আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

ভাঙাচোরা রাস্তা ও ড্রেনেজ নিয়ে আশার বাণী শুনালেন নতুন প্রশাসক

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে ১২টি ওয়ার্ডের সড়কের পিচ ঢালাইসহ ইটের খোয়া ওঠে গিয়ে খানাখন্দকে তৈরি হয়েছে মরণ ফাঁদ। শুধু তাই নয়, সঠিক বর্জ্যব্যবস্থাপনা না থাকায় শহরের প্রবেশদ্বার সড়কের পাশে, বাসাবাড়ির আশপাশ যত্রতত্র ময়লা আবর্জনার স্তুপ করায় পরিবেশ পরেছে হুমকির মুখে। এছাড়াও ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। তবে কয়েক দিনের মধ্যেই রাস্তা-ড্রেনেজের কাজ শুরু হবে বলে এবার আশার বাণী শুনালেন পৌরসভার সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত প্রশাসক।

১৯৯৭ সালে ঠাকুরগাঁও পৌরসভাকে শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়। পৌরসভার ১৩৫ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে পাকাকরণ করা হয়েছে ৮৫ কিলোমিটার ও ৫০ কিলোমিটার রাস্তা এখনো কাঁচা রয়ে গেছে। ৮৫ কিলোমিটার পাকা সড়ক হলেও এসব রাস্তার প্রায় ৮০ শতাংশরই অবস্থা বেহাল।

চলতি বর্ষা মৌসুমে দেখা যায়, সড়কগুলো দীর্ঘ দিন থেকে সংস্কার না করায় ও যানচলাচলে রাস্তাগুলোর পিচের ঢালাই ও ইট উঠে গিয়ে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টিতেই রাস্তার গর্ত গুলোতে কোথাও কোথাও হাঁটু সমান পানি জমে থাকে। গাড়ি নিয়ে এসব রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন অনেকে। এছাড়াও পানি জমে থাকার কারণে রাস্তায় চলাচলকারীদের শরীরে কাদা পানি ছিটকে পোশাক নষ্ট হচ্ছে।

এছাড়াও পানি নিষ্কাশনের জন্য ভালো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জজ কোর্ট চত্বরসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আর সেই পানি বাসাবাড়িতেও ঢুকে যায় বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। অন্যদিকে শহরের প্রবেশদ্বার সড়ক থেকে শুরু করে বিভিন্ন ওয়ার্ডের সড়কের ধারে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনার স্তুপের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ জনসাধারণ।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দুর্নীতি আর অনিয়মের কারণে দীর্ঘ ১০-১৫ বছর ধরে পৌরসভার রাস্তাঘাটের অবস্থা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার কোনো উন্নয়ন হয়নি। এতে চলাচল করতে দুর্ঘটনার শিকারসহ সামান্য বৃষ্টিপাতে সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি ও ড্রেনের পানি বাসাবাড়িতে প্রবেশ করে। এমন অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা পরিবেশে বসবাসে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। এবিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষকে অবগত করলেও নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।

গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা রনি ইসলাম বলেন, ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের সড়কের বেহাল দশা। আমার বাসার সামনের সড়কটি দেখ মনে হয় না এটা পাকা। রাস্তার সবকিছু ওঠে গিয়ে এখন কাঁচা রাস্তায় পরিণত হয়েছে। আর সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু সমান পানি জমে থাকে রাস্তায়। দুর্নীতির কারণে আজকে পৌরসভার রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে ড্রেন ও ময়লা আবর্জনার স্তুপ দিয়ে এমন অবস্থা। আমরা এগুলোর দ্রুত সংস্কার ও দুর্নীতি মুক্ত দেশ চাই।

এদিকে যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনার ভাগারে পরিবেশ দূষণ হওয়ার পাশাপাশি দূর্গন্ধ ও ভাঙ্গাচোড়া ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে সধারণ মানুষসহ বিদ্যালয় ও কলেজে যেতে শিক্ষার্থীদেরও পোহাতে হচ্ছে চরম দূর্ভোগ।

ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা বলেন, রাস্তার ভাঙ্গাচোড়ার জন্য প্রাইভেট ও কলেজে যাওয়া আসা করতে খুবই সমস্যা হয়। এসব রাস্তা দিয়ে অসুস্থ মানুষকে নিয়ে গেলে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে যায় এমনকি সুস্থ মানুষও রাস্তার অবস্থার জন্য অসুস্থতা বোধ করে। বৃষ্টির দিনে তো অবস্থা আরও নাজেহাল। আমরা চাই সড়ক গুলো দ্রুত সংষ্কার করা হোক।

পৌর শহরের রাস্তার থেকে গ্রামের রাস্তাও অনেক ভালো আছে জানিয়ে অটোচালকরা বলেন, সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে দুর্ঘটনার শিকারসহ গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ দ্রুত নষ্ট হচ্ছে ও রাস্তা ভাঙ্গা এবং গর্তের জন্য যাত্রীরাও গাড়িতে ওঠতে চায় না। এছাড়াও আরও অন্যান্য ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ও সড়কে চলাচলকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে রাস্তা সংস্কার এবং ড্রেনেজ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা অনুরোধ জানান পৌর কর্তৃপক্ষকে।

পৌরসভার দায়িত্ব প্রাপ্ত নতুন প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সরদার মোস্তফা শাহিন জানান, পৌরসভার রাস্তা গুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। পৌরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে ও সড়ক সংষ্কারের জন্য ইতিমধ্যে ৬৩ কোটি টাকার এস্টিমেট তৈরি করা হয়েছে। এটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি আমরা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মাধ্যমে যেন কাজ গুলো করতে পারি সেটি চেষ্টা করছি।

তিনি আরো বলেন, অনেক জায়গায় সড়কের পাশে ময়লা আবর্জার ভাগার রয়েছে। পৌরসভার কিছু গাড়ি নষ্ট হওয়ায় ও জনবল কম থাকার কারণে কার্যক্রম বিঘ্ন হয়েছে। ড্রেনেজ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গাড়িগুলো মেরামত করা হচ্ছে। সেগুলো ঠিক হলে পৌরসভাকে মানসম্মত অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার আশা ব্যক্ত করেন তিনি। 

নিউজ ট্যাগ: ঠাকুরগাঁও

আরও খবর



বরফ কল মালিকদের সিন্ডিকেট, দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে মৎস্যজীবীরা

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

মৎস্য খাতে বরফের চাহিদা অপরিসীম। জেলে, আড়ৎদার, পাইকারসহ মৎস্য ব্যবসায়ী সকলের মাছ সংরণক্ষ থেকে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত প্রয়োজন হয় বরফের। কিন্তু বরফ কল মালিকদের সিন্ডিকেটের মুখে জিম্মি হয়ে পরছে বরগুনার পাথরঘাটাসহ উপকূলীয় মৎস্য ব্যবসা।

সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিজেদের মতো করে বাড়ানো হয় বরফের দাম। বরফের দাম বৃদ্ধির কারণে এর প্রভাব পরেছে মাছের উপর। আর এ সিন্ডিকেটে সামনের সারিতে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, খাজা বরফ কলের মালিক মিহির বাবু, মায়ের দোয়া বরফ কলের মালিক সেলিম চৌধুরী এবং এমি বরফ কলের মালিক সোহাগ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাথরঘাটা উপজেলা বরফ কল মালিক সমিতি নামে একটি সমিতির আওতায় ২২টি বরফ কল রয়েছে। এ সমিতি দুই বছর যাবত বরফ কল মালিকরা মিলে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে বরফ দ্বিগুনেরও বেশি ১৫০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি করছে। আগে বিক্রি হতো ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। তাছাড়া জেলে বা মৎস্য ব্যবসায়ীরা নিজের খুশি মতো যেকোনো বরফ কল থেকে বরফ কিনতে পারছে না।

বরফ কিনতে হলে আগে ওই সমিতির কাছে টাকা জমা দিতে হয়। এরপর তাদের কাছ থেকে একটি টোকেন নিতে হয়। সমিতি থেকে জেলেদের যে বরফ কল থেকে বরফ কিনতে পারবে সেই বরফ কলের নাম নির্ধারণ করে বলে দেয়া হয়। জেলেরা ওই বরফ কল ছাড়া অন্য কোনো বরফ কল থেকে বরফ কিনতে পারেন না। এছাড়াও জেলেদের অপরিপূর্ণ বরফ দেওয়া হয়, এর প্রতিবাদ করলে তাদের সাথে করা হয় দূর্ব্যবহার।

বরফ কল মালিকদের সিন্ডিকেটের মুখ থেকে বাঁচাতে ট্রলার মালিক ও বরগুনা জেলা মৎসবীজ ট্রলার মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুম আকন নিজেই বরফ কল কিনেছেন। সিন্ডিকেটের ঊর্ধ্বে গিয়ে বরফ তৈরি করে জেলেদের কাছে কম দামে বিক্রি করছেন তিনি।

সিন্ডিকেটের বিষয় মাসুম আকন বলেন, বর্তমানে এক ক্যান বরফ তৈরি করতে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা খরচ হয়। এই বরফ ১৫০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি করে বরফ কল মালিকদের সিন্ডিকেট। গত আগষ্ট মাসের ২ তারিখ থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত সমিতির মাধ্যমে বরফ কিনেছি। তখন বরফ কিনতে হয়েছে ১৭০ টাকায়। সকল বরফ কল মালিকরা মিলে একটি সিন্ডিকেটের তৈরি করে জেলেদের জিম্মি করে রেখেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বরফ ক্রেতার অভিযোগ, টোকেন অনুযায়ী বাধ্য হয়েই নির্ধারিত বরফ কল থেকে বরফ কিনতে হয়। তাও আবার অতিরিকও দামে। কখনো কখনো পরিপুর্ণ না হলেও বরফ নিতে হয়।

উপজেলা বরফ কল মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক সেলিম চৌধুরী কাছে সিন্ডিকেটের জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিন্ডিকেট নিয়ে যত অভিযোগ তা সম্পুর্ণ মিথ্যা। সমিতি থেকে কোন সিন্ডিকেট করা হয়নি, এমনকি অতিরিক্ত মুল্যে বিক্রিও হয় না। তিনি আরও বলেন, একটি বরফের বিপরীতে খরচ হয় ১২৮ টাকা, যা বিক্রি করা হয় ১৫০ টাকা।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, বরফ মালিকদের একটি সিন্ডিকেট চলছে যা জেলেসহ মৎস্যজীবীদের প্রতি এক রকমের নির্যাতন করছে। বরফ সিন্ডিকেট করার বরফ কল মালিক সমিতির কোন এখতিয়ার নেই। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এ বিষয় পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, এমন সিন্ডিকেটের অভিযোগ শুনেছি। এ বিষয় সোমবার তাদের সাথে মিটিং করবো এবং এ রকমের প্রমান পাওয়া গেলে সিন্ডিকেট তো থাকবেই না তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাকিল আহমেদ, পাথরঘাটা (বরগুনা)


আরও খবর



আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করলেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:শনিবার ১০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রংপুর প্রতিনিধি

Image

শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের বাড়িতে গিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সেখানে তিনি আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের পর কথা বলেছেন তার পরিবারের সদস্যদের সাথে।

শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে হেলিকপ্টারযোগে পীরগঞ্জের জাফরপাড়া বাবনপুর গ্রামে যান তিনি।

এদিকে শুক্রবার থেকেই ড. ইউনূসের আগমন ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে ওই এলাকায়। সেনাবাহিনীর সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য সদস্যরা সেখানে অবস্থান করছেন। তবে পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।

কবর জিয়ারত ও আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা শেষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন তিনি। এরপর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত রোগীদের দেখতে যাবেন ড. ইউনূস।


আরও খবর



দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৭১

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যায় মৃতের সংখ্যা আরও বেড়েছে। নতুন করে ৪ জনসহ এ পর্যন্ত মারা গেছে ৭১ জন।

দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এসময় ত্রাণ উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক-ই-আজম উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৭১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৫ জন, নারী ৭ জন এবং শিশু ১৯ জন।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ফেনীতে ২৮, কুমিল্লায় ১৯, নোয়াখালীতে ১১, চট্টগ্রামে ৬, খাগড়াছড়িতে ১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১, লক্ষ্মীপুরে ১, কক্সবাজারে ৩ এবং মৌলভীবাজারে ১ জন মারা গেছেন। নিখোঁজ আছেন ১ জন (মৌলভীবাজার)।


আরও খবর
প্রত্যাহার হওয়া ২৫ জেলায় নতুন ডিসি

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ফেনীতে বন্যায় কৃষিতেই ক্ষতি ৪৫১ কোটি ২০ লাখ টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ফেনীতে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। ক্ষেতে মাচান থাকলেও নেই সবুজ গাছ। পানির নিচ থেকে ভেসে উঠছে হলুদ, আদা, আউশ, আমন ও শরৎকালীন বিভিন্ন সবজি ক্ষেত। দেড় মাসের ব্যবধানে তৃতীয় দফায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় জেলার ছয়টি উপজেলায় শুধুমাত্র কৃষিতেই ক্ষতি হয়েছে ৪৫১ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি। এতে প্রায় দুই লক্ষাধিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় জেলার ৩০ হাজার ৩৫২ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা মোট ফসলি জমির ৭৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। তারমধ্যে ১ হাজার ৮৬৫ হেক্টর আমন বীজতলা, ২৬ হাজার হেক্টর আমন, ১ হাজার ৮৫৪ হেক্টর আউশ, আবাদকৃত ৫২৫ হেক্টর শরৎকালীন সবজির পুরো অংশ, ৬৯ হেক্টর ফলবাগান, ৭ হেক্টর আদা, ১৬ হেক্টর হলুদ এবং ১৬ হেক্টর আখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পরশুরামের কাউতলি গ্রামের কৃষক আলী আহম্মদ বলেন, বছরের প্রথম দফায় বন্যায় আমন বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারপর আবার বীজ বপন করে আমন আবাদের কিছুদিন পর বন্যার পানিতে সব ভেসে যায়। দেড় মাসের ব্যবধানে তৃতীয় দফার বন্যায় সবগুলো ফসলি জমি এখন বালুর স্তূপ হয়ে আছে। কোনোভাবে আবাদ করে খাবো এমন পরিস্থিতি আর নেই।

সাইদুল ইসলাম নামে আরেক কৃষক বলেন, ভয়াবহ খাদ্য সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছি আমরা। জমির ফসল নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি ঘরে থাকা ধান-চালও পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে আবাদ করার মতো কোনো পরিস্থিতি নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায় তাহলে ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। 

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. একরাম উদ্দিন বলেন, বন্যায় কৃষিতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। আমাদের জেলা কার্যালয়ও বুক পানিতে নিমজ্জিত ছিল। তারপরেও আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং তাদের নানা পরামর্শের মাধ্যমে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। কৃষকদের আমনের চারা দেওয়ার ব্যাপারে দাপ্তরিকভাবে আলোচনা উঠে এসেছে। এছাড়া এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে আগাম জাতের কিছু ফসল আবাদের বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসের বন্যায় ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ায় আউশ আবাদ, গ্রীষ্মকালীন সবজি, আমন বীজতলা ও গ্রীষ্মকালীন মরিচের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে তিন উপজেলার বেশিরভাগ ফসলি জমি। তখন কৃষিতে সবমিলিয়ে ১ কোটি ১৭ লাখ ৫৮ হাজার ৬০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এতে ১ হাজার ৭১৯ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।


আরও খবর



‘সেনাগৌরব পদক’ পেলেন ক্যাপ্টেন আশিক

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পেশাদারিত্ব এবং ধৈর্যের পরিচয় দেওয়ায় সেনাগৌরব পদক (এসজিপি) অর্জন করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আলোচিত ক্যাপ্টেন আশিক।

রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের কার্যালয়ে তাকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।

এ সময় প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও পেশাদারিত্ব বজায় রাখায় ক্যাপ্টেন আশিককে সাধুবাদ জানান সেনাপ্রধান। তাকে ভবিষ্যতের জন্যও অনুপ্রাণিত করা হয়।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, ক্যাপ্টেন আশিক অত্যন্ত বিচক্ষণতা ও ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতির সামাল দেন এবং সেটির সমাধান করেন।


আরও খবর
প্রত্যাহার হওয়া ২৫ জেলায় নতুন ডিসি

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪