আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ভালোবাসার সপ্তাহে কোন তারিখ কী দিবস?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস একথা তো সবারই জানা। কিন্তু ভালোবাসার সপ্তাহের শুরু হয় ৭ তারিখ থেকে। এরপর এক সপ্তাহ পর্যন্ত একেকদিন একেক দিবস। প্রেমিক জুটির মধ্যে এই দিবসগুলো নিয়েই থাকে কিছু প্রত্যাশা। সেসব পূরণ না হলে আবার থাকে অল্প-স্বল্প মান-অভিমান। আসলে কোন তারিখে কী দিবস তা জানা না থাকার কারণে অনেকেই ভুল করে ফেলেন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কোন তারিখ কী দিবস-

রোজ ডে: দিনটি কেবল গোলাপ দেওয়ার। ভালোবাসার মানুষটিকে গোলাপ দিয়ে নিজের মনের ভাষার জানান দেওয়ার দিন এটি। তাই ৭ তারিখ একটি কিংবা অনেকগুলো লাল গোলাপ কিনে আপনার পছন্দের মানুষটিকে উপহার দিন। সঙ্গে রাখতে পারেন একটি চিরকুট। তাতে লিখে দিতে পারেন দু-একটি লাইন। অথবা না লিখলেও ক্ষতি নেই। কিছু কথা চোখের ভাষাতেই বেশি সুন্দর।

প্রোপোজ ডে: ভালোই যখন বাসেন তখন আর এত দেরি কেন? বলে দিন না মনের কথা! হয়তো সেও আপনাকে মনের কথাটি জানাতে চায় কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারছে না। মনের কথা জানিয়ে দেওয়ার জন্য প্রোপোজ ডে-র থেকে ভালো কিছু হতে পারে? তাই বেছে নিন ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখকে। এই দিন প্রোপোজ ডে। তাই আপনার কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।

চকোলেট ডে: চকোলেট পেলে মন ভালো হয় না এমন কাউকে হয়তো পাওয়া যাবে না। প্রিয়জনের মন জয় করার জন্য চকোলেটের বিকল্প হয় না। ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখ হলো চকোলেট দিবস। এদিন পছন্দের মানুষটিকে চকোলেট দিয়ে চমকে দিন। ভালোবাসার পথটা আরেকটু মসৃণ হবেই।

টেডি ডে: সবার ভেতরেই একটি শিশু বাস করে। শিশুর মতো কোমল মনের সন্ধান পেতে চাইলে প্রিয়জনকে টেডি উপহার দিন। ফেব্রুয়ারির ১০ তারিখ হলো টেডি দিবস। এইদিন পছন্দের মানুষটিকে একটি টেডি উপহার দিয়ে চমকে দিতে পারেন।

প্রমিজ ডে: ভালোবাসা মানে দুজন দুজনকে বুঝতে পেরে একসঙ্গে পথচলা। সেই চলার পথে থাকে কিছু প্রতিশ্রুতি। সেসব প্রতিশ্রুতির জন্য বেছে নিতে পারেন ফেব্রুয়ারির ১১ তারিখকে। কারণ এই দিন হলো প্রমিজ ডে। তবে প্রতিশ্রুতি যা-ই করুন না কেন, চেষ্টা করুন তা রাখার।

হাগ ডে: ভালোবাসার মানুষটিকে জড়িয়ে ধরার দিন এটি। প্রিয় মানুষটির আলিঙ্গন কে না চায়! সেজন্য রয়েছে ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখ।

কিস ডে: চুম্বনের মাধ্যমে প্রকাশ পায় ভালোবাসার প্রগাঢ় রূপ। প্রিয় মানুষকে চুম্বনের মাধ্যমে ভালোবাসার গভীরতা জানান দেওয়ার দিন হলো ফেব্রুয়ারির ১৩ তারিখ।

ভ্যালেন্টাইনস ডে: বিশ্বজুড়ে ভালোবাসার রঙে রঙিন হওয়ার দিন হলো ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখ। অন্যান্য তারিখগুলো আমাদের দেশে খুব একটা পালিত না হলেও এই দিন বেশ ভালোই আয়োজন চোখে পড়ে। বছরের এই বিশেষ দিন আপনার জন্য আরও বেশি সুন্দর হয়ে উঠুক।


আরও খবর



তরমুজের পর ফেসবুকে চলছে গরুর মাংস বয়কটের ডাক

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফেসবুকে চলছে গরুর মাংস বয়কটের হিড়িক। মূলত বাজারে গরুর মাংসের অতিরিক্ত দামের কারণে অনেকে এটিকে বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন। এতে দাম কমবে বলে ধারণা তাদের। বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ফেসবুক পেজ এবং গ্রুপে এ বয়কটের স্ট্যাটাস দিচ্ছেন অনেকেই।

এর আগে রমজানের শুরুতে রাজধানীতে তরমুজের কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়। তখন থেকে এর প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে এ পণ্য কিছুদিনের জন্য বয়কটের ঘোষণা দিয়ে অনেকে পোস্ট দেন। তবে রোজার মধ্যেই তরমুজ নেমে এসেছে ২০-২৫ টাকা কেজি দরে। এটিকে প্রতিবাদ বা বয়কটের ফল হিসেবে দেখছেন নেটিজেনরা।

তরমুজ বয়কটের দাম নিয়ে কারসাজি বন্ধ হওয়ার পর এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গরুর মাংস বয়কটের ডাক দিয়েছে সাধারণ মানুষ। রোজার শুরু থেকেই গরুর মাংসের দাম বেড়েই চলেছে। গত ১৫ মার্চ গরুর মাংসের দাম ৬৬৪ টাকা বেঁধে দেয় সরকার। তবে শুক্রবারও বাজারে গরুর মাংস বিক্রি ৭৮০-৮০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

গরুর মাংস বয়কটের ডাক দিয়ে অনেকের স্ট্যাটাসই ভাইরাল হয়েছে। এদের মধ্যে একজন লিখেছেন, তরমুজের ভাব বেড়েছিল আমাদের আমজনতার বয়কটে তার দাম এখন হাতের নাগালে। এভাবে গরুর মাংসও খাওয়া বাদ দিন, বয়কট করুন ১ বা ২ বা ৩ মাস। দেখবেন, সেটাও হাতের নাগালে চলে আসবে। ক্রেতা না কিনলে দাম বাড়িয়ে কয়দিন কাটা গরুর মাংস রাখবে ফ্রিজে! কম দামে ক্রেতা না কিনলে কত দিন চড়া দাম হাকাবে! ক্রেতাই যদি না থাকে কিসের সিন্ডিকেট! আমরা সব চাইলেই পারি! লাগবে শুধু একতা! চলেন, তরমুজের পরে এবারে গরুর মাংসের দাম কমাই।

অন্য একজন একটি গ্রুপে লিখেছেন, আমি গরুর মাংস কিনলাম। বললো যে, দেশের মানুষ ভাত পায় না, গরুর মাংস কেনে। গরুর মাংসের ম্যালা দাম, আসুন গরুর মাংস বয়কট করি।

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া অন্য একটি স্ট্যাটাসে গরুর মাংস বয়কটের ডাক দিয়ে বলা হয়েছে, আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় দেশবাসী আপনারা তরমুজকে বয়কট করেছেন, এখন বর্তমানে তরমুজের দাম ১০০ টাকা কেজির পরিবর্তে ৩০ টাকা ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, এবার আপনাদের পালা, গরুর মাংস কে বয়কট করুন, দেখবেন ৮০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে চলে এসেছে গরুর মাংস। ধন্যবাদ।


আরও খবর
হঠাৎ উধাও হয়ে গেল ফেসবুক!

মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪




নয় দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে সোনাহাট স্থলবন্দরে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দরের কার্যক্রম ৯ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ওই সময় পবিত্র শবে-ই-কদর, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।

সোনাহাট স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সরকার রকিব আহমেদ জুয়েল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আকমল হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, শবে-ই-কদর, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল- ফিতর ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে সোনাহাট স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ সংক্রান্ত যাবতীয় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আগামী ৬ এপ্রিল (শনিবার) থেকে ১৪ এপ্রিল (রোববার) পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এবং ১৫ এপ্রিল (সোমবার) থেকে পূর্বের ন্যায় যথারীতি সমস্ত কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

সোনাহাট স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সরকার রকিব আহমেদ জুয়েল বলেন, সোনাহাট স্থলবন্দর আগামী ৬ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল মোট ৯ দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সোনাহাট স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মোফাজ্জল হোসেন বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।


আরও খবর



শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে স্থায়ী জামিন চাইবেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চাইবেন বলে নিশ্চিত করে ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে। তাই এ মামলায় ড. ইউনূস মঙ্গলবার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চাইবেন।

ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, মঙ্গলবার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে সাজার বিরুদ্ধে ড. ইউনূসের আপিল শুনানি হবে বলেও জানান তিনি। সকাল ১০টার পর তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারেন বলেও জানান এ আইনজীবী।

গত ৩ মার্চ ড. ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন শ্রম আপিলের ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ১৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন।

ওইদিন পর্যন্ত চারজনের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবীরা। অপর তিনজন হলেন-গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

আদালতে ওইদিন ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও এস এম মিজানুর রহমান। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। এ সময় ড. ইউনূসসহ অন্য তিন বিবাদী গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এই মামলায় ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।


আরও খবর



ইসরায়েলে ইরানের হামলা: নেতানিয়াহুকে বাইডেনের ফোন

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম সামরিক শক্তিসম্পন্ন দেশ ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই সঙ্গে এ হামলার ঘটনায় ঐক্যবদ্ধ কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া সমন্বয় করতে জি-সেভেন নেতাদের আহ্বান করার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের হামলার পর এর নিন্দা জানিয়ে সমন্বিত জি-সেভেন কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাইডেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলে আক্রমণ করা প্রায় সব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সহায়তা করেছে।

অন্যদিকে, হোয়াইট হাউস থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমি তাকে (নেতানিয়াহু) বলেছি- ইসরায়েল নজিরবিহীন আক্রমণের বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষা করার এবং শত্রুদের পরাজিত করার অসাধারণ ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। এটা শত্রুদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা যে, তারা কার্যতভাবে ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে না।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে তেহরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা কুদস ফোর্সের সিরিয়া ও লেবানন শাখার কমান্ডারসহ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন। ওই ঘটনার জেরে ইসরায়েলে পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দেয় ইরান। সবশেষ শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে ইসরায়েলে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও ড্রোন হামলা করে পারস্য অঞ্চলের দেশটি।


আরও খবর



পাহাড়ে সক্রিয় ভয়ংকর বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রাণ প্রকৃতির নিসর্গ পার্বত্য জেলা বান্দরবানের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) শান্তির পাহাড়ে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। পরপর দুই দিনে তিনটি সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখায় ঢুকে টাকা লুটে নেওয়ার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পাহাড়ে শান্তি আলোচনার অংশ হিসেবে অনেকগুলো ভার্চুয়াল বৈঠকের পর গত বছরের ৫ নভেম্বর শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও কেএনএফের প্রথম সরাসরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গত ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় সরাসরি বৈঠক। এর মধ্যে পাহাড়ে বড় ধরনের কোনো সশস্ত্র তৎপরতা দেখা যায়নি। হঠাৎ করে পরপর তিনটি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় কেএনএফ সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে। এর আগে সর্বশেষ গত বছরের শুরুতে দুর্গম পাহাড়ে অস্ত্রের গর্জন শোনা যায়। গত বছরের ৭ এপ্রিল বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অতর্কিত গুলিবর্ষণের ঘটনায় আটজন নিহত হন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কেএনএফের সশস্ত্র শাখা কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) সদস্যরা সম্প্রতি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। স্থানীয়দের ওপর নির্বিচারে হামলা, লুটপাট ছাড়াও সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তদের খুন, জখম ও অপহরণের ঘটনাও ঘটায় কুকি সন্ত্রাসীরা। স্থানীয় নিরীহ পাহাড়ি বাসিন্দাদেরও হুমকি-ধামকি ও নির্যাতন করে তারা। কেএনএফের এ তাণ্ডবের কারণে জীবন বাঁচাতে নিজ পাড়া বা বসতভিটা ছেড়ে উপজেলা সদরে আশ্রয় নিয়েছেন বহু পাহাড়ি বাসিন্দা। স্থানীয় পর্যায়ে আতঙ্ক ছড়াতে পাহাড়ের শান্তি-শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি রক্ষায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপরও তারা অতর্কিত সশস্ত্র হামলা চালায়। কিন্তু গত মঙ্গল ও বুধবার তিনটি সরকারি ব্যাংকের শাখায় ঢুকে নগদ টাকা লুটে নেওয়ার ঘটনায় নতুন বার্তা পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। টাকার অভাবে কেএনএফ লুটপাটে জড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, ব্যাংক লুটের আগে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে থানচি বাজারে গুলি ছুড়তে ছুড়তে দোকানগুলো থেকে মোবাইল সেট ও নগদ টাকা কেড়ে নেয় অস্ত্রধারীরা। পরে সোনালী ব্যাংক এবং কৃষি ব্যাংকে ঢুকে ক্যাশ কাউন্টার থেকে টাকা লুটতরাজ করে চলে যায়। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ক্রমাগত অভিযানের পর কথিত বিচ্ছিন্নতাবাদী কেএনএফের কুকিল্যান্ডের সেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। কেএনএফের সশস্ত্র শাখা কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) পার্বত্য এলাকায় যেসব আস্তানা গেড়েছিল সেগুলোর অধিকাংশই এখন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। ফলে সশস্ত্র তৎপরতার শক্তি ও সুযোগ হারিয়ে কুকি সন্ত্রাসীরা এখন বিচ্ছিন্নভাবে চাঁদাবাজি ও মুক্তিপণের জন্য অপহরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে। বাজারে হামলা ও ব্যাংক লুটের ঘটনা তারই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগেও বেশকিছু অপহরণ ও চাঁদাবাজির ঘটনার সঙ্গে কেএনএফ বা কেএনএর সম্পৃক্ততা পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কেএনএফ বা কেএনএ ছাড়াও পার্বত্য তিন জেলায় চাঁদাবাজির আধিপত্য নিয়ে জেএসএস, ইউপিডিএফসহ অন্য আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠনগুলোও বেপরোয়া সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে একটি তৎপরতা গত এক বছর ধরে সক্রিয় ছিল। তারই অংশ হিসেবে গত ৫ নভেম্বর প্রথম সরাসরি বৈঠক করে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। বৈঠকে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষে নেতৃত্ব দেন কমিটির আহ্বায়ক ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা। গত ৬ মার্চ দ্বিতীয় সরাসরি বৈঠক হয় তাদের সঙ্গে। দ্বিতীয় দফা সরাসরি আলোচনায় ৭টি বিষয় নিয়ে সমঝোতা হয়েছিল। এর মধ্যে কেএনএফের মামলা প্রত্যাহার, জেলে আটক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া, মিজোরামে পালিয়ে যাওয়া নাগরিকদের ফিরিয়ে এনে পুনর্বাসন করা, চাঁদাবাজি বন্ধ, কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে নিয়ে এসে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে সমঝোতা হয়েছিল। কিন্তু ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলার পর গতকাল কেএনএফের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করেছে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি। ১৯ সদস্যের শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনু গতকাল বিকালে বলেন, আমরা অনেকগুলো বৈঠক করে শান্তি প্রতিষ্ঠার সংলাপ ভালোই এগিয়ে নিচ্ছিলাম। এই সময়ে কোনো বড় ঘটনাও ঘটেনি। তিনি বলেন, হঠাৎ তাদের এই কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে, কমান্ড পর্যায়ে কোনো পরিবর্তন এসেছে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে সশস্ত্র এই সংগঠনটি। নগদ টাকার প্রয়োজন থেকেই তারা বাজার ও ব্যাংক ডাকাতির মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নেমেছে। এ ছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় তাদের সাংগঠনিক শক্তি অনেকটা পর্যুদস্ত অবস্থায় রয়েছে। তারা হয়তো মনে করছে, পৃথক কুকিল্যান্ডের স্বপ্নপূরণ সম্ভব নয়। সেজন্যই তারা শক্তির জানান দিতে চাইছে। এদিকে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন রাসেলকে অপহরণের দুই দিন পর গতকাল সন্ধ্যায় উদ্ধার করা হয়েছে। সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ধরতে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে পার্বত্য গণপরিষদের উদ্যোগে বান্দরবান প্রেস ক্লাব চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মুজিবুর রহমান অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং বিভিন্ন স্পর্শকাতর পয়েন্টে সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সভাপতি কাজী মুজিবুর রহমান বলেন, পার্বত্য এলাকায় তারা (কেএনএ) এখনো তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের তাণ্ডবের কারণে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় যাতায়াত ও পর্যটকদের চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সবখানেই একটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে এ পরিস্থিতির মধ্যেও নিরাপত্তা বাহিনীর মোটামুটি শক্ত অবস্থান রয়েছে।

তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের ভৌগোলিক পরিবেশ ও বর্তমান পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর কোনো বিকল্প নেই। পার্বত্য অঞ্চলের স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে আরও অনেক সেনা ক্যাম্প চালু করা এখন সময়ের দাবি। যেসব স্থান থেকে একসময় সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছিল সেগুলোও দ্রুত চালু করা প্রয়োজন। শুধু পুলিশ দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।


আরও খবর