আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

ভাঙারি বিক্রেতার ছেলে খুনের আসামি দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়র স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে আলোচনায় আসেন বাংলাদেশ পুলিশ কর্মকর্তা খুনের দায়ে অভিযুক্ত পলাতক আসামি আরাভ খান। ছেলে জমকালো জীবনযাপন করলে বাবা-চাচাদের সংসার চলে টেনেটুনে। স্থানীয়দের কাছে এ বিষয়টি লাগছে রহস্যের মত।

সরেজমিন এলাকাঘুরে জানাযায়, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার হিরন ইউনিয়নের আশুতিয়া গ্রামে বাসিন্দা মতিউর রহমান মোল্লার ছোট ছেলে আরাভ খানের এই উত্থান দেখে হতবাক হয়েছেন তার পরিচিত জনেরা। তারা জানান, আরাভ খানকে তাঁরা চেনেন সোহাগ, রবিউল, আপন ও হৃদিক নামে। তার বাবা ছোটবেলা থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে ভাঙাড়ি মালামাল কেনাবেচা করতেন। তিনি বিয়ে করেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার মুলাদী গ্রামে। সেখানেই স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে থাকতেন মতিউর। দুই মেয়ে শারমিন ও নাজনীনকে বিয়ে দিয়েছেন বাগেরহাটেই। সন্তানদের মধ্যে আরাভ সবার ছোট। ১০ বছর আগে কোটালীপাড়া উপজেলার হিরন ইউনিয়নের আশুতিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে ঘর নির্মাণ করেন মতিউর। এখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন তিনি।

সরেজমিন দেখা যায়, আরাভ খানের পিতার ঘরটি মাঝারি আকারের, পাকা দেয়ালের ওপর টিনের ছাউনি। ঘর তালাবদ্ধ। পরে কথা হয় আরাভের চাচি, চাচাতো ভাইসহ পাঁচ স্বজনের সঙ্গে। তাঁরা জানান, আজ ও গতকাল আরও চার-পাঁচজন লোক এসেছিলেন আরাভের খোঁজ নিতে। সবাই জানতে চান আরাভ এত টাকার মালিক কীভাবে হলেন? তাঁরা জানান, এ বিষয়ে তাঁদের কিছুই জানা নেই।

স্বজনরা জানান, গ্রামের বাড়িতে ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর যাতায়াত ছিল আরাভের। ওই সময়টায় মাঝেমধ্যে বাড়িতে যেতেন তিনি। তার উত্থান এলাকার কেউ জানতেন না। এমনকি তিনি কোথায় কী করছেন, কোথায় থাকেন, তাও জানতেন না।

আরাভের বড় চাচি মনোয়ারা বেগম বলেন, আমাদের বাড়ির লোক রবিউলকে সোহাগ নামে জানেন। তার মামাবাড়ির লোক তাকে রবিউল নামে ডাকে। লোকমুখে আরাভ নামটা গতকালই শুনতে পেলাম। ছোটবেলা থেকেই সে মামাবাড়িতে বেড়ে ওঠে। বাড়িতে তেমন একটা না আসায় সবাই তাকে ভালোভাবে চেনেও না।

আরাভের অনেক ধনসম্পদ থাকার খবরে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে বলে মনোয়ারা বলেন, আমার স্বামী মাছ বিক্রি করেন। আজ সকালে বাজারে মাছ বিক্রি করতে গেলে বাজারের লোক তাকে ওই বাজারে মাছ বিক্রি করতে দেননি। তারা বলে, তোমার ভাতিজা হাজার কোটি টাকার মালিক, তুমি কেন মাছ বিক্রি করবা। আমরা আসলে জানি না যে সে এত টাকার মালিক।

গতকাল বুধবার রাতে দুবাইয়ের নিউ গোল্ড সুকে আরাভ জুয়েলার্সের উদ্বোধন করা হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে দুবাইয়ে গেছেন ক্রীড়াঙ্গন ও চলচ্চিত্র অঙ্গনের আরও বেশ কয়েকজন তারকা। আরাভ জুয়েলার্স নামের ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকের নাম আরাভ খান। বাংলাদেশ পুলিশ বলছে, ওই আরাভ খানই প্রকৃতপক্ষে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার রবিউল ইসলাম। চার বছর আগে ঢাকায় একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার আসামি হয়ে দেশ ছেড়েছিলেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৮ সালে পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে ভারতে চলে যান সে সময়ের ৩০ বছর বয়সী রবিউল ইসলাম। সেখানে বিয়ে করেন। পরে ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করেন। সেই পাসপোর্ট দিয়েই পাড়ি জমান দুবাইয়ে। এখন তিনি দুবাইয়ের বড় স্বর্ণ ব্যবসায়ী।

আরাভের চাচাতো ভাই ফেরদাউস মোল্লা বলেন, এক সপ্তাহ আগে আরাভ বাবা মতিউর রহমান, বোন শারমিন আক্তার ও ছেলে স্বপ্ন মোল্লাকে দুবাইয়ে নিয়ে যান। মতিউর রহমান মোল্লা ভাঙারি ব্যবসা করতেন। পাঁচ বছর হলো তিনি কোনো কাজ করেন না।

দুবাইয়ে আরাভ খানের এত ধনসম্পদ থাকার খবরে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন আশুতিয়া গ্রামের জুলহাস মোল্লা। তিনি বলেন, সোহাগ মোল্লা কীভাবে হয়ে গেলেন আরাভ খান! আরাভের বাবা সামান্য একজন ভাঙারি ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর ছেলে কীভাবে এত টাকার মালিক হতে পারে? বাড়িতে সামান্য ঘর ছাড়া অন্য কোনো জায়গাজমিন ছিল না তাদের।

আরাভ খান নামে দুবাইয়ের এই স্বর্ণ ব্যবসায়ী মূলত বাংলাদেশে পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম। তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা চেয়েছে পুলিশ


আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ময়মনসিংহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে যুবলীগের সভাপতি-সম্পাদক গ্রেফতার

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার ধানিখলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া কলেজশিক্ষার্থী রেদোয়ান হোসেন সাগর (২৪) হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে ওই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার নেতারা হলেন সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. শাজাহান সরকার ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন (বাচ্চু)।

মামলার তদন্তকারী সংস্থা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে যৌথ বাহিনীর একটি দল আসামিদের গ্রেফতার করে কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোহরাব আলী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামিদের মঙ্গলবার বিকেলে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাঁদের আদালতে সোর্পদ করেন। পরে আদালত আসামিদের ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠান।

গত ১৯ জুলাই ময়মনসিংহ নগরের মিন্টু কলেজ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রেদোয়ান হোসেন সাগর নিহত হন। তিনি নগরীর আকুয়া চৌরঙ্গী মোড় এলাকার বাসিন্দা আসাদুজ্জামানের ছেলে। জেলার ফুলবাড়িয়া কলেজে স্নাতক চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় ২৪ জুলাই কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজগর আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলায় ওই দুই নেতাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।


আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ভারতীয় কর্মকর্তাদের অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভ

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের শ্রীপুরে বেতন বৃদ্ধি ও ভারতীয় কর্মকর্তাদের অপসারণসহ ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন আরএকে সিরামিক কারখানার শ্রমিকরা। এছাড়া, গাজীপুর মহানগর, সদর, কালিয়াকৈর, রাজেন্দ্রপুরসহ আরও কয়েকটি এলাকাতেও বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করছেন একাধিক কারখানার শ্রমিকরা।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় উপজেলার ধনুয়া এলাকায় অবস্থিত আরএকে সিরামিক কারখানা থেকে মিছিল নিয়ে বের হন শ্রমিকরা। সকাল ৭টায় তারা কারখানার সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিলে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা কথা বললে বেলা ১১টায় অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেন বিক্ষোভকারীরা। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আন্দোলনরত শ্রমিকদের অভিযোগ, কোনো বিষয়ে ভারতীয় কর্মকর্তারা তাদের মূল্যায়ন করে না। ভালো কোনো প্রতিক্রিয়াও তাদের কাছ থেকে পাওয়া যায় না। তারা দায়িত্বে আসার পর বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন শ্রমিকরা। এছাড়া শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী শ্রমিক ও বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয় না। বিষয়গুলো নিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে একাধিকবার কোম্পানি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো সমাধান দেননি। তাই এই ভারতীয় কর্মকর্তাদের অপসারণ এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে মানসম্মত বেতন ও ইনক্রিমেন্ট নিশ্চিতসহ ১১টি দাবি জানানো হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে।

এদিকে, শ্রমিক নিয়োগে নারী-পুরুষের বৈষম্য রোধে গাজীপুর মহানগরের বাসন এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে আরেকটি শ্রমিক বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবি, চাকরিতে পুরুষদের চাইতে নারী শ্রমিকদের নিয়োগে অগ্রাধিকার বেশি দেওয়া হয়। তারা এ ধরনের বৈষম্য চান না।

একইদিন সকালে গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় গোল্ডেন রিফিট গার্মেন্টস লিমিটেডের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে চাকরিপ্রত্যাশী শ্রমিকরা।

রাজন্দ্রেপুর এলাকায় আন্দোলন করছে ইউনি হেলথ্ ফার্মাসিউটিক্যালস নামের একটি ওষুধ উৎপানদকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। বেতন বৈষম্যসহ দূর করাসহ কয়েকটি দাবি তুলেছেন তারা।

এছাড়া কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকায় ট্রান্সকম বেভারেজে ২০ দফা দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার থেকেই আন্দোলন করে আসছিল শ্রমিকরা। বুধবার সকালেও তারা ভারতীয় কর্মকর্তাদের অপসারণ, দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে নিয়োগকৃত শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ীকরণ, ৫ তারিখের মধ্যে বেতন প্রদান, নারী শ্রমিকদের নৈশকালীন ডিউটি বাতিলসহ ২০ দফা দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর শ্রীপুর ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম আজিজুল হক জানান, বুধবার সকাল থেকেই কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকরা আন্দোলন করছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে।


আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ সংস্কারে এগিয়ে এলো এলাকাবাসী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়ন কদমরসুল হাছিয়া পাড়া পয়েন্টে জোয়ারের পানির স্রোতে তলিয়ে যাওয়া বেড়িবাঁধ সংস্কারে বিনা অর্থে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করলো এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায় স্থানীয় এলাকাবাসী জিও ব্যাগে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করে। এতে নেতৃত্ব দেন সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইসমাইল ও স্থানীয় সমাজকর্মী জিয়াউল হক চৌধুরী, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।

এ বিষয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করতে আসা স্থানীয়রা বলেন, এই বেড়িবাঁধ নির্মাণ জন্য অনেক বার সরকার বরাদ্দ দিলেও তা সঠিক ভাবে তদারকি না করে বাঁধ অতি নির্মাণের কাজ করার কারণে জোয়ারের পানিতে ভেঙে যাওয়ায় একটু বৃষ্টি হলেই জোয়ারের পানি লোকালে প্রবেশ করে প্রায় ১০-১১ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, আমাদের ঘরবাড়ি রক্ষা করতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এলাকাবাসীর চেষ্টায় জিও ব্যাগ ধারা প্রায় ১১হাজার মানুষ ভেঙে যাওয়া ১১ চাইন বাঁধ হাতে হাত মিলিয়ে প্রাণপণ চেষ্টা করে বর্ষার মধ্যে  সংস্কার করতেছি,দেশে  বর্তমানে অন্তবর্তী কালীন সরকার গঠন করা হয়েছে, সরকারের  প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি  ভেঙে যাওয়া বাঁধাটি যাতে টেকসই ভাবে নির্মাণ করে দিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে বসবাস করতে পারে এই দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

উল্লেখ্য, স্থানীয় জনগণের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের (২০১৫-১৭) বাঁধটি জলোচ্ছ্বাস ছাড়াই ভাঙতে শুরু করেছে। তবে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২৯৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণকাজ শেষ করে ২০২২ সালে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বাঁধটি বুঝিয়ে দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো)।

এরই মধ্যে খানখানাবাদ উপকূলের কদমরসুল হাছিয়া পাড়া এলাকায় জোয়ার-ভাটার স্রোতে বেড়িবাঁধটি ভেঙে গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঘরবাড়িসহ দুই হাজার বিঘার মৎস্য ঘের। গত মঙ্গলবার থেকে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতের কাজ সক্ষম হয়।


আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ওসি হারুনের ‘মহানগর’ দেখা যাবে ফ্রিতে

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সালটা তখন ২০২১। বিশ্ব তখন করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে ব্যস্ত। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে কোনো এক রাতের ঘটে যাওয়া এক গল্প নিয়ে নির্মিত হয় একটি সিরিজ। জুন মাসে হইচই নিয়ে মুক্তি পায় সেই সিরিজ; নাম মহানগর। জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম অভিনীত এই সিরিজটি নির্মাণ করেন বাংলাদেশের হালের আলোচিত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।

সিরিজটি বাংলা ভাষার দর্শককে যেন নাড়িয়ে দিয়ে যায় সে সময়। মুক্তির পর থেকেই সিরিজটি দর্শক প্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। এখনো দর্শক মনে দাগ কেটে চলেছে ওসি হারুন চরিত্রটি। আগামী ৩০ আগস্ট থেকে মহানগর এর প্রথম সিজন দেখা যাবে একদম ফ্রি-তে। হইচই অ্যাপ ডাউনলোড করলেই দেখা যাবে সিজন ১। লাগবে না কোনো সাবস্ক্রিপশন, লাগবে না রেজিস্ট্রেশন। সেই সাথে হইচই বাংলাদেশের ইউটিউব চ্যানেলে মহানগর এর প্রথম কিস্তির ১টা পর্ব দেখা যাবে ফ্রি।

এ ব্যাপারে পরিচালক আশফাক নিপুণ বলেন, মহানগর নির্মাণের সময় ভাবিনি যে সিরিজটি মানুষ এতো পছন্দ করবে। ওয়েব সিরিজটি দুই বাংলাতেই ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল। কিন্তু এটি নির্মাণের পর আমাকে বেশ সমস্যাতেও পড়তে হয়। যেই বিষয়টি নিয়ে আমি কখনো মিডিয়াতে কথা বলিনি। সেসব ব্যাপার নিয়ে আলাপ করা যাবে অন্য কোনো সময়। তবে আনন্দের ব্যাপার হলো, যে কেউ, যে কোনো স্থান থেকে মহানগর হইচই-তে স্ট্রিম করতে পারবেন ফ্রি।

অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, মহানগর মুক্তির পর থেকেই সাধারণ মানুষের যে রেসপন্স ও ভালোবাসা পেয়েছি তা অবিশ্বাস্য। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে বাস্তবে সবখানে প্রসংশা পেয়েছি কাজটার জন্য। এখনো দর্শক ওসি হারুনকে দেখতে চায়। আপাতত, ৩০ আগস্ট থেকে মহানগর প্রথম সিজন হইচইতে দেখা যাচ্ছে একদম ফ্রি।

শুধুমাত্র হইচই অ্যাপ ডাউনলোড করেই দেখে নিতে পারবেন মহানগর। মহানগর-এর প্রথম সিজনে মোশাররফ করিম ছাড়াও অভিনয় করেছেন মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, জাকিয়া বারী মম, শ্যামল মাওলা, খাইরুল বাসার প্রমুখ।


আরও খবর
কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানালেন টেলর সুইফট

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ফেনীতে বন্যায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজিব মাসুদ, ফেনী

Image

ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলায় তৃতীয় দফা বন্যায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এ দুটি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তলিয়ে গেছে উপজেলা দুটির অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সড়ক, বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ, রয়েছে চরম দুর্ভোগে।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) জেলায় ১৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেনী আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।

উপজেলা প্রশাসন জানায়, পরশুরামে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক ছাত্রদের সহায়তায় দুটি ডিঙি দিয়ে লোকজনকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ভারী বৃষ্টি ও উজানের অতিরিক্ত প্রবাহের কারণে ২ আগস্ট মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৭টি অংশে ভাঙনের ফলে লোকালয় প্লাবিত হয়েছিল। গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানি আবার বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার সকালে ভাঙন স্থান দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ শুরু করে। এতে পরশুরাম উপজেলার পশ্চিম অলকার মাস্টারবাড়িসংলগ্ন মুহুরী নদীর বাঁধের ভাঙন অংশ, মির্জানগর ইউনিয়নের দক্ষিণ কাউতলি কাশিনগর ও চম্পকনগরে বাঁধের দুটি অংশ, চিথলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শালধর জহির চেয়ারম্যানের বাড়িসংলগ্ন, দক্ষিণ শালধর, কহুয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের টেটেশ্বর ও সাতকুচিয়ার ভাঙন অংশ এবং পশ্চিম মির্জানগরের সিলোনিয়া নদীর বাঁধের ভাঙন অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করছে।

সূত্র আরও জানান, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে এবং লোকালয়ে পানি ঢুকে দুই উপজেলার প্রায় ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, জুলাইয়ের বন্যায় আমন ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে বড় লোকসান হয়েছিল কৃষষের। এরপর ক্ষতি কাটিয়ে আবারও বীজ বুনেছে তারা। এখন সে চারা তুলে রোপণের সময়। কিন্তু এক মাসের ব্যবধানে তৃতীয়বার বন্যার কবলে পড়ে সে বীজ এখন পানিতে তলিয়ে গেছে। দুয়েক দিনে যদি পানি না নামে তাহলে এবারের চারাও আর কাজে লাগাতে পারবে না কৃষক।

পরশুরামের বীরচন্দ্র নগরের বাসিন্দা মো. রহিম জানান, অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে ঘরবাড়ি তিনবার পানিতে তলিয়ে গেছে। এলাকার সব মানুষ কষ্টে আছে। বাড়িঘর সব ডুবে গেছে।

ফুলগাজী উপজেলার নীলক্ষী এলাকার কৃষক আকবর হোসেন বলেন, বন্যায় ধানের বীজতলা তলিয়ে গেছে। নতুন করে বীজতলা তৈরি করে রোপণের কয়েক দিন পর আবারও পানিতে ডুবে যায়। গত দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে এখন নতুন করে সব জমি পানিতে তলিয়ে আছে।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম বলেন, গত বন্যায় মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৭ অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। সেগুলো মেরামত করার আগেই গত দুই দিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের পানিতে ভাঙন অংশ দিয়ে আবারও লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে।

এ বিষয়ে পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় পরশুরাম উপজেলার পরশুরাম পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়নের প্রায় অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অসংখ্য মানুষ। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাত ১২টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক ছাত্রদের সহায়তায় দুটি ডিঙি দিয়ে লোকজনকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত একজন নিখোঁজ হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আমাদের কাছে আরও ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৫০ টন চাল মজুদ রয়েছে।

ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ভূঁইয়া বলেন, বন্যার পানিতে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। এখনও প্রবল স্রোতে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। উপজেলায় ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১৮ টন চাল মজুদ রয়েছে।

ফেনীর জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার জানান, বন্যা পরিস্থিতির ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে।


আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪