আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

ভার্চুয়াল বইমেলার প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ লেখক-প্রকাশকরা

প্রকাশিত:শনিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শপিংমল, সিনেমা হল, বিনোদন কেন্দ্র সব খুলে রেখে সভা সমাবেশ চলছে যখন তখন জাতীয় চেতনার ধারক অমর একুশে গ্রন্থমেলা স্থগিত করে ভার্চুয়াল মেলার প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন লেখক, প্রকাশক, অ্যাক্টিভিস্টরা। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া কোথাও কিছু আটকে নেই, সেখানে বইমেলা নিয়ে কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সে প্রশ্ন তুলেছেন তারা। বলছেন, একুশে মেলা কেবল বই কেনা-বেচার জায়গা নয়। ভার্চুয়ালি বই বিক্রির অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে। সবকিছু স্বাভাবিকভাবে সাবধানতার সঙ্গে চলবে বলা হচ্ছে। সেটি নিশ্চিত করলেই এই প্রাণের মেলা বন্ধ করতে হয় না। পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে বরং কিছুদিন পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারে।

করোনাভাইরাস মহামারির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আগামী বছরের অমর একুশে গ্রন্থমেলার আয়োজন আপাতত স্থগিত রাখার আবেদন করবে বাংলা একাডেমি বলে জানান একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী। রবিবার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে করতে যাওয়া আবেদনে অনলাইনে বইমেলা আয়োজন করা যায় কিনা, সেটাও বিবেচনায় রাখতে অনুরোধ করা হবে বলে জানান তিনি।

বইমেলার দৃশ্যমান যে উৎসব মুখর অবয়ব বা উদযাপন,  তার বাইরেও এর অদৃশ্য বিশাল একটা সক্রিয়তা রয়েছে উল্লেখ করে জনপ্রিয় তরুণ লেখক সাদাত হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সেই সক্রিয়তা মূলত এর সঙ্গে যুক্ত অসংখ্য মানুষের জীবিকা ও অস্তিত্বের সঙ্গে যুক্ত। আমাদের বাস্তবতায় লেখকদের কথা না হয় বাদই দিলাম। কিন্তু বেশিরভাগ প্রকাশক থেকে শুরু করে ছাপাখানার কর্মী, মালিক, বাঁধাইখানার শ্রমিক, এমনকি দোকান ভাড়া থেকে শুরু করে অসংখ্য মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গেও এর সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। সারা বছর কী পরিমাণ বই বিক্রি হয়, তা আমরা জানি। আমরা এও জানি, এই সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকটি মানুষ মূলত অপেক্ষায় থাকেন এই এক মাসের বইমেলার জন্যই। এর ওপরই মূলত এই শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে যুক্ত অসংখ্য মানুষের টিকে থাকা নির্ভর করে। ফলে, বইমেলা না হলে এদের পরিস্থিতিটা কী হবে, সেটি ভেবে দেখাটা জরুরি। যেখানে এই করোনাকালে শপিং মল থেকে শুরু করে সব ধরনের জন-জমায়েতই আমরা দেখছি। নানান সভা-সমাবেশ, ওয়াজ-মাহফিল, মুক্ত গ্যালারিতে আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ পর্যন্ত। সেখানে করোনার দোহাই দিয়ে কেন কেবল বইমেলাই স্থগিতের প্রস্তাব উঠছে, বিষয়টি পরিষ্কার নয়। আমার মনে হয় করোনার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই বিকল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে হলেও বইমেলাটা হওয়া উচিত। সেটি মাসখানেক পিছিয়ে হলেও।

ভার্চুয়ালি আবার বইমেলা হয় কী করে? প্রশ্ন করে লেখক ও সাংস্কৃতিক অ্যাক্টিভিস্ট সৈয়দ তানজীনা ইমাম বলেন, মহান একুশে গ্রন্থমেলা কি শুধুই বই ব্যবসা? বইমেলা লেখক পাঠক প্রকাশকসহ কত শত মানুষের মিলন মেলা। একুশে গ্রন্থমেলা এ ভূখণ্ডের ঐতিহ্যের অংশ।

তিনি আরও বলেন, কোভিড ১৯ মহামারির কারণে শপিং সেন্টার কি বন্ধ আছে? শপিং সেন্টারগুলোর সামনে দিয়ে যাওয়া যায় না এমন যানজট। বন্ধু-বান্ধবদের টাইমলাইন ভর্তি বিভিন্ন অবকাশ কেন্দ্র আর রিসোর্টে বেড়ানোর ছবি। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গিজগিজ করছে মানুষ। কই এসব ক্ষেত্রে তো কোনও নিষেধাজ্ঞা দেখি না।

আমরা ভার্চুয়ালি নয় একচুয়ালি বইমেলা চাই। প্রয়োজনে আরও বড় পরিসরে আরও ছড়িয়ে দূরে দূরে স্টল তৈরি করেন। স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা ও দূরত্ব বজায়ের ব্যবস্থা করেন। তবু অমর একুশে গ্রন্থমেলা বাংলার সংস্কৃতির এক মাইলফলক এর কোনও ব্যত্যয় ঘটানো চলবে না।

প্রয়োজনে কিছুটা পিছিয়ে হলেও ২১ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২৬ মার্চ শেষ হোক প্রস্তাব দিয়ে লেখক সাখাওয়াত টিপু বলেন, বইমেলা অনলাইনে নেওয়ার বুদ্ধি দিলো কে? দেশে তো সবকিছুই খোলা। সবাই তো স্বার্থমতো সভা সমাবেশ করতে পারে। তাহলে কেন বইমেলা খোলা ময়দানে হবে না? বইমেলা খোলা ময়দানে হোক।

ইউপিএল প্রকাশনীর মাহরুখ মহিউদ্দীন মনে করেন, ভার্চুয়াল পার্ট রাখা যেতে পারে কিন্তু ডিসটেন্স রেখে স্টল করে ভিড় নিয়ন্ত্রণ রাখা অসম্ভব না। তিনি বলেন, আমাদের তো করোনা পরিস্থিতিতে পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকাল থাকতে হবে বলে সবকিছুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হচ্ছে। সেখানে মেলা কেন হবে না। আমাদের যে টেকনোলজি আছে, ফ্যাসিলিটি আছে সেসবকে কাজে লাগিয়ে আমরা খোলা জায়গায় নিয়ম মেনেই মেলা করতে সক্ষম। ফলে প্রকাশকদের সঙ্গে বসে মতামত নিয়ে একটা সিদ্ধান্তে আসা সমীচীন হবে।

নিউজ ট্যাগ: বইমেলা

আরও খবর



ভবন থেকে রড পড়ে মৃত্যুর ঘটনায় ৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় পথে নির্মাণাধীন ভবনের কলাম ভেঙে মাথায় পড়ে বায়োফার্মা লিমিটেডের এক কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনায় ৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

রোববার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় এই মামলা করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আজিজুল হক।

তিনি বলেন, শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ রোডে নির্মাণাধীন ভবনের কলাম ভেঙে মাথায় পড়ে নিহত হন এক পথচারী। সেসময় কদরের নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই ঘটনায় এই মামলা করা হয়েছে।

এসি আরও বলেন, মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিগুলো অজ্ঞাতনামা ৫০-৫৫ জন।

এদিকে রাজউক বলছে, সাত মসজিদ হাউজিং এ রাজউক এর অনুমোদনহীন এবং কোনরকম সেফটি ছাড়াই হাউজিং এর প্রধান সড়কের পাশে পাইলিং এর কাজ চলছিলো। নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে নোটিশ করা হলেও ভবন মালিক নির্মাণ কাজ বন্ধ করেননি। পাইল এর রড ল্যাপিং এর স্থলে ওয়েল্ডিং না করে বোর হোলের ভিতর ছাড়ার সময় জয়েন্ট থেকে ছুটে গিয়ে রাস্তার উপর পড়ে পথচারী এস এম হাসান ঘটনাস্থলে মারা যান। নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে তাৎক্ষণিকভাবে ডিপিডিসির মাধ্যমে নির্মাণাধীন প্লটের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। নির্মাণাধীন ভবনের ওয়ার্কিং ড্রইং এ স্বাক্ষরকারী প্রকৌশলী সৈয়দ রেজাউল করিম।


আরও খবর



উদ্বোধনের ৫ মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে চালু হয়নি ট্রেন

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উদ্বোধনের ৫ মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে ট্রেন চালু হয়নি। কবে নাগাদ ট্রেন চলাচল শুরু হবে তা এখনও অনিশ্চিত। ৮টি স্টেশন ও রেল ক্রসিংসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য জায়গায় এখনও জনবল নিযুক্ত করা হয়নি। এ অবস্থায় যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চালুর বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে পারছেন না প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এই রুটে ট্রেন চালুর অপেক্ষায় রয়েছে মোংলা ও খুলনার ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ এবং মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ অক্টোবর খুলনার ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল করে। এরপর ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যৌথভাবে ভার্চুয়ালি খুলনা-মোংলা রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। কিন্তু এরপর ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি।   

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, এই রেলপথে ৮টি স্টেশন নির্মাণ করা হলেও সবগুলোতে এখনও আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য সরঞ্জাম দেয়া হয়নি। রেল স্টেশন ও রেল ক্রসিংগুলোতে নিযুক্ত করা হয়নি কোনো জনবল। এছাড়া মোট কতটি ট্রেন চলবে, ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়া এখনও নির্ধারণ হয়নি।

খুলনা-মোংলা রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসেন মাসুম জানান, উদ্বোধনের সময় কিছু ফিনিশিং কাজ বাকি ছিল। সেগুলো ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে এখনও জনবল নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি। এই রুটে পণ্য পরিবহনকে প্রাধান্য দেয়া হবে, সেই সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনও চলবে।

খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান বলেন, খুলনা-মোংলা রেল লাইন এখন যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত। ঈদের পরে ট্রেন চলাচল শুরু করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

প্রকল্প অফিস সূত্রে জানা গেছে, খুলনা-মোংলা রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। এই রেলপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৯০ কিলোমিটার। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ভারতীয় দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লার্সেন অ্যান্ড টুবরো এবং ইরকন ইন্টারন্যাশনাল। ভারতের ঋণ সহায়তায় এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকা।

এই রেলপথে রূপসা নদীর উপর ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ৯টি স্থানে ভেইকেল আন্ডারপাস-ভিইউপি (রেল লাইনের নিচ দিয়ে যাওয়ার রাস্তা) নির্মাণ করা হয়েছে। ভিইউপি এর কারণে ট্রেন চলাচলের সময় রেল ক্রসিংগুলোতে যানবাহন আটকা পড়বে না। এছাড়া দুর্ঘটনারও ঝুঁকি থাকবে না। এই রেলপথে স্টেশন রয়েছে ৮টি। সেগুলো হলো ফুলতলা, আড়ংঘাটা, মোহাম্মদনগর, দ্বিগরাজ, কাটাখালি, চুলকাঠি, বাঘা ও মোংলা।

খুলনা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মফিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, আমরা চাই দ্রুত এই রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হোক। ট্রেন চালু হলে মোংলার সঙ্গে রেলপথে যাতায়াত সুবিধার পাশাপাশি আরও গতিশীল হবে মোংলা বন্দর। পর্যটকরাও খুলনা থেকে ট্রেনে করে সুন্দরবনে যেতে পারবে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তা বলেন, পদ্মা সেতুর পর রেল সংযোগ মোংলা বন্দরের জন্য একটা আশীর্বাদ। এখন নদী ও সড়কপথে পণ্য বন্দরে আনা-নেয়া করা যায়। তবে রেলের মাধ্যমে কন্টেইনার পরিবহন সবচেয়ে সাশ্রয়ী একটা মাধ্যম। মোংলার সঙ্গে ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলের কন্টেইনার পরিবহন সহজ হবে। কমলাপুর আইসিডি ও ঢাকা থেকে আমদানি-রপ্তানি পণ্য কন্টেইনারে মোংলা বন্দরে আনা-নেয়া সহজ হবে। মোংলা বন্দরে জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পাবে।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে অগ্রণী ব্যাংকের নতুন ডিএমডিদের শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অগ্রণী ব্যাংক পিএলসির সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো. আবুল বাশার ও শামিম উদ্দিন আহমেদ।

আজ শনিবার বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাঁরা এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের উধ্বর্তন নির্বাহীগন ও গোপালগঞ্জ অঞ্চলের উপ মহাব্যবস্থাপক ও অঞ্চল প্রধান এস এম ইস্রাফিল হোসাইন এবং শাখা ব্যবস্থাপকবৃন্দ।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জাতির পিতা ও বঙ্গমাতা সহ ১৫ আগস্টে নিহত মহান শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় এবং শোক বইতে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শোকবার্তা লেখা হয়।

নিউজ ট্যাগ: গোপালগঞ্জ

আরও খবর



মুন্সীগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে গরু ব্যবসায়ীর মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে বজলু মিয়া নামে এক গরু ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে মাওয়ায় সেনানিবাস চেকপোস্ট সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বজলু মিয়ার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়। তিনি মাওয়ায় বেড়াতে এসেছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি মাওয়ার সেনানিবাস চেকপোস্ট এলাকা অতিক্রম করছিল। এ সময় বজলু মিয়া অসাবধানতাবসত রেললাইনে উঠে পড়েন। এতে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার হাসান উর রহমান বলেন, ট্রেন আসার সময় অসাবধানতাবশত রেললাইনে উঠে পড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। বজলু মিয়ার মরদেহ মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনে রেল পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।


আরও খবর



বান্দরবানে সব বাহিনীর সদস্য বাড়ানোর ঘোষণা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বান্দরবানে আমরা সব বাহিনীর সদস্য আরও বাড়াবো এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে যা যা করা দরকার তা করব।

আজ শনিবার দুপুরে বান্দরবান সার্কিট হাউসে বান্দরবান জেলার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সন্ত্রাসীদের ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কোনো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে ছাড় দেওয়া হবে না। বান্দরবানের রুমার ঘটনায় সন্ত্রাসীরা তাদের সক্ষমতা প্রর্দশন দেখানোর চেষ্টা করেছে মাত্র। তবে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ধূলিসাৎ করে দেবে।

তিনি বলেন, বান্দরবানের ঘটনায় বিদেশি কোনো মদদ নেই। বিদেশি যাদের কথা বলা হচ্ছে, তারা নিজেদের সমস্যা সমাধানে ব্যস্ত। এই অপরাধে জড়িত কেউ দেশের বাইরে গেলে সেখান থেকে তাকে এনে বিচার করা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেএনএফ যে হামলা ও লুটের ঘটনা ঘটিয়েছে, সেটা কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী সামরিক বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছেন শক্তিশালী অভিযান চালানোর। সমন্বিত অভিযানের বিষয়ে সেনাবাহিনী সিদ্ধান্ত নেবেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন বাহিনী তাদের মতো অভিযান চালাবে।

এর আগে আজ সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে বান্দরবানে রুমা উপজেলায় যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে সোনালী ব্যাংকে শাখা পরিদর্শন করেন এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে ঘটনার বিবরণ শোনেন।


আরও খবর