আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

‘ভাইকে জেলে রেখে পরীক্ষায় বসতে পারব না’

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ আগস্ট 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০২ আগস্ট 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শিক্ষার্থীদের ডাকা গণমিছিলকে সামনে রেখে রাজধানীর উত্তরায় জড়ো হতে শুরু করেছেন শিক্ষার্থী। শুক্রবার সকাল থেকেই ঢাকা-বিমানবন্দর মহাসড়ক সংলগ্ন উত্তরার বিএনএস সেন্টারের বিপরীত পাশে অবস্থিত রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের প্রধান ফটকের সামনে রাস্তার ওপর জড়ো হয়েছেন শত শত শিক্ষার্থী। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন স্থানীয় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও অভিভাবকরাও।

এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে শোক নয় দ্রোহ, উই ওয়ান্ট জাস্টিস, ছাত্র হত্যার বিচার চাই, ফ্রম গাজা টু ঢাকাসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার শিক্ষার্থীদের মুক্তি চেয়ে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নুসরাত নামের এক ছাত্রী বলেন, আজকে কেন আমরা রাস্তায়? কারণ আমার ভাই (সহপাঠী) স্বপ্ন কারাগারে। আমার ভাইকে রেখে আমি পরীক্ষার হলে বসতে পারব না। আমার ভাই মুক্ত হবে এরপর আমরা সবাই মিলে পরীক্ষা দিতে বসব।

ওই ছাত্রী বলেন, কী দোষ ছিল মুগ্ধ ভাইয়ের? যে মুগ্ধ ভাই পানি বিলাচ্ছিলেন। একটা স্বাধীন দেশে মানুষকে পানি খাওয়ানো কি অপরাধ? একটা ছোট্ট মেয়ের ছাদে যাওয়া কি অপরাধ?

আফিফ হাসান নামে অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের প্রধান দাবি হচ্ছে সারা বাংলাদেশে যত এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ আন্দোলনে যত মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে তাদের মুক্তি দিতে হবে।

শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া আহসান ইকবাল নামে এক অভিভাবক বলেন, আমাদের সন্তানদের গুলি করে মারা হলো- এর বিচার কে করবে? অনেককে ধরে নিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এসব শিশুদের ভবিষ্যতের কি হবে? আমরা আমাদের সন্তানদের মুক্তি চাই।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন-গণমিছিল ঘিরে উত্তরার মোড়ে মোড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি উত্তরা জোনের সহকারী কমিশনার সুমন কর বলেন, সার্বিক পরিস্থিতির উপর আমাদের নজর রয়েছে। যেকোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সঙ্গে বিজিবি এবং সেনাবাহিনী রাস্তায় টহল দিচ্ছে।


আরও খবর
প্রত্যাহার হওয়া ২৫ জেলায় নতুন ডিসি

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বন্যায় প্রায় ৭ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারি বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে দেশের ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জেলা। অনেক স্থানে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে পানি উঠায় ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

ফলে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে প্রায় সাত লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছে নোয়াখালী ও ফেনী।

ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার মো. ফজলুর রহমান বলেন, জেলায় চার লাখ গ্রাহকের মধ্যে তিন লাখেরও বেশি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। ভারি বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকার লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত জেলার সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলার কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক ছিল।

ফেনী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হোসেন মাহমুদ শামীম ফরহাদ বলেন, আমাদের প্রায় ৭০ শতাংশ গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভবনগুলোর নিচ তলায় পানি ঢুকে মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই পানি নেমে না যাওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকবে। বন্যার পানি কমার আগে সংযোগ স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এদিকে, বুধবার (২১ আগস্ট) ভোর থেকে নোয়াখালীতে ভারি বর্ষণ হয়েছে। সঙ্গে ছিল ঝড়ো হাওয়া। এতে জেলার সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, সদর,কবিরহাট, কোম্পানিগঞ্জ, সুবর্ণ চর ও চাটখিল উপজেলার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি ও ঝুঁকি এড়াতে প্রায় চার লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।

নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জিএম মো. জাকির হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমাদের এই সমিতিতে ৭ লাখ ৬০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। আমাদের কয়েকটি সাবস্টেশনসহ বিদ্যুৎ বিতরণকারী বেশির ভাগ এলাকায় এরই মধ্যে বন্যার পানি উঠেছে। ক্ষয়ক্ষতি ও ঝুঁকি এড়াতে ৫০ শতাংশের বেশি (প্রায় চার লাখ) গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।


আরও খবর
প্রত্যাহার হওয়া ২৫ জেলায় নতুন ডিসি

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলমকে বাধ্যতামূলক অবসর

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলমকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্‌ উদ্দিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জাহাঙ্গীর আলম এ বছরের ৭ জানুয়ারি বিতর্কিত সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন সচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

এছাড়া, আরও ১০ সচিবের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

তারা হলেন-জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব), বিনিয়োগ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব), জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব।


আরও খবর
প্রত্যাহার হওয়া ২৫ জেলায় নতুন ডিসি

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




রিপোর্ট দিয়ে কী হবে যদি অভিযুক্ত গ্রেফতারই না হয়: তনুশ্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত বিনোদন জগতে পা দিতেই যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। এ বিষয়টি সবারই জানা। তখন তার অভিযোগের আঙুল উঠেছিল অভিনেতা নানা পাটেকরের দিকে। এ নিয়ে বলিউডে জলঘোলা কম হয়নি। এবার মালায়লাম চলচ্চিত্র জগতে নারীদের ওপর যৌন হেনস্তা নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে হেমা কমিটি। সেই রিপোর্টেরই নিন্দা করেছেন তনুশ্রী দত্ত।

আনন্দবাজার প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, বলিউডে যৌন হেনস্তা নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছিলেন তনুশ্রী দত্ত। অভিযোগের আঙুল উঠেছিল অভিনেতা নানা পাটেকরের দিকে। এরপর অভিযোগ উঠেছিল পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর বিরুদ্ধে। তার দাবি চকোলেট ছবির সেটে সবার সামনে খোলামেলা পোশাক পরে থাকতে বাধ্য করেছিলেন পরিচালক। এবার হেমা কমিটির বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিলেন তনুশ্রী দত্ত।

মালায়লাম চলচ্চিত্র জগতে নারীদের ওপর যৌন হেনস্তা নিয়ে যে রিপোর্ট পেশ করেছে হেমা কমিটি, সেই রিপোর্টেরই নিন্দা করেছেন তনুশ্রী। কর্মস্থলে নারীদের যৌন হেনস্তা থেকে সুরক্ষা প্রদানকারী বিশাখা কমিটিরও সমালোচনা করেন এ অভিনেত্রী।

২০১৭ সালে প্রযোজক তথা অভিনেতা দিলীপসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে গাড়ির মধ্যে যৌন হেনস্তার অভিযোগ আনেন মালায়লাম ছবির এক অভিনেত্রী। সেই ঘটনার পরেই নারীদের সুরক্ষার জন্য গঠন করা হয় হেমা কমিটি।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে হেমা কমিটির নিন্দা করে তনুশ্রী বলেন, এ ধরনের রিপোর্ট প্রকাশ করার অর্থ কী? বরং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হতো। আরও কঠোর আইন আনা উচিত ছিল। আমি বিশাখা কমিটির কথাও শুনেছিলাম। অনেকগুলো পাতা নিয়ে তৈরি সেই দীর্ঘ রিপোর্ট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হলো?

এ আগে নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ টেনে এনে তনুশ্রী বলেন, নানা পাটেকর ও দিলীপের মতো মানুষ মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত। এদের এই বিকারের কোনো সমাধান নেই। নিষ্ঠুর ও ক্ষতিকর মানুষই এ ধরনের কাজ করতে পারে। এ ধরনের সমিতি নিয়ে আমার কিছু যায় আসে না। এ পদ্ধতির ওপর আমার কোনো ভরসাও নেই। তিনি বলেন, এ রিপোর্ট পেশ করে ওরা শুধু সময় নষ্ট করতে পারে। আসল কাজ এরা করে না। নিরাপদ কর্মস্থল পাওয়া নারীদের বা যে কোনো মানুষের মৌলিক অধিকার।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নানা পটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন তনু্শ্রী। তাঁর দাবি ছিল, ২০০৮ সালে হর্ন ওকে ছবির সময় তাঁকে যৌন হেনস্তা করেন নানা। এ নিয়ে বলিউডে জলঘোলা কম হয়নি।

এরপর অভিযোগ উঠেছিল পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর বিরুদ্ধে। তার দাবি চকোলেট ছবির সেটে সবার সামনে খোলামেলা পোশাক পরে থাকতে বাধ্য করেছিলেন পরিচালক।

২০০৫ সালে শুটিং হওয়া চকোলেট ছবির একটি দৃশ্যে ছোট স্কার্ট পরতে হয়েছিল তনুশ্রীকে। শুটিংয়ের ফাঁকে মেকআপ ভ্যানে সেই খোলামেলা পোশাকের ওপরে একটি বড় কোট পরে বসেছিলেন এ অভিনেত্রী। এতেই নাকি আপত্তি জানিয়েছিলেন বিবেক। দাবি করেছিলেন শুটিং সেটে ক্যামেরার বাইরেও তাকে একই পোশাকেই থাকতে হবে!

ঘটনার রেশ টেনে সংবাদমাধ্যমে তনুশ্রী বলেছিলেন, শুটিংয়ের ফাঁকে শিল্পীরা ভ্যানে বিশ্রাম নেন। বিশেষ করে যখন ছোট পোশাক পরতে হয়। আমি ওই ছোট পোশাকের ওপরে লম্বা কোট পরে বসতাম। তখন পরিচালক বললেন একটু পরেই শুটিং শুরু হবে। কোটটা খুলে ফেলো। পুরো শুটিংয়ের কলাকুশলীদের সামনে আমাকে ছোট স্কার্ট পরিয়ে বসিয়ে রাখতেন তিনি।


আরও খবর
মা হলেন দীপিকা, বাবা রণবীর

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




মিমিকে ধর্ষণের হুমকি, সৃজিতের ক্ষোভ প্রকাশ

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

আরজি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় কলকাতায় চলছে বিক্ষোভ। সকলের মুখেই একটার দাবি, বিচার চাই। নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক দাবিতে যখন উত্তাল রাজপথ তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ্যে ধর্ষণের হুমকি পেলেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। ইতোমধ্যেই বিষয়টাকে সামনে এনে প্রতিবাদের সুর চড়িয়েছেন অভিনেত্রী নিজে। এবার মিমির পাশে দাড়াঁলেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জি।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী তাকে হুমকি দেয়ার একটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে ক্ষোভ, হতাশা প্রকাশ করলেন।

হুমকি দেওয়া সেই অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়, মিমি শুধু একটা মেয়ে বলে তার জন্য খারাপ ভাষা ব্যবহার করতে পারছি না। আজ যদি এই ঘটনা মিমির সঙ্গে ঘটত তাহলে কী করতিস? মিমির পরিবারকেও ১০ লাখ টাকা দিতিস নাকি? তাহলে মিমিকে আমার ঘরে পাঠিয়ে দিস আমি দিয়ে দেব ১০ লাখ ওর পরিবারকে।

আর এই পোস্ট শেয়ার করে মিমি লিখেছেন, আর আমরা একজন মহিলার জন্যই ন্যায় বিচার চাইছি, তাই না? এরা অনেকের মধ্যে কিছুজন। এখন ধর্ষণের হুমকিকে নর্মলাইজ করে ফেলেছে এই বিষাক্ত পুরুষ সমাজ। একই সঙ্গে ভিড়ের মধ্যে মিশে গিয়ে বলছে যে তারা নাকি মেয়েদের পাশে আছেন! এটা কোন শিক্ষার পরিচয়?

এদিকে এরকম একটি কমেন্ট নিজের ফেসবুকে শেয়ার করে সৃজিত মুখোপাধ্যায় লিখেছেন, সেলেবদের ঘৃণা করুন কিন্তু ভেবেচিন্তে। জেলে ইন্টারনেট নাও পেতে পারেন।

তবে পরিচালক এই পোস্টের কমেন্ট সেকশন বন্ধই করে রেখেছেন অবাঞ্ছিত মন্তব্যকে এড়িয়ে যেতে। মিমি ও সৃজিত দুজনেই অভয়ার হয়ে বিচার চেয়ে রাস্তায় নেমেছেন। শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন।


আরও খবর
মা হলেন দীপিকা, বাবা রণবীর

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সাবেক মন্ত্রী আবদুল রহমানসহ ৪ জনের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যসহ চার জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (২৮ আগস্ট) দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

দুদকের এই কর্মকর্তা জানান, সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে  ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজ নামে ফরিদপুরের মধুপুরে ভবন নির্মাণ, রাজউকের পূর্বাচলসহ বিভিন্ন জায়গায় জমি কেনা, নিজ নামে মার্কেন্টাইল ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং সোনালী ব্যাংকে সঞ্চয়পত্র, তার স্ত্রী মির্জা নাহিদা হোসেনের নামে শান্তা দিগন্ত টাওয়ার-২, করবী, ফ্ল্যাট নং-৩ ই, ৩/৩ এ, পরিবাগ ঢাকাসহ ৪ টি ফ্ল্যাট, এছাড়া দেশের বাইরে টাকাপাচার করে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন এবং কানাডায় একাধিক বাড়ি কেনার তথ্য দুদকের কাছে এসেছে। যে কারণে কমিশন প্রকাশ্য অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়াদ্দারের (ছেলুন) বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজ নামে চুয়াডাঙ্গা সদরে তিন তলা বিলাসবহুল জোয়াদ্দার কুটির নামে বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় জমি ক্রয়, প্রায় ৮০ থেকে ১০০টি এসি-ননএসি বাসসহ ১৫-২০টি ট্রাক, স্ত্রী ও নিজ নামে সঞ্চয়পত্র, ১টি প্রাডো গাড়িসহ তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

দিনাজপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজ নামে ঢাকার উত্তরায় (বাড়ি নং-১২, সেক্টর নং-১০, রোড নং-১২, উত্তরা মডেল টাউন) ৫ কাঠা জমির ওপর বাড়ি, ধানমন্ডিতে ফ্ল্যাট, ২টি গাড়ি (ঢাকা মেট্রে-গ-৩৪-৬৮৮৮ ও ঢাকা মেট্রে-ঘ-২১-৫১৬২), নিজ নামে দিনাজপুরের উথরাইল মৌজা, পুচকুর মৌজা, রামপুর মৌজা ও জালালপুর মৌজায় বিপুল পরিমাণ জমি রয়েছে। এছাড়া তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন।

অপরদিকে, মো. সাইফুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজ নামে মাগুরা জেলার জাগলায় প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে অটোব্রিকস ফিল্ডের ব্যবসা, মাগুরা জেলার চাওলিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত নগর পদ্দবিলে প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে মৎস্য খামার, তার নিজ নামে ১০টি ট্রাক, শ্যালকের নামে ২টি এবং খালকুড়া নবাবের ছেলের নামে ২টি গাড়ি কেনা, ২১৯ সৈয়দ আতর আলী রোড, সদর উপজেলা, মাগুরায় তার মালিকানাধীন মনোয়ারা কমপ্লেক্স নামে বহুতল মার্কেট, মাগুরার বিভিন্ন জায়গায় তার  নামে অনেক জমি এবং নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য রয়েছে দুদকের হাতে।


আরও খবর