহ
বইতে শুরু করেছে। বিশেষ করে উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলসহ কয়েকটি জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির
নিচে নেমেছে। ফলে বেড়ে গেছে ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। চিকিৎসকরা
জানিয়েছেন, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, ডায়েরিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানান শীতজনিত
রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আজ
সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড
করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকায় সর্বনিম্ন ১৪, রাজশাহীতে ১১, রংপুরে ১২ দশমিক ৩, ময়মনসিংহে
১১ দশমিক ৭, সিলেটে ১৭, চট্টগ্রামে ১৭ দশমিক ১, খুলনায় ১৫ এবং বরিশালে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি
তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল
৮টা পর্যন্ত গোটা জেলার বিভিন্ন এলাকা ছিল ঘন কুয়াশায় ঢাকা। সকাল ৮টার পর সূর্যের দেখা
মেলে। তারপরও কুয়াশা আর উত্তুরে হিমশীতল বাতাসের কারণে সকাল সকাল কাজে নামা মানুষকে
দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এদিকে আবহাওয়ার আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে
বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে
পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে পড়তে পারে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা। দেশের
পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কোথাও কোথাও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সারাদেশে
রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা থাকতে পারে প্রায় অপরিবর্তিত।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, বৃহস্পতিবার
রাতে উত্তরাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলসহ বেশ কয়েকটি জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে
যাবে। এ কারণে সেসব জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে শুরু করবে। এরপর আস্তে আস্তে
এটি আরও কিছু এলাকায় বিস্তার করতে পারে। একই সময়ে রাজধানী ঢাকাসহ আরও বেশ কিছু এলাকার
তাপমাত্রা দুই-এক ডিগ্রি কমে শীতের তীব্রতা বাড়বে।